শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্যাম্প স্থাপন চলবে না-শ্রেণীকক্ষে পুলিশ ক্যাম্প
কোথাও পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপনের দরকার হলে সাধারণত বেছে নেওয়া হয় স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে। নানা সময়ে এমন ঘটতে দেখা গেছে। শিক্ষাঙ্গনে পুলিশের ক্যাম্প স্থাপনের ফলে শিক্ষা কার্যক্রমের ওপর কী প্রভাব পড়ে, সেটা বিবেচনায় আনা হয় না বলে মনে হয়।
আর একবার কোথাও আসন গেড়ে বসলে জায়গাটা যেন তাদের নিজেদের হয়ে পড়ে। শিক্ষাকে গুরুত্বের সঙ্গে না নেওয়া অনেকাংশে এ জন্য দায়ী।
গত সোমবারের প্রথম আলোতে এমনই এক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কথা প্রকাশিত হয়েছে। মাত্র ছয় মাসের কথা বলে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার কাতলাগাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপনের পর ছয় বছর কেটে গেছে। কিন্তু পুলিশ এখনো দখল করে আছে বিদ্যালয়টির কয়েকটি কক্ষ। শুধু তা-ই নয়, বিদ্যালয়ের ওপর তারা চাপিয়ে দিচ্ছে তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। এতে যে পাঠদানসহ শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে, তা পুলিশ প্রশাসনের অজানা থাকার কথা নয়। তবু এত দিনে ক্যাম্প সরিয়ে না নেওয়া দুঃখজনক। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জায়গা দখল করে পুলিশের অবস্থানের অনেক উদাহরণ পাওয়া যায়। শুধু প্রাথমিক বিদ্যালয় নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবনও পুলিশের দখলে থাকার অভিযোগ আছে।
পুলিশ ক্যাম্পে যে ধরনের কার্যক্রম চালানো হয়, তা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশের সঙ্গে একেবারেই মানানসই নয়। পুলিশ বা অন্য কোনো বাহিনীর ক্যাম্প স্থাপনের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আমরা উপযুক্ত জায়গা মনে করি না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্যাম্প স্থাপনের এমন মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসা দরকার। স্থানীয় জনগণ জায়গার ব্যবস্থা করলে তাঁরা বিদ্যালয় ভবন ছেড়ে দেবেন—শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার এ বক্তব্যও গ্রহণযোগ্য নয়। ক্যাম্প স্থাপনের জন্য উপযুক্ত জায়গার ব্যবস্থা করতে হবে পুলিশ কর্তৃপক্ষকেই। আমরা প্রত্যাশা করি, কাতলাগাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পুলিশের ক্যাম্পটি অবিলম্বে সরিয়ে নেওয়া হবে।
গত সোমবারের প্রথম আলোতে এমনই এক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কথা প্রকাশিত হয়েছে। মাত্র ছয় মাসের কথা বলে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার কাতলাগাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপনের পর ছয় বছর কেটে গেছে। কিন্তু পুলিশ এখনো দখল করে আছে বিদ্যালয়টির কয়েকটি কক্ষ। শুধু তা-ই নয়, বিদ্যালয়ের ওপর তারা চাপিয়ে দিচ্ছে তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। এতে যে পাঠদানসহ শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে, তা পুলিশ প্রশাসনের অজানা থাকার কথা নয়। তবু এত দিনে ক্যাম্প সরিয়ে না নেওয়া দুঃখজনক। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জায়গা দখল করে পুলিশের অবস্থানের অনেক উদাহরণ পাওয়া যায়। শুধু প্রাথমিক বিদ্যালয় নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবনও পুলিশের দখলে থাকার অভিযোগ আছে।
পুলিশ ক্যাম্পে যে ধরনের কার্যক্রম চালানো হয়, তা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশের সঙ্গে একেবারেই মানানসই নয়। পুলিশ বা অন্য কোনো বাহিনীর ক্যাম্প স্থাপনের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আমরা উপযুক্ত জায়গা মনে করি না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্যাম্প স্থাপনের এমন মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসা দরকার। স্থানীয় জনগণ জায়গার ব্যবস্থা করলে তাঁরা বিদ্যালয় ভবন ছেড়ে দেবেন—শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার এ বক্তব্যও গ্রহণযোগ্য নয়। ক্যাম্প স্থাপনের জন্য উপযুক্ত জায়গার ব্যবস্থা করতে হবে পুলিশ কর্তৃপক্ষকেই। আমরা প্রত্যাশা করি, কাতলাগাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পুলিশের ক্যাম্পটি অবিলম্বে সরিয়ে নেওয়া হবে।
No comments