ইলিশ রক্ষায় সহযোগিতা প্রয়োজন
ইলিশের প্রজনন মৌসুম শুরু হওয়ায় প্রতিবারের মতো এবারও পদ্মা ও মেঘনার উপকূলীয় অংশকে অভয়াশ্রম ঘোষণা করে গতকাল মঙ্গলবার থেকে সেখানে সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পুরো দুই মাস অর্থাৎ আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। এ সময় ২৬ হাজারের বেশি জেলেকে ২০ কেজি করে চাল এবং গরু-ছাগল,
সেলাই মেশিন, সার, বীজ ও অন্যান্য উপকরণ দিয়ে তাদের জীবনযাত্রার ব্যয় নির্বাহে সহযোগিতা করা হবে। এর পরও যদি কেউ এ সময় অভয়াশ্রম এলাকায় মাছ ধরার চেষ্টা করে, তাহলে তাদের জন্য শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
ইলিশ আমাদের জাতীয় সম্পদ এবং এটি আমাদের সৌভাগ্যই বলতে হবে যে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ উপকূলেই এদের বিচরণ সবচেয়ে বেশি। তাই এদের রক্ষা করার দায়িত্বও আমাদের। ইলিশ সাগরের তথা নোনা পানির মাছ হলেও ডিম পাড়তে মা-ইলিশ নদীর অপেক্ষাকৃত কম নোনা বা মিঠাপানিতে চলে আসে। বিশেষ করে প্রজনন মৌসুমে মা-ইলিশ দলে দলে নদীতে প্রবেশ করে। এরপর ডিম ফুটে যে বাচ্চা ইলিশ বেরিয়ে আসে, সেগুলো কিছুটা বড় হলে আবার সাগরের নোনা পানিতে ফিরে যায়। এ সময়টায় এসব উপকূলীয় নদীতে জাল ফেললে ব্যাপক হারে কেবল মা-ইলিশ ও জাটকা ধরা পড়ে। আর একটি মা-ইলিশ মারা যাওয়ার অর্থ ভবিষ্যতের হাজার হাজার ইলিশ নষ্ট হওয়া। অতীতে এই সংরক্ষণের কাজটি ঠিকমতো না করায় দেশে ইলিশের রীতিমতো সংকট তৈরি হয়েছিল। গত বছর এ সময়ে মাছ ধরা মোটামুটি বন্ধ থাকায় এ বছর ইলিশের তেমন সংকট দেখা যায়নি। এ ছাড়া একটি বড় বিপদও ঘটতে পারে, যা কয়েক বছর আগে দেখা দিয়েছিল। বাংলাদেশ উপকূল থেকে ইলিশ ক্রমে সরে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। ইলিশ খুব বেশি পরিমাণে দলবদ্ধ প্রাণী। একবার যদি এরা স্থান পরিবর্তন করে, তাহলে সব ইলিশই বাংলাদেশ উপকূল ত্যাগ করবে। সেটি যে বাংলাদেশের জন্য কত বড় ক্ষতির কারণ হবে, তা অনুমান করতে কষ্ট হওয়ার কথা নয়। ইলিশের এই গতি পরিবর্তনের জন্য প্রজনন বিঘি্নত হওয়াও একটি বড় কারণ হতে পারে। এ ছাড়া দূষণ বেড়ে যাওয়াও আরেকটি কারণ হতে পারে। তাই এ ব্যাপারে আগাম সাবধানতার কোনো বিকল্প নেই।
মৎস্যবিদরা তাঁদের অভিজ্ঞতায় দেখেছেন, ভাদ্র-আশ্বিন মাস থেকেই বেশি পরিমাণে ইলিশ ডিম পাড়তে নদীতে প্রবেশ করতে থাকে। অধিক হারে ডিম পাড়তে আসার এ প্রক্রিয়া চলে বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ পর্যন্ত। এরই ভিত্তিতে নিষেধাজ্ঞার এ সময়টি নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর আমাদের জেলেরা অনেক বেশি সচেতনতার পরিচয় দিয়েছিলেন। বিশেষ করে পটুয়াখালী অঞ্চলের জেলেদের ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। প্রশাসন, উপকূলরক্ষী ও অন্যান্য বাহিনীর উদ্যোগও যথেষ্ট ছিল। আমরা আশা করি, এ বছরও আমরা একই ধরনের অথবা আরো বেশি সচেতনতার পরিচয় দেব। আমাদের জাতীয় সম্পদের সুরক্ষা ও বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় ত্যাগ স্বীকার আমাদের করতেই হবে। পাশাপাশি আমরা যারা ইলিশের ভোক্তা রয়েছি, তারাও এ ক্ষেত্রে একটি বড় ভূমিকা পালন করতে পারি। আমরা পণ করতে পারি, এই দুই মাস আমরা ডিমওয়ালা ইলিশ কিনব না। কোনো মতেই জাটকা স্পর্শ করব না। আমাদের মনে রাখতে হবে, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টাই কেবল পারে আমাদের এই জাতীয় সম্পদটির সুরক্ষা ও বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে।
ইলিশ আমাদের জাতীয় সম্পদ এবং এটি আমাদের সৌভাগ্যই বলতে হবে যে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ উপকূলেই এদের বিচরণ সবচেয়ে বেশি। তাই এদের রক্ষা করার দায়িত্বও আমাদের। ইলিশ সাগরের তথা নোনা পানির মাছ হলেও ডিম পাড়তে মা-ইলিশ নদীর অপেক্ষাকৃত কম নোনা বা মিঠাপানিতে চলে আসে। বিশেষ করে প্রজনন মৌসুমে মা-ইলিশ দলে দলে নদীতে প্রবেশ করে। এরপর ডিম ফুটে যে বাচ্চা ইলিশ বেরিয়ে আসে, সেগুলো কিছুটা বড় হলে আবার সাগরের নোনা পানিতে ফিরে যায়। এ সময়টায় এসব উপকূলীয় নদীতে জাল ফেললে ব্যাপক হারে কেবল মা-ইলিশ ও জাটকা ধরা পড়ে। আর একটি মা-ইলিশ মারা যাওয়ার অর্থ ভবিষ্যতের হাজার হাজার ইলিশ নষ্ট হওয়া। অতীতে এই সংরক্ষণের কাজটি ঠিকমতো না করায় দেশে ইলিশের রীতিমতো সংকট তৈরি হয়েছিল। গত বছর এ সময়ে মাছ ধরা মোটামুটি বন্ধ থাকায় এ বছর ইলিশের তেমন সংকট দেখা যায়নি। এ ছাড়া একটি বড় বিপদও ঘটতে পারে, যা কয়েক বছর আগে দেখা দিয়েছিল। বাংলাদেশ উপকূল থেকে ইলিশ ক্রমে সরে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। ইলিশ খুব বেশি পরিমাণে দলবদ্ধ প্রাণী। একবার যদি এরা স্থান পরিবর্তন করে, তাহলে সব ইলিশই বাংলাদেশ উপকূল ত্যাগ করবে। সেটি যে বাংলাদেশের জন্য কত বড় ক্ষতির কারণ হবে, তা অনুমান করতে কষ্ট হওয়ার কথা নয়। ইলিশের এই গতি পরিবর্তনের জন্য প্রজনন বিঘি্নত হওয়াও একটি বড় কারণ হতে পারে। এ ছাড়া দূষণ বেড়ে যাওয়াও আরেকটি কারণ হতে পারে। তাই এ ব্যাপারে আগাম সাবধানতার কোনো বিকল্প নেই।
মৎস্যবিদরা তাঁদের অভিজ্ঞতায় দেখেছেন, ভাদ্র-আশ্বিন মাস থেকেই বেশি পরিমাণে ইলিশ ডিম পাড়তে নদীতে প্রবেশ করতে থাকে। অধিক হারে ডিম পাড়তে আসার এ প্রক্রিয়া চলে বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ পর্যন্ত। এরই ভিত্তিতে নিষেধাজ্ঞার এ সময়টি নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর আমাদের জেলেরা অনেক বেশি সচেতনতার পরিচয় দিয়েছিলেন। বিশেষ করে পটুয়াখালী অঞ্চলের জেলেদের ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। প্রশাসন, উপকূলরক্ষী ও অন্যান্য বাহিনীর উদ্যোগও যথেষ্ট ছিল। আমরা আশা করি, এ বছরও আমরা একই ধরনের অথবা আরো বেশি সচেতনতার পরিচয় দেব। আমাদের জাতীয় সম্পদের সুরক্ষা ও বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় ত্যাগ স্বীকার আমাদের করতেই হবে। পাশাপাশি আমরা যারা ইলিশের ভোক্তা রয়েছি, তারাও এ ক্ষেত্রে একটি বড় ভূমিকা পালন করতে পারি। আমরা পণ করতে পারি, এই দুই মাস আমরা ডিমওয়ালা ইলিশ কিনব না। কোনো মতেই জাটকা স্পর্শ করব না। আমাদের মনে রাখতে হবে, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টাই কেবল পারে আমাদের এই জাতীয় সম্পদটির সুরক্ষা ও বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে।
No comments