দুই বড় দলকেই উদ্যোগ নিতে হবে by মাহবুবুর রহমান
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন ভালো কথা বলেছেন। বর্তমানে দেশে যা হচ্ছে গণতন্ত্রের জন্য তা মোটেও ভালো নয়। বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে সে জন্যই তো মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। আমাদের স্বাধীনতাও তার জন্য। এখন চারদিকে সংকট চলছে। অর্থনৈতিক ও মূল্যবোধের সংকট দেখে মনে হয় সংকটেরই দেশ এটা।
তবে সবচেয়ে বড় সংকট হচ্ছে গণতন্ত্রের। গণতন্ত্রের প্রয়োজনে একটি দেশের সরকারি দল ও বিরোধী দলের মধ্যে ন্যূনতম ভিত্তিতে কিছু বিষয়ের ব্যাপারে ঐকমত্য থাকা উচিত। এর মধ্যে সবচেয়ে আগে আসে অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠান। অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠান না হলে দেশে গণতন্ত্রের ভিত শক্ত হবে কী করে।
আমাদের এখানকার রাজনৈতিক কালচার ভালো নয়। এর জন্য আলোচনা প্রয়োজন। গণতন্ত্রের অর্থ দুয়ার বন্ধ করে রাখা নয়। দুয়ারটা খোলা হোক। সংকট মোকাবিলা করার জন্য আলোচনা করা হোক। পরস্পর আলোচনা প্রয়োজন। হিলারি ক্লিনটন এসে এ কথা বলে গেছেন। বিশ্বের বড় শক্তি হিসেবে তাঁদের অবস্থান জানিয়ে দিয়ে গেছেন। আমাদেরও এর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করতে হবে। বড় দুই দলকে এ উদ্যোগে শামিল হতে হবে। তাদেরই অনুভব করতে হবে বিষয়টি। গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টিতেও সহায়ক হতে পারে সংলাপ। আসলে মনমানসিকতার প্রয়োজন আছে। আমরা যদি নিষ্ঠাবান এবং আন্তরিক হই তাহলে অনেক কিছুই সমাধান হয়ে যাবে। আমাদের হিংসা-প্রতিহিংসা থেকে সরে আসতে হবে। বিরোধী দল জাতীয় সংসদের অংশ। গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিরোধী দল সরকারেরও অংশ। এ অংশকে কাছে টানার দায়িত্ব সরকারের। সরকার যদি মনে করে তারা কেউ না, তাহলে গণতন্ত্র দুর্বল হবেই। সংলাপের বিষয় যদি বলেন তাহলে সংলাপ অনুষ্ঠানের জন্য সরকারি দলকে উদ্যোগী ভূমিকা নিতে হবে। বিএনপি কিন্তু তার অবস্থান পরিষ্কার করে দিয়েছে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, সংলাপে প্রস্তুত।
তাহলে সংলাপে বসতে অসুবিধা কোথায়। শুধু সরকার চাইলে তা সহজ হয়ে যেতে পারে। আর সংলাপ করতে হলে দুই দলকেই আন্তরিক হতে হবে। একদল বলল সংলাপে বসব, আরেক দল চুপ করে রইল, তাহলে সংলাপ হবে কী করে। হ্যান্ডশেক করতে হলে দুই হাত একসঙ্গে মিলতে হবে। একজন হাত বাড়িয়ে দিল আরেকজন সটান দাঁড়িয়ে রইল, এতে কি আর হ্যান্ডশেক হবে? আমাদের পরমতসহিষ্ণুতা থাকতে হবে। বিরোধী দলকে কথা বলার অধিকার দিতে হবে। মামলা-হামলা, জ্বালাও-পোড়াও দিয়ে তো আর গণতন্ত্র হয় না। পুলিশি রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেও গণতন্ত্র টিকে থাকে না।
গ্রন্থনা : মোস্তফা হোসেইন
আমাদের এখানকার রাজনৈতিক কালচার ভালো নয়। এর জন্য আলোচনা প্রয়োজন। গণতন্ত্রের অর্থ দুয়ার বন্ধ করে রাখা নয়। দুয়ারটা খোলা হোক। সংকট মোকাবিলা করার জন্য আলোচনা করা হোক। পরস্পর আলোচনা প্রয়োজন। হিলারি ক্লিনটন এসে এ কথা বলে গেছেন। বিশ্বের বড় শক্তি হিসেবে তাঁদের অবস্থান জানিয়ে দিয়ে গেছেন। আমাদেরও এর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করতে হবে। বড় দুই দলকে এ উদ্যোগে শামিল হতে হবে। তাদেরই অনুভব করতে হবে বিষয়টি। গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টিতেও সহায়ক হতে পারে সংলাপ। আসলে মনমানসিকতার প্রয়োজন আছে। আমরা যদি নিষ্ঠাবান এবং আন্তরিক হই তাহলে অনেক কিছুই সমাধান হয়ে যাবে। আমাদের হিংসা-প্রতিহিংসা থেকে সরে আসতে হবে। বিরোধী দল জাতীয় সংসদের অংশ। গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিরোধী দল সরকারেরও অংশ। এ অংশকে কাছে টানার দায়িত্ব সরকারের। সরকার যদি মনে করে তারা কেউ না, তাহলে গণতন্ত্র দুর্বল হবেই। সংলাপের বিষয় যদি বলেন তাহলে সংলাপ অনুষ্ঠানের জন্য সরকারি দলকে উদ্যোগী ভূমিকা নিতে হবে। বিএনপি কিন্তু তার অবস্থান পরিষ্কার করে দিয়েছে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, সংলাপে প্রস্তুত।
তাহলে সংলাপে বসতে অসুবিধা কোথায়। শুধু সরকার চাইলে তা সহজ হয়ে যেতে পারে। আর সংলাপ করতে হলে দুই দলকেই আন্তরিক হতে হবে। একদল বলল সংলাপে বসব, আরেক দল চুপ করে রইল, তাহলে সংলাপ হবে কী করে। হ্যান্ডশেক করতে হলে দুই হাত একসঙ্গে মিলতে হবে। একজন হাত বাড়িয়ে দিল আরেকজন সটান দাঁড়িয়ে রইল, এতে কি আর হ্যান্ডশেক হবে? আমাদের পরমতসহিষ্ণুতা থাকতে হবে। বিরোধী দলকে কথা বলার অধিকার দিতে হবে। মামলা-হামলা, জ্বালাও-পোড়াও দিয়ে তো আর গণতন্ত্র হয় না। পুলিশি রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেও গণতন্ত্র টিকে থাকে না।
গ্রন্থনা : মোস্তফা হোসেইন
No comments