শ্রমিকদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে-তৈরি পোশাক কারখানায় আগুন
গাজীপুরের তৈরি পোশাক কারখানা গরিব অ্যান্ড গরিবে আগুনে পুড়ে ২১ জন শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনার দায় কোনোভাবেই এড়াতে পারে না মালিক কর্তৃপক্ষ। কারখানাটিতে এর আগেও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে হয়তো একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটত না। এই শিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের ৯০ শতাংশই নারী।
অথচ তাঁদের নিরাপত্তার বিষয়টি উপেক্ষিতই থেকে গেছে। পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ছয়তলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় আগুন লাগলেও ২০ জন শ্রমিক মারা গেছেন ছাদের ওপর তৈরি টিনের ছাপরায় আটকা পড়ে, একজন মারা গেছেন তৃতীয় তলায়। আগুনের কালো ধোঁয়ায় পুরো এলাকা ছেয়ে গেলে শ্রমিকেরা নিচে নামতে পারেননি। গেট বন্ধ থাকায় উদ্ধারকারীদের ভেতরে ঢুকতেও বেগ পেতে হয়েছে। চালু অবস্থায় কারখানার গেট বন্ধ রাখা কেবল অনৈতিক নয়, বেআইনিও।
সার্বিকভাবে তৈরি পোশাক কারখানগুলোর পরিবেশ ও নিরাপত্তা কোনোটাই ভালো নয়। প্রথম দিকে কারখানাগুলোতে দ্বিতীয় সিঁড়িরও ব্যবস্থা ছিল না। পরবর্তী সময়ে দ্বিতীয় সিঁড়ি চালু হলেও অন্য সুযোগ-সুবিধা খুবই অপ্রতুল। একটি শ্রমঘন কারখানায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকা জরুরি।
মালিকেরা ব্যবসা প্রসারে যতটা আন্তরিক, শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও সুযোগ-সুবিধার ব্যাপারে ততটাই উদাসীন। এটি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ছয়তলা ভবনের ওপর ছাপরা করে কারখানা চালানো যে মোটেই নিরাপদ নয়, তাও কি মালিকপক্ষের অজানা? তারা কি এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়েছিল? নিয়ে থাকলে অনুমোদনদাতাকে জবাবদিহি করতে হবে। আর না নিয়ে থাকলে এই মৃত্যুর দায় মালিকপক্ষকে নিতে হবে।
দুর্ঘটনার পর নিহত শ্রমিকদের পরিবারের জন্য বিজিএমইএ ও কারখানামালিকের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। মানুষের মৃত্যুর যে ক্ষতি, তা কী অর্থ দিয়ে পূরণ করা সম্ভব! তাদের এই ‘অনুদান’ নিহত শ্রমিকদের পরিবারের জন্য কিছুটা আর্থিক সাশ্রয় হতে পারে; কিন্তু এসব পরিবার যা হারিয়েছে, তা ফিরে পাবে না। শ্রমিকেরা কাজ করতে এসে বারবার এভাবে লাশ হয়ে যাবেন কেন? অনেক ক্ষেত্রে তাঁরা ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত। আবার দুর্ঘটনা-দুর্যোগে তাঁরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন।
গরিব অ্যান্ড গরিব কারখানায় দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে সরকার ও বিজিএমইএর পক্ষ থেকে দুটি কমিটি গঠিত হলেও আদৌ রহস্য উদ্ঘাটিত হবে কি না, সে ব্যাপারে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। অতীতেও এ ধরনের ঘটনার তদন্ত আলোর মুখ দেখেনি। এবারও একই নাটকের মহড়া যেন না হয়। স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী তৈরি পোশাকশিল্পের শ্রমিকদের নিরাপত্তাহীনতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু সরকারের দায়িত্ব হবে তাঁদের নিরাপত্তায় মালিকদের উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করানো।
সরকার অনেক আগেই তৈরি পোশাকশিল্পের জন্য আলাদা পল্লি বা অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কথা বলেছিল। সেটি কার্যকর হলে মালিকেরাও অবকাঠামো নির্মাণের শর্ত পূরণে বাধ্য হবেন। বহির্বিশ্বে বিকাশমান এই শিল্প খাতের সুনাম নষ্ট হয় এমন কিছুই করা যাবে না। যাদের গাফিলতির জন্য এই দুর্ঘটনা ঘটেছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি সব শিল্পকারখানায় শ্রমিকদের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা জরুরি।
সার্বিকভাবে তৈরি পোশাক কারখানগুলোর পরিবেশ ও নিরাপত্তা কোনোটাই ভালো নয়। প্রথম দিকে কারখানাগুলোতে দ্বিতীয় সিঁড়িরও ব্যবস্থা ছিল না। পরবর্তী সময়ে দ্বিতীয় সিঁড়ি চালু হলেও অন্য সুযোগ-সুবিধা খুবই অপ্রতুল। একটি শ্রমঘন কারখানায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকা জরুরি।
মালিকেরা ব্যবসা প্রসারে যতটা আন্তরিক, শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও সুযোগ-সুবিধার ব্যাপারে ততটাই উদাসীন। এটি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ছয়তলা ভবনের ওপর ছাপরা করে কারখানা চালানো যে মোটেই নিরাপদ নয়, তাও কি মালিকপক্ষের অজানা? তারা কি এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়েছিল? নিয়ে থাকলে অনুমোদনদাতাকে জবাবদিহি করতে হবে। আর না নিয়ে থাকলে এই মৃত্যুর দায় মালিকপক্ষকে নিতে হবে।
দুর্ঘটনার পর নিহত শ্রমিকদের পরিবারের জন্য বিজিএমইএ ও কারখানামালিকের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। মানুষের মৃত্যুর যে ক্ষতি, তা কী অর্থ দিয়ে পূরণ করা সম্ভব! তাদের এই ‘অনুদান’ নিহত শ্রমিকদের পরিবারের জন্য কিছুটা আর্থিক সাশ্রয় হতে পারে; কিন্তু এসব পরিবার যা হারিয়েছে, তা ফিরে পাবে না। শ্রমিকেরা কাজ করতে এসে বারবার এভাবে লাশ হয়ে যাবেন কেন? অনেক ক্ষেত্রে তাঁরা ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত। আবার দুর্ঘটনা-দুর্যোগে তাঁরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন।
গরিব অ্যান্ড গরিব কারখানায় দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে সরকার ও বিজিএমইএর পক্ষ থেকে দুটি কমিটি গঠিত হলেও আদৌ রহস্য উদ্ঘাটিত হবে কি না, সে ব্যাপারে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। অতীতেও এ ধরনের ঘটনার তদন্ত আলোর মুখ দেখেনি। এবারও একই নাটকের মহড়া যেন না হয়। স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী তৈরি পোশাকশিল্পের শ্রমিকদের নিরাপত্তাহীনতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু সরকারের দায়িত্ব হবে তাঁদের নিরাপত্তায় মালিকদের উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করানো।
সরকার অনেক আগেই তৈরি পোশাকশিল্পের জন্য আলাদা পল্লি বা অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কথা বলেছিল। সেটি কার্যকর হলে মালিকেরাও অবকাঠামো নির্মাণের শর্ত পূরণে বাধ্য হবেন। বহির্বিশ্বে বিকাশমান এই শিল্প খাতের সুনাম নষ্ট হয় এমন কিছুই করা যাবে না। যাদের গাফিলতির জন্য এই দুর্ঘটনা ঘটেছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি সব শিল্পকারখানায় শ্রমিকদের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা জরুরি।
No comments