শ্রদ্ধাঞ্জলি-লতিফ ভাই স্মৃতিতে অম্লান by রেহানা আশিকুর রহমান
বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের ফল্গুধারা বিকশিত করেছিল বাঙালি সত্তাকে ও বাঙালির অদম্য সাহস, গান ও কবিতাকে এবং সেই ধারাকে ধারণ করে বেড়ে উঠেছিলেন আব্দুল লতিফ—যাঁকে বড় ও ছোট সবাই লতিফ ভাই হিসেবে জানত। আব্দুল লতিফ মনেপ্রাণে বাঙালি ছিলেন। দেখতে, চলনে, বলনে শতভাগ বাঙালি।
ছোটবেলা থেকে তিনি ছিলেন স্বভাব গীতিকার, স্বভাব গায়ক। মনের আনন্দে গান গাইতেন, লিখতেন, সুর দিতেন। বাংলার তরুলতা, প্রকৃতি, নদী, গ্রাম, সাধারণ সরল মানুষেরা তাঁর গানে জীবন্ত হয়ে উঠত। ১৯৫২-এর পরে তিনি গেয়ে উঠলেন, ‘ওরা আমার মুখের ভাষা কাইড়া নিতে চায়’। তিনিই প্রথম সুর দিয়েছিলেন ও গেয়েছিলেন আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরীর অমর গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’। ১৯৫৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষাশহীদদের স্মরণে ঢাকা কলেজের একটি অনুষ্ঠানে নিজের সুরে গাওয়া ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ মানুষের মনে গভীর দাগ কেটেছিল ও আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। পরে সে গানে তাঁর অনুমতি নিয়ে নতুন করে সুর দিয়েছেন শহীদ আলতাফ মাহমুদ।
৩০ আগস্ট ’৭১ আলতাফ মাহমুদকে তাঁর বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেল মিলিটারিরা। তার আগে প্রায়ই লতিফ ভাই আলতাফ মাহমুদের বাড়িতে যেতেন। মালিবাগে অবস্থিত আরোগ্য নিকেতন থেকে হেঁটেই যেতেন। গোপনে তাঁর সঙ্গে বসে মুক্তিযুদ্ধের গান লিখতেন। আলতাফ মাহমুদ সুর দিতেন। শত অত্যাচারেও আলতাফ মাহমুদ লতিফ ভাই বা অন্য কারোর নাম প্রকাশ করেননি। লতিফ ভাই এই কৃতজ্ঞতা জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বয়ে বেড়িয়েছেন এবং মাঝে মাঝে আবেগ-আপ্লুত হয়ে কেঁদে ফেলতেন।
আব্দুল লতিফ বরিশালের রায়পাশা গ্রামে অবারিত প্রকৃতির কোলে ১৯২৭ সালে ২৭ জুন জন্মগ্রহণ করেন। সাঁতার কেটে, দিন-রাত দুরন্তপনা করে, প্রকৃতির সজীবতায় সিক্ত হয়ে তিনি তাঁর স্কুলজীবন শুরু করেন। গ্রামের প্রাইমারি স্কুল থেকে স্কুলে উত্তরণ কিন্তু গান ও সুর তাঁকে সব সময়ই টেনে নিয়ে যেত তাঁর নিজস্ব নিভৃত জগতে। তিনি হারিয়ে যেতেন প্রকৃতির মধ্যে, যেখানে অন্তর্নিহিত তাল ও লয়ের ঐকতান চলছে। বাস্তবিকই তিনি ছিলেন স্বভাব সংগীতপিপাসু।
বরিশাল থেকে তিনি চলে গেলেন কলকাতায়। অনেক চড়াই-উতড়াই পেরিয়ে চলে আসেন ঢাকায়, সে সময় অনেক বড় সংগীতজ্ঞদের সান্নিধ্যে এসেছিলেন তিনি। আব্দুল হালিম চৌধুরী, শেখ লুত্ফর রহমান, বেদারুদ্দিন আহমদ, হুসনা বানু খানম, লায়লা আর্জুমান্দ বানু, অজিত রায়, কলিম শরাফীর মতো গুণী শিল্পীদের সঙ্গে তাঁর আন্তরিক ও হূদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠল। ১৯৪৮ সালেই প্রথম বেতারে গাইলেন, ‘কবরী বাঁধিব করবী আনিয়া দাও’...।
আব্দুল লতিফ কর্মজীবন শুরু করেন ১৯৪৮ সালে রেডিও পাকিস্তানের সংগীত প্রযোজক হিসেবে। চাকরির সঙ্গে চলতে থাকে সংগীত সাধনা। আব্দুল হালিম চৌধুরী ও অন্যদের পীড়াপীড়িতে গান লেখা শুরু করলেন। তাঁর কলম থেকে অনলসভাবে আসতে লাগল পল্লিগীতি, প্রকৃতির গান, দেশের গান এমনকি আধুনিক গান। জাদুকরী কণ্ঠের অধিকারী আব্দুল আলীম একের পর এক লতিফ ভাইয়ের লেখা, সুর করা গান গাইতে থাকলেন। আব্দুল লতিফের গানগুলো আব্দুল আলীমের দরাজ গলায় আরও গতি পেল। সেগুলোর ডিস্ক রেকর্ডও বের হলো। হাটে, মাঠে, ঘাটে লতিফ ভাইয়ের গান আব্দুল আলীমের কণ্ঠে বাজতে থাকল। আব্দুল আলীমের গাওয়া উল্লেখযোগ্য গানগুলোর মধ্যে ‘দুয়ারে আইসাছে পালকি’, ‘সর্বনাশা পদ্মা নদী’, ‘দোল দোল দোলনী’, ‘আমার দেশের মতন এমন দেশ কি কোথায় আছে’, ‘মনে বড় আশা ছিল যাব মদিনায়’, ‘পরের জাগা পরের জমি/ঘর বানাইয়া আমি রই/আমি তো সেই ঘরের মালিক নই’...।
এটা হয়তো অনেকেই জানেন না, ষাটের দশকে আব্দুল লতিফের সুর করা বেশ কিছু মিষ্টি আধুনিক গান খুবই জনপ্রিয় হয়েছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয়, স্টুডিওতে রেকর্ডকৃত তাঁর অনেক গান সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা হয়নি বলে ক্রমে হারিয়ে গেছে।
আব্দুল লতিফ রেডিওতে ‘সংগীত শিক্ষার আসর’ও পরিচালনা করতেন। সে আসরেও তাঁর অনেক ছাত্রছাত্রী ছিল। রেডিওর খেলাঘরে যে গানগুলো গাইতাম, প্রায় সবই ছিল লতিফ ভাইয়ের লেখা ও সুর করা।
আব্দুল লতিফ বহু চলচ্চিত্রের গান লিখেছেন ও সুর দিয়েছেন। শহীদ আলতাফ মাহমুদ যেসব চলচ্চিত্রে সংগীত পরিচালক ছিলেন, প্রায় সবগুলোতেই আব্দুল লতিফের লেখা ও সুর করা গান থাকত।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৪ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে গণসংযোগ বিভাগের উপপরিচালক সংগীত হিসেবে অন্যরূপে আমরা আব্দুল লতিফকে দেখলাম। বঙ্গবন্ধু নিজে ডেকে নিয়ে তাঁকে ওই কাজ দিলেন। গ্রামগঞ্জে তিনি মাঠের, চাষের, মানুষের উন্নয়নের, পরিবার পরিকল্পনার, দেশ উত্তরণের গান গেয়ে বেড়াতেন। তাঁর দল নিয়ে তিনি দেশ চষে বেড়িয়েছেন।
লতিফ ভাই ক্রমে একুশে পদক, স্বাধীনতা পদক, বাংলা একাডেমী ফেলোশিপ, মেরিল-প্রথম আলো আজীবন সম্মাননা, আলতাফ মাহমুদ স্বর্ণপদক, মাহবুবউল্লাহ-জেবুন্নেসা ট্রাস্ট পদক, শিল্পকলা একাডেমী গুণীজন সম্মাননা ও আরও অনেক পদকে ভূষিত হয়েছিলেন। পাকিস্তানে তিনি তম্ঘায়ে ইমতিয়াজ পেয়েছিলেন যা পরে তিনি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।
আব্দুল লতিফ একজন স্নেহশীল পিতা ও স্বামী ছিলেন। তাঁর আরেকটি বড় সাফল্য, তাঁর চার ছেলেমেয়ে লেখাপড়া শিখেছে। তাঁর বড় ছেলে সিরাজুল সালেকিন প্রখ্যাত রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে পেশাগত কারণে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে অবস্থান করছে। সেখানে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে তুলে ধরার চেষ্টা করছে। বড় মেয়ে সায়মা ও ছোট মেয়ে সায়রা, ছোট ছেলে শামসুল আরেফিন ঢাকাতেই আছে ও ব্যবসা করছে।
ভাষার মাসেই ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৫ তারিখে নীরবে নিভৃতে তিনি চলে গেলেন। বস্তুত বাঙালির হাসি, কান্না, প্রেম, ভালোবাসা, মিলনে বিরহে, দেশপ্রেমের একাগ্রতায়, দায়িত্ববোধে, জারি, সারি, ভাটিয়ালির সুরে, মাটি ও মানুষের ঘনিষ্ঠ আব্দুল লতিফ জাগ্রত ও জীবন্ত আছেন। প্রিয় লতিফ ভাই আমাদের স্মৃতিতে অম্লান।
৩০ আগস্ট ’৭১ আলতাফ মাহমুদকে তাঁর বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেল মিলিটারিরা। তার আগে প্রায়ই লতিফ ভাই আলতাফ মাহমুদের বাড়িতে যেতেন। মালিবাগে অবস্থিত আরোগ্য নিকেতন থেকে হেঁটেই যেতেন। গোপনে তাঁর সঙ্গে বসে মুক্তিযুদ্ধের গান লিখতেন। আলতাফ মাহমুদ সুর দিতেন। শত অত্যাচারেও আলতাফ মাহমুদ লতিফ ভাই বা অন্য কারোর নাম প্রকাশ করেননি। লতিফ ভাই এই কৃতজ্ঞতা জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বয়ে বেড়িয়েছেন এবং মাঝে মাঝে আবেগ-আপ্লুত হয়ে কেঁদে ফেলতেন।
আব্দুল লতিফ বরিশালের রায়পাশা গ্রামে অবারিত প্রকৃতির কোলে ১৯২৭ সালে ২৭ জুন জন্মগ্রহণ করেন। সাঁতার কেটে, দিন-রাত দুরন্তপনা করে, প্রকৃতির সজীবতায় সিক্ত হয়ে তিনি তাঁর স্কুলজীবন শুরু করেন। গ্রামের প্রাইমারি স্কুল থেকে স্কুলে উত্তরণ কিন্তু গান ও সুর তাঁকে সব সময়ই টেনে নিয়ে যেত তাঁর নিজস্ব নিভৃত জগতে। তিনি হারিয়ে যেতেন প্রকৃতির মধ্যে, যেখানে অন্তর্নিহিত তাল ও লয়ের ঐকতান চলছে। বাস্তবিকই তিনি ছিলেন স্বভাব সংগীতপিপাসু।
বরিশাল থেকে তিনি চলে গেলেন কলকাতায়। অনেক চড়াই-উতড়াই পেরিয়ে চলে আসেন ঢাকায়, সে সময় অনেক বড় সংগীতজ্ঞদের সান্নিধ্যে এসেছিলেন তিনি। আব্দুল হালিম চৌধুরী, শেখ লুত্ফর রহমান, বেদারুদ্দিন আহমদ, হুসনা বানু খানম, লায়লা আর্জুমান্দ বানু, অজিত রায়, কলিম শরাফীর মতো গুণী শিল্পীদের সঙ্গে তাঁর আন্তরিক ও হূদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠল। ১৯৪৮ সালেই প্রথম বেতারে গাইলেন, ‘কবরী বাঁধিব করবী আনিয়া দাও’...।
আব্দুল লতিফ কর্মজীবন শুরু করেন ১৯৪৮ সালে রেডিও পাকিস্তানের সংগীত প্রযোজক হিসেবে। চাকরির সঙ্গে চলতে থাকে সংগীত সাধনা। আব্দুল হালিম চৌধুরী ও অন্যদের পীড়াপীড়িতে গান লেখা শুরু করলেন। তাঁর কলম থেকে অনলসভাবে আসতে লাগল পল্লিগীতি, প্রকৃতির গান, দেশের গান এমনকি আধুনিক গান। জাদুকরী কণ্ঠের অধিকারী আব্দুল আলীম একের পর এক লতিফ ভাইয়ের লেখা, সুর করা গান গাইতে থাকলেন। আব্দুল লতিফের গানগুলো আব্দুল আলীমের দরাজ গলায় আরও গতি পেল। সেগুলোর ডিস্ক রেকর্ডও বের হলো। হাটে, মাঠে, ঘাটে লতিফ ভাইয়ের গান আব্দুল আলীমের কণ্ঠে বাজতে থাকল। আব্দুল আলীমের গাওয়া উল্লেখযোগ্য গানগুলোর মধ্যে ‘দুয়ারে আইসাছে পালকি’, ‘সর্বনাশা পদ্মা নদী’, ‘দোল দোল দোলনী’, ‘আমার দেশের মতন এমন দেশ কি কোথায় আছে’, ‘মনে বড় আশা ছিল যাব মদিনায়’, ‘পরের জাগা পরের জমি/ঘর বানাইয়া আমি রই/আমি তো সেই ঘরের মালিক নই’...।
এটা হয়তো অনেকেই জানেন না, ষাটের দশকে আব্দুল লতিফের সুর করা বেশ কিছু মিষ্টি আধুনিক গান খুবই জনপ্রিয় হয়েছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয়, স্টুডিওতে রেকর্ডকৃত তাঁর অনেক গান সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা হয়নি বলে ক্রমে হারিয়ে গেছে।
আব্দুল লতিফ রেডিওতে ‘সংগীত শিক্ষার আসর’ও পরিচালনা করতেন। সে আসরেও তাঁর অনেক ছাত্রছাত্রী ছিল। রেডিওর খেলাঘরে যে গানগুলো গাইতাম, প্রায় সবই ছিল লতিফ ভাইয়ের লেখা ও সুর করা।
আব্দুল লতিফ বহু চলচ্চিত্রের গান লিখেছেন ও সুর দিয়েছেন। শহীদ আলতাফ মাহমুদ যেসব চলচ্চিত্রে সংগীত পরিচালক ছিলেন, প্রায় সবগুলোতেই আব্দুল লতিফের লেখা ও সুর করা গান থাকত।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৪ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে গণসংযোগ বিভাগের উপপরিচালক সংগীত হিসেবে অন্যরূপে আমরা আব্দুল লতিফকে দেখলাম। বঙ্গবন্ধু নিজে ডেকে নিয়ে তাঁকে ওই কাজ দিলেন। গ্রামগঞ্জে তিনি মাঠের, চাষের, মানুষের উন্নয়নের, পরিবার পরিকল্পনার, দেশ উত্তরণের গান গেয়ে বেড়াতেন। তাঁর দল নিয়ে তিনি দেশ চষে বেড়িয়েছেন।
লতিফ ভাই ক্রমে একুশে পদক, স্বাধীনতা পদক, বাংলা একাডেমী ফেলোশিপ, মেরিল-প্রথম আলো আজীবন সম্মাননা, আলতাফ মাহমুদ স্বর্ণপদক, মাহবুবউল্লাহ-জেবুন্নেসা ট্রাস্ট পদক, শিল্পকলা একাডেমী গুণীজন সম্মাননা ও আরও অনেক পদকে ভূষিত হয়েছিলেন। পাকিস্তানে তিনি তম্ঘায়ে ইমতিয়াজ পেয়েছিলেন যা পরে তিনি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।
আব্দুল লতিফ একজন স্নেহশীল পিতা ও স্বামী ছিলেন। তাঁর আরেকটি বড় সাফল্য, তাঁর চার ছেলেমেয়ে লেখাপড়া শিখেছে। তাঁর বড় ছেলে সিরাজুল সালেকিন প্রখ্যাত রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে পেশাগত কারণে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে অবস্থান করছে। সেখানে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে তুলে ধরার চেষ্টা করছে। বড় মেয়ে সায়মা ও ছোট মেয়ে সায়রা, ছোট ছেলে শামসুল আরেফিন ঢাকাতেই আছে ও ব্যবসা করছে।
ভাষার মাসেই ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৫ তারিখে নীরবে নিভৃতে তিনি চলে গেলেন। বস্তুত বাঙালির হাসি, কান্না, প্রেম, ভালোবাসা, মিলনে বিরহে, দেশপ্রেমের একাগ্রতায়, দায়িত্ববোধে, জারি, সারি, ভাটিয়ালির সুরে, মাটি ও মানুষের ঘনিষ্ঠ আব্দুল লতিফ জাগ্রত ও জীবন্ত আছেন। প্রিয় লতিফ ভাই আমাদের স্মৃতিতে অম্লান।
No comments