পদ্মা সেতু-দুর্নীতির প্রমাণ দিল বিশ্বব্যাংক
বিশ্বব্যাংক আবারও সরকারকে পদ্মা সেতু প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগে দুর্নীতির প্রমাণ দিয়েছে। দুর্নীতির প্রমাণ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের হাতে সরাসরি দেওয়া হয়েছে। এই প্রতিবেদনে দায়ী কিছু ব্যক্তির নামসহ দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট প্রমাণ রয়েছে।
বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির তথ্য দেওয়ার পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও তাগিদ দিয়েছে। সংস্থাটি বলছে, তহবিলের অর্থ পেতে হলে সরকারকে অবশ্যই দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে সরকার কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে বিকল্প অর্থ জোগাড়েই বেশি সচেষ্ট রয়েছে। এ অবস্থায় এই প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের অর্থ আপাতত সরকার পাচ্ছে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
এ নিয়ে যোগাযোগ করা হলে গতকাল বুধবার বিশ্বব্যাংকের এ দেশীয় পরিচালক অ্যালেন গোল্ডস্টেইন একটি বিবৃতি দিয়েছেন। এতে অ্যালেন বলেছেন, ‘বিশ্বব্যাংক যখন তার কোনো প্রকল্পে গুরুতর ও বিশ্বাসযোগ্য দুর্নীতির প্রমাণ পায়, তখন আমরা সদস্য দেশের সংশ্লিষ্ট সরকারের কাছে তদন্তের ফলাফল বা তথ্যাদি পেশ করি। পদ্মা সেতু প্রকল্পের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে আমরা একই পথ অনুসরণ করেছি—প্রথমে সেপ্টেম্বর ২০১১ এবং পরে আবার এপ্রিল ২০১২ সালে। আমরা প্রত্যাশা করি, কর্তৃপক্ষ যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ ও পুরোদস্তুর তদন্ত করবে এবং দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহির আওতায় আনবে।’
বিশ্বব্যাংক সূত্র জানায়, ওয়াশিংটনে অবস্থিত বিশ্বব্যাংকের দুর্নীতি প্রতিরোধ-সংক্রান্ত সংস্থা ইন্টেগ্রিটির ভাইস প্রেসিডেন্টের (আইএনটি) দপ্তর থেকে গত এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে অর্থমন্ত্রীর বাসায় গিয়ে তাঁর কাছে সর্বশেষ প্রতিবেদনটি দেওয়া হয়। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, অর্থমন্ত্রীর কাছে দেওয়া প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত বলে দুজনের নাম উল্লেখ করে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, কানাডাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এসএনসি-লাভালিন নিয়ে করা কানাডা পুলিশের তদন্তে প্রাপ্ত তথ্য এই প্রতিবেদনে রয়েছে।
সূত্র জানায়, প্রতিবেদনটি পেয়ে সরকারের তরফ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এ নিয়ে সরকার কোনো কথাও বলেনি। এ কারণে গত ১৭ এপ্রিল বিশ্বব্যাংকের অ্যালেন গোল্ডস্টেইন একটি বিবৃতি দেন। তাতে তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশ সরকারের কাছে পদ্মা সেতু প্রকল্পে গুরুতর দুর্নীতির তথ্য সেপ্টেম্বর ২০১১ থেকে প্রদান শুরু করে। বিশ্বব্যাংক নিজস্ব তদন্তে আস্থা রাখে এবং আমরা বাংলাদেশ সরকারকে জোরালো অনুরোধ করব, যেন দেশের নিজস্ব আইন অনুসারে এই গুরুতর বিষয়ে তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহির আওতায় আনে।’
এর আগে গত সেপ্টেম্বর মাসেও বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগ-সংবলিত একটি প্রতিবেদন অর্থমন্ত্রীকে দিয়েছিল। এ নিয়ে দুবার দুর্নীতি-সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দিল সংস্থাটি। প্রথম প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, সেতুর মূল অংশের প্রাক-যোগ্যতা চুক্তির প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি-সংক্রান্ত অসংখ্য অভিযোগ পেয়েছে বিশ্বব্যাংক। অভিযোগগুলো মূলত যোগাযোগমন্ত্রী ও তাঁর মালিকানাধীন কোম্পানি সাকোর শীর্ষপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। যোগাযোগমন্ত্রী ও সাকোর কর্মকর্তারা মিলে এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি করেন। সাকো হলো পদ্মা সেতু নির্মাণের যেকোনো কাজ পাইয়ে দেওয়ার ব্যাপারে একধরনের নীরব প্রতিনিধি (সাইলেন্ট এজেন্ট)। কোনো কাজ পেতে হলে বা প্রাক-যোগ্যতায় টিকতে হলে সাকোকে অর্থ দিতে হবে। সাকোর পক্ষ থেকে ঠিকাদারদের ভয়ভীতি দেখানোর কথাও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
এরপর যোগাযোগমন্ত্রীকে অন্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হলেও আর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) একটি লোকদেখানো তদন্ত করে দুর্নীতি হয়নি বললেও তা গ্রহণ করেনি বিশ্বব্যাংক।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, দুদক তো একবার তদন্ত করেছে। অধিকতর তদন্ত দরকার হলে সেটা তারা সিদ্ধান্ত নেবে। সরকার তো অভিযোগ ওঠার পর ব্যবস্থা নিয়েছে। মন্ত্রী, সচিব, প্রকল্প পরিচালককে সরিয়ে দিয়েছে। এখন বিশ্বব্যাংক চুক্তি বাতিল করতে চাইলে তাদের তো সেই সুযোগ আছে।
এর আগে ২ এপ্রিল এসএনসি-লাভালিনকে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে বিশ্বব্যাংক। এই ঘোষণার ফলে এসএনসি-লাভালিন বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত কোনো প্রকল্পে কাজ করতে পারবে না। গত বছর কানাডাভিত্তিক এসএনসি-লাভালিনকে পদ্মা সেতুর নির্মাণের কাজ তদারকির জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে বিবেচনা করেছিল যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগ। অনুমোদনের জন্য বিশ্বব্যাংকের কাছে পাঠালে দুর্নীতির অভিযোগ তোলে সংস্থাটি। এর পরই বিশ্বব্যাংক ও কানাডা পুলিশ তদন্তে নামে।
যোগাযোগ মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, দুর্নীতির বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের অনড় অবস্থানের কারণে সরকার বেকায়দায় পড়ে গেছে। সরকার নিজ থেকে চুক্তি বাতিলের জন্য চিঠি দিলে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত অন্য প্রকল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং আন্তর্জাতিকভাবে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে। অন্যদিকে দুর্নীতির দায় নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হলে দেশে-বিদেশে সমালোচনার ঝড় উঠবে।
সূত্র জানায়, গত ২০ থেকে ২২ এপ্রিল গওহর রিজভী বিশ্বব্যাংকের বসন্তকালীন অধিবেশনে যোগ দিতে গিয়ে সংস্থাটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ইসাবেল এম গুয়েরারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। কিন্তু ওই বৈঠকে জানিয়ে দেওয়া হয়, দুর্নীতির সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত বিশ্বব্যাংক অর্থ ছাড় করবে না।
এদিকে, বিশ্বব্যাংক ছাড়া এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, জাপানি ঋণদান সংস্থা জাইকা ও ইসলামিক উন্নয়ন ব্যাংকের (আইডিবি) মাধ্যমে পদ্মা সেতু প্রকল্প করা যায় কি না, সেই চেষ্টাও চলছে। গত ৩ থেকে ৫ মে ম্যানিলায় এডিবির সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। সেখানে বিকল্প অর্থায়নের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্র জানায়।
এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, মালয়েশিয়ার সঙ্গে সরকার গত ১০ এপ্রিল পদ্মা সেতু বিষয়ে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে। মালয়েশিয়া প্রকল্পের অর্থায়ন নিশ্চিত করবে। এর পরও এডিবি, জাইকা ও আইডিবি তাদের কনসোর্টিয়ামে আসতে চাইলে তারা আপত্তি করবে না বলে জানিয়েছে। মন্ত্রী আরও জানান, এই মাসের মধ্যে মালয়েশিয়া পদ্মা সেতু নির্মাণে চূড়ান্ত প্রস্তাব দেবে।
এ নিয়ে যোগাযোগ করা হলে গতকাল বুধবার বিশ্বব্যাংকের এ দেশীয় পরিচালক অ্যালেন গোল্ডস্টেইন একটি বিবৃতি দিয়েছেন। এতে অ্যালেন বলেছেন, ‘বিশ্বব্যাংক যখন তার কোনো প্রকল্পে গুরুতর ও বিশ্বাসযোগ্য দুর্নীতির প্রমাণ পায়, তখন আমরা সদস্য দেশের সংশ্লিষ্ট সরকারের কাছে তদন্তের ফলাফল বা তথ্যাদি পেশ করি। পদ্মা সেতু প্রকল্পের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে আমরা একই পথ অনুসরণ করেছি—প্রথমে সেপ্টেম্বর ২০১১ এবং পরে আবার এপ্রিল ২০১২ সালে। আমরা প্রত্যাশা করি, কর্তৃপক্ষ যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ ও পুরোদস্তুর তদন্ত করবে এবং দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহির আওতায় আনবে।’
বিশ্বব্যাংক সূত্র জানায়, ওয়াশিংটনে অবস্থিত বিশ্বব্যাংকের দুর্নীতি প্রতিরোধ-সংক্রান্ত সংস্থা ইন্টেগ্রিটির ভাইস প্রেসিডেন্টের (আইএনটি) দপ্তর থেকে গত এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে অর্থমন্ত্রীর বাসায় গিয়ে তাঁর কাছে সর্বশেষ প্রতিবেদনটি দেওয়া হয়। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, অর্থমন্ত্রীর কাছে দেওয়া প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত বলে দুজনের নাম উল্লেখ করে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, কানাডাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এসএনসি-লাভালিন নিয়ে করা কানাডা পুলিশের তদন্তে প্রাপ্ত তথ্য এই প্রতিবেদনে রয়েছে।
সূত্র জানায়, প্রতিবেদনটি পেয়ে সরকারের তরফ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এ নিয়ে সরকার কোনো কথাও বলেনি। এ কারণে গত ১৭ এপ্রিল বিশ্বব্যাংকের অ্যালেন গোল্ডস্টেইন একটি বিবৃতি দেন। তাতে তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশ সরকারের কাছে পদ্মা সেতু প্রকল্পে গুরুতর দুর্নীতির তথ্য সেপ্টেম্বর ২০১১ থেকে প্রদান শুরু করে। বিশ্বব্যাংক নিজস্ব তদন্তে আস্থা রাখে এবং আমরা বাংলাদেশ সরকারকে জোরালো অনুরোধ করব, যেন দেশের নিজস্ব আইন অনুসারে এই গুরুতর বিষয়ে তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহির আওতায় আনে।’
এর আগে গত সেপ্টেম্বর মাসেও বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগ-সংবলিত একটি প্রতিবেদন অর্থমন্ত্রীকে দিয়েছিল। এ নিয়ে দুবার দুর্নীতি-সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দিল সংস্থাটি। প্রথম প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, সেতুর মূল অংশের প্রাক-যোগ্যতা চুক্তির প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি-সংক্রান্ত অসংখ্য অভিযোগ পেয়েছে বিশ্বব্যাংক। অভিযোগগুলো মূলত যোগাযোগমন্ত্রী ও তাঁর মালিকানাধীন কোম্পানি সাকোর শীর্ষপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। যোগাযোগমন্ত্রী ও সাকোর কর্মকর্তারা মিলে এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি করেন। সাকো হলো পদ্মা সেতু নির্মাণের যেকোনো কাজ পাইয়ে দেওয়ার ব্যাপারে একধরনের নীরব প্রতিনিধি (সাইলেন্ট এজেন্ট)। কোনো কাজ পেতে হলে বা প্রাক-যোগ্যতায় টিকতে হলে সাকোকে অর্থ দিতে হবে। সাকোর পক্ষ থেকে ঠিকাদারদের ভয়ভীতি দেখানোর কথাও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
এরপর যোগাযোগমন্ত্রীকে অন্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হলেও আর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) একটি লোকদেখানো তদন্ত করে দুর্নীতি হয়নি বললেও তা গ্রহণ করেনি বিশ্বব্যাংক।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, দুদক তো একবার তদন্ত করেছে। অধিকতর তদন্ত দরকার হলে সেটা তারা সিদ্ধান্ত নেবে। সরকার তো অভিযোগ ওঠার পর ব্যবস্থা নিয়েছে। মন্ত্রী, সচিব, প্রকল্প পরিচালককে সরিয়ে দিয়েছে। এখন বিশ্বব্যাংক চুক্তি বাতিল করতে চাইলে তাদের তো সেই সুযোগ আছে।
এর আগে ২ এপ্রিল এসএনসি-লাভালিনকে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে বিশ্বব্যাংক। এই ঘোষণার ফলে এসএনসি-লাভালিন বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত কোনো প্রকল্পে কাজ করতে পারবে না। গত বছর কানাডাভিত্তিক এসএনসি-লাভালিনকে পদ্মা সেতুর নির্মাণের কাজ তদারকির জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে বিবেচনা করেছিল যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগ। অনুমোদনের জন্য বিশ্বব্যাংকের কাছে পাঠালে দুর্নীতির অভিযোগ তোলে সংস্থাটি। এর পরই বিশ্বব্যাংক ও কানাডা পুলিশ তদন্তে নামে।
যোগাযোগ মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, দুর্নীতির বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের অনড় অবস্থানের কারণে সরকার বেকায়দায় পড়ে গেছে। সরকার নিজ থেকে চুক্তি বাতিলের জন্য চিঠি দিলে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত অন্য প্রকল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং আন্তর্জাতিকভাবে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে। অন্যদিকে দুর্নীতির দায় নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হলে দেশে-বিদেশে সমালোচনার ঝড় উঠবে।
সূত্র জানায়, গত ২০ থেকে ২২ এপ্রিল গওহর রিজভী বিশ্বব্যাংকের বসন্তকালীন অধিবেশনে যোগ দিতে গিয়ে সংস্থাটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ইসাবেল এম গুয়েরারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। কিন্তু ওই বৈঠকে জানিয়ে দেওয়া হয়, দুর্নীতির সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত বিশ্বব্যাংক অর্থ ছাড় করবে না।
এদিকে, বিশ্বব্যাংক ছাড়া এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, জাপানি ঋণদান সংস্থা জাইকা ও ইসলামিক উন্নয়ন ব্যাংকের (আইডিবি) মাধ্যমে পদ্মা সেতু প্রকল্প করা যায় কি না, সেই চেষ্টাও চলছে। গত ৩ থেকে ৫ মে ম্যানিলায় এডিবির সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। সেখানে বিকল্প অর্থায়নের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্র জানায়।
এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, মালয়েশিয়ার সঙ্গে সরকার গত ১০ এপ্রিল পদ্মা সেতু বিষয়ে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে। মালয়েশিয়া প্রকল্পের অর্থায়ন নিশ্চিত করবে। এর পরও এডিবি, জাইকা ও আইডিবি তাদের কনসোর্টিয়ামে আসতে চাইলে তারা আপত্তি করবে না বলে জানিয়েছে। মন্ত্রী আরও জানান, এই মাসের মধ্যে মালয়েশিয়া পদ্মা সেতু নির্মাণে চূড়ান্ত প্রস্তাব দেবে।
No comments