ইন্টারনেটের কর্মশালা by সুচিত্রা সরকার
এ এক অন্য রকম শোরগোল। বাঁধভাঙা জোয়ারের মতো উপচে পড়া ভিড়। তিলধারণের ঠাঁইটুকুও যে নেই। তবুও সবার চোখে-মুখে উত্তেজনা আর অপেক্ষা। অনুষ্ঠান শুরু হতেই হই হই চিৎকার। তারপর মন্ত্রমুগ্ধের নীরবতা। এ রকম স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে মেতে উঠেছিল রাজশাহীর বাগমারার ভবানীগঞ্জ সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
তারা সবাই আই ক্যাম্পে অংশ নিচ্ছে। বাগমারার বৈল সিংহ উচ্চবিদ্যালয় ও ভবানীগঞ্জ কারিগরি বিএম কলেজেরও চিত্র একই। শুধু এই তিনটি প্রতিষ্ঠানই নয়। আই ক্যাম্পের প্রাণবন্ত আয়োজনে যারাই অংশ নিয়েছে, সবারই অভিব্যক্তি অসাধারণ।
২১ জুন থেকে আই জিনিয়াসদের পরিচালনায় দেশব্যাপী শুরু হয়েছে আই ক্যাম্প (ইন্টারনেটের কর্মশালা)। গতবারের ১০২ জন আই জিনিয়াস এবারের আই ক্যাম্প পরিচালনা করছেন।
‘আই ক্যাম্পে এসে আমি অনেক কিছু শিখেছি। আর বুঝতে পারছি ইন্টারনেটের ব্যবহার শিখলে বিশ্বকে হাতের মুঠোয় আনা সম্ভব।’ জানায় জামালপুরের সরিষাবাড়ী রিয়াজ উদ্দিন তালুকদার উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী শাকিল আহামেদ ।
কুষ্টিয়ার শোমসপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাবিনা খাতুনের চোখে ছিল বিশ্বজয়ের আনন্দ। আবেগাপ্লুত হয়ে বলে, ‘আমি ইন্টারনেট সম্পর্কে আরও অনেক জানতে চাই।’
কুষ্টিয়া আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস উদ্বেলিত কণ্ঠে বলে, ‘হাতেকলমে ইন্টারনেট শিখতে পেরে খুবই ভালো লাগল।’
এদিকে ঢাকার কেরানীগঞ্জে আই ক্যাম্পে অংশ নিতে আসা শিক্ষার্থী রাকিব হাসান বলে, ‘আই ক্যাম্প আমাকে ইন্টারনেট সম্পর্কে অনেক কিছু শিখিয়েছে।’ দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী চলন্তিকা ঘোষ বলে, ‘এই অনুষ্ঠানটি যদি আরও বেশি সময় ধরে হতো, আমরা আরও কত কিছু শিখতে পারতাম।’
পটুয়াখালী কলাপাড়ার খেপুপাড়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সামিয়া পারভেজ ইফফাতের বক্তব্য একটু ভিন্ন। সে বলে, ‘গত বছরও আমি ইন্টারনেট উৎসবে অংশ নিয়েছিলাম। তখন একটু ভয় কাজ করছিল। এ বছর ইন্টারনেট উৎসব আয়োজনের আগে এই আই ক্যাম্প আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। অনেক নতুন বিষয় শিখতে পেরেছি।’
এ রকম নানা অভিব্যক্তিতে মেতে উঠেছিল গ্রামীণফোন-প্রথম আলো ইন্টারনেট উৎসবের বিভিন্ন আই ক্যাম্প। ২১ জুন থেকে শুরু হয়েছে আই ক্যাম্পের এই আয়োজন; চলবে ১৭ জুলাই পর্যন্ত।
গত বছরের আই জিনিয়াসরাই এবারের উৎসব সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করছে। তারা শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট বিষয়ে হাতেকলমে প্রশিক্ষণ দেয়। আর এই সার্বিক কাজে তাদের সাহায্য করে আই ক্যাম্পের তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ দল।
এই প্রশিক্ষণে মূলত ইন্টারনেটের খুঁটিনাটি বিষয় শিক্ষার্থীদের শেখানো হয়। চলে প্রশ্নোত্তর পর্ব। শিক্ষার্থীরা প্রতিযোগিতার মাধ্যমে হাত তুলে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেয়। প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তিনজন করে বিজয়ীকে শুভেচ্ছা পুরস্কার দেওয়া হয়।
সারা দেশে গতবারের মতো এবারও ‘গ্রামীণফোন-প্রথম আলো ইন্টারনেট উৎসব’ আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইন্টারনেট উৎসবের সহযোগিতা করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক্সেস টু ইনফরমেশন প্রকল্প।
এ উৎসব সামনে রেখে গত বছরের ১০১ জন আই জিনিয়াসকে নিয়ে সারা দেশের ১০১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দিনব্যাপী ইন্টারনেট সচেতনতামূলক আই ক্যাম্প অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে।
প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে লেখা
২১ জুন থেকে আই জিনিয়াসদের পরিচালনায় দেশব্যাপী শুরু হয়েছে আই ক্যাম্প (ইন্টারনেটের কর্মশালা)। গতবারের ১০২ জন আই জিনিয়াস এবারের আই ক্যাম্প পরিচালনা করছেন।
‘আই ক্যাম্পে এসে আমি অনেক কিছু শিখেছি। আর বুঝতে পারছি ইন্টারনেটের ব্যবহার শিখলে বিশ্বকে হাতের মুঠোয় আনা সম্ভব।’ জানায় জামালপুরের সরিষাবাড়ী রিয়াজ উদ্দিন তালুকদার উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী শাকিল আহামেদ ।
কুষ্টিয়ার শোমসপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাবিনা খাতুনের চোখে ছিল বিশ্বজয়ের আনন্দ। আবেগাপ্লুত হয়ে বলে, ‘আমি ইন্টারনেট সম্পর্কে আরও অনেক জানতে চাই।’
কুষ্টিয়া আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস উদ্বেলিত কণ্ঠে বলে, ‘হাতেকলমে ইন্টারনেট শিখতে পেরে খুবই ভালো লাগল।’
এদিকে ঢাকার কেরানীগঞ্জে আই ক্যাম্পে অংশ নিতে আসা শিক্ষার্থী রাকিব হাসান বলে, ‘আই ক্যাম্প আমাকে ইন্টারনেট সম্পর্কে অনেক কিছু শিখিয়েছে।’ দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী চলন্তিকা ঘোষ বলে, ‘এই অনুষ্ঠানটি যদি আরও বেশি সময় ধরে হতো, আমরা আরও কত কিছু শিখতে পারতাম।’
পটুয়াখালী কলাপাড়ার খেপুপাড়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সামিয়া পারভেজ ইফফাতের বক্তব্য একটু ভিন্ন। সে বলে, ‘গত বছরও আমি ইন্টারনেট উৎসবে অংশ নিয়েছিলাম। তখন একটু ভয় কাজ করছিল। এ বছর ইন্টারনেট উৎসব আয়োজনের আগে এই আই ক্যাম্প আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। অনেক নতুন বিষয় শিখতে পেরেছি।’
এ রকম নানা অভিব্যক্তিতে মেতে উঠেছিল গ্রামীণফোন-প্রথম আলো ইন্টারনেট উৎসবের বিভিন্ন আই ক্যাম্প। ২১ জুন থেকে শুরু হয়েছে আই ক্যাম্পের এই আয়োজন; চলবে ১৭ জুলাই পর্যন্ত।
গত বছরের আই জিনিয়াসরাই এবারের উৎসব সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করছে। তারা শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট বিষয়ে হাতেকলমে প্রশিক্ষণ দেয়। আর এই সার্বিক কাজে তাদের সাহায্য করে আই ক্যাম্পের তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ দল।
এই প্রশিক্ষণে মূলত ইন্টারনেটের খুঁটিনাটি বিষয় শিক্ষার্থীদের শেখানো হয়। চলে প্রশ্নোত্তর পর্ব। শিক্ষার্থীরা প্রতিযোগিতার মাধ্যমে হাত তুলে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেয়। প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তিনজন করে বিজয়ীকে শুভেচ্ছা পুরস্কার দেওয়া হয়।
সারা দেশে গতবারের মতো এবারও ‘গ্রামীণফোন-প্রথম আলো ইন্টারনেট উৎসব’ আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইন্টারনেট উৎসবের সহযোগিতা করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক্সেস টু ইনফরমেশন প্রকল্প।
এ উৎসব সামনে রেখে গত বছরের ১০১ জন আই জিনিয়াসকে নিয়ে সারা দেশের ১০১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দিনব্যাপী ইন্টারনেট সচেতনতামূলক আই ক্যাম্প অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে।
প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে লেখা
No comments