পাল্টাপাল্টি অভিযোগের সুরাহা দরকার-ধর্মের কল বাতাসে নড়ে
ধর্মের কল বাতাসে নড়া আর কাকে বলে! যোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি নৌপরিবহনমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে যে মন্ত্রীর কারণে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অধীন বিআরটিএ ও বিআরটিসি অকার্যকর হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে, নৌপরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খান আত্মপক্ষ সমর্থন করতে গিয়ে পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন।
তিনি দাবি করেছেন, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির দুই সংসদ সদস্য কার্যত পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি বন্ধে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছেন। প্রথমত, পাল্টা অভিযোগে নৌমন্ত্রীর বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের খণ্ডন হয় না। দ্বিতীয়ত, ওই দুই সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ উপেক্ষাও করা যায় না। দুটি অভিযোগের সত্যাসত্য নিশ্চিত হওয়ার জন্য স্বতন্ত্র তদন্ত প্রয়োজন।
সংসদীয় কমিটির অভিযোগ সত্য হলে, নৌমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন পরিবহন শ্রমিক সংগঠনগুলোর বাধা সৃষ্টির জন্যই বিভিন্ন পরিবহন রুটে সরকারি পরিবহন সংস্থা বিআরটিসির বাস চলতে পারছে না। কেবল তা-ই নয়, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) কার্যকর হতে না পারার জন্যও মন্ত্রীর প্রভাব-প্রতিপত্তিকে তাঁরা দায়ী করেছেন। অন্যদিকে মন্ত্রীর অভিযোগ, ওই সাংসদগণ ভূমিদস্যুতাসহ নানাবিধ অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। যাঁরা অভিযোগ করেছেন এবং যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা সবাই সরকারদলীয় সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী। এ কারণে অভিযোগটি আমলে নিতেই হয়। দ্বিতীয়ত, মন্ত্রীও যখন ওই সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ করেছেন, তখন বলা যায় ‘ডাল মে কুছ কালা হ্যায়’।
এ কথা সত্য যে, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) একটি মুমূর্ষু সংস্থা। সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে সরকারি তদারকের বেহাল দশায় বলা যায়, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ তথা বিআরটিএর ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ। এগুলো যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রধান দুটি সংস্থা। সুতরাং এর দায় কেন নৌমন্ত্রীর ওপর বর্তানো হচ্ছে তা-ও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। পাল্টাপাল্টি অভিযোগের ভেতর থেকে সংস্থা দুটি এবং সরকারের মন্ত্রীদের ভূমিকা যেহেতু প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে, সেহেতু মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ বিষয়ে সুরাহা করার আলোচনা প্রয়োজন। দায়ী যিনি বা যাঁরাই হোন, প্রতিকারে গাফিলতি মোটেই কাঙ্ক্ষিত নয়। আমরা আশা করব, যোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি এবং নৌমন্ত্রী নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করবেন এবং যোগাযোগ ব্যবস্থাকে গতিশীল ও অনিয়মমুক্ত করায় উদ্যোগী ভূমিকা রাখবেন। আর এটা নিশ্চিত করায় প্রয়োজনে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপও দরকার হতে পারে। যা প্রয়োজন তা করাই দায়িত্বশীলতা।
সংসদীয় কমিটির অভিযোগ সত্য হলে, নৌমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন পরিবহন শ্রমিক সংগঠনগুলোর বাধা সৃষ্টির জন্যই বিভিন্ন পরিবহন রুটে সরকারি পরিবহন সংস্থা বিআরটিসির বাস চলতে পারছে না। কেবল তা-ই নয়, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) কার্যকর হতে না পারার জন্যও মন্ত্রীর প্রভাব-প্রতিপত্তিকে তাঁরা দায়ী করেছেন। অন্যদিকে মন্ত্রীর অভিযোগ, ওই সাংসদগণ ভূমিদস্যুতাসহ নানাবিধ অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। যাঁরা অভিযোগ করেছেন এবং যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা সবাই সরকারদলীয় সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী। এ কারণে অভিযোগটি আমলে নিতেই হয়। দ্বিতীয়ত, মন্ত্রীও যখন ওই সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ করেছেন, তখন বলা যায় ‘ডাল মে কুছ কালা হ্যায়’।
এ কথা সত্য যে, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) একটি মুমূর্ষু সংস্থা। সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে সরকারি তদারকের বেহাল দশায় বলা যায়, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ তথা বিআরটিএর ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ। এগুলো যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রধান দুটি সংস্থা। সুতরাং এর দায় কেন নৌমন্ত্রীর ওপর বর্তানো হচ্ছে তা-ও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। পাল্টাপাল্টি অভিযোগের ভেতর থেকে সংস্থা দুটি এবং সরকারের মন্ত্রীদের ভূমিকা যেহেতু প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে, সেহেতু মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ বিষয়ে সুরাহা করার আলোচনা প্রয়োজন। দায়ী যিনি বা যাঁরাই হোন, প্রতিকারে গাফিলতি মোটেই কাঙ্ক্ষিত নয়। আমরা আশা করব, যোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি এবং নৌমন্ত্রী নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করবেন এবং যোগাযোগ ব্যবস্থাকে গতিশীল ও অনিয়মমুক্ত করায় উদ্যোগী ভূমিকা রাখবেন। আর এটা নিশ্চিত করায় প্রয়োজনে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপও দরকার হতে পারে। যা প্রয়োজন তা করাই দায়িত্বশীলতা।
No comments