অন্ধকারে নির্বাচন কমিশন
আগামী সংসদ নির্বাচনকে শঙ্কামুক্ত করা হোক দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র দেড় বছর বাকি। অথচ এখনো অনেক বিষয়ে নির্বাচন কমিশন রীতিমতো অন্ধকারে রয়েছে। তারা নিশ্চিত করে জানে না, বর্তমান সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন মাস আগে নির্বাচন হবে নাকি মেয়াদ পূর্ণ করে নির্বাচন হবে।
কোন ধরনের সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে, তা-ও এখনো স্পষ্ট নয়। অন্যদিকে সংশোধিত সংবিধান ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ বা আরপিও-র সঙ্গে সাংঘর্ষিক হতে পারে, এমন কিছু বিষয়ের সুরাহা এখন পর্যন্ত করা হয়নি। যেমন বিদ্যমান আরপিও অনুযায়ী কেউ রাষ্ট্রের লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত থেকে নির্বাচন করতে পারবেন না। সংবিধানে প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রীদের লাভজনক পদের বাইরে রাখা হলেও সংসদ সদস্যদের বাইরে রাখা হয়নি। কাজেই সদস্যপদ বহাল থাকলে বর্তমান এমপিরা নির্বাচন করতে পারবেন না বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজও সম্পন্ন হয়নি এখন পর্যন্ত। সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসের কাজটিও এখন পর্যন্ত সম্পন্ন হয়নি। বিগত নবম সংসদ নির্বাচনের দেড় বছর আগেই রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছিল। অথচ বর্তমান নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত আগামী নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেনি। এমনকি রোডম্যাপ তৈরির প্রাথমিক কাজও তারা শুরু করেনি বলে কালের কণ্ঠে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়। এ অবস্থায় আগামী নির্বাচন সুচারুভাবে অনুষ্ঠানের বিষয়ে জনমনে কেবল শঙ্কা বেড়ে চলেছে।
গত ৩০ জুন সংসদ সদস্য ও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন নির্বাচনের আগে জাতীয় সংসদের বিলুপ্তি ঘটানোর বিধান রেখে সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব রেখেছেন। সরকারি দলের কিছু সদস্য তাঁর এ প্রস্তাবের বিরোধিতাও করেছেন। সে ক্ষেত্রে আমাদের একটি গ্রহণযোগ্য সমাধানে আসতে হবে। আমরা ধরে নিতে পারি, বর্তমান সংসদের অনেক সদস্য আগামী নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। কিন্তু সেটি অবশ্যই আইনসম্মত হতে হবে। সংবিধানের ধারা ১২৩(৩) অনুযায়ী সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন মাস আগে নির্বাচন হলে সংসদ সদস্যরা নিজ নিজ পদে বহাল থাকবেন। রাষ্ট্রের এই লাভজনক পদে বহাল থেকে তাঁরা কিভাবে নির্বাচন করবেন? আর তা করা হলে সেটি কি বিদ্যমান আরপিও-র ব্যত্যয় ঘটাবে না? কাজেই দ্রুততম সময়ে এই সমস্যার একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান করা হবে, সেটাই আমরা আশা করি।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে সংবিধান সংশোধন করা হয়েছে। কিন্তু প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও এর নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট বলছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্তমান সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হলে তারা সেই নির্বাচনে অংশ নেবে না। অন্যদিকে ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে বলে দেওয়া হয়েছে, কোনোক্রমেই আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে আনা হবে না। আমরা ভালো করেই জানি, প্রধান বিরোধী দলকে বাদ দিয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে সেই নির্বাচন দেশের মানুষ কিংবা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়- কারো কাছেই গ্রহণযোগ্য হবে না। সে ক্ষেত্রে সরকারের উচিত ছিল, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিকল্প হিসেবে অন্য কোনো সরকার পদ্ধতিতে যাওয়া যায় কি না, বিরোধী দলের সঙ্গে তা নিয়ে আলোচনায় বসা। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, আগামী নির্বাচনের জন্য অতি জরুরি সেই কাজটি এখন পর্যন্ত করা হয়নি। সরকারি ও বিরোধী দল যেন দুই মেরুর দুই বাসিন্দা হিসেবে দূরত্ব বজায় রেখে চলতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। কিন্তু এর ফলে নির্বাচনের আগে যদি দেশে আবার একটি সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, তাহলে তার দায়দায়িত্ব কে নেবে? আমরা চাই, আগামী নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য করার লক্ষ্যে সরকারি ও বিরোধী দল দ্রুত আলোচনার মাধ্যমে একটি সমাধান খুঁজে বের করুক। পাশাপাশি আগামী নির্বাচনে জবাবদিহি ও স্বচ্ছতার স্বার্থে নির্বাচন কমিশন তাদের সময়ের কাজগুলো সময়মতো সম্পন্ন করবে, এটাই দেশবাসী আশা করে।
গত ৩০ জুন সংসদ সদস্য ও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন নির্বাচনের আগে জাতীয় সংসদের বিলুপ্তি ঘটানোর বিধান রেখে সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব রেখেছেন। সরকারি দলের কিছু সদস্য তাঁর এ প্রস্তাবের বিরোধিতাও করেছেন। সে ক্ষেত্রে আমাদের একটি গ্রহণযোগ্য সমাধানে আসতে হবে। আমরা ধরে নিতে পারি, বর্তমান সংসদের অনেক সদস্য আগামী নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। কিন্তু সেটি অবশ্যই আইনসম্মত হতে হবে। সংবিধানের ধারা ১২৩(৩) অনুযায়ী সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন মাস আগে নির্বাচন হলে সংসদ সদস্যরা নিজ নিজ পদে বহাল থাকবেন। রাষ্ট্রের এই লাভজনক পদে বহাল থেকে তাঁরা কিভাবে নির্বাচন করবেন? আর তা করা হলে সেটি কি বিদ্যমান আরপিও-র ব্যত্যয় ঘটাবে না? কাজেই দ্রুততম সময়ে এই সমস্যার একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান করা হবে, সেটাই আমরা আশা করি।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে সংবিধান সংশোধন করা হয়েছে। কিন্তু প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও এর নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট বলছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্তমান সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হলে তারা সেই নির্বাচনে অংশ নেবে না। অন্যদিকে ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে বলে দেওয়া হয়েছে, কোনোক্রমেই আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে আনা হবে না। আমরা ভালো করেই জানি, প্রধান বিরোধী দলকে বাদ দিয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে সেই নির্বাচন দেশের মানুষ কিংবা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়- কারো কাছেই গ্রহণযোগ্য হবে না। সে ক্ষেত্রে সরকারের উচিত ছিল, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিকল্প হিসেবে অন্য কোনো সরকার পদ্ধতিতে যাওয়া যায় কি না, বিরোধী দলের সঙ্গে তা নিয়ে আলোচনায় বসা। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, আগামী নির্বাচনের জন্য অতি জরুরি সেই কাজটি এখন পর্যন্ত করা হয়নি। সরকারি ও বিরোধী দল যেন দুই মেরুর দুই বাসিন্দা হিসেবে দূরত্ব বজায় রেখে চলতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। কিন্তু এর ফলে নির্বাচনের আগে যদি দেশে আবার একটি সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, তাহলে তার দায়দায়িত্ব কে নেবে? আমরা চাই, আগামী নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য করার লক্ষ্যে সরকারি ও বিরোধী দল দ্রুত আলোচনার মাধ্যমে একটি সমাধান খুঁজে বের করুক। পাশাপাশি আগামী নির্বাচনে জবাবদিহি ও স্বচ্ছতার স্বার্থে নির্বাচন কমিশন তাদের সময়ের কাজগুলো সময়মতো সম্পন্ন করবে, এটাই দেশবাসী আশা করে।
No comments