বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমছে, দেশে কমছে না by অরুণ কর্মকার
আন্তর্জাতিক বাজারে প্রায় এক মাস ধরে জ্বালানি তেলের দাম কিছু কমলেও দেশে কমছে না। দেশে জ্বালানি তেলের দাম কমানোর কোনো চিন্তাও করছে না সরকার। আবার বর্তমান অবস্থায় তেলের দাম বাড়ানোর চিন্তাও নেই।
জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, বিশ্ববাজারে গত মে মাসে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম ছিল ১১০ থেকে ১১২ মার্কিন ডলার।
জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, বিশ্ববাজারে গত মে মাসে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম ছিল ১১০ থেকে ১১২ মার্কিন ডলার।
জুনের শুরু থেকে কমতে কমতে এখন ১০২ ডলারে নেমেছে। পরিশোধিত তেলের দাম মে মাসে প্রতি ব্যারেল ছিল ১২২ থেকে ১২৬ ডলার। এখন তা ১০৮ ডলারে নেমেছে।
ওই সূত্র জানায়, জ্বালানি তেলে সরকারকে বিপুল ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। তা ছাড়া সরকার উৎপাদন ব্যয় অনুযায়ী বিদ্যুতের দাম এবং আমদানি ব্যয় অনুযায়ী জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণের নীতি নিয়েছে। তাই জ্বালানি তেলের দাম কমানোর কোনো চিন্তা সরকারের নেই। তবে দাম যতটা কমেছে, ততটা বাড়লে দেশেও দাম বাড়ানোর কোনো বিকল্প থাকত না।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিশ্ববাজারে দাম বেশি থাকায় আমরা বেশি ভর্তুকির মধ্যে ছিলাম। দাম কমায় ভর্তুকি কিছুটা কমবে। জ্বালানি তেলের দাম কমানোর পর্যায়ে আমরা এখনো আসিনি।’
লোকসান শুধু ডিজেলে: দেশে প্রধানত ছয় প্রকার জ্বালানি তেল ব্যবহূত হয়। এর মধ্যে ডিজেল ও ফার্নেস ছাড়া অন্যগুলো বিক্রি করে সরকার লাভ করছে। তবে ডিজেলের ব্যবহার মোট জ্বালানি ব্যবহারের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ হওয়ায় ওই লোকসান ও ভর্তুকির অঙ্কও অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে।
বিভিন্ন খাতের চাহিদা অনুযায়ী, বিপিসি এ বছর (২০১২-১৩) দেশে জ্বালানি তেলের মোট চাহিদা নির্ধারণ করেছে ৫৮ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে প্রায় ৩৮ লাখ টনই ডিজেল। এর পরই চাহিদা ফার্নেস তেলের, প্রায় ১৫ লাখ টন।
বিপিসির হিসাব অনুযায়ী, বিশ্ববাজারে দাম কমার পরও বর্তমানে প্রতি লিটার ডিজেলে সরকারকে ভর্তুকি দিতে হবে প্রায় ১১ টাকা। ফার্নেস তেলের কেনাবেচার দাম প্রায় সমান। কখনো কখনো প্রতি লিটারে ৫০ পয়সার মতো ভর্তুকি লাগতে পারে।
অপরদিকে বর্তমানে প্রতি লিটার পেট্রল ও অকটেনে সরকার লাভ করছে প্রায় আট টাকা করে। প্রতি লিটার কেরোসিনেও প্রায় আট টাকা করে লাভ হচ্ছে। প্রতি লিটার জেট ফুয়েলে (বিমানের জ্বালানি) এক থেকে দেড় টাকা লাভ হচ্ছে।
পেট্রল, অকটেন ও কেরোসিনের বার্ষিক চাহিদা তিন লাখ টনের কম। জেট ফুয়েলের চাহিদা দুই লাখ টন।
তেল-নির্ভরতা বাড়ছে: জ্বালানি তেলের বিশ্ববাজার অত্যন্ত অস্থিতিশীল। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক—দুই কারণেই তেলের দাম বাড়ে-কমে। তা সত্ত্বেও বাংলাদেশের জ্বালানি তেল-নির্ভরতা বাড়ছে। বিপিসির হিসাব অনুযায়ী, ২০১০-১১ সালে দেশে তেলের চাহিদা ছিল ৪৮ লাখ টন। ২০১১-১২ সালে তা হয়েছে ৫৩ লাখ টন। এ বছরের চাহিদা ৫৮ লাখ টন।
এই চাহিদা বৃদ্ধির প্রধান কারণ ভাড়াভিত্তিক ও দ্রুত ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন। সরকার যদি এর পাশাপাশি বিদ্যুৎ খাতে তার মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আশানুরূপ অগ্রসর হতে পারত, গ্যাস ও কয়লা উত্তোলন বাড়াতে সক্ষম হতো, তাহলে বেশি দিন ডিজেল-ফার্নেস তেলের বর্ধিত চাহিদা ও বেশি ভর্তুকির বোঝা বইতে হতো না।
ওই সূত্র জানায়, জ্বালানি তেলে সরকারকে বিপুল ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। তা ছাড়া সরকার উৎপাদন ব্যয় অনুযায়ী বিদ্যুতের দাম এবং আমদানি ব্যয় অনুযায়ী জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণের নীতি নিয়েছে। তাই জ্বালানি তেলের দাম কমানোর কোনো চিন্তা সরকারের নেই। তবে দাম যতটা কমেছে, ততটা বাড়লে দেশেও দাম বাড়ানোর কোনো বিকল্প থাকত না।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিশ্ববাজারে দাম বেশি থাকায় আমরা বেশি ভর্তুকির মধ্যে ছিলাম। দাম কমায় ভর্তুকি কিছুটা কমবে। জ্বালানি তেলের দাম কমানোর পর্যায়ে আমরা এখনো আসিনি।’
লোকসান শুধু ডিজেলে: দেশে প্রধানত ছয় প্রকার জ্বালানি তেল ব্যবহূত হয়। এর মধ্যে ডিজেল ও ফার্নেস ছাড়া অন্যগুলো বিক্রি করে সরকার লাভ করছে। তবে ডিজেলের ব্যবহার মোট জ্বালানি ব্যবহারের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ হওয়ায় ওই লোকসান ও ভর্তুকির অঙ্কও অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে।
বিভিন্ন খাতের চাহিদা অনুযায়ী, বিপিসি এ বছর (২০১২-১৩) দেশে জ্বালানি তেলের মোট চাহিদা নির্ধারণ করেছে ৫৮ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে প্রায় ৩৮ লাখ টনই ডিজেল। এর পরই চাহিদা ফার্নেস তেলের, প্রায় ১৫ লাখ টন।
বিপিসির হিসাব অনুযায়ী, বিশ্ববাজারে দাম কমার পরও বর্তমানে প্রতি লিটার ডিজেলে সরকারকে ভর্তুকি দিতে হবে প্রায় ১১ টাকা। ফার্নেস তেলের কেনাবেচার দাম প্রায় সমান। কখনো কখনো প্রতি লিটারে ৫০ পয়সার মতো ভর্তুকি লাগতে পারে।
অপরদিকে বর্তমানে প্রতি লিটার পেট্রল ও অকটেনে সরকার লাভ করছে প্রায় আট টাকা করে। প্রতি লিটার কেরোসিনেও প্রায় আট টাকা করে লাভ হচ্ছে। প্রতি লিটার জেট ফুয়েলে (বিমানের জ্বালানি) এক থেকে দেড় টাকা লাভ হচ্ছে।
পেট্রল, অকটেন ও কেরোসিনের বার্ষিক চাহিদা তিন লাখ টনের কম। জেট ফুয়েলের চাহিদা দুই লাখ টন।
তেল-নির্ভরতা বাড়ছে: জ্বালানি তেলের বিশ্ববাজার অত্যন্ত অস্থিতিশীল। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক—দুই কারণেই তেলের দাম বাড়ে-কমে। তা সত্ত্বেও বাংলাদেশের জ্বালানি তেল-নির্ভরতা বাড়ছে। বিপিসির হিসাব অনুযায়ী, ২০১০-১১ সালে দেশে তেলের চাহিদা ছিল ৪৮ লাখ টন। ২০১১-১২ সালে তা হয়েছে ৫৩ লাখ টন। এ বছরের চাহিদা ৫৮ লাখ টন।
এই চাহিদা বৃদ্ধির প্রধান কারণ ভাড়াভিত্তিক ও দ্রুত ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন। সরকার যদি এর পাশাপাশি বিদ্যুৎ খাতে তার মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আশানুরূপ অগ্রসর হতে পারত, গ্যাস ও কয়লা উত্তোলন বাড়াতে সক্ষম হতো, তাহলে বেশি দিন ডিজেল-ফার্নেস তেলের বর্ধিত চাহিদা ও বেশি ভর্তুকির বোঝা বইতে হতো না।
No comments