ইরানকে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন বার্তা, উপসাগরে সামরিক শক্তি বৃদ্ধি
ইরানকে নতুন করে বার্তা দিতে পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে সামরিক শক্তি বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মাধ্যমে তেহরানের বিতর্কিত পরমাণু কর্মসূচির প্রশ্নে ইসরায়েলকে নিজেদের কঠোর অবস্থানের ব্যাপারে পুনরায় নিশ্চয়তা দিতে চায় তারা। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ হরমুজ প্রণালি সচল রাখতেও ভূমিকা রাখতে চায় ওয়াশিংটন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী পত্রিকা ওয়াশিংটন পোস্ট গতকাল মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের একাধিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে পত্রিকাটি জানিয়েছে, সাগরে মাইন অপসারণ ও তা অকার্যকর করতে সক্ষম_এমন ক্ষুদ্র আকারের রণতরীর (মাইনসুইপারস) সংখ্যা পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে দ্বিগুণ করা হয়েছে। আটটি বড় জাহাজসহ রাডারের চোখ ফাঁকি দিতে সক্ষম এফ-২২ মডেলের যুদ্ধবিমান ও পুরনো মডেলের এফ-১৫সি বিমানও পাঠানো হয়েছে। মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, এভাবে উপসাগরে নৌবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্র আবারও এই মর্মে নিশ্চয়তা দিতে চায় যে ইরানের পরমাণু কর্মসূচির প্রশ্নে তারা কোনো ছাড় দেবে না। পাশাপাশি হরমুজ প্রণালী দিয়ে তেলবাহী জাহাজের চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র_শক্তি বাড়ানোর মাধ্যমে ইরানকে সে বার্তাও দিতে চায় তারা।
ইরানের পরমাণু স্থাপনা লক্ষ্য করে বিমান হামলা করা হলে হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেওয়া হবে। গত ডিসেম্বরে প্রথমবারের মতো এমন হুমকি দেয় তেহরান। এরপর একাধিকবার তারা একই হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এ অবস্থায় সামরিক শক্তি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় যুক্তরাষ্ট্র।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তা বলেন, "ইরানের কাছে আমাদের বার্তা হলো 'ভুলেও এমন কথা ভেবো না তোমরা'। হরমুজ প্রণালি বন্ধ করে দেওয়ার ব্যাপারে তোমরা চিন্তাভাবনা করো না। তোমাদের সব মাইন আমরা অপসারণ করব। এমনকি আমাদের জাহাজ বা বাণিজ্যিক জাহাজগুলোর চলাচলকে বিঘ্ন করতে রণতরী পাঠানোর চিন্তা থেকেও সরে আসতে হবে তোমাদের। না হলে সেগুলোকে ধ্বংস করে আমরা সাগরতলে পাঠিয়ে দেব।"
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব দীর্ঘদিন অভিযোগ করে আসছে, ইরান গোপনে পরমাণু অস্ত্র তৈরি করছে। তবে তেহরানের দাবি, তারা কেবল শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরমাণু কর্মসূচির বাস্তবায়ন করছে। বিতর্কিত এ পরমাণু কর্মসূচি সুরাহার প্রশ্নে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচ সদস্য দেশ ও জার্মানির সঙ্গে তেহরানের নানা ধাপে আলোচনা চলছে। গতকাল মঙ্গলবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলে এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। সূত্র : এএফপি।
মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের একাধিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে পত্রিকাটি জানিয়েছে, সাগরে মাইন অপসারণ ও তা অকার্যকর করতে সক্ষম_এমন ক্ষুদ্র আকারের রণতরীর (মাইনসুইপারস) সংখ্যা পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে দ্বিগুণ করা হয়েছে। আটটি বড় জাহাজসহ রাডারের চোখ ফাঁকি দিতে সক্ষম এফ-২২ মডেলের যুদ্ধবিমান ও পুরনো মডেলের এফ-১৫সি বিমানও পাঠানো হয়েছে। মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, এভাবে উপসাগরে নৌবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্র আবারও এই মর্মে নিশ্চয়তা দিতে চায় যে ইরানের পরমাণু কর্মসূচির প্রশ্নে তারা কোনো ছাড় দেবে না। পাশাপাশি হরমুজ প্রণালী দিয়ে তেলবাহী জাহাজের চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র_শক্তি বাড়ানোর মাধ্যমে ইরানকে সে বার্তাও দিতে চায় তারা।
ইরানের পরমাণু স্থাপনা লক্ষ্য করে বিমান হামলা করা হলে হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেওয়া হবে। গত ডিসেম্বরে প্রথমবারের মতো এমন হুমকি দেয় তেহরান। এরপর একাধিকবার তারা একই হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এ অবস্থায় সামরিক শক্তি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় যুক্তরাষ্ট্র।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তা বলেন, "ইরানের কাছে আমাদের বার্তা হলো 'ভুলেও এমন কথা ভেবো না তোমরা'। হরমুজ প্রণালি বন্ধ করে দেওয়ার ব্যাপারে তোমরা চিন্তাভাবনা করো না। তোমাদের সব মাইন আমরা অপসারণ করব। এমনকি আমাদের জাহাজ বা বাণিজ্যিক জাহাজগুলোর চলাচলকে বিঘ্ন করতে রণতরী পাঠানোর চিন্তা থেকেও সরে আসতে হবে তোমাদের। না হলে সেগুলোকে ধ্বংস করে আমরা সাগরতলে পাঠিয়ে দেব।"
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব দীর্ঘদিন অভিযোগ করে আসছে, ইরান গোপনে পরমাণু অস্ত্র তৈরি করছে। তবে তেহরানের দাবি, তারা কেবল শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরমাণু কর্মসূচির বাস্তবায়ন করছে। বিতর্কিত এ পরমাণু কর্মসূচি সুরাহার প্রশ্নে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচ সদস্য দেশ ও জার্মানির সঙ্গে তেহরানের নানা ধাপে আলোচনা চলছে। গতকাল মঙ্গলবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলে এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। সূত্র : এএফপি।
No comments