রাস্তার ওপর ট্রাকস্ট্যান্ড-নাগরিক জীবনের বিষফোঁড়া
তেজগাঁও রেলগেট থেকে সাতরাস্তা মোড় পর্যন্ত সড়কটি ট্রাকস্ট্যান্ডে পরিণত করার ফলে কতটা জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে_ এ নিয়ে সংবাদপত্রে আগেও কম লেখালেখি হয়নি। কিন্তু মিলেছে অষ্টরম্ভা। মঙ্গলবার সমকালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, কেবল লেখালেখি নয় তেজগাঁও ও ফার্মগেট এলাকার সংযোগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি দখলমুক্ত করতে আরও ব্যর্থ প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে।
স্থানীয় কাউন্সিলর নাকি ট্রাকস্ট্যান্ডটি সরানোর জন্য বহুবার চিঠি দিয়েও ফল হয়নি। ঢাকা জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের পক্ষ থেকেও একাধিকবার রাস্তা দখলমুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হলেও কাজ হয়নি। অনির্ধারিত ওই ট্রাকস্ট্যান্ডের উদ্যোক্তা তথাকথিত 'মালিক সমিতি'র কারণে কোনো ফল হয়নি। আমাদের প্রশ্ন, তাদের খুঁটির জোর কোথায়? জনদুর্ভোগ, জনপ্রতিনিধির উদ্বেগ পরোয়া না করার সাহস তারা পায় কোথায়? সাদা চোখেই দেখা যাচ্ছে যে, ৭৮ থেকে ১৪০ ফুট পর্যন্ত প্রস্থের সড়কটিতে এখন পথচারী ও যাত্রীবাহী যান চলাচলের স্থান সামান্যই। ফুটপাত তো কবেই বেদখল, খোদ সড়কের দুই পাশ দখল করে পার্ক করা ট্রাক, কাভার্ডভ্যানের কারণে ওই রাস্তায় অন্য গাড়ি চালানো কঠিন। রিকশা যদিও চলতে পারে, যত্রতত্র ট্রাক রাখার কারণে তাও কখনও কখনও বন্ধ হয়ে যায়। রাস্তায় জমে থাকে কাদাপানি। কিন্তু আমরা জানি, বুনো ওলের জন্য বাঘা তেঁতুলও থাকে। এখন যদিও নির্বিকার, দখলদাররা গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ঠিকই রাস্তার দু'পাশে গাড়ি রাখা বন্ধ করেছিল। সংস্কারও হয়েছিল রাস্তাটির। এখন তথৈবচ। তেজগাঁও রেলগেট-সাতরাস্তা সংযোগ সড়কে ট্রাকস্ট্যান্ড কেবল ওই অংশের যাতায়াতে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে না। রাতে যখন ট্রাকগুলো বের হতে থাকে, তখন সংশ্লিষ্ট সব রাস্তাতেই যানজট বিস্তৃত হয়। নাগরিক জীবনের এই বিষফোঁড়া অপসারণ করতেই হবে। আমাদের বোধগম্য হয় না, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় সড়কটি মুক্ত রাখা সম্ভব হলে এখন হবে না কেন? আসলে প্রয়োজন কুকুর বুঝে মুগুর চালানো। সংশ্লিষ্টদের কাছে সে দাবিই জানাই আমরা।
No comments