টেন্ডারবাজদের জন্য আনুকূল্য কেন?-মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক
গত মঙ্গলবার আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে দেশের আইনশৃঙ্খলার উন্নয়নের যে তাগিদ দেওয়া হয়েছে, এর সঙ্গে দ্বিমত করার সুযোগ নেই। এ বৈঠকে তৈরি পোশাকশিল্পের দুর্ঘটনা, টেন্ডারবাজি থেকে বিরোধীদলীয় নেত্রীর নিরাপত্তা পর্যন্ত সব বিষয়েই আলোচনা হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত আলোচনা হওয়া প্রয়োজন। সমস্যার চুলচেরা বিশ্লেষণ ছাড়া সমাধানের পথ বেরিয়ে আসবে কীভাবে।
তবে এও মনে রাখতে হবে, এ ক্ষেত্রে আলোচনা বা নির্দেশ দেওয়াই যথেষ্ট নয়। সেসব নির্দেশ পালিত হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখা জরুরি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নের পূর্বশর্ত হলো দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন। অপরাধী যে দলেরই হোক না কেন, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। সে ক্ষেত্রে ১৪ মাস বয়সী মহাজোট সরকার সফল হয়েছে বলা যাবে না।
আইনশৃঙ্খলার উন্নয়নে অনেক বৈঠক হয়েছে, আদেশ-নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেসব বাস্তবায়িত হয়েছে খুবই কম। বিরোধী দলের ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় সরকারকে যতটা কঠোর মনে হয়েছে, টেন্ডারবাজি বন্ধে ততটাই নমনীয়। এর কারণ কি টেন্ডারবাজেরা সরকারি দলের লোক বলে? মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে টেন্ডারবাজির সঙ্গে জড়িত দলীয় নেতা-কর্মীদের বোঝানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মন্ত্রী-নেতাদের। এর চেয়ে হাস্যকর কী হতে পারে! দলীয় টেন্ডারবাজেরা কি দুগ্ধপোষ্য শিশু যে তাদের বোঝাতে হবে? টেন্ডারবাজি যে অতিশয় খারাপ কাজ, এ কথা তাদের অজানা নয়। জেনেশুনেই তারা এ অপরাধ করে চলেছে।
ক্ষমতাসীনদের আশ্রয়-প্রশ্রয় ছাড়া টেন্ডারবাজেরা দৌরাত্ম্য দেখাতে পারত না। অতীতে টেন্ডারবাজি নিয়ে বহু সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এখনো ঘটছে। যারা টেন্ডারবাজির মতো গর্হিত কাজ করতে পারে, তাদের বুঝিয়ে কোনো লাভ হবে না। আইনের যথাযথ প্রয়োগই পারে এ ধরনের অপরাধীদের নিবৃত্ত করতে। দ্বিতীয়ত, টেন্ডারবাজদের বোঝানোর কথা বলে মন্ত্রিসভা কমিটি ক্ষমতাসীন দলে তাদের উপস্থিতি স্বীকার করে নিল। কোনো গণতান্ত্রিক দলে টেন্ডারবাজ-চাঁদাবাজেরা থাকে কী করে? আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি তাদের দল থেকেও বহিষ্কার করতে হবে।
বিরোধী দলের ষড়যন্ত্রকারীদের চেয়ে সরকারদলীয় টেন্ডারবাজেরা যে কম বিপজ্জনক নয়, তা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিকে বুঝতে হবে। কেউ ষড়যন্ত্র করলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। সেখানে একজনকে পাকড়াও করা এবং অন্যজনকে বোঝানো—এই দ্বৈত নীতি চলতে পারে না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বর্ণিত ষড়যন্ত্রকারীরা ধরা পড়ুক, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক, তা সবার কাম্য। কিন্তু ক্ষমতাসীন দলের যেসব নেতা-কর্মী টেন্ডারবাজির সঙ্গে জড়িত, তাদের ছাড় দেওয়া যাবে না। তারা দেশ ও জাতির জন্য ক্ষতিকর।
তবে এও মনে রাখতে হবে, এ ক্ষেত্রে আলোচনা বা নির্দেশ দেওয়াই যথেষ্ট নয়। সেসব নির্দেশ পালিত হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখা জরুরি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নের পূর্বশর্ত হলো দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন। অপরাধী যে দলেরই হোক না কেন, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। সে ক্ষেত্রে ১৪ মাস বয়সী মহাজোট সরকার সফল হয়েছে বলা যাবে না।
আইনশৃঙ্খলার উন্নয়নে অনেক বৈঠক হয়েছে, আদেশ-নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেসব বাস্তবায়িত হয়েছে খুবই কম। বিরোধী দলের ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় সরকারকে যতটা কঠোর মনে হয়েছে, টেন্ডারবাজি বন্ধে ততটাই নমনীয়। এর কারণ কি টেন্ডারবাজেরা সরকারি দলের লোক বলে? মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে টেন্ডারবাজির সঙ্গে জড়িত দলীয় নেতা-কর্মীদের বোঝানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মন্ত্রী-নেতাদের। এর চেয়ে হাস্যকর কী হতে পারে! দলীয় টেন্ডারবাজেরা কি দুগ্ধপোষ্য শিশু যে তাদের বোঝাতে হবে? টেন্ডারবাজি যে অতিশয় খারাপ কাজ, এ কথা তাদের অজানা নয়। জেনেশুনেই তারা এ অপরাধ করে চলেছে।
ক্ষমতাসীনদের আশ্রয়-প্রশ্রয় ছাড়া টেন্ডারবাজেরা দৌরাত্ম্য দেখাতে পারত না। অতীতে টেন্ডারবাজি নিয়ে বহু সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এখনো ঘটছে। যারা টেন্ডারবাজির মতো গর্হিত কাজ করতে পারে, তাদের বুঝিয়ে কোনো লাভ হবে না। আইনের যথাযথ প্রয়োগই পারে এ ধরনের অপরাধীদের নিবৃত্ত করতে। দ্বিতীয়ত, টেন্ডারবাজদের বোঝানোর কথা বলে মন্ত্রিসভা কমিটি ক্ষমতাসীন দলে তাদের উপস্থিতি স্বীকার করে নিল। কোনো গণতান্ত্রিক দলে টেন্ডারবাজ-চাঁদাবাজেরা থাকে কী করে? আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি তাদের দল থেকেও বহিষ্কার করতে হবে।
বিরোধী দলের ষড়যন্ত্রকারীদের চেয়ে সরকারদলীয় টেন্ডারবাজেরা যে কম বিপজ্জনক নয়, তা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিকে বুঝতে হবে। কেউ ষড়যন্ত্র করলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। সেখানে একজনকে পাকড়াও করা এবং অন্যজনকে বোঝানো—এই দ্বৈত নীতি চলতে পারে না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বর্ণিত ষড়যন্ত্রকারীরা ধরা পড়ুক, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক, তা সবার কাম্য। কিন্তু ক্ষমতাসীন দলের যেসব নেতা-কর্মী টেন্ডারবাজির সঙ্গে জড়িত, তাদের ছাড় দেওয়া যাবে না। তারা দেশ ও জাতির জন্য ক্ষতিকর।
No comments