মিয়ানমারে সাধারণ ক্ষমায় মুক্তি পেলেন ২০ রাজবন্দি-বার্মাই বলবেন সু চি
মিয়ানমার ৮০ জন কারাবন্দিকে সাধারণ ক্ষমার আওতায় মুক্তি দিয়েছে। প্রেসিডেন্টের এ সাধারণ ক্ষমার আওতায় গতকাল মঙ্গলবার ২০ রাজনৈতিক বন্দি এবং ৩৪ জন বিদেশিকেও মুক্তি দেওয়া হয়। সরকারি পত্রিকায় জানানো হয়, দেশে স্থিতিশীলতা ও ঐক্য প্রতিষ্ঠায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে বিরোধীদলীয় নেত্রী অং সান সু চি কারাগারে আটক সব ভিন্ন মতাবলম্বীকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁর হিসাবে, ৩৩০ জন রাজবন্দি এখনো কারাগারে।
সম্প্রতি বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে এবং আস্থা বাড়াতে বেশ কিছু সংস্কার পদক্ষেপ নেয় মিয়ানমারের সেনা সমর্থিত বেসামরিক সরকার। সু চিসহ বহু রাজনৈতিক বন্দিকে মুক্তি এবং উপজাতীয় গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সমঝোতা চুক্তির পর এটি ছিল সে প্রক্রিয়ার সর্বশেষ সংযোজন।
মিয়ানমারের প্রধান রাজবন্দিরা গত জানুয়ারিতেই মুক্তি পান। ১৯৮৮ সালে সামরিক জান্তাবিরোধী বিক্ষোভের নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তিদেরও সে সময় মুক্তি দেওয়া হয়।
এবার মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন কো আই আং। ১৯৮৮ সালে তাঁকে আটক করা হয়। প্রাথমিকভাবে ৫৯ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। পরে তা কমিয়ে ২৯ বছর করা হয়। আরো রয়েছেন বিরোধী দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) সাবেক তরুণ নেতা থান জো। ১৯৮৯ সালে বোমাবাজির অভিযোগে তাঁকে আটক করা হয়।
মিয়ানমারের রাজনৈতিক সংস্কারের কারণে পশ্চিমা সরকারগুলো দেশটির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে শুরু করেছে। যদিও মানবাধিকার প্রসঙ্গে উদ্বেগ রয়েই গেছে।
বার্মাই বলব : সু চি
সরকারের নির্দেশ মেনে দেশকে মিয়ানমার নামে ডাকবেন না সু চি। তিনি গতকাল জানান, দেশের নামের ক্ষেত্রে 'বার্মা' শব্দটিই ব্যবহার করবেন। 'গণতান্ত্রিক দেশে জনগণের ইচ্ছার ওপর ভিত্তি করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। বাক-স্বাধীনতা বা মনের কথা স্বাধীনভাবে বললে কাউকে অপমান করা হয় না। এটাই গণতান্ত্রিক দেশের নীতি ও কৌশল।'
প্রসঙ্গত ১৯৮৯ সালে তৎকালীন জান্তা সরকার 'বার্মা' নাম বদলে 'মিয়ানমার' রাখে। তারা মনে করে, বার্মা নামটির সঙ্গে ব্রিটিশ উপনিবেশবাদের ইতিহাস জড়িত। তবে সু চি ও তাঁর দল কখনই দেশের নাম বদলের পক্ষপাতী ছিল না। তাদের মতে, দেশের নাম পরিবর্তন জেনারেলদের নতুন দেশ তৈরির প্রতীক। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
সম্প্রতি বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে এবং আস্থা বাড়াতে বেশ কিছু সংস্কার পদক্ষেপ নেয় মিয়ানমারের সেনা সমর্থিত বেসামরিক সরকার। সু চিসহ বহু রাজনৈতিক বন্দিকে মুক্তি এবং উপজাতীয় গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সমঝোতা চুক্তির পর এটি ছিল সে প্রক্রিয়ার সর্বশেষ সংযোজন।
মিয়ানমারের প্রধান রাজবন্দিরা গত জানুয়ারিতেই মুক্তি পান। ১৯৮৮ সালে সামরিক জান্তাবিরোধী বিক্ষোভের নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তিদেরও সে সময় মুক্তি দেওয়া হয়।
এবার মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন কো আই আং। ১৯৮৮ সালে তাঁকে আটক করা হয়। প্রাথমিকভাবে ৫৯ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। পরে তা কমিয়ে ২৯ বছর করা হয়। আরো রয়েছেন বিরোধী দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) সাবেক তরুণ নেতা থান জো। ১৯৮৯ সালে বোমাবাজির অভিযোগে তাঁকে আটক করা হয়।
মিয়ানমারের রাজনৈতিক সংস্কারের কারণে পশ্চিমা সরকারগুলো দেশটির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে শুরু করেছে। যদিও মানবাধিকার প্রসঙ্গে উদ্বেগ রয়েই গেছে।
বার্মাই বলব : সু চি
সরকারের নির্দেশ মেনে দেশকে মিয়ানমার নামে ডাকবেন না সু চি। তিনি গতকাল জানান, দেশের নামের ক্ষেত্রে 'বার্মা' শব্দটিই ব্যবহার করবেন। 'গণতান্ত্রিক দেশে জনগণের ইচ্ছার ওপর ভিত্তি করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। বাক-স্বাধীনতা বা মনের কথা স্বাধীনভাবে বললে কাউকে অপমান করা হয় না। এটাই গণতান্ত্রিক দেশের নীতি ও কৌশল।'
প্রসঙ্গত ১৯৮৯ সালে তৎকালীন জান্তা সরকার 'বার্মা' নাম বদলে 'মিয়ানমার' রাখে। তারা মনে করে, বার্মা নামটির সঙ্গে ব্রিটিশ উপনিবেশবাদের ইতিহাস জড়িত। তবে সু চি ও তাঁর দল কখনই দেশের নাম বদলের পক্ষপাতী ছিল না। তাদের মতে, দেশের নাম পরিবর্তন জেনারেলদের নতুন দেশ তৈরির প্রতীক। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
No comments