আজ ঘোষণা হতে পারে-হিগস বোসনের অস্তিত্ব নিয়ে ‘প্রায় নিশ্চিত’ বিজ্ঞানীরা
হিগস বোসন বা কথিত ‘ঈশ্বর কণার’ অস্তিত্ব প্রমাণে পর্যাপ্ত তথ্য-উপাত্ত জোগাড় করেছেন পদার্থবিজ্ঞানীরা। তাঁরা ওই কণার অস্তিত্ব সম্পর্কে প্রায় নিশ্চিত। আজ বুধবারই এ-সংক্রান্ত ঘোষণা দিতে পারেন সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীরা।তবে সার্নের বিজ্ঞানীরা এখনই এটা বলতে প্রস্তুত নন যে তাঁরা হিগস বোসন কণার অস্তিত্ব আবিষ্কার করেছেন।
তাঁরা বলছেন, সংগৃহীত বিশাল তথ্য-উপাত্ত অপরিহার্যভাবেই হিগস বোসন কণার দিকে আঙুল তুলবে। তার মানে, ওই কণার অস্তিত্ব যে সত্যিই রয়েছে এটা প্রমাণ করে দেবে শুধু।
মনে করা হয়, মহাবিশ্বের সৃষ্টিসংক্রান্ত মৌলিক কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে হিগস বোসন নামের এই বিশেষ কণা। এর অস্তিত্ব আবিষ্কারে দশকের পর দশক ধরে বিপুল ব্যয়সাপেক্ষ গবেষণা করে যাচ্ছেন ইউরোপিয়ান অর্গানাইজেশন ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চের (সার্ন) গবেষকেরা।
কণা পদার্থবিদ্যায় বোসন হচ্ছে দুই ধরনের মৌলিক অতিপারমাণবিক কণার একটি। আর হিগস বোসন হচ্ছে কণা পদার্থবিদ্যার স্ট্যান্ডার্ড মডেলে বর্ণিত কাল্পনিক (এখন পর্যন্ত) প্রাথমিক কণা। এ নিয়ে কর্মরত ব্যক্তিদের অন্যতম ব্রিটিশ তাত্ত্বিক পদার্থবিদ পিটার ওয়ার হিগসের নামে এর নাম করা হয়েছে।
সার্নের জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পদার্থবিজ্ঞানীদের দুটি স্বতন্ত্র দল আজ বুধবার সুইস-ফরাসি সীমান্তে অবস্থিত সার্ন গবেষণাগারে তাদের গবেষণা কাজ উপস্থাপন করবে। তারা হিগস বোসন কণা আবিষ্কারের দ্বারপ্রান্তে রয়েছেন।
ব্রিটিশ তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী লন্ডনের কিংস কলেজের অধ্যাপক জন ইলিস বলেন, ‘আমি একমত যে বাইরের কোনো যুক্তিবাদী পর্যবেক্ষক এটা বলতেই পারেন, “এটাকে আবিষ্কারের মতোই তো মনে হচ্ছে”। আমরা এমন কিছু আবিষ্কার করেছি, তা হিগস বোসন কণার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ।’
মহাবিশ্বের সৃষ্টির রহস্যসহ গুরুত্বপূর্ণ গবেষণার জন্য নির্মিত সুবিশাল যন্ত্র লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার (এলএইচসি) সার্ন গবেষণাগারেই অবস্থিত। যন্ত্রটির মাধ্যমে প্রোটন কণার উচ্চ শক্তিসম্পন্ন সংঘর্ষ ঘটানো হয়।
হিগস বোসন কণার অস্তিত্ব নিশ্চিত হলে পৃথিবী যে ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে, তার ব্যাখ্যা পাওয়া যাবে। বিশ্বের মৌলিক কণাগুলোর ভর সম্পর্কে পদার্থবিজ্ঞানের যেসব প্রমিত মডেল রয়েছে তাকে নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। এএফপি।
মনে করা হয়, মহাবিশ্বের সৃষ্টিসংক্রান্ত মৌলিক কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে হিগস বোসন নামের এই বিশেষ কণা। এর অস্তিত্ব আবিষ্কারে দশকের পর দশক ধরে বিপুল ব্যয়সাপেক্ষ গবেষণা করে যাচ্ছেন ইউরোপিয়ান অর্গানাইজেশন ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চের (সার্ন) গবেষকেরা।
কণা পদার্থবিদ্যায় বোসন হচ্ছে দুই ধরনের মৌলিক অতিপারমাণবিক কণার একটি। আর হিগস বোসন হচ্ছে কণা পদার্থবিদ্যার স্ট্যান্ডার্ড মডেলে বর্ণিত কাল্পনিক (এখন পর্যন্ত) প্রাথমিক কণা। এ নিয়ে কর্মরত ব্যক্তিদের অন্যতম ব্রিটিশ তাত্ত্বিক পদার্থবিদ পিটার ওয়ার হিগসের নামে এর নাম করা হয়েছে।
সার্নের জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পদার্থবিজ্ঞানীদের দুটি স্বতন্ত্র দল আজ বুধবার সুইস-ফরাসি সীমান্তে অবস্থিত সার্ন গবেষণাগারে তাদের গবেষণা কাজ উপস্থাপন করবে। তারা হিগস বোসন কণা আবিষ্কারের দ্বারপ্রান্তে রয়েছেন।
ব্রিটিশ তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী লন্ডনের কিংস কলেজের অধ্যাপক জন ইলিস বলেন, ‘আমি একমত যে বাইরের কোনো যুক্তিবাদী পর্যবেক্ষক এটা বলতেই পারেন, “এটাকে আবিষ্কারের মতোই তো মনে হচ্ছে”। আমরা এমন কিছু আবিষ্কার করেছি, তা হিগস বোসন কণার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ।’
মহাবিশ্বের সৃষ্টির রহস্যসহ গুরুত্বপূর্ণ গবেষণার জন্য নির্মিত সুবিশাল যন্ত্র লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার (এলএইচসি) সার্ন গবেষণাগারেই অবস্থিত। যন্ত্রটির মাধ্যমে প্রোটন কণার উচ্চ শক্তিসম্পন্ন সংঘর্ষ ঘটানো হয়।
হিগস বোসন কণার অস্তিত্ব নিশ্চিত হলে পৃথিবী যে ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে, তার ব্যাখ্যা পাওয়া যাবে। বিশ্বের মৌলিক কণাগুলোর ভর সম্পর্কে পদার্থবিজ্ঞানের যেসব প্রমিত মডেল রয়েছে তাকে নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। এএফপি।
No comments