আইডিবির সঙ্গে ঋণ চুক্তি বাতিল হয়নি
পদ্মা সেতু প্রকল্পে ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের (আইডিবি) সঙ্গে করা ঋণচুক্তি বাতিল হয়নি। সেতু প্রকল্পে আইডিবির ১৪ কোটি ডলার ঋণ এখনো বহাল রয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থায়ন বাতিলের ঘোষণা দিলেও আইডিবি বলেছে, তারা এখনই সরে যাচ্ছে না।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) ও আইডিবির বাংলাদেশ কার্যালয়ের কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব কাজী শফিকুল আজম কালের কণ্ঠকে জানান, ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের সঙ্গে করা ঋণচুক্তি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়নি। এখনো বহাল রয়েছে। বিশ্বব্যাংক, এডিবি ও জাইকার সঙ্গে করা ঋণচুক্তি কার্যকর হয়নি বলে তা বাতিল হয়ে গেছে। কিন্তু আইডিবির ঋণচুক্তি ইতিমধ্যেই কার্যকর হয়েছে। তবে তাদের প্রতিশ্রুত ১৪ কোটি ডলার খরচ করা সম্ভব হচ্ছে না। শফিকুল আজম বলেন, কোনো সংস্থা অগ্রিম অর্থ দেয় না। প্রকল্পের কাজ শেষ করে বিল পেশ করলে সংস্থা অর্থ দিয়ে থাকে। আইডিবির প্রতিশ্রুত ১৪ কোটি ডলার ঋণ কার্যকর হয়ে থাকলেও সরকার তা খরচ করতে পারছে না। পদ্মার মূল সেতুর পাশে জাজিরা সড়কে সংযোগ সড়ক নির্মাণে আইডিবির অর্থ ব্যয়ের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু ওই সংযোগ সড়কের টেন্ডারকাজ চূড়ান্ত করা সম্ভব হয়নি। তাই কাজের ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হয়নি।
শফিকুল আজম আরো বলেন, অনির্দিষ্টকালের জন্য কোনো ঋণচুক্তি কার্যকর থাকে না। নির্ধারিত সময়ে খরচ করতে না পারলে ওই ঋণচুক্তি বাতিল হয়ে যায়। আইডিবির ঋণচুক্তি কার্যকর হয়েছিল প্রায় এক বছর আগে। এর মেয়াদ রয়েছে আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এরপর নিয়ম অনুযায়ী সরকারকে আইডিবির পক্ষ থেকে নোটিশ দেওয়া হবে। কত দিনের মধ্যে অর্থ খরচ করতে পারবে তা সরকারকে জানাতে হবে।
এদিকে আইডিবির ঢাকা কার্যালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা গতকাল মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থায়ন বাতিলের ঘোষণা দিলেও ঋণদাতা অন্যতম সংস্থা আইডিবি এখনই সরে যাচ্ছে না। তিনি বলেন, 'আইডিবি এখনই চুক্তি বাতিল করছে না। সংস্থাটি বাংলাদেশ সরকারকে আরো সময় দিতে চায়। বিদ্যমান চুক্তিটি যদি বাতিলও হয়, আইডিবি পদ্মা প্রকল্প নিয়ে নতুন চুক্তি করতে প্রস্তুত আছে।'
২৯০ কোটি ডলারের এই প্রকল্পে ১৪ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার জন্য গত বছর সরকারের সঙ্গে চুক্তি করেছিল আইডিবি। মূল অর্থদাতা বিশ্বব্যাংকের দেওয়ার কথা ছিল ১২০ কোটি ডলার।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব কাজী শফিকুল আজম কালের কণ্ঠকে জানান, ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের সঙ্গে করা ঋণচুক্তি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়নি। এখনো বহাল রয়েছে। বিশ্বব্যাংক, এডিবি ও জাইকার সঙ্গে করা ঋণচুক্তি কার্যকর হয়নি বলে তা বাতিল হয়ে গেছে। কিন্তু আইডিবির ঋণচুক্তি ইতিমধ্যেই কার্যকর হয়েছে। তবে তাদের প্রতিশ্রুত ১৪ কোটি ডলার খরচ করা সম্ভব হচ্ছে না। শফিকুল আজম বলেন, কোনো সংস্থা অগ্রিম অর্থ দেয় না। প্রকল্পের কাজ শেষ করে বিল পেশ করলে সংস্থা অর্থ দিয়ে থাকে। আইডিবির প্রতিশ্রুত ১৪ কোটি ডলার ঋণ কার্যকর হয়ে থাকলেও সরকার তা খরচ করতে পারছে না। পদ্মার মূল সেতুর পাশে জাজিরা সড়কে সংযোগ সড়ক নির্মাণে আইডিবির অর্থ ব্যয়ের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু ওই সংযোগ সড়কের টেন্ডারকাজ চূড়ান্ত করা সম্ভব হয়নি। তাই কাজের ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হয়নি।
শফিকুল আজম আরো বলেন, অনির্দিষ্টকালের জন্য কোনো ঋণচুক্তি কার্যকর থাকে না। নির্ধারিত সময়ে খরচ করতে না পারলে ওই ঋণচুক্তি বাতিল হয়ে যায়। আইডিবির ঋণচুক্তি কার্যকর হয়েছিল প্রায় এক বছর আগে। এর মেয়াদ রয়েছে আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এরপর নিয়ম অনুযায়ী সরকারকে আইডিবির পক্ষ থেকে নোটিশ দেওয়া হবে। কত দিনের মধ্যে অর্থ খরচ করতে পারবে তা সরকারকে জানাতে হবে।
এদিকে আইডিবির ঢাকা কার্যালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা গতকাল মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থায়ন বাতিলের ঘোষণা দিলেও ঋণদাতা অন্যতম সংস্থা আইডিবি এখনই সরে যাচ্ছে না। তিনি বলেন, 'আইডিবি এখনই চুক্তি বাতিল করছে না। সংস্থাটি বাংলাদেশ সরকারকে আরো সময় দিতে চায়। বিদ্যমান চুক্তিটি যদি বাতিলও হয়, আইডিবি পদ্মা প্রকল্প নিয়ে নতুন চুক্তি করতে প্রস্তুত আছে।'
২৯০ কোটি ডলারের এই প্রকল্পে ১৪ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার জন্য গত বছর সরকারের সঙ্গে চুক্তি করেছিল আইডিবি। মূল অর্থদাতা বিশ্বব্যাংকের দেওয়ার কথা ছিল ১২০ কোটি ডলার।
No comments