তিস্তা চুক্তি অনিশ্চিত!
ভারতের সঙ্গে প্রস্তাবিত তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষর নিয়ে অনিশ্চয়তা ক্রমেই জোরালো হচ্ছে। গত সোমবার দিল্লিতে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ পরামর্শক কমিশনের বৈঠকের দুই দিন পর গতকাল বুধবার রাতে ভারতীয় উচ্চপদস্থ সূত্রগুলোর উদ্ধৃতি দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনিকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে তিস্তা চুক্তি আপাতত হচ্ছে না।
ঢাকায় কূটনৈতিক সূত্রগুলোও জানায়, তিস্তা নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটার কোনো খবর তাদের জানা নেই। আর তিস্তা চুক্তি না হলে ভারত ট্রানজিটের সুবিধাও পুরোপুরি পাবে না বলে সূত্রগুলো জানিয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, ভারতের ক্ষমতাসীন কংগ্রেস সরকার তার শরিকদের কারণে আপাতত তিস্তা চুক্তি করতে পারছে না। তিস্তা চুক্তি না হলে বাংলাদেশ যে ভারতকে ট্রানজিট সুবিধা দেবে না, তা ধরে নিয়েই দিল্লি মিয়ানমারের কালাদান নদীর ভেতর দিয়ে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে মিজোরামকে সংযুক্তির কাজে দিয়েছে। দিল্লির সূত্রটি বিবিসিকে বলেছে, 'এতে ভারতের খরচ বাড়বে, কিন্তু এ ছাড়া কোনো রাস্তা নেই।'
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি গত সোম ও মঙ্গলবার দিল্লি সফরকালে অত্যন্ত কড়া ভাষায় ভারতের সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, তিস্তা চুক্তি না হলে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক 'প্রবলভাবে ধাক্কা খাবে'।
উল্লেখ্য, গত রবিবার ঢাকা সফরকালে ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায় তিস্তা চুক্তি নিয়ে শরিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিরোধের কথা উল্লেখ করে কিছুটা দেরি হওয়ার আশঙ্কা করেছিলেন। তবে দিল্লিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনিকে তিস্তা চুক্তি আপাতত সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে বিবিসি জানিয়েছে।
সূত্রগুলো জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শর্ত অনুযায়ী গত ফেব্রুয়ারি মাসে তিস্তা চুক্তির খসড়ায় পরিবর্তন আনতে চেয়েছিল দিল্লি। অন্যদিকে জাতীয় স্বার্থে চুক্তির বিষয়ে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া সম্ভব নয় বলে ঢাকার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল। ঢাকা চায় আগের খসড়া অনুযায়ীই চুক্তি করতে। এর ফলে দৃশ্যত দুই পক্ষের কোনো একপক্ষ তার অবস্থান না বদলানোয় ওই চুক্তি স্বাক্ষরই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শর্ত মেনে তিস্তার গজলডোবা পয়েন্ট থেকে ৫০ শতাংশ পানি না দিয়ে ২৫ শতাংশ দিতে চায় ভারত। গজলডোবার পর বিশেষ কৌশলে আরো ২৫ শতাংশ পানি যোগ করে বাংলাদেশকে দিতে চায়। ভারতের বিবেচনাধীন ওই কৌশলের বাস্তবতা নিয়ে যেমন প্রশ্ন আছে তেমনি আছে বাংলাদেশের কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ পানি না পাওয়ার ঝুঁকি। কেননা পানির পরিমাণ কিউসেকে উল্লেখ করতে চায় না ভারত।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানায়, বাংলাদেশ এত দিন ধরে জোর দিয়ে বলে আসছে যে হিস্যা অনুযায়ী ৬ সেপ্টেম্বর চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, তার কোনো পরিবর্তন মানবে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, তিস্তার পানি সমান ভাগ হবে- এমনটাই আশা করে বাংলাদেশ। এ দেশকে ৫০ শতাংশ পানি দেওয়ার মতো প্রবাহ তিস্তায় আছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ নিয়ে তিনি পানি বিশেষজ্ঞ কল্যাণ রুদ্রের নেতৃত্বে একটি কমিশনও গঠন করেন। ওই কমিশন এখনো প্রতিবেদন জমা দেয়নি বলেই জানা গেছে। কিন্তু তার আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শর্তে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তির খসড়া বদলাতে দিল্লির আগ্রহের যে তথ্য আসছে, তা উদ্বেগজনক।
উল্লেখ্য, গত ৬ সেপ্টেম্বর ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরেই তিস্তার পানিবণ্টনে অন্তর্বর্তী চুক্তি হবে বলে আশা করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দৃশ্যত মমতা মুখোপাধ্যায়ের আপত্তির কারণে শেষ পর্যন্ত ওই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি। এর প্রভাব পুরো সফরটির ওপরেই। মনমোহন সিং গত ৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিস্তা চুক্তি না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই সফরের পর থেকেই তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে ভারতকে চাপ দিয়ে আসছেন এবং মনমোহনের সফরেই ওই চুক্তি না হওয়ায় বাংলাদেশের জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি বলেও উল্লেখ করেছেন।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো ভারতের অবস্থান বদলকে কৌশল হিসেবে উল্লেখ করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কূটনীতিক কালের কণ্ঠকে বলেন, তিস্তা নিয়ে যখন স্থবিরতা চলছিল তখন হঠাৎ ভারত আবার টিপাইমুখ প্রকল্প নিয়ে উদ্যোগী হয়ে উঠেছে বলে খবর আসে। অভিন্ন নদীতে প্রকল্প শুরুর বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার আগে বাংলাদেশকে না জানানোর ব্যাখ্যাও দাবি করে ঢাকা। কিন্তু দিল্লি এর কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি।
গত সোমবার দিল্লিতে যৌথ কমিশনের বৈঠক শেষে টিপাইমুখ নিয়ে যৌথ সমীক্ষার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এলেও এবার তিস্তা চুক্তি আপাতত না হওয়ার জোর সম্ভাবনার কথা প্রকাশ পেল।
বাংলাদেশ আশাহত হবে, বিরোধীরা লাভবান হবে : তিস্তা চুক্তি শিগগিরই না হলে বাংলাদেশ আশাহত এবং এ দেশে সরকারবিরোধীরা লাভবান হবে বলে মনে করেন আঞ্চলিক রাজনীতি ও কৌশলগত বিষয়ের বিশ্লেষক আবদুর রব খান। গত রাতে তিনি বিবিসিকে বলেন, ২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের সময়ই একটি অন্তর্বর্তীকালীন তিস্তা চুক্তি হওয়ার কথা ছিল। কিন্ত সে সময় ভারতের দিক থেকে বলা হয়, রাজ্য নির্বাচনের সময় এটা করা যাবে না। মনমোহন সিং যখন ঢাকায় আসছেন তখন উপনির্বাচনের কথা বলা হয়। এখন দেখা যাচ্ছে, সামনে ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। একটি গণতান্ত্রিক দেশে তো নির্বাচনের চক্র থাকবেই। কিন্তু তার জন্য যদি বিদেশের ক্ষেত্রে বা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে প্রভাব পড়ে তাহলে এটা অত্যন্ত দুঃখজনক হবে।
আবদুর রব খান বলেন, 'তিস্তা চুক্তি না হলে বিরোধী দল মুখ্য অস্ত্র পেয়ে যাবে। তারা সরকারের সমালোচনা করবে কারণ এটা তাদের প্রতিশ্রুতি ছিল। এ ছাড়া দেশে সরকারের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ অন্য শক্তিগুলোও বলার সুযোগ পাবে যে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে এত কথা বলা হলো কিন্তু কিছুই হলো না।'
তিনি বলেন, 'ভারত হয়তো সরাসরি তিস্তার ব্যাপারে না করবে না। সরকার বিভিন্ন সময় বলেছে, তিন মাসের মধ্যে বা শিগগিরই তিস্তা চুক্তি হবে। নিঃসন্দেহে চুক্তি না হলে সরকারকে এ জন্য সমস্যায় পড়তে হবে।'
বিবিসি জানিয়েছে, ভারতের ক্ষমতাসীন কংগ্রেস সরকার তার শরিকদের কারণে আপাতত তিস্তা চুক্তি করতে পারছে না। তিস্তা চুক্তি না হলে বাংলাদেশ যে ভারতকে ট্রানজিট সুবিধা দেবে না, তা ধরে নিয়েই দিল্লি মিয়ানমারের কালাদান নদীর ভেতর দিয়ে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে মিজোরামকে সংযুক্তির কাজে দিয়েছে। দিল্লির সূত্রটি বিবিসিকে বলেছে, 'এতে ভারতের খরচ বাড়বে, কিন্তু এ ছাড়া কোনো রাস্তা নেই।'
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি গত সোম ও মঙ্গলবার দিল্লি সফরকালে অত্যন্ত কড়া ভাষায় ভারতের সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, তিস্তা চুক্তি না হলে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক 'প্রবলভাবে ধাক্কা খাবে'।
উল্লেখ্য, গত রবিবার ঢাকা সফরকালে ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায় তিস্তা চুক্তি নিয়ে শরিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিরোধের কথা উল্লেখ করে কিছুটা দেরি হওয়ার আশঙ্কা করেছিলেন। তবে দিল্লিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনিকে তিস্তা চুক্তি আপাতত সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে বিবিসি জানিয়েছে।
সূত্রগুলো জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শর্ত অনুযায়ী গত ফেব্রুয়ারি মাসে তিস্তা চুক্তির খসড়ায় পরিবর্তন আনতে চেয়েছিল দিল্লি। অন্যদিকে জাতীয় স্বার্থে চুক্তির বিষয়ে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া সম্ভব নয় বলে ঢাকার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল। ঢাকা চায় আগের খসড়া অনুযায়ীই চুক্তি করতে। এর ফলে দৃশ্যত দুই পক্ষের কোনো একপক্ষ তার অবস্থান না বদলানোয় ওই চুক্তি স্বাক্ষরই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শর্ত মেনে তিস্তার গজলডোবা পয়েন্ট থেকে ৫০ শতাংশ পানি না দিয়ে ২৫ শতাংশ দিতে চায় ভারত। গজলডোবার পর বিশেষ কৌশলে আরো ২৫ শতাংশ পানি যোগ করে বাংলাদেশকে দিতে চায়। ভারতের বিবেচনাধীন ওই কৌশলের বাস্তবতা নিয়ে যেমন প্রশ্ন আছে তেমনি আছে বাংলাদেশের কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ পানি না পাওয়ার ঝুঁকি। কেননা পানির পরিমাণ কিউসেকে উল্লেখ করতে চায় না ভারত।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানায়, বাংলাদেশ এত দিন ধরে জোর দিয়ে বলে আসছে যে হিস্যা অনুযায়ী ৬ সেপ্টেম্বর চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, তার কোনো পরিবর্তন মানবে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, তিস্তার পানি সমান ভাগ হবে- এমনটাই আশা করে বাংলাদেশ। এ দেশকে ৫০ শতাংশ পানি দেওয়ার মতো প্রবাহ তিস্তায় আছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ নিয়ে তিনি পানি বিশেষজ্ঞ কল্যাণ রুদ্রের নেতৃত্বে একটি কমিশনও গঠন করেন। ওই কমিশন এখনো প্রতিবেদন জমা দেয়নি বলেই জানা গেছে। কিন্তু তার আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শর্তে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তির খসড়া বদলাতে দিল্লির আগ্রহের যে তথ্য আসছে, তা উদ্বেগজনক।
উল্লেখ্য, গত ৬ সেপ্টেম্বর ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরেই তিস্তার পানিবণ্টনে অন্তর্বর্তী চুক্তি হবে বলে আশা করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দৃশ্যত মমতা মুখোপাধ্যায়ের আপত্তির কারণে শেষ পর্যন্ত ওই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি। এর প্রভাব পুরো সফরটির ওপরেই। মনমোহন সিং গত ৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিস্তা চুক্তি না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই সফরের পর থেকেই তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে ভারতকে চাপ দিয়ে আসছেন এবং মনমোহনের সফরেই ওই চুক্তি না হওয়ায় বাংলাদেশের জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি বলেও উল্লেখ করেছেন।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো ভারতের অবস্থান বদলকে কৌশল হিসেবে উল্লেখ করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কূটনীতিক কালের কণ্ঠকে বলেন, তিস্তা নিয়ে যখন স্থবিরতা চলছিল তখন হঠাৎ ভারত আবার টিপাইমুখ প্রকল্প নিয়ে উদ্যোগী হয়ে উঠেছে বলে খবর আসে। অভিন্ন নদীতে প্রকল্প শুরুর বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার আগে বাংলাদেশকে না জানানোর ব্যাখ্যাও দাবি করে ঢাকা। কিন্তু দিল্লি এর কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি।
গত সোমবার দিল্লিতে যৌথ কমিশনের বৈঠক শেষে টিপাইমুখ নিয়ে যৌথ সমীক্ষার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এলেও এবার তিস্তা চুক্তি আপাতত না হওয়ার জোর সম্ভাবনার কথা প্রকাশ পেল।
বাংলাদেশ আশাহত হবে, বিরোধীরা লাভবান হবে : তিস্তা চুক্তি শিগগিরই না হলে বাংলাদেশ আশাহত এবং এ দেশে সরকারবিরোধীরা লাভবান হবে বলে মনে করেন আঞ্চলিক রাজনীতি ও কৌশলগত বিষয়ের বিশ্লেষক আবদুর রব খান। গত রাতে তিনি বিবিসিকে বলেন, ২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের সময়ই একটি অন্তর্বর্তীকালীন তিস্তা চুক্তি হওয়ার কথা ছিল। কিন্ত সে সময় ভারতের দিক থেকে বলা হয়, রাজ্য নির্বাচনের সময় এটা করা যাবে না। মনমোহন সিং যখন ঢাকায় আসছেন তখন উপনির্বাচনের কথা বলা হয়। এখন দেখা যাচ্ছে, সামনে ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। একটি গণতান্ত্রিক দেশে তো নির্বাচনের চক্র থাকবেই। কিন্তু তার জন্য যদি বিদেশের ক্ষেত্রে বা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে প্রভাব পড়ে তাহলে এটা অত্যন্ত দুঃখজনক হবে।
আবদুর রব খান বলেন, 'তিস্তা চুক্তি না হলে বিরোধী দল মুখ্য অস্ত্র পেয়ে যাবে। তারা সরকারের সমালোচনা করবে কারণ এটা তাদের প্রতিশ্রুতি ছিল। এ ছাড়া দেশে সরকারের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ অন্য শক্তিগুলোও বলার সুযোগ পাবে যে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে এত কথা বলা হলো কিন্তু কিছুই হলো না।'
তিনি বলেন, 'ভারত হয়তো সরাসরি তিস্তার ব্যাপারে না করবে না। সরকার বিভিন্ন সময় বলেছে, তিন মাসের মধ্যে বা শিগগিরই তিস্তা চুক্তি হবে। নিঃসন্দেহে চুক্তি না হলে সরকারকে এ জন্য সমস্যায় পড়তে হবে।'
No comments