তদন্ত হতে হবে স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য-খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে ককটেল
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে ২৩ ফেব্রুয়ারি। গত রোববার, অর্থাত্ ২৮ ফেব্রুয়ারি পুলিশ এ ঘটনার পরিকল্পনাকারী হিসেবে বিএনপির মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে আখতার হামিদ ওরফে পবনের নাম ঘোষণা করেছে।
বিরোধীদলীয় নেত্রীর কার্যালয়ে হামলা মামুলি ব্যাপার নয়, এবং এর হোতা হিসেবে একই দলের দ্বিতীয় প্রধান নেতার ছেলের নাম আসাও গুরুতর ব্যাপার। উভয় কারণেই এ ঘটনার সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য তদন্ত প্রয়োজন। কেননা, প্রশ্নটি একজন গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতার নিরাপত্তা-সম্পর্কিত। দ্বিতীয়ত, রাজনৈতিক তাত্পর্যের কারণে মামলাটি রাজনৈতিক রঙে রঞ্জিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এসব কারণেই তদন্তের মাধ্যমে নিরেট ও অকাট্য সত্য বেরিয়ে আসা দরকার।
বিএনপির পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত নিয়ে সংশয় প্রকাশ করা হয়েছে। যেহেতু স্বচ্ছ তদন্ত ছাড়া সবার কাছে গ্রহণযোগ্য সত্য প্রকাশের আর সুযোগ নেই, সেহেতু তদন্তে সাফল্যের শর্ত হলো নিরপেক্ষতা। এ বিষয়ে অতীতের অনেক মন্দ নজির আমাদের সামনে রয়েছে। বিরোধী নেত্রী থাকা অবস্থায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ই-মেইলে হত্যার হুমকি দেওয়ার ঘটনায় নিরীহ ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করা, কিংবা ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার পর তত্কালীন জোট সরকারের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগকেই অভিযোগ করা এবং দলটির বেশ কিছু কর্মীকে জড়ানের চেষ্টা—এ ধরনের বিষয়গুলো সবারই জানা। প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার এই কূটচক্রে অনেক সময় প্রকৃত অপরাধীরা পার পেয়ে যায়। প্রশ্নটি তাই একদিকে যেমন বিরোধীদলীয় নেতার নিরাপত্তা-সম্পর্কিত, অন্যদিকে সেই নিরাপত্তায় আঁচড় কাটার মতো একটি ঘটনার রহস্য উন্মোচনও এর সঙ্গে জড়িত। দুটি কারণেই, কোনো ধরনের রাজনৈতিক অভিসন্ধির বাইরে এসে পুলিশ যদি কাজ করতে পারে, তবে জনগণের কাছে তা গ্রহণযোগ্যতা পাবে।
কিন্তু দেখা যায়, এ রকম কোনো ঘটনা ঘটলে সরকারের উচ্চপর্যায়ের নেতারা সঙ্গে সঙ্গে প্রতিপক্ষের প্রতি দোষারোপ করেন, আর বিরোধী দল দায়ী করে সরকারকে। এ রকম হলে, পুলিশ সরকারের কর্তাব্যক্তিদের মুখের কথাকে সত্য প্রমাণ করতে উঠেপড়ে লাগে।
পুলিশ কর্তৃক অভিযুক্ত পবন দোষী হতেও পারেন, নাও পারেন। দোষী সাব্যস্ত করাটা যেন অকাট্য প্রমাণের ওপর নির্ভরশীল হয়, কাউকে খুশি করার জন্য যেন না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। কাউকে আটক করে তার স্বীকারোক্তি আদায়ের মাধ্যমে অভিযোগ দাঁড় করানোর সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষ পরিচিত। এ ব্যাপারে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার ঘটনায় জজ মিয়ার গল্পটি সর্বজনবিদিত। আদালতের কাছে এ ধরনের স্বীকারোক্তি প্রায়শই গ্রহণযোগ্য হয় না। সুতরাং পুলিশের উচিত; নিরপেক্ষভাবে কাজ করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করা এবং কী উদ্দেশ্যে হামলাটি করা হয়েছে তা উদ্ঘাটন করা।
বিএনপির পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত নিয়ে সংশয় প্রকাশ করা হয়েছে। যেহেতু স্বচ্ছ তদন্ত ছাড়া সবার কাছে গ্রহণযোগ্য সত্য প্রকাশের আর সুযোগ নেই, সেহেতু তদন্তে সাফল্যের শর্ত হলো নিরপেক্ষতা। এ বিষয়ে অতীতের অনেক মন্দ নজির আমাদের সামনে রয়েছে। বিরোধী নেত্রী থাকা অবস্থায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ই-মেইলে হত্যার হুমকি দেওয়ার ঘটনায় নিরীহ ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করা, কিংবা ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার পর তত্কালীন জোট সরকারের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগকেই অভিযোগ করা এবং দলটির বেশ কিছু কর্মীকে জড়ানের চেষ্টা—এ ধরনের বিষয়গুলো সবারই জানা। প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার এই কূটচক্রে অনেক সময় প্রকৃত অপরাধীরা পার পেয়ে যায়। প্রশ্নটি তাই একদিকে যেমন বিরোধীদলীয় নেতার নিরাপত্তা-সম্পর্কিত, অন্যদিকে সেই নিরাপত্তায় আঁচড় কাটার মতো একটি ঘটনার রহস্য উন্মোচনও এর সঙ্গে জড়িত। দুটি কারণেই, কোনো ধরনের রাজনৈতিক অভিসন্ধির বাইরে এসে পুলিশ যদি কাজ করতে পারে, তবে জনগণের কাছে তা গ্রহণযোগ্যতা পাবে।
কিন্তু দেখা যায়, এ রকম কোনো ঘটনা ঘটলে সরকারের উচ্চপর্যায়ের নেতারা সঙ্গে সঙ্গে প্রতিপক্ষের প্রতি দোষারোপ করেন, আর বিরোধী দল দায়ী করে সরকারকে। এ রকম হলে, পুলিশ সরকারের কর্তাব্যক্তিদের মুখের কথাকে সত্য প্রমাণ করতে উঠেপড়ে লাগে।
পুলিশ কর্তৃক অভিযুক্ত পবন দোষী হতেও পারেন, নাও পারেন। দোষী সাব্যস্ত করাটা যেন অকাট্য প্রমাণের ওপর নির্ভরশীল হয়, কাউকে খুশি করার জন্য যেন না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। কাউকে আটক করে তার স্বীকারোক্তি আদায়ের মাধ্যমে অভিযোগ দাঁড় করানোর সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষ পরিচিত। এ ব্যাপারে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার ঘটনায় জজ মিয়ার গল্পটি সর্বজনবিদিত। আদালতের কাছে এ ধরনের স্বীকারোক্তি প্রায়শই গ্রহণযোগ্য হয় না। সুতরাং পুলিশের উচিত; নিরপেক্ষভাবে কাজ করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করা এবং কী উদ্দেশ্যে হামলাটি করা হয়েছে তা উদ্ঘাটন করা।
No comments