ভাবমূর্তি নষ্ট করছে হত্যা গুম হরতাল

হরতালসহ ধ্বংসাত্মক রাজনীতি, দুর্নীতি, হত্যাকাণ্ড, নিখোঁজের মতো ঘটনার কারণে বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি সংকটের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূতরা। আর এ নেতিবাচক ভাবমূর্তিতে তাঁরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।


ইউরোপীয় দিবস এবং বাংলাদেশ-ইইউ অংশীদারির ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে গতকাল বুধবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে ইইউয়ের রাষ্ট্রদূতরা এ উদ্বেগের কথা জানান। একই সঙ্গে বিদেশি কম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করতে চলমান সংকট নিরসন ও অনুকূল পরিবেশের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁরা আরো বলেছেন, সংলাপের জন্য সংসদই ভালো স্থান। বাংলাদেশে ইইউ প্রতিনিধিদলের প্রধান রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম হানার সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত আলফন্স হেনিকেন্স, জার্মানির রাষ্ট্রদূত হোলগার মিশেল, ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত সেন্দ ওলিং, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আনেলি লিনদাল কেনি, ইতালির রাষ্ট্রদূত গিয়োর্গিয়ো গুগলিয়েমিনো, স্পেনের রাষ্ট্রদূত লুইস তেদা চেকন, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন ও ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মিশেল ত্রঁকিয়ে বক্তব্য দেন।
সকালে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে বাংলাদেশ-ইইউ সহযোগিতার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম হানা। প্রশ্নোত্তর পর্বে রাজনৈতিক সংঘাত নিয়ে একে একে প্রায় সবাই তাঁদের উদ্বেগের কথা জানান।
রাজনৈতিক সংঘাত ও অস্থিতিশীলতার কারণে আগামী দিনগুলোতে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে কি না জানতে চাইলে ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন বলেন, 'আমি মনে করি, রাজপথে সহিংসতা তেমন ফলপ্রসূ উদ্যোগ নয়। এর চেয়ে অনেক ফলপ্রসূ উদ্যোগ হলো গঠনমূলক সংলাপ এবং সংলাপের জন্য গঠিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে অংশগ্রহণ।' তিনি বলেন, 'সহিংস বিক্ষোভ কেবল অর্থনীতিরই ক্ষতি করে না, এটি বাংলাদেশ সম্পর্কে প্রতিটি দৃষ্টিভঙ্গির ক্ষতি করে।' এরপর ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত সেন্দ অলিং বলেন, সংবাদপত্রে সংঘাত ও নিখোঁজের খবর বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ সম্পর্কে ধ্বংসাত্মক বার্তা দেয়। এতে বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগে নিরুৎসাহ হন। অলিং বলেন, 'হরতাল, রাজনৈতিক সংঘাত ও এ সম্পর্কিত বিষয়ে একটি পর্যবেক্ষণের কথা উল্লেখ করছি। ভাবুন, এই প্যানেলে বসা সবাই প্রতিদিন সংগ্রাম করছি আমাদের অর্থ, আমাদের কম্পানি, আমাদের ফ্যাক্টরিগুলোকে বাংলাদেশে আনতে, তাদের সামনে বাংলাদেশের জোর সম্ভাবনাকে তুলে ধরতে। সাহায্যের সম্পর্কের বদলে বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি আমরা।' তিনি বলেন, 'অনেক সময় এ দেশে সত্যিকারের ব্যবসায়ের সুযোগ বিষয়ে চমৎকার টিভি অনুষ্ঠান, ভালো নিবন্ধ দেখিয়ে আমরা সফল হই। এগুলো কেন আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমরা বিশ্বাস করি, এ দেশকে আমরা সামনের দিকে নিয়ে যেতে সহযোগিতা করছি। এ দেশ আগামী দিনে মধ্যম আয়ের দেশ হতে পারে। এ দেশের বেসরকারি খাত বিকশিত হচ্ছে। কিন্তু যখন রাস্তায় সহিংসতা, রাজনৈতিক নিখোঁজ, সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে আস্থাহীনতা ও যোগাযোগহীনতার মতো খবর পত্রিকার শিরোনাম হয়, তখন তা আমাদের জন্য বিধ্বস্ত হওয়ার মতো বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।'
অলিং বলেন, 'হ্যাঁ, এগুলোর প্রভাব অবশ্যই পড়ে। আমার কাছে সবচেয়ে চিন্তার বিষয় হলো দেশের ভাবমূর্তি ও বেসরকারি খাতের প্রবৃদ্ধির জন্য বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা।'
স্পেনের রাষ্ট্রদূত লুইস তেদা চেকন জানান, বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক ভাবমূর্তি কাটাতে তাঁরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। নেতিবাচক ভাবমূর্তি না কাটাতে পারলে বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবেন এবং তা দেশের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক হবে বলে তিনি জানান।
ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মিশেল ত্রঁকিয়ে জানান, ভাবমূর্তি সংকটের কারণে ফরাসি কম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে আনা কঠিন হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশ সম্পর্কে ইতিবাচক ভাবমূর্তি গড়তে তাঁরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের দিক থেকেও এ ব্যাপারে সহযোগিতা প্রয়োজন।
জার্মানির রাষ্ট্রদূত হোলগার মিশেল বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ ও অবকাঠামো সমস্যা দূর করে বাংলাদেশে সার্বিক বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়নের ওপর জোর দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ইউরোপীয় দেশগুলোর প্রতিনিধিদের এ দেশে অনেক সফর বাতিল হয়েছে। বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিদের তাঁদের বলতে হচ্ছে, বাংলাদেশ 'ভয়ংকর' দেশ। সেখানে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে অনেক কর্মসূচি বাতিল হতে পারে।
সংলাপের আহ্বান
সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সাংবাদিকরা ইইউ বাংলাদেশ মিশনের প্রধান উইলিয়াম হানাকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের ঢাকা সফরকালে চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হওয়া উচিত বলে ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ফজলে হাসান আবেদ ও ড. মুহাম্মদ ইউনূস পরামর্শ দিয়েছেন। এ ব্যাপারে মূল্যায়ন জানতে চাইলে উইলিয়াম হানা বলেন, 'আমাদের অবস্থান হলো, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়া উচিত এবং এটি গুরুত্বপূর্ণ। আর এটি নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক দল, বিশেষ করে প্রধান দুটি দলের মধ্যে সংলাপ হওয়া উচিত।'
সবাই সংলাপের কথা বললেও এ ব্যাপারে কার এগিয়ে আসা উচিত জানতে চাইলে উইলিয়াম হানা বলেন, সংলাপের জন্য দুই পক্ষকেই প্রয়োজন। ইইউ সংলাপকে সমর্থন করে। তবে সংলাপ কিভাবে হবে, এর পরামর্শ ইইউ দেবে না। তিনি বলেন, 'সংসদ এমন একটি স্থান, যেখানে সংলাপ দেখতে ভালো লাগে। সম্প্রতি আমরা সংসদে জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক যৌথ কমিটির বৈঠকে অংশ নিয়েছি। সেখানে প্রধান দুই দলই ছিল। সেটি ছিল অত্যন্ত গঠনমূলক বৈঠক।' তিনি জানান, তাঁরা সংসদে বা সংসদের বাইরে সংলাপকে উৎসাহিত করে যাবেন। তবে তাঁরা মনে করেন, সংলাপের জন্য সংসদ ভালো স্থান।
দুই দলকে উৎসাহিত করতে ইইউ উদ্যোগ নেবে কি না জানতে চাইলে উইলিয়াম হানা বলেন, 'তাদের উৎসাহিত করতে আমরা ভূমিকা রাখব।'
সুশাসন ও মানবাধিকার
ইইউ বাংলাদেশের সুশাসন ও মানবাধিকার পরিস্থিতি কেমন দেখছে জানতে চাইলে উইলিয়াম হানা বলেন, 'আমাদের সহযোগিতার কেন্দ্রবিন্দুতে আছে মানবাধিকার। আমাদের হাইরিপ্রেজেন্টেটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যাস্টন বলেছেন, আমাদের সহযোগিতার মূল ভিত্তি হবে মানবাধিকার। অন্যদিকে বাংলাদেশের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগিতা চুক্তির মূলে আছে সর্বজনীন মানবাধিকারের ঘোষণার প্রথম অনুচ্ছেদ। আমরা এখানে যা করছি, এর ভিত্তিই সেটি।'
এরপর সুইডেনের রাষ্ট্রদূত অ্যানেলি লিনদাল কেনি বলেন, 'মানবাধিকার লঙ্ঘন হয় না বলে কোনো দেশ আয়েশ করতে পারে না। এটি আমাদের দেশগুলোর জন্যও যেমন, তেমনি বাংলাদেশের জন্যও প্রযোজ্য। তাই এ ক্ষেত্রে সচেতনতা সৃষ্টি প্রয়োজন, যাতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ীদের পার পেয়ে যাওয়ার হার কমানো যায়।'
অ্যানেলি লিনদাল বলেন, 'সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানের জন্য সরকারকে চাপে রাখতে সক্রিয় সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।'
সাম্প্রতিক সময়ে নিখোঁজ ও হত্যার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ইইউ প্রতিনিধিদলকে প্রশ্ন করা হয়, 'ইইউয়ের উন্নয়ন সহযোগিতার মূল বিষয় হলো গণতন্ত্র। ওই সব ঘটনা কি ইইউয়ের সহযোগিতার ওপর প্রভাব ফেলেছে বা ইইউয়ের সহযোগিতার ওপর ছায়া ফেলেছে? দ্বিতীয়ত, দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর আপনাদের উন্নয়ন সহযোগিতা এ দেশে কিভাবে কাজে লাগছে?' জবাবে উইলিয়াম হানা বলেন, 'আপনি যে দুটি ঘটনার ইঙ্গিত করেছেন, আমরা অবশ্যই এসব ব্যাপারে উদ্বিগ্ন। আমরা আশা করি, কর্তৃপক্ষ এসব ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করবে এবং এ ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে, সে ব্যাপারে উদ্যোগ নেবে। পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য আমরা আহ্বান জানিয়েছি।' তিনি বলেন, 'একই সঙ্গে আমরা আহ্বান জানাব সবাই যেন সংযত আচরণ করেন এবং মতবিরোধ সংলাপের মাধ্যমে নিরসন করেন।'
উইলিয়াম হানা বলেন, 'উন্নয়ন সহযোগিতা বিষয়ে আমরা চাই তা অত্যন্ত কার্যকর হোক। এক বছরের বেশি সময় আগে এ দেশে আসার পর থেকে আমাদের অনেক প্রকল্প পরিদর্শনের মাধ্যমে আমার অভিজ্ঞতা হলো, অনেক প্রকল্প খুব ভালো চলছে। সেগুলো লক্ষ্য পূরণ করছে। কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যাচ্ছে।' তিনি বলেন, 'যদি কোনো ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে, তবে আমরা অবশ্যই তা খতিয়ে দেখব। আমাদের যেকোনো উন্নয়ন সহযোগিতায় দুর্নীতিকে আমরা প্রশ্রয় দেব না। আমরা খুব নিবিড়ভাবে আমাদের উন্নয়ন সহযোগিতাগুলো পর্যবেক্ষণ করি।'
পরে নিখোঁজ হওয়াবিষয়ক অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে উইলিয়াম হানা বলেন, 'নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাগুলোতে আমরা উদ্বিগ্ন। আমরা জানি না, কেন এমনটি ঘটছে। এ সম্পর্কিত সব ঘটনার তদন্ত হওয়া উচিত।'
দুর্নীতি দমন
দুর্নীতি দমনে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) ইইউ 'কার্যকর' মনে করে কি না জানতে চাইলে উইলিয়াম হানা বলেন, 'আমরা বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন, মানবাধিকার কমিশন, তথ্য কমিশনের মতো প্রতিষ্ঠানকে সহযোগিতা করতে অত্যন্ত আগ্রহী। আমি মনে করি, শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান থাকা এবং জোরালো ভূমিকা পালন করা গুরুত্বপূর্ণ।' পদ্মা সেতু প্রকল্পে কথিত দুর্নীতি সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সুষ্ঠু তদন্ত হবে বলে তিনি আশা করেন।
এরপর নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত আলফন্স হেনিকেন্স সাংবাদিকদের বলেন, তিনি মনে করেন, 'দুর্নীতির তথ্য প্রকাশ ও অনুসন্ধানে বাংলাদেশে সাংবাদিকরা অন্যতম মুখ্য ভূমিকা পালন করে। আমি আপনাদের সক্রিয় সংবাদমাধ্যমকে দেখি। সেখানে প্রতিদিন দুর্নীতির তথ্য প্রকাশিত হয়। আমি মনে করি, সুশাসন, দুর্নীতি দমনে আপনারা (সাংবাদিকরা) যে ভূমিকা পালন করেন, তা দুর্নীতি দমন কমিশনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ।' এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, 'সমাজে দুর্নীতি আছে। আর আপনারা (সাংবাদিকরা) তা চিহ্নিত করে প্রকাশ করতে পারেন।'
ক্ষমতায় থাকাকালে সরকার সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও দুর্নীতি দমনে তেমন কিছুই করে না বলে উল্লেখ করেন নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, 'সংসদে বিএনপির বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল। এর পরও দলটির সরকার দুর্নীতি দমনে সেই সংখ্যাগরিষ্ঠতাকে কাজে লাগায়নি। এরপর এখন আওয়ামী লীগেরও সংসদে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। দলটি দুর্নীতি দমনে সহায়ক আইন প্রণয়ন করতে পারে; কিন্তু এখন পর্যন্ত তা হচ্ছে না। আমি মনে করি, বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ এবং সম্ভাব্য অবৈধ কর্মকাণ্ডকে তুলে ধরার সুযোগ সংবাদমাধ্যমের রয়েছে।' তিনি জোর দিয়ে বলেন, দাতা দেশগুলো চায় না তাদের করদাতাদের অর্থ বাংলাদেশে অবৈধভাবে ব্যয় হোক।
গ্রামীণ ব্যাংক
গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যের ব্যাপারে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত যে সমালোচনা করেছেন, সে ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করে ব্যাংকটির ব্যাপারে ইইউয়ের মনোভাব জানতে চাইলে উইলিয়াম হানা বলেন, 'অন্য কারো বক্তব্যের ব্যাপারে আমি কোনো মন্তব্য করব না। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতিনিধিরা ও আমি নিজেও অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে দেখা করেছিলাম। গ্রামীণ ব্যাংকের ভবিষ্যৎ নিয়ে আজ আমি কোনো মন্তব্য করব না।'
র‌্যাব
সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন বলেন, ব্রিটিশ সরকার র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র‌্যাব) প্রশিক্ষণ দেওয়া শেষ করেছে। র‌্যাবকে নতুন করে আবার প্রশিক্ষণ দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই।
সংবাদ সম্মেলনে ইইউ প্রতিনিধিদলের প্রধান উইলিয়াম হানা আশা করেন, মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক সংস্কার শুরু হওয়ার পর দেশটির শরণার্থীদের ফিরে যাওয়ার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হবে। অর্থনৈতিক মন্দা সত্ত্বেও ইইউয়ের বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি ২৮ শতাংশ বেড়েছে উল্লেখ করে তিনি আরো বৃদ্ধির সুযোগ আছে বলে জানান। হানা বলেন, বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে ইইউ বাংলাদেশকে বছরে ৫০ কোটি ইউরো দিচ্ছে।

No comments

Powered by Blogger.