অবিলম্বে তদন্তের মাধ্যমে বিহিত করা প্রয়োজন-বোর্ডের বই জালিয়াতি
২০১০-২০১১ শিক্ষাবর্ষের একাদশ শ্রেণীর জন্য সৃজনশীল পদ্ধতির পাঠ্য বাংলা বই জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) প্রকাশ করার আগেই ‘উচ্চমাধ্যমিক বাংলা সংকলন’ নামে একটি পাঠ্যবই বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। বইটির প্রচ্ছদে এনসিটিবির লোগো ব্যবহার করা হয়েছে, পেছনের মলাটে লেখা হয়েছে ‘সৃজনশীল ২০১০ সংশোধিত ও পরিবর্ধিত’।
বোর্ডের বই ভেবে একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা এ বইটি কিনছে এবং প্রতারিত হচ্ছে, কেননা এনসিটিবি উচ্চমাধ্যমিক বাংলা সংকলন নামে যে সৃজনশীল পদ্ধতির বাংলা বইটি আগামী মাসে প্রকাশ করে বাজারে ছাড়বে, সেটির সৃজনশীল অংশের সঙ্গে এ বইয়ের সৃজনশীল অংশ মিলবে না। শুধু তাই নয়, অসাধু প্রকাশকদের ছাপানো বইটির কাগজ ও ছাপা নিম্নমানের। বইটি অজস্র মুদ্রণপ্রমাদ, ভুল বানান ও ভুল তথ্যে আকীর্ণ।
বোর্ডের বই নকল হলো কেন? এবং সে বইটি বোর্ড নিজে প্রকাশ করার আগেই বাইরের প্রকাশকদের পক্ষে তার নকল ছাপানো সম্ভব হলো কী করে? অসাধু প্রকাশকেরা কী করে জানতে পারলেন যে এনসিটিবি বইটির সংশোধিত ও পরিবর্ধিত সংস্করণ প্রকাশ করতে যাচ্ছে এবং কী করে তাঁরা জানতে পারলেন যে এর সৃজনশীল অংশে কী থাকছে? বিষয়টি ভালোভাবে তদন্ত করে দেখা প্রয়োজন। এনসিটিবির কিছু অসাধু কর্মচারী বইটির সংশোধিত ও পরিবর্তিত সংস্করণের পাণ্ডুলিপি অসাধু প্রকাশকদের দিয়েছেন—প্রথম আলোর প্রাথমিক অনুসন্ধান থেকে এমনটিই জানা গেল। এনসিটিবি কর্তৃপক্ষ বলছে, যে বইটি তারা প্রকাশ করতে যাচ্ছে, তার সৃজনশীল অংশের সঙ্গে বাজারের নকল বইটির সৃজনশীল অংশের কোনো মিল থাকবে না। এর অর্থ কি এই যে অসাধু প্রকাশকদের হাতে বইটি ছাপা হওয়ার পর এনসিটিবি তাদের বইটির সৃজনশীল অংশটি নতুন করে লিখিয়েছে? এ বিষয়ে তদন্ত করা জরুরি প্রয়োজন।
এনসিটিবির প্রকাশিতব্য ‘উচ্চমাধ্যমিক বাংলা সংকলন’ বইটি সম্পূর্ণ নতুন বই হবে না, গত বছরের বইটির সঙ্গে সৃজনশীল একটি অংশ যুক্ত করা হবে মাত্র। অসাধু প্রকাশকদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক যে তাঁরা তাঁদের প্রকাশিত বইটির সৃজনশীল অংশের পাণ্ডুলিপি কোথায় পেয়েছেন।
আমাদের মনে হয় বোর্ডের বই নিয়ে এই জালিয়াতি অত্যন্ত গুরুতর একটা বিষয়। এ ছাড়া নানা ধরনের গাইড বই, নোটবই প্রকাশ ও বিক্রির সঙ্গে যে চক্রগুলো গড়ে উঠেছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। একই সঙ্গে এনসিটিবির অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
বোর্ডের বই নকল হলো কেন? এবং সে বইটি বোর্ড নিজে প্রকাশ করার আগেই বাইরের প্রকাশকদের পক্ষে তার নকল ছাপানো সম্ভব হলো কী করে? অসাধু প্রকাশকেরা কী করে জানতে পারলেন যে এনসিটিবি বইটির সংশোধিত ও পরিবর্ধিত সংস্করণ প্রকাশ করতে যাচ্ছে এবং কী করে তাঁরা জানতে পারলেন যে এর সৃজনশীল অংশে কী থাকছে? বিষয়টি ভালোভাবে তদন্ত করে দেখা প্রয়োজন। এনসিটিবির কিছু অসাধু কর্মচারী বইটির সংশোধিত ও পরিবর্তিত সংস্করণের পাণ্ডুলিপি অসাধু প্রকাশকদের দিয়েছেন—প্রথম আলোর প্রাথমিক অনুসন্ধান থেকে এমনটিই জানা গেল। এনসিটিবি কর্তৃপক্ষ বলছে, যে বইটি তারা প্রকাশ করতে যাচ্ছে, তার সৃজনশীল অংশের সঙ্গে বাজারের নকল বইটির সৃজনশীল অংশের কোনো মিল থাকবে না। এর অর্থ কি এই যে অসাধু প্রকাশকদের হাতে বইটি ছাপা হওয়ার পর এনসিটিবি তাদের বইটির সৃজনশীল অংশটি নতুন করে লিখিয়েছে? এ বিষয়ে তদন্ত করা জরুরি প্রয়োজন।
এনসিটিবির প্রকাশিতব্য ‘উচ্চমাধ্যমিক বাংলা সংকলন’ বইটি সম্পূর্ণ নতুন বই হবে না, গত বছরের বইটির সঙ্গে সৃজনশীল একটি অংশ যুক্ত করা হবে মাত্র। অসাধু প্রকাশকদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক যে তাঁরা তাঁদের প্রকাশিত বইটির সৃজনশীল অংশের পাণ্ডুলিপি কোথায় পেয়েছেন।
আমাদের মনে হয় বোর্ডের বই নিয়ে এই জালিয়াতি অত্যন্ত গুরুতর একটা বিষয়। এ ছাড়া নানা ধরনের গাইড বই, নোটবই প্রকাশ ও বিক্রির সঙ্গে যে চক্রগুলো গড়ে উঠেছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। একই সঙ্গে এনসিটিবির অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
No comments