এই নৈরাজ্য বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিন-প্যাকেটজাত লবণের অস্বাভাবিক দাম
আগে বলা হতো, নুন আর খুন সস্তা। এখন দেখা যাচ্ছে, সস্তা কেবল খুন আর গুম, মহার্ঘ হয়ে উঠেছে নুন। এক কেজি প্যাকেটজাত লবণের দাম এখন ২৮ থেকে ৩০ টাকা। গত এক মাসে দাম বেড়েছে ১০ শতাংশ, আর গত এক বছরের হিসাব ধরলে মূল্যবৃদ্ধির হার দাঁড়ায় ৪৪ শতাংশ।
বুধবার প্রথম আলোয় প্রকাশিত খবরে দেখা যায়, উৎপাদন ব্যয় ও অন্যান্য ব্যয় মিলিয়ে এক কেজি প্যাকেটজাত লবণের দাম যেখানে পড়ে মাত্র পৌনে ১২ টাকা, সেখানে তা বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে ২৮ থেকে ৩০ টাকায়! অর্থাৎ মুনাফার হার দাঁড়ায় দেড় শ শতাংশের কাছাকাছি। একে মগের মুল্লুক বললেও কম বলা হয়।
কক্সবাজারে লবণচাষিরা প্রতি কেজি অবিচূর্ণ লবণ বিক্রি করছেন সোয়া ছয় থেকে পৌনে সাত টাকায়। পরিবহন, লবণ চূর্ণ করা, আয়োডিন মেশানো, প্যাকেটজাত প্রভৃতি বাবদ ব্যয় পাঁচ টাকা। এর সঙ্গে যদি ১০ শতাংশ মুনাফা ধরা হয়, তাহলে এক কেজি লবণের দাম সর্বোচ্চ ১৪ টাকার বেশি কোনোভাবেই হতে পারে না। ব্র্যাক লবণ বিক্রি করে ১৩ টাকায়। তাহলে বাজারের ব্যবসায়ীরা কেন ওই দামে পারবেন না?
ব্যবসায়ীরা বলছেন, তাঁদের প্রতি বস্তা অবিচূর্ণ লবণ প্রক্রিয়াজাত করতে নাকি ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ অপচয় হয়! যদি তাই হয়, তাহলে তো অপচয়ের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। সরকারকে সেটা দেখতে হবে। অপচয়ের জন্য বাজারে লবণের দাম বাড়বে, আর খেসারত দেবে সাধারণ ক্রেতা, এটা তো হতে পারে না।
ব্যবসায়ীরা ব্যাংকঋণের সুদ, শ্রমিকের বেতন, পণ্যের বিজ্ঞাপন, প্রকৌশলীর বেতনসহ যাবতীয় ব্যয় দামের ভেতর ধরছেন। এ ব্যাপারে নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। কোন কোন ব্যয় দামের অংশ আর কোনটা মালিকের মুনাফা থেকে বাদ যাবে, সেটা আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নীতিমালার মধ্যেই হতে হবে। এখানে ব্যবসায়ীদের খামখেয়ালির কোনো স্থান নেই।
এখন আবার লবণের ঘাটতি অতিরঞ্জনের চেষ্টা চলছে। তাতে লবণের দাম আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকবে।
সরকারকে এখনই এসব অনিয়ম, অতিমুনাফা ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
কক্সবাজারে লবণচাষিরা প্রতি কেজি অবিচূর্ণ লবণ বিক্রি করছেন সোয়া ছয় থেকে পৌনে সাত টাকায়। পরিবহন, লবণ চূর্ণ করা, আয়োডিন মেশানো, প্যাকেটজাত প্রভৃতি বাবদ ব্যয় পাঁচ টাকা। এর সঙ্গে যদি ১০ শতাংশ মুনাফা ধরা হয়, তাহলে এক কেজি লবণের দাম সর্বোচ্চ ১৪ টাকার বেশি কোনোভাবেই হতে পারে না। ব্র্যাক লবণ বিক্রি করে ১৩ টাকায়। তাহলে বাজারের ব্যবসায়ীরা কেন ওই দামে পারবেন না?
ব্যবসায়ীরা বলছেন, তাঁদের প্রতি বস্তা অবিচূর্ণ লবণ প্রক্রিয়াজাত করতে নাকি ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ অপচয় হয়! যদি তাই হয়, তাহলে তো অপচয়ের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। সরকারকে সেটা দেখতে হবে। অপচয়ের জন্য বাজারে লবণের দাম বাড়বে, আর খেসারত দেবে সাধারণ ক্রেতা, এটা তো হতে পারে না।
ব্যবসায়ীরা ব্যাংকঋণের সুদ, শ্রমিকের বেতন, পণ্যের বিজ্ঞাপন, প্রকৌশলীর বেতনসহ যাবতীয় ব্যয় দামের ভেতর ধরছেন। এ ব্যাপারে নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। কোন কোন ব্যয় দামের অংশ আর কোনটা মালিকের মুনাফা থেকে বাদ যাবে, সেটা আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নীতিমালার মধ্যেই হতে হবে। এখানে ব্যবসায়ীদের খামখেয়ালির কোনো স্থান নেই।
এখন আবার লবণের ঘাটতি অতিরঞ্জনের চেষ্টা চলছে। তাতে লবণের দাম আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকবে।
সরকারকে এখনই এসব অনিয়ম, অতিমুনাফা ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
No comments