জাতিগত সহিংসতা-নিহত পাহাড়ি মাতা ও আমাদের সম্মিলিত বিবেক by অদিতি ফাল্গুনী
পার্বত্য চট্টগ্রামে নতুন করে সৃষ্টি হওয়া উত্তেজনা ও রক্তপাতের ক্ষয়-ক্ষতির নানা পরিসংখ্যান ও বহুমুখী বিশ্লেষণ ছাপিয়ে চোখে বারবারই ভেসে উঠছে দৈনিক প্রথম আলোর তৃতীয় পাতায় ছাপা তরুণী মা বুদ্ধপুদি চাকমার তিন সন্তানের মর্মস্পর্শী কান্নার ছবি।
বাঘাইছড়ির একটি গুচ্ছগ্রামে দুপুরের দিকে পাহাড়িদের ঘরে যখন আগুন ধরানো হচ্ছিল, ৩৬ বছরের ওই যুবতী মা ১৫ থেকে সাত বছর বয়সী তাঁর তিন সন্তানকে নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছিলেন। তাঁর স্বামী সে সময় কাজের খোঁজে অন্যত্র ছিলেন। হঠাৎই একটি গুলি তাঁর বুকে বিদ্ধ হয়। তিনি টলে পড়ে যেতে যেতে তিন সন্তানকে বলেন, তারা যেন তাঁর পেছনে সময় ব্যয় না করে কোনো ‘নিরাপদ আশ্রয়’ খুঁজে নেয়।
চোখের সামনে মায়ের মর্মান্তিক মৃত্যু বুদ্ধপুদির তিন সন্তানের শোকের পরিমাণ আমাদের পক্ষে পরিমাপ করা সম্ভব নয়। এই তিন শিশু ও কিশোর-কিশোরী সন্তান যদি ‘বাঙালি’দের বিদ্বেষ করতে শেখে, আমরা কি তাদের দোষী করতে পারব? শনিবারদ্য ডেইলি স্টার-এর শেষ পৃষ্ঠায় প্রকাশিত আরেকটি মর্মস্পর্শী ছবিতে এক আদিবাসী নারীকে দেখা যাচ্ছে পুড়ে যাওয়া তাঁর বসতভিটার উঠানে আগুনে দগ্ধ চাল হতে ভাত খুঁটে নিচ্ছেন। পার্বত্য চট্টগ্রামে পরিচালিত সহস্র জাতীয়-আন্তর্জাতিক-বৈশ্বিক সংস্থার ‘উন্নয়ন প্রকল্প’ এমন একটি আলোকচিত্রের সামনে নিতান্ত ব্যর্থতায় স্তব্ধ হয়ে যায়। পত্রিকার প্রতিবেদন ও ওয়েবসাইটে পাহাড়ি বন্ধুদের পাঠানো বিভিন্ন খবরে যখন জানতে পাই যে অরণ্যের গভীর হতে গভীরতর স্থানে আত্মরক্ষায় লুকানো জুম্ম নর-নারী একমাত্র খাবার হিসেবে আগুনে পুড়ে যাওয়া কলা খাচ্ছে, তখন মানসিক বিপন্নতা বোধের কোনো সীমা থাকে না।
এ পর্যন্ত প্রকাশিত তথ্যাদি ও পরিসংখ্যানের আলোকে বলা যায় যে ১৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া তাণ্ডবে সরকারি হিসাব মতে নিহত হয়েছেন দুজন এবং বেসরকারি হিসাবে আটজন। পাহাড়িরা দাবি করছেন যে তাঁদের পক্ষের প্রায় ছয়জনের লাশ পাওয়া যাচ্ছে না বা লাশ তাঁদের ফেরত দেওয়া হচ্ছে না। বাঘাইছড়ির রেতখাবা, শুরুনালা, জারুলছড়া, হাজাছড়া, দিপুপাড়া, ডানে ভাইব্যাছড়া, বামে ভাইব্যাছড়া, গঙ্গারাম মুখ, নয়াপাড়া এবং পানবাড়ি গ্রামে স্থানীয় প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর সমর্থনপুষ্ট বাঙালি সেটেলারদের ধরিয়ে দেওয়া আগুনে ৩৫৭টি আদিবাসী ঘরের প্রায় এক হাজার ৫০০ আদিবাসী গৃহহারা হয়েছেন ও সব মিলিয়ে দুই হাজার আদিবাসী বাঘাইছড়ির জঙ্গলে আত্মগোপনরত। অন্যদিকে বাঙালিদের ১০০ ঘরে আগুন ধরানো হয়েছে ও প্রায় ৪০০ বাঙালি গৃহহারা হয়েছেন। গঙ্গারাম গ্রামের হূদয় রঞ্জন চাকমা, যিনি ১৯৭৯ সালে ভারতের মিজোরাম চলে যাওয়ার পর, ১৯৯৭ সালে শান্তিচুক্তির পরিপ্রেক্ষিতে আবার চৌদ্দ পুরুষের গ্রামে ফিরে এসেছিলেন, আজ আবার মিজোরাম ফিরে যাওয়ার কথা ভাবছেন। গুলিবিদ্ধ ভারত জ্যোতি চাকমার ছোট ভাই শান্তিময় চাকমা জানেন না তাঁর আহত বড় ভাই বাঘাইছড়ি হতে খাগড়াছড়ি হাসপাতালে নেওয়ার পর কেমন আছেন। পুড়ে যাওয়া গ্রামগুলো সবুজের প্রেক্ষাপটে কালো তিলের মতো দেখাচ্ছে। কাসালং নদীতে মাইল মাইল জলধারা জুড়ে বাঁশ ভাসছে, সাধারণত যে বাঁশ পাহাড়ি দিনমজুরেরা কর্ণফুলী পেপার মিলে কাঁচামাল হিসেবে টেনে নিয়ে যান। (সূত্র: দ্য ডেইলি স্টার, ২৭ ফেব্রুয়ারি)। একটি চার্চ ও একটি বৌদ্ধমন্দিরসহ দুটো উপাসনালয় ভস্মীভূত। মোটের ওপর এই অবস্থা। বস্তুত বাঘাইছড়ির আদিবাসী জমিতে অবৈধ স্থাপনার প্রতিবাদে পাহাড়িরা বাজার বয়কট করা থেকেই এই সহিংসতার সূচনা ও বিকাশ বলে নানা সূত্র হতে সংবাদে প্রকাশ।
প্রশ্ন হলো, সেনাবাহিনীর নাকের ডগায় বসে যে বা যারাই এমন কাজ করে থাকুক না কেন, সারা বিশ্বে আমাদের ভাবমূর্তি এতে কী দাঁড়ায়? অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইতিমধ্যেই ২০ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনীর ছোড়া গুলিতে মৃত্যুর তদন্ত করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে সাংবাদিকদের দুর্গত পাহাড়ি এলাকায় যেতে দিচ্ছে না স্থানীয় প্রশাসন ও বাঙালি বসতি স্থাপনকারীরা। অন্তত অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বরাতে উদ্ধৃত পার্বত্য চট্টগ্রামের মানবাধিকার কর্মীদের বক্তব্য সে রকমই।
এখন যখন ইন্টারনেটে ছবি দেখছি যে লন্ডনে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীর হস্তক্ষেপ চেয়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভ করছেন প্রবাসী পাহাড়িরা, তখন বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তির প্রশ্ন আমাদের বিচলিত করে। নয়াদিল্লি, কোরিয়া বা জাপানেও বিক্ষোভের খবর শেষ পর্যন্ত আমাদের দেশের গণতান্ত্রিক গ্রহণযোগ্যতা বাড়ায় না। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তদন্ত দাবি করছে যেন গ্রেপ্তারকৃত পাহাড়িরা আইনগতভাবে আত্মরক্ষা করার সুযোগ ও অধিকার পান, আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে দেখা করা ও চিকিৎসা সুবিধা পান। শান্তিরক্ষায় নিয়োজিত বাংলাদেশ পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা কোনো বাড়াবাড়ি করেছেন কি না সে ব্যাপারেও তদন্তের দাবি উঠেছে আন্তর্জাতিক পরিসরে।
খুব দুভার্গ্যজনকভাবে এ বাঘাইছড়ি সহিংসতা ঘটল এমন একসময়ে, যখন শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরকারী আওয়ামী লীগ সরকারই ক্ষমতায়। নতুন সরকারের ক্ষমতায় বসার দুই মাসের ভেতরেই বিডিআর বিদ্রোহের রক্তাক্ত ক্ষত না শুকাতেই পাহাড়ের এই জ্বলে ওঠা আগুন সরকারকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত বলেও অনেকে বিবেচনা করছেন। যুদ্ধাপরাধী বিচারের প্রক্রিয়া গ্রহণের ‘দোষে’ও নতুন সরকার এহেন সংকটে পড়তে পারে। গত বছর পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেনা প্রত্যাহারের সরকারি সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করতে ইচ্ছাপূর্বক এহেন ঘটনাও ঘটানো হতে পারে। তবে সেনাবাহিনীর অভাবে দুর্যোগ ঘটবে বলে যাঁরা বলছেন, তাঁদের লক্ষ করে থাকার কথা যে সেনা প্রত্যাহূত কোনো পাহাড়ি জনপদে এমনটি ঘটেনি, ঘটেছে সেনা উপস্থিতির নাকের ডগায়।
আশা করি সরকার অচিরেই এই নারকীয় ঘটনার যথাযথ ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীদের বিচার ও নির্দোষ মানুষদের ছেড়ে দিয়ে নির্যাতিত পাহাড়ি ও বিবেকবান বাঙালিসহ দেশের সব নাগরিকের জন্য শান্তি বিধানে সক্ষম হবে।
অদিতি ফাল্গুনী: কথাসাহিত্যিক।
চোখের সামনে মায়ের মর্মান্তিক মৃত্যু বুদ্ধপুদির তিন সন্তানের শোকের পরিমাণ আমাদের পক্ষে পরিমাপ করা সম্ভব নয়। এই তিন শিশু ও কিশোর-কিশোরী সন্তান যদি ‘বাঙালি’দের বিদ্বেষ করতে শেখে, আমরা কি তাদের দোষী করতে পারব? শনিবারদ্য ডেইলি স্টার-এর শেষ পৃষ্ঠায় প্রকাশিত আরেকটি মর্মস্পর্শী ছবিতে এক আদিবাসী নারীকে দেখা যাচ্ছে পুড়ে যাওয়া তাঁর বসতভিটার উঠানে আগুনে দগ্ধ চাল হতে ভাত খুঁটে নিচ্ছেন। পার্বত্য চট্টগ্রামে পরিচালিত সহস্র জাতীয়-আন্তর্জাতিক-বৈশ্বিক সংস্থার ‘উন্নয়ন প্রকল্প’ এমন একটি আলোকচিত্রের সামনে নিতান্ত ব্যর্থতায় স্তব্ধ হয়ে যায়। পত্রিকার প্রতিবেদন ও ওয়েবসাইটে পাহাড়ি বন্ধুদের পাঠানো বিভিন্ন খবরে যখন জানতে পাই যে অরণ্যের গভীর হতে গভীরতর স্থানে আত্মরক্ষায় লুকানো জুম্ম নর-নারী একমাত্র খাবার হিসেবে আগুনে পুড়ে যাওয়া কলা খাচ্ছে, তখন মানসিক বিপন্নতা বোধের কোনো সীমা থাকে না।
এ পর্যন্ত প্রকাশিত তথ্যাদি ও পরিসংখ্যানের আলোকে বলা যায় যে ১৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া তাণ্ডবে সরকারি হিসাব মতে নিহত হয়েছেন দুজন এবং বেসরকারি হিসাবে আটজন। পাহাড়িরা দাবি করছেন যে তাঁদের পক্ষের প্রায় ছয়জনের লাশ পাওয়া যাচ্ছে না বা লাশ তাঁদের ফেরত দেওয়া হচ্ছে না। বাঘাইছড়ির রেতখাবা, শুরুনালা, জারুলছড়া, হাজাছড়া, দিপুপাড়া, ডানে ভাইব্যাছড়া, বামে ভাইব্যাছড়া, গঙ্গারাম মুখ, নয়াপাড়া এবং পানবাড়ি গ্রামে স্থানীয় প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর সমর্থনপুষ্ট বাঙালি সেটেলারদের ধরিয়ে দেওয়া আগুনে ৩৫৭টি আদিবাসী ঘরের প্রায় এক হাজার ৫০০ আদিবাসী গৃহহারা হয়েছেন ও সব মিলিয়ে দুই হাজার আদিবাসী বাঘাইছড়ির জঙ্গলে আত্মগোপনরত। অন্যদিকে বাঙালিদের ১০০ ঘরে আগুন ধরানো হয়েছে ও প্রায় ৪০০ বাঙালি গৃহহারা হয়েছেন। গঙ্গারাম গ্রামের হূদয় রঞ্জন চাকমা, যিনি ১৯৭৯ সালে ভারতের মিজোরাম চলে যাওয়ার পর, ১৯৯৭ সালে শান্তিচুক্তির পরিপ্রেক্ষিতে আবার চৌদ্দ পুরুষের গ্রামে ফিরে এসেছিলেন, আজ আবার মিজোরাম ফিরে যাওয়ার কথা ভাবছেন। গুলিবিদ্ধ ভারত জ্যোতি চাকমার ছোট ভাই শান্তিময় চাকমা জানেন না তাঁর আহত বড় ভাই বাঘাইছড়ি হতে খাগড়াছড়ি হাসপাতালে নেওয়ার পর কেমন আছেন। পুড়ে যাওয়া গ্রামগুলো সবুজের প্রেক্ষাপটে কালো তিলের মতো দেখাচ্ছে। কাসালং নদীতে মাইল মাইল জলধারা জুড়ে বাঁশ ভাসছে, সাধারণত যে বাঁশ পাহাড়ি দিনমজুরেরা কর্ণফুলী পেপার মিলে কাঁচামাল হিসেবে টেনে নিয়ে যান। (সূত্র: দ্য ডেইলি স্টার, ২৭ ফেব্রুয়ারি)। একটি চার্চ ও একটি বৌদ্ধমন্দিরসহ দুটো উপাসনালয় ভস্মীভূত। মোটের ওপর এই অবস্থা। বস্তুত বাঘাইছড়ির আদিবাসী জমিতে অবৈধ স্থাপনার প্রতিবাদে পাহাড়িরা বাজার বয়কট করা থেকেই এই সহিংসতার সূচনা ও বিকাশ বলে নানা সূত্র হতে সংবাদে প্রকাশ।
প্রশ্ন হলো, সেনাবাহিনীর নাকের ডগায় বসে যে বা যারাই এমন কাজ করে থাকুক না কেন, সারা বিশ্বে আমাদের ভাবমূর্তি এতে কী দাঁড়ায়? অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইতিমধ্যেই ২০ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনীর ছোড়া গুলিতে মৃত্যুর তদন্ত করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে সাংবাদিকদের দুর্গত পাহাড়ি এলাকায় যেতে দিচ্ছে না স্থানীয় প্রশাসন ও বাঙালি বসতি স্থাপনকারীরা। অন্তত অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বরাতে উদ্ধৃত পার্বত্য চট্টগ্রামের মানবাধিকার কর্মীদের বক্তব্য সে রকমই।
এখন যখন ইন্টারনেটে ছবি দেখছি যে লন্ডনে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীর হস্তক্ষেপ চেয়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভ করছেন প্রবাসী পাহাড়িরা, তখন বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তির প্রশ্ন আমাদের বিচলিত করে। নয়াদিল্লি, কোরিয়া বা জাপানেও বিক্ষোভের খবর শেষ পর্যন্ত আমাদের দেশের গণতান্ত্রিক গ্রহণযোগ্যতা বাড়ায় না। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তদন্ত দাবি করছে যেন গ্রেপ্তারকৃত পাহাড়িরা আইনগতভাবে আত্মরক্ষা করার সুযোগ ও অধিকার পান, আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে দেখা করা ও চিকিৎসা সুবিধা পান। শান্তিরক্ষায় নিয়োজিত বাংলাদেশ পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা কোনো বাড়াবাড়ি করেছেন কি না সে ব্যাপারেও তদন্তের দাবি উঠেছে আন্তর্জাতিক পরিসরে।
খুব দুভার্গ্যজনকভাবে এ বাঘাইছড়ি সহিংসতা ঘটল এমন একসময়ে, যখন শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরকারী আওয়ামী লীগ সরকারই ক্ষমতায়। নতুন সরকারের ক্ষমতায় বসার দুই মাসের ভেতরেই বিডিআর বিদ্রোহের রক্তাক্ত ক্ষত না শুকাতেই পাহাড়ের এই জ্বলে ওঠা আগুন সরকারকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত বলেও অনেকে বিবেচনা করছেন। যুদ্ধাপরাধী বিচারের প্রক্রিয়া গ্রহণের ‘দোষে’ও নতুন সরকার এহেন সংকটে পড়তে পারে। গত বছর পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেনা প্রত্যাহারের সরকারি সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করতে ইচ্ছাপূর্বক এহেন ঘটনাও ঘটানো হতে পারে। তবে সেনাবাহিনীর অভাবে দুর্যোগ ঘটবে বলে যাঁরা বলছেন, তাঁদের লক্ষ করে থাকার কথা যে সেনা প্রত্যাহূত কোনো পাহাড়ি জনপদে এমনটি ঘটেনি, ঘটেছে সেনা উপস্থিতির নাকের ডগায়।
আশা করি সরকার অচিরেই এই নারকীয় ঘটনার যথাযথ ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীদের বিচার ও নির্দোষ মানুষদের ছেড়ে দিয়ে নির্যাতিত পাহাড়ি ও বিবেকবান বাঙালিসহ দেশের সব নাগরিকের জন্য শান্তি বিধানে সক্ষম হবে।
অদিতি ফাল্গুনী: কথাসাহিত্যিক।
No comments