কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা কমিশন-তরুণ আলেমদের প্রত্যাশা by মুফতি এনায়েতুল্লাহ
কওমি মাদ্রাসার সনদের সরকারি স্বীকৃতি একটি আলোচিত বিষয়। বিগত ১৯-২০ বছর যাবৎ কওমি ঘরানার সকলে এ ব্যাপারে জোরালো দাবি জানিয়ে আসছে। শুরুতে অনেকের দ্বিমত থাকলেও বাস্তবতার নিরিখে বিষয়টি প্রয়োজনীয় বাস্তবতায় পরিণত হয়।
অবশেষে গত ৯ এপ্রিল গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৫ সদস্যবিশিষ্ট 'বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা কমিশন' গঠন করে দেন। পরে অবশ্য আরও দু'জন সদস্য বাড়ানো হয়। এই কমিশন আগামী ছয় মাসের মধ্যে কওমি মাদ্রাসা শিক্ষার স্তর ও শ্রেণীবিন্যাস, মূল্যায়ন প্রক্রিয়া, শিক্ষা কারিকুলাম সংস্কার ও সমন্বয়করণ, শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা সংশিল্গষ্ট উন্নয়নমূলক যাবতীয় বিষয়াদির বিধি, রূপরেখা, সুপারিশ, ধরন, পদ্ধতি ও প্রক্রিয়ার সুপারিশমালা প্রণয়ন করে প্রতিবেদন পেশ করবে।
কওমি মাদ্রাসার সনদের সরকারি স্বীকৃতি ও সংস্কার আন্দোলনে তরুণ আলেমরা বেশি উৎসাহী। নীতিগত কারণে তরুণরা সাহসী; তরুণরা কাজ করতে পছন্দ করে। তারা যেমন স্বপ্ন দেখে, তেমনি স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করতেও নিদ্রাহীন পরিশ্রম করতে জানে। তারা সব ধরনের লেজুড়বৃত্তিকে ঘৃণা করে। সেই অর্থেই কমিশনের কাছে তরুণদের প্রত্যাশা একটু বেশি। তরুণ আলেম সমাজ জানতে চায় তাদের শিক্ষানীতির ভবিষ্যৎ সম্পর্কে; এখানে মতামত জানাতে চায় সমান্তরালভাবে। অনেক প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে এই কমিশন গঠিত হয়েছে। তরুণ আলেমরা শিক্ষা কমিশনকে স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছে। এখন কমিশনের সদস্যদের বুঝতে হবে, কী চায় তরুণ প্রজন্ম? ভাবার সময় এসেছে। মেধাবী তরুণদের সমাজের মূলস্রোতে মেশার লক্ষ্যে সব ধরনের সুযোগ করে দিতে হবে।
কওমি মাদ্রাসাগুলোতে ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি জীবন-জীবিকা উপযোগী আধুনিক কোনো শিক্ষা দেওয়া হয় না। ফলে কর্মক্ষেত্রে তরুণ আলেমরা প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা তো দূরের কথা দাঁড়াতেই পারছে না। এই বাস্তবতায় কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের দরকার মাদ্রাসা শিক্ষার পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষার প্রধান স্রোতধারার সঙ্গে তাদের মিলিয়ে দেওয়া। কমিশন এই দায়িত্বটিই পালন করবে বলে তরুণ আলেমদের প্রত্যাশা। এ জন্য শিক্ষা ব্যবস্থায় এবং তার প্রাতিষ্ঠানিক পরিবর্তনে যা যা করা দরকার কমিশন তার প্রস্তাব করবে। প্রাজ্ঞ শিক্ষাবিদদের পাশাপাশি তরুণ আলেমদের বৃহৎ একটি অংশ দীর্ঘদিন থেকেই কওমি শিক্ষা ব্যবস্থার স্বকীয়তা বজায় রেখে বিজ্ঞানমনস্ক সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থার মূল স্রোতধারায় নিয়ে আসার প্রয়োজন অনুভব করে আসছিলেন। এ লক্ষ্যেই আগামী প্রজন্মকে গড়ে তুলতে হবে। সুযোগ-সুবিধার অভাবে আগামী প্রজন্মের কোনো অংশ যোগ্যতাহীন হয়ে অধিকার বঞ্চিত হোক তা কাঙ্ক্ষিত নয়।
মাদ্রাসা শিক্ষা মূলত ধর্মকে প্রাধান্য দিয়েই। আলেমরা হলেন পয়গম্বরদের উত্তরাধিকার। তাই বিশেষ জ্ঞান ও সুন্দর চরিত্রের অধিকারী হিসেবেই তাদের থাকা প্রয়োজন। যেন তাদের দেখে সাধারণ মানুষ ধর্মের দিকে, ভালো কাজের দিকে উদ্বুদ্ধ ও উৎসাহী হয়। এখন সামান্য পদ-পদবিজনিত কারণে এই কমিশন ব্যর্থ হলে জাতি তাদের কীভাবে স্মরণ করবে তাও ভাবা দরকার। গঠিত কমিশন নিয়ে কিছু মতবিরোধের কথা সংবাদমাধ্যমে এসেছে। আমরা আশা করি, এ মতবিরোধ আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নিরসন হবে। রাজনৈতিক স্বার্থ আশ্রিত একগুঁয়েমি পরিত্যাগ করে শ্রদ্ধাভাজন আলেমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা ভেবে বাস্তবভিত্তিক সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হবেন। মনে রাখবেন, আপনাদের ওপর ন্যস্ত দেশের লাখ লাখ তরুণের ভাগ্য। তাদের উন্নতি সাধনের পরিবর্তে তাদের জন্য ক্ষতিকর কিছু হয় এমন সিদ্ধান্ত নেবেন না।
কওমি মাদ্রাসা পরিচালনার সঙ্গে জড়িত অনেক বিদগ্ধ শিক্ষাবিদ আলেমই মনে করেন, যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রাখার তাগিদে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষা এবং এর পরিচালনার ব্যাপারে আমূল পরিবর্তন ও সংস্কার প্রয়োজন। কিন্তু তারা প্রচলিত পদ্ধতি এড়িয়ে কোনো সংস্কারের সাহস পান না; এটাই বাস্তবতা। কিন্তু এ অবস্থা তো বেশিদিন চলতে পারে না। কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে অনেক কিছুর প্রয়োজন হয়। যেমন দরকার যথাযথ পরিকল্পনা, তেমনি দরকার আর্থিক সচ্ছলতার। এ ছাড়া অবকাঠামোগত উন্নয়ন, দক্ষ শিক্ষকমণ্ডলী দিয়ে পাঠদান, শিক্ষার্থীদের সঠিক দিকনির্দেশনা প্রদানসহ মাদ্রাসার পরিচালকদের উন্নত দৃষ্টিভঙ্গি ও উদার মনমানসিকতা ইত্যাদি। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কোরআন-হাদিস, ইতিহাস ও বাস্তবতার আলোকে কওমি মাদ্রাসার পরিচালকদের এ বিষয়গুলোর ব্যাপারে যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আশা করি, কমিশন এ বিষয়ে যথাযথ রোডম্যাপ প্রণয়নে সক্ষম হবে।
বাস্তবতা হলো, মাদ্রাসা শিক্ষার পাঠ্যসূচি নতুন করে সাজাতে হবে। ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি অঙ্ক, বাংলা, ইংরেজি ও বিজ্ঞানকে বাধ্যতামূলক করতে হবে নির্দিষ্ট একটি শ্রেণী পর্যন্ত। ওই শ্রেণীর পর পড়ালেখা চালাতে অক্ষম বা ঝরেপড়াদের কারিগরি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। যেভাবে সুন্দর হয় আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে কমিশন এ নিয়েও রূপরেখা প্রদানে সক্ষম হবে।
বস্তুত আলেম হওয়ার জন্য উন্নত মেধার পাশাপাশি চরিত্রবান হওয়াও প্রয়োজন। এসব গুণ যাদের আছে তাদেরই আলেম বানানো উচিত। যারা আলেম হওয়ার জন্য পড়াশোনা করবে, তাদের উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা করে দিতে হবে। আলেমদের ক্ষেত্রে কোনো রকম অবহেলা-অবজ্ঞা করা যাবে না। যারা আলেম হবে, তাদের বিভিন্ন বৃত্তির আওতায় এনে বিদেশে উচ্চশিক্ষারও ব্যবস্থা করে দিতে হবে।
গোটা জাতির প্রত্যাশা, কমিশন এভাবে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রদান করবে; যাতে মেধাবী-অমেধাবী প্রত্যেকেই ইসলাম সম্মতভাবে ভালো এবং উচ্চমানের জীবনযাপন করতে পারে।
মোটকথা হলো, মাদ্রাসা শিক্ষা সংস্কার করা দরকার কি-না সেই সিদ্ধান্ত কমিশন নেবে। যুগ জিজ্ঞাসার সঙ্গে সমন্বয় রেখে প্রয়োজন অনুপাতে শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কারের নীতি দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে। এটা শুধু কওমি শিক্ষা ব্যবস্থাতেই প্রয়োগ হয়নি। মাদ্রাসাগুলোর গুণগত মান ও সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে হরেক আলোচনা চলছে; এটা চলতেই থাকবে। এখান থেকে গ্রহণযোগ্য বিষয়গুলো কমিশনকে গ্রহণ করতে হবে। যুগের প্রয়োজন মিটিয়ে, বাস্তবতার আলোকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
muftianaet@gmail.com
কওমি মাদ্রাসার সনদের সরকারি স্বীকৃতি ও সংস্কার আন্দোলনে তরুণ আলেমরা বেশি উৎসাহী। নীতিগত কারণে তরুণরা সাহসী; তরুণরা কাজ করতে পছন্দ করে। তারা যেমন স্বপ্ন দেখে, তেমনি স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করতেও নিদ্রাহীন পরিশ্রম করতে জানে। তারা সব ধরনের লেজুড়বৃত্তিকে ঘৃণা করে। সেই অর্থেই কমিশনের কাছে তরুণদের প্রত্যাশা একটু বেশি। তরুণ আলেম সমাজ জানতে চায় তাদের শিক্ষানীতির ভবিষ্যৎ সম্পর্কে; এখানে মতামত জানাতে চায় সমান্তরালভাবে। অনেক প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে এই কমিশন গঠিত হয়েছে। তরুণ আলেমরা শিক্ষা কমিশনকে স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছে। এখন কমিশনের সদস্যদের বুঝতে হবে, কী চায় তরুণ প্রজন্ম? ভাবার সময় এসেছে। মেধাবী তরুণদের সমাজের মূলস্রোতে মেশার লক্ষ্যে সব ধরনের সুযোগ করে দিতে হবে।
কওমি মাদ্রাসাগুলোতে ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি জীবন-জীবিকা উপযোগী আধুনিক কোনো শিক্ষা দেওয়া হয় না। ফলে কর্মক্ষেত্রে তরুণ আলেমরা প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা তো দূরের কথা দাঁড়াতেই পারছে না। এই বাস্তবতায় কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের দরকার মাদ্রাসা শিক্ষার পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষার প্রধান স্রোতধারার সঙ্গে তাদের মিলিয়ে দেওয়া। কমিশন এই দায়িত্বটিই পালন করবে বলে তরুণ আলেমদের প্রত্যাশা। এ জন্য শিক্ষা ব্যবস্থায় এবং তার প্রাতিষ্ঠানিক পরিবর্তনে যা যা করা দরকার কমিশন তার প্রস্তাব করবে। প্রাজ্ঞ শিক্ষাবিদদের পাশাপাশি তরুণ আলেমদের বৃহৎ একটি অংশ দীর্ঘদিন থেকেই কওমি শিক্ষা ব্যবস্থার স্বকীয়তা বজায় রেখে বিজ্ঞানমনস্ক সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থার মূল স্রোতধারায় নিয়ে আসার প্রয়োজন অনুভব করে আসছিলেন। এ লক্ষ্যেই আগামী প্রজন্মকে গড়ে তুলতে হবে। সুযোগ-সুবিধার অভাবে আগামী প্রজন্মের কোনো অংশ যোগ্যতাহীন হয়ে অধিকার বঞ্চিত হোক তা কাঙ্ক্ষিত নয়।
মাদ্রাসা শিক্ষা মূলত ধর্মকে প্রাধান্য দিয়েই। আলেমরা হলেন পয়গম্বরদের উত্তরাধিকার। তাই বিশেষ জ্ঞান ও সুন্দর চরিত্রের অধিকারী হিসেবেই তাদের থাকা প্রয়োজন। যেন তাদের দেখে সাধারণ মানুষ ধর্মের দিকে, ভালো কাজের দিকে উদ্বুদ্ধ ও উৎসাহী হয়। এখন সামান্য পদ-পদবিজনিত কারণে এই কমিশন ব্যর্থ হলে জাতি তাদের কীভাবে স্মরণ করবে তাও ভাবা দরকার। গঠিত কমিশন নিয়ে কিছু মতবিরোধের কথা সংবাদমাধ্যমে এসেছে। আমরা আশা করি, এ মতবিরোধ আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নিরসন হবে। রাজনৈতিক স্বার্থ আশ্রিত একগুঁয়েমি পরিত্যাগ করে শ্রদ্ধাভাজন আলেমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা ভেবে বাস্তবভিত্তিক সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হবেন। মনে রাখবেন, আপনাদের ওপর ন্যস্ত দেশের লাখ লাখ তরুণের ভাগ্য। তাদের উন্নতি সাধনের পরিবর্তে তাদের জন্য ক্ষতিকর কিছু হয় এমন সিদ্ধান্ত নেবেন না।
কওমি মাদ্রাসা পরিচালনার সঙ্গে জড়িত অনেক বিদগ্ধ শিক্ষাবিদ আলেমই মনে করেন, যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রাখার তাগিদে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষা এবং এর পরিচালনার ব্যাপারে আমূল পরিবর্তন ও সংস্কার প্রয়োজন। কিন্তু তারা প্রচলিত পদ্ধতি এড়িয়ে কোনো সংস্কারের সাহস পান না; এটাই বাস্তবতা। কিন্তু এ অবস্থা তো বেশিদিন চলতে পারে না। কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে অনেক কিছুর প্রয়োজন হয়। যেমন দরকার যথাযথ পরিকল্পনা, তেমনি দরকার আর্থিক সচ্ছলতার। এ ছাড়া অবকাঠামোগত উন্নয়ন, দক্ষ শিক্ষকমণ্ডলী দিয়ে পাঠদান, শিক্ষার্থীদের সঠিক দিকনির্দেশনা প্রদানসহ মাদ্রাসার পরিচালকদের উন্নত দৃষ্টিভঙ্গি ও উদার মনমানসিকতা ইত্যাদি। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কোরআন-হাদিস, ইতিহাস ও বাস্তবতার আলোকে কওমি মাদ্রাসার পরিচালকদের এ বিষয়গুলোর ব্যাপারে যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আশা করি, কমিশন এ বিষয়ে যথাযথ রোডম্যাপ প্রণয়নে সক্ষম হবে।
বাস্তবতা হলো, মাদ্রাসা শিক্ষার পাঠ্যসূচি নতুন করে সাজাতে হবে। ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি অঙ্ক, বাংলা, ইংরেজি ও বিজ্ঞানকে বাধ্যতামূলক করতে হবে নির্দিষ্ট একটি শ্রেণী পর্যন্ত। ওই শ্রেণীর পর পড়ালেখা চালাতে অক্ষম বা ঝরেপড়াদের কারিগরি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। যেভাবে সুন্দর হয় আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে কমিশন এ নিয়েও রূপরেখা প্রদানে সক্ষম হবে।
বস্তুত আলেম হওয়ার জন্য উন্নত মেধার পাশাপাশি চরিত্রবান হওয়াও প্রয়োজন। এসব গুণ যাদের আছে তাদেরই আলেম বানানো উচিত। যারা আলেম হওয়ার জন্য পড়াশোনা করবে, তাদের উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা করে দিতে হবে। আলেমদের ক্ষেত্রে কোনো রকম অবহেলা-অবজ্ঞা করা যাবে না। যারা আলেম হবে, তাদের বিভিন্ন বৃত্তির আওতায় এনে বিদেশে উচ্চশিক্ষারও ব্যবস্থা করে দিতে হবে।
গোটা জাতির প্রত্যাশা, কমিশন এভাবে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রদান করবে; যাতে মেধাবী-অমেধাবী প্রত্যেকেই ইসলাম সম্মতভাবে ভালো এবং উচ্চমানের জীবনযাপন করতে পারে।
মোটকথা হলো, মাদ্রাসা শিক্ষা সংস্কার করা দরকার কি-না সেই সিদ্ধান্ত কমিশন নেবে। যুগ জিজ্ঞাসার সঙ্গে সমন্বয় রেখে প্রয়োজন অনুপাতে শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কারের নীতি দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে। এটা শুধু কওমি শিক্ষা ব্যবস্থাতেই প্রয়োগ হয়নি। মাদ্রাসাগুলোর গুণগত মান ও সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে হরেক আলোচনা চলছে; এটা চলতেই থাকবে। এখান থেকে গ্রহণযোগ্য বিষয়গুলো কমিশনকে গ্রহণ করতে হবে। যুগের প্রয়োজন মিটিয়ে, বাস্তবতার আলোকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
muftianaet@gmail.com
No comments