'তত্ত্বাবধায়ক মানলেই সম্ভব'

নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি মেনে নিলেই বিএনপি সরকারের সঙ্গে সংলাপে বসতে রাজি বলে জানিয়েছেন দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, 'আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট, নির্দলীয় সরকারের বিষয়ে সরকারের সঙ্গে যেকোনো স্থানে আলোচনা কিংবা সংলাপে বসতে আমরা প্রস্তুত আছি।'


তিনি বলেন, 'বিএনপি কখনো সংঘাত চায় না, সমঝোতা ও সংলাপে বিশ্বাসী। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে- সেই বিষয়টি সরকারকে নীতিগতভাবে মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিতে হবে।'
গতকাল বুধবার আদাবরে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদের বাসায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন। কারাবন্দি রুহুল কবির রিজভীর পরিবারের খোঁজখবর নিতে সকালে তাঁর বাসায় যান ফখরুল। ওই সময় তিনি রিজভীর স্ত্রী আরজুমান্দ বানু আইভীসহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে তাদের খোঁজখবর নেন। হরতাল চলাকালে দুটি ঘটনায় দুটি মামলায় গত ৩০ এপ্রিল রিজভীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরের দিন তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকার গত বছর সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বিলুপ্ত করেছে। এর পর থেকেই বিএনপি তা পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। সংসদে ফেরার শর্ত হিসেবে এই দাবি উত্থাপন করা হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার তাতে সাড়া দেয়নি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশে জরিপ চালানো হলে দেখা যাবে, শতকরা ৯০ ভাগ মানুষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চায়। তাই সরকার যত কৌশলই করুক, নির্দলীয় সরকার ছাড়া কোনো দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না। কোনো দলীয় সরকারের অধীনে বিএনপিও নির্বাচনে অংশ নেবে না।
গ্রেপ্তার এড়ানোর বিষয়টি শতভাগ সঠিক ছিল বলে দাবি করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, 'গ্রেপ্তার এড়ানোর কৌশলটি আমাদের রাজনৈতিক আন্দোলনের কৌশল ছিল। যুগে যুগে রাজনৈতিক নেতারা সরকারের দমন-পীড়ন, মিথ্যা মামলা ও হয়রানি মোকাবিলায় গ্রেপ্তার এড়ানোর কৌশল নেওয়ার অনেক নজির রয়েছে।' ফখরুল বলেন, স্বৈরাচার এরশাদের আমলে গুলিবিদ্ধ রিজভী এমনিতেই অসুস্থ। গ্রেপ্তারের পর তাঁকে চার দিন এক কাপড়ে কারাগারে দিন কাটাতে হয়েছে। তাঁকে কোনো ডিভিশন দেওয়া হয়নি। মেঝেতে ঘুমাতে হচ্ছে। অবিলম্বে রিজভীর মুক্তি দাবি করেন তিনি।
সন্ধ্যায় রতনের বাসায় : হরতালে সচিবালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের মামলায় জেলহাজতে আটক বিএনপি নেতা কামরুজ্জামান রতনের বাসায় যান দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মহাখালী ডিওএইচএসের ওই বাসায় গতকাল সন্ধ্যায় রতনের স্ত্রী নূরে জান্নাতের সঙ্গে দেখা করে তাকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান তিনি।

No comments

Powered by Blogger.