পদ্মা সেতু ও বিশ্বব্যাংক-অপমানের দায় কার? by এ কে এম জাকারিয়া
দুর্নীতির অভিযোগ এনে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুর ঋণচুক্তি বাতিল করায় বাংলাদেশের জনগণ অপমানিত হয়েছে—তাতে কোনো সন্দেহ নেই। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এ নিয়ে পর পর দুই দিন আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিলেন। এক দিন নিজ মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে, অন্যদিন সংসদে।
অর্থমন্ত্রী বিশ্বব্যাংকের দুর্নীতির অভিযোগ সম্পর্কে সরকার কী কী উদ্যোগ নিয়েছে, তার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন। একই সঙ্গে বলেছেন, ‘ঋণচুক্তি বাতিল করে বিশ্বব্যাংক যে বিজ্ঞপ্তিটি দিয়েছে, তাতে দেশটাকে অপমান করা হয়েছে।’ অর্থমন্ত্রীর এই দুই দিনের আনুষ্ঠানিক বক্তব্যের পর যে প্রশ্নটি খুব স্বাভাবিকভাবেই সামনে এসেছে তা হচ্ছে, দুর্নীতির তদন্তে বাংলাদেশ যে পদক্ষেপ নিয়েছে বলে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, তা বিশ্বব্যাংকের কাছে না হোক বাংলাদেশের জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়েছে কি না? জনগণের ভোটে নির্বাচিত এই সরকারের প্রথম দায়বদ্ধতা দেশের জনগণের কাছে। জনগণ কি সত্যিই মনে করে যে এই দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে সরকার আন্তরিক ছিল? দুর্নীতি দমন কমিশন একটি দ্রুত তদন্ত করে যে বলে দিল পদ্মা সেতু নিয়ে কোনো দুর্নীতি হয়নি, সেটা কি জনগণের কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়েছে? আর পদ্মা সেতুর দুর্নীতির অভিযোগের কারণে বাংলাদেশ যে ‘অপমানিত’ হলো, তার মূল দায়টি আসলে কার? বিশ্বব্যাংকের, না বাংলাদেশের যাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, তাঁদের?
পদ্মা সেতু নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর শুরুতেই বাংলাদেশ যে অবস্থান নিয়েছিল তা ছিল ‘ডিনায়াল’ বা অস্বীকার করার নীতি। দুর্নীতির অভিযোগ মানেই দুর্নীতি নয়, অভিযোগ ওঠার পর যে প্রক্রিয়া অবলম্বন করে তা তদন্ত করা উচিত ছিল, তা করেনি, করতে পারেনি বা করতে চায়নি। অর্থমন্ত্রী সংসদে দেওয়া বিবৃতিতে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের কথা বলতে গিয়ে বলেছেন, ‘বিশ্বব্যাংকের গোপনীয় অনানুষ্ঠানিক প্রস্তাব বিবেচনা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেতু বিভাগে নতুন নেতৃত্ব দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন, প্রথমে প্রকল্প পরিচালকের চুক্তি সমাপ্ত করে দেওয়া হয়। তারপর সচিবকে অন্যত্র পদায়ন করে নতুন সচিব নিয়োগ দেওয়া হয়। সর্বশেষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভা পুনর্বিন্যাসের উদ্যোগের মাধ্যমে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রীকে অন্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব প্রদান করেন।’ অর্থমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বলতে হয় যে বিশ্বব্যাংক অভিযোগ করার কত দিন পর এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে? শুরুতেই এটা স্পষ্ট ছিল দুর্নীতির যে অভিযোগ করা হয়েছে, তার তিরটি ছিল যোগাযোগমন্ত্রীর দিকে। ফলে অভিযোগের শুরুতেই তাঁকে সরিয়ে দিয়ে তদন্তের কাজটি শুরু হলে সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে তার অবস্থানটি পরিষ্কার করতে পারত। তদন্তের স্বার্থে যে কাজটি করা উচিত ছিল সবার আগে, সে কাজটি অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী করা হয়েছে ‘সর্বশেষে’।
প্রথমত, পদ্মা সেতু নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর সরকার যে অবস্থান নিয়েছিল বা যে পদক্ষেপগুলো নিয়েছে বলে দাবি করেছে, তা আমাদের জনগণের কাছে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে হয়নি। দ্বিতীয়ত, আমরা দেখলাম, আমাদের ‘স্বাধীন’ দুর্নীতি দমন কমিশন পদ্মা সেতুর দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে খুবই দ্রুততার সঙ্গে একটি তদন্ত করে ফেলল। এত দ্রুত এ ধরনের একটি আন্তর্জাতিক দুর্নীতির তদন্ত করে সিদ্ধান্ত দেওয়ার ‘সক্ষমতার’ জন্য ‘করিৎকর্মা’ হিসেবে আমরা দুদকের প্রশংসা করতে পারি, কিন্তু তদন্তের ফলাফলের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে নয়। ফলে দুদক যে তদন্ত করেছে এবং যে রায় দিয়েছে, বাংলাদেশের মানুষের কাছেই তা বিশ্বাসযোগ্য হয়নি। বিশ্বব্যাংক তো অনেক পরের ব্যাপার!
পদ্মা সেতুর দুর্নীতির অভিযোগের ব্যাপারে বিশ্বব্যাংক সর্বশেষ যে তিনটি শর্ত তুলে ধরেছিল তা ছিল—১. যেসব সরকারি কর্মকর্তা সম্বন্ধে এসএনসি-লাভালিন কর্মকর্তার ডায়েরির ভিত্তিতে অভিযোগ করা হয়েছে, তাদের ছুটি দেওয়া। ২. দুর্নীতি দমন কমিশনে এই তদন্তের জন্য বিশেষ টিম গঠন করা। ৩. তদন্তের সব বিষয়ে বিশ্বব্যাংক নিয়োজিত একটি প্যানেলকে অবহিত রাখা এবং তাদের উপদেশ গ্রহণ করা। বিশ্বব্যাংকের এ ধরনের প্রস্তাবের বিষয়টি অর্থমন্ত্রী সংসদে দেওয়া বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এই প্রস্তাবগুলোতে সমস্যা হচ্ছে যে আমরা কোনো কিছু প্রমাণিত হওয়ার আগেই দুর্নীতির দায় স্বীকার করে নিচ্ছি।’ অর্থমন্ত্রীর এই বক্তব্য গ্রহণযোগ্য হিসেবে বিবেচনা করা যাচ্ছে না। কারণ, যেকোনো দুর্নীতির তদন্তে এটাই স্বাভাবিক নিয়ম যে যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁদের তদন্তের স্বার্থে সরিয়ে দেওয়া হয়। এর সঙ্গে দুর্নীতি স্বীকার করে নেওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। অন্যদিকে দুদকের তদন্ত যে গ্রহণযোগ্য হয়নি, বিষয়টি যে আরও গুরুত্ব দিয়ে, বিশেষভাবে তদন্ত করা উচিত, সে দাবি তো দেশের ভেতর থেকেই উঠেছে। আর আন্তর্জাতিক যেকোনো দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে এবং যে প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের সম্পৃক্ততা রয়েছে, তারা সেখানে স্বচ্ছতার বিষয়টি নিশ্চিত করতে চাইবে—এটাই তো স্বাভাবিক। এ তিনটি শর্তের ভিত্তিতে তদন্ত করে যদি প্রমাণ করা যেত বাংলাদেশে কোনো দুর্নীতি হয়নি, সেটাই কি সবচেয়ে ভালো পথ ছিল না?
বিশ্বব্যাংক ঋণচুক্তি বাতিল করায় বাংলাদেশ অপমানিত হয়েছে—তাতে কোনো সন্দেহ নেই। অর্থমন্ত্রী এ জন্য বিশ্বব্যাংককে অভিযুক্ত করেছেন, কিন্তু এই দায় আমাদেরই নিতে হবে। কারণ, দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর কোনো বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত করে আমরা প্রমাণ করতে পারিনি যে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা কেউ দুর্নীতি করেননি। বিশ্বব্যাংক আবার ঋণচুক্তি বহাল করুক, এ নিয়ে দেন-দরবারের কথা বলেছেন অর্থমন্ত্রী। তবে একই সঙ্গে সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে দেশের জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য তদন্তের মাধ্যমে দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়টি সুরাহা করা। জাতীয়ভাবে গ্রহণযোগ্য তদন্ত হলে আন্তর্জাতিকভাবেও তা গ্রহণযোগ্য হবে। বিশ্বব্যাংকও তদন্তের ফলাফল মানতে বাধ্য হবে। অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমি জোর গলায় বলতে পারি, পদ্মা সেতু প্রকল্পে কোথাও কোনো অপচয় বা দুর্নীতি হয়নি।’ তা-ই যদি হয়, তবে দেশের ভেতরেই পদ্মা সেতুর দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে যে বিচারিক তদন্তের দাবি উঠেছে, তা মানতে সমস্যা কোথায়? শুধু ‘জোর গলায়’ বললেই সবকিছু গ্রহণযোগ্যতা পায় না। অন্তত দেশের জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্যভাবে প্রমাণের উদ্যোগ নিন যে সত্যিই কোনো দুর্নীতি হয়নি!
এ কে এম জাকারিয়া: সাংবাদিক।
akmzakaria@gmail.com
পদ্মা সেতু নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর শুরুতেই বাংলাদেশ যে অবস্থান নিয়েছিল তা ছিল ‘ডিনায়াল’ বা অস্বীকার করার নীতি। দুর্নীতির অভিযোগ মানেই দুর্নীতি নয়, অভিযোগ ওঠার পর যে প্রক্রিয়া অবলম্বন করে তা তদন্ত করা উচিত ছিল, তা করেনি, করতে পারেনি বা করতে চায়নি। অর্থমন্ত্রী সংসদে দেওয়া বিবৃতিতে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের কথা বলতে গিয়ে বলেছেন, ‘বিশ্বব্যাংকের গোপনীয় অনানুষ্ঠানিক প্রস্তাব বিবেচনা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেতু বিভাগে নতুন নেতৃত্ব দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন, প্রথমে প্রকল্প পরিচালকের চুক্তি সমাপ্ত করে দেওয়া হয়। তারপর সচিবকে অন্যত্র পদায়ন করে নতুন সচিব নিয়োগ দেওয়া হয়। সর্বশেষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভা পুনর্বিন্যাসের উদ্যোগের মাধ্যমে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রীকে অন্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব প্রদান করেন।’ অর্থমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বলতে হয় যে বিশ্বব্যাংক অভিযোগ করার কত দিন পর এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে? শুরুতেই এটা স্পষ্ট ছিল দুর্নীতির যে অভিযোগ করা হয়েছে, তার তিরটি ছিল যোগাযোগমন্ত্রীর দিকে। ফলে অভিযোগের শুরুতেই তাঁকে সরিয়ে দিয়ে তদন্তের কাজটি শুরু হলে সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে তার অবস্থানটি পরিষ্কার করতে পারত। তদন্তের স্বার্থে যে কাজটি করা উচিত ছিল সবার আগে, সে কাজটি অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী করা হয়েছে ‘সর্বশেষে’।
প্রথমত, পদ্মা সেতু নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর সরকার যে অবস্থান নিয়েছিল বা যে পদক্ষেপগুলো নিয়েছে বলে দাবি করেছে, তা আমাদের জনগণের কাছে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে হয়নি। দ্বিতীয়ত, আমরা দেখলাম, আমাদের ‘স্বাধীন’ দুর্নীতি দমন কমিশন পদ্মা সেতুর দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে খুবই দ্রুততার সঙ্গে একটি তদন্ত করে ফেলল। এত দ্রুত এ ধরনের একটি আন্তর্জাতিক দুর্নীতির তদন্ত করে সিদ্ধান্ত দেওয়ার ‘সক্ষমতার’ জন্য ‘করিৎকর্মা’ হিসেবে আমরা দুদকের প্রশংসা করতে পারি, কিন্তু তদন্তের ফলাফলের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে নয়। ফলে দুদক যে তদন্ত করেছে এবং যে রায় দিয়েছে, বাংলাদেশের মানুষের কাছেই তা বিশ্বাসযোগ্য হয়নি। বিশ্বব্যাংক তো অনেক পরের ব্যাপার!
পদ্মা সেতুর দুর্নীতির অভিযোগের ব্যাপারে বিশ্বব্যাংক সর্বশেষ যে তিনটি শর্ত তুলে ধরেছিল তা ছিল—১. যেসব সরকারি কর্মকর্তা সম্বন্ধে এসএনসি-লাভালিন কর্মকর্তার ডায়েরির ভিত্তিতে অভিযোগ করা হয়েছে, তাদের ছুটি দেওয়া। ২. দুর্নীতি দমন কমিশনে এই তদন্তের জন্য বিশেষ টিম গঠন করা। ৩. তদন্তের সব বিষয়ে বিশ্বব্যাংক নিয়োজিত একটি প্যানেলকে অবহিত রাখা এবং তাদের উপদেশ গ্রহণ করা। বিশ্বব্যাংকের এ ধরনের প্রস্তাবের বিষয়টি অর্থমন্ত্রী সংসদে দেওয়া বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এই প্রস্তাবগুলোতে সমস্যা হচ্ছে যে আমরা কোনো কিছু প্রমাণিত হওয়ার আগেই দুর্নীতির দায় স্বীকার করে নিচ্ছি।’ অর্থমন্ত্রীর এই বক্তব্য গ্রহণযোগ্য হিসেবে বিবেচনা করা যাচ্ছে না। কারণ, যেকোনো দুর্নীতির তদন্তে এটাই স্বাভাবিক নিয়ম যে যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁদের তদন্তের স্বার্থে সরিয়ে দেওয়া হয়। এর সঙ্গে দুর্নীতি স্বীকার করে নেওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। অন্যদিকে দুদকের তদন্ত যে গ্রহণযোগ্য হয়নি, বিষয়টি যে আরও গুরুত্ব দিয়ে, বিশেষভাবে তদন্ত করা উচিত, সে দাবি তো দেশের ভেতর থেকেই উঠেছে। আর আন্তর্জাতিক যেকোনো দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে এবং যে প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের সম্পৃক্ততা রয়েছে, তারা সেখানে স্বচ্ছতার বিষয়টি নিশ্চিত করতে চাইবে—এটাই তো স্বাভাবিক। এ তিনটি শর্তের ভিত্তিতে তদন্ত করে যদি প্রমাণ করা যেত বাংলাদেশে কোনো দুর্নীতি হয়নি, সেটাই কি সবচেয়ে ভালো পথ ছিল না?
বিশ্বব্যাংক ঋণচুক্তি বাতিল করায় বাংলাদেশ অপমানিত হয়েছে—তাতে কোনো সন্দেহ নেই। অর্থমন্ত্রী এ জন্য বিশ্বব্যাংককে অভিযুক্ত করেছেন, কিন্তু এই দায় আমাদেরই নিতে হবে। কারণ, দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর কোনো বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত করে আমরা প্রমাণ করতে পারিনি যে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা কেউ দুর্নীতি করেননি। বিশ্বব্যাংক আবার ঋণচুক্তি বহাল করুক, এ নিয়ে দেন-দরবারের কথা বলেছেন অর্থমন্ত্রী। তবে একই সঙ্গে সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে দেশের জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য তদন্তের মাধ্যমে দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়টি সুরাহা করা। জাতীয়ভাবে গ্রহণযোগ্য তদন্ত হলে আন্তর্জাতিকভাবেও তা গ্রহণযোগ্য হবে। বিশ্বব্যাংকও তদন্তের ফলাফল মানতে বাধ্য হবে। অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমি জোর গলায় বলতে পারি, পদ্মা সেতু প্রকল্পে কোথাও কোনো অপচয় বা দুর্নীতি হয়নি।’ তা-ই যদি হয়, তবে দেশের ভেতরেই পদ্মা সেতুর দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে যে বিচারিক তদন্তের দাবি উঠেছে, তা মানতে সমস্যা কোথায়? শুধু ‘জোর গলায়’ বললেই সবকিছু গ্রহণযোগ্যতা পায় না। অন্তত দেশের জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্যভাবে প্রমাণের উদ্যোগ নিন যে সত্যিই কোনো দুর্নীতি হয়নি!
এ কে এম জাকারিয়া: সাংবাদিক।
akmzakaria@gmail.com
No comments