মারা গেলেও শান্তি নেই!
হংকংয়ে জমির দাম এতই বেড়েছে যে জনগণ যেন মরেও শান্তি পাচ্ছে না! সেখানে মারা যাওয়ার পর একজন মানুষকে সমাহিত করতে দরকারি এক টুকরা জমির দাম যে আড়াই লাখ হংকং ডলার! যা ৩২ হাজার ২০০ মার্কিন ডলারের সমান!
জমির এই উচ্চমূল্যের কারণে হংকংয়ে এখন সাগরে মরদেহ সৎকার করা হচ্ছে। এই পদ্ধতিতে মরদেহ ভস্ম করার পর তা সাগরে ফেলে দেওয়া হয়। তবে শুরুর দিকে এ বিষয়টি মেনে নিতে পারছিল না হংকংবাসী। কারণ, স্থানীয় সংস্কৃতি অনুযায়ী মারা যাওয়ার পর কাউকে পানিতে নয়, ভূমিতে সমাহিত করাই নিয়ম। তবে বাস্তবতার কারণে ধীরে ধীরে সাগরে সৎকারের বিষয়টি মেনে নিচ্ছে তারা।
হংকং কনফুসিয়ানিজম সোসাইটির প্রেসিডেন্ট লাই সাই ফুন বলেন, ‘মারা যাওয়ার পর আবার পৃথিবীতে ফিরে আসবে, এই বিশ্বাস থেকেই ভূমিতে সমাহিত করার বিষয়টি বিবেচনা করা হয়। তবে এখন সময় বদেলেছে, সমাহিত করার জন্য জমি পাওয়া এখন দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে। ’
হংকংয়ে একজন ব্যক্তিকে সমাহিত করতে প্রয়োজনীয় ভূমি চুক্তি ভিত্তিতেও পাওয়া যায়। সরকার ছয় বছরের চুক্তিতে এমন এক টুকরা জমির জন্য নেয় তিন হাজার ১৯০ হংকং ডলার। ছয় বছর পর ওই জায়গা নতুন করে বরাদ্দ দেওয়া হয়। বেসরকারি পর্যায়ে এমন চুক্তির ভিত্তিতে এক টুকরা জমির জন্য খরচ করতে হবে অন্তত দশগুণ অর্থ।
শবসৎকার পরিচালক অ্যালেক্স চেং বলেন, সাগরে সৎকারের বিষয়টি দিন দিন গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠছে। এখন প্রতি মাসে ৮০ থেকে ১০০টি সৎকারের ব্যবস্থা করতে হয়। ২০০৭ সাল থেকে সাগরে সৎকারের বিষয়টি শুরু হয়। শুরুর দিকে এই সংখ্যা ছিল একেবারে হাতেগোনা। সরকারি সূত্র জানায়, সাগরে সৎকারের জন্য সুযোগ, সুবিধা ও পরিধি আরও বাড়ানো হচ্ছে।
সাগরে মায়ের দেহভস্ম ভাসিয়ে দিয়ে ফিরছিলেন সো। তিনি বলেন, ‘মৃত্যু মৃত্যুই। মারা যাওয়ার পর যেভাবেই সমাহিত করা হোক না কেন, ফল একই। আমি মনে করি, মারা যাওয়ার পর প্রিয়জনকে হূদয়ে ধারণ করা ও তাঁদের জন্য প্রার্থনা করাই আসল কথা।’ এএফপি।
হংকং কনফুসিয়ানিজম সোসাইটির প্রেসিডেন্ট লাই সাই ফুন বলেন, ‘মারা যাওয়ার পর আবার পৃথিবীতে ফিরে আসবে, এই বিশ্বাস থেকেই ভূমিতে সমাহিত করার বিষয়টি বিবেচনা করা হয়। তবে এখন সময় বদেলেছে, সমাহিত করার জন্য জমি পাওয়া এখন দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে। ’
হংকংয়ে একজন ব্যক্তিকে সমাহিত করতে প্রয়োজনীয় ভূমি চুক্তি ভিত্তিতেও পাওয়া যায়। সরকার ছয় বছরের চুক্তিতে এমন এক টুকরা জমির জন্য নেয় তিন হাজার ১৯০ হংকং ডলার। ছয় বছর পর ওই জায়গা নতুন করে বরাদ্দ দেওয়া হয়। বেসরকারি পর্যায়ে এমন চুক্তির ভিত্তিতে এক টুকরা জমির জন্য খরচ করতে হবে অন্তত দশগুণ অর্থ।
শবসৎকার পরিচালক অ্যালেক্স চেং বলেন, সাগরে সৎকারের বিষয়টি দিন দিন গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠছে। এখন প্রতি মাসে ৮০ থেকে ১০০টি সৎকারের ব্যবস্থা করতে হয়। ২০০৭ সাল থেকে সাগরে সৎকারের বিষয়টি শুরু হয়। শুরুর দিকে এই সংখ্যা ছিল একেবারে হাতেগোনা। সরকারি সূত্র জানায়, সাগরে সৎকারের জন্য সুযোগ, সুবিধা ও পরিধি আরও বাড়ানো হচ্ছে।
সাগরে মায়ের দেহভস্ম ভাসিয়ে দিয়ে ফিরছিলেন সো। তিনি বলেন, ‘মৃত্যু মৃত্যুই। মারা যাওয়ার পর যেভাবেই সমাহিত করা হোক না কেন, ফল একই। আমি মনে করি, মারা যাওয়ার পর প্রিয়জনকে হূদয়ে ধারণ করা ও তাঁদের জন্য প্রার্থনা করাই আসল কথা।’ এএফপি।
No comments