পবিত্র কোরআনের আলো-ইহুদিরা আখেরি নবীকে যুক্তি দেখায় অথচ এরাই অনেক নবীকে হত্যা করেছিল
১৮২। যালিকা বিমা ক্বাদ্দামাত আইদীকুম ওয়া আন্নাল্লাহা লাইসা বি-জল্লামিল লিল 'আবীদি। ১৮৩। আল্লাযীনা ক্বালূ ইন্নাল্লাহা 'আহিদা ইলাইনা আল্লা নু'মিনা লিরাসুলিন হাত্তা ইয়া'তিইয়ানা বিক্বুর্বানিন তা'কুলুহুন্নার; ক্বুল ক্বাদ জাআকুম রুসুলুম মিন ক্বাব্লী বিল বায়্যিনাতি ওয়া বিল্লাযী ক্বুল্তুম ফালিমা ক্বাতাল্তুমূহুম ইন কুন্তুম সাদিক্বীন।
১৮৪। ফা-ইন কায্যাবূকা ফাক্বাদ কুয্যিবা রুসুলুম মিন ক্বাব্লিকা জা-ঊ বিল বায়্যিনাতি ওয়ায্যুবুরি ওয়াল কিতাবিল মুনীর। [সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৮২-১৮৪]
অনুবাদ : ১৮২। এই শাস্তি এ কারণে যে, এটা তোমরা নিজ হাতে অর্জন করেছ। আল্লাহ তায়ালা বান্দাদের প্রতি জুলুম করেন না।
১৮৩। যারা বলে, আল্লাহ তায়ালাই তো আমাদের অঙ্গীকার করিয়েছেন, আমরা যেন কোনো রাসুলের প্রতি ইমান না আনি, যতক্ষণ না তিনি এমন কোরবানির নিদর্শন নিয়ে আসেন, যা ওপর থেকে আগুন এসে খেয়ে ফেলে। (হে নবী) আপনি বলে দিন, আমার আগে রাসুলগণ এসেছিলেন এ ধরনের স্পষ্ট নিদর্শন নিয়ে, যা তোমরা বলছ। এর পরও কেন তোমরা তাঁদের হত্যা করেছিলে, যদি তোমরা আজ সত্য কথা বলে থাকো।
১৮৪। অতঃপর (হে রাসুল) যদি তারা আপনাকে মিথ্যা সাব্যস্ত করে, তাহলে আপনি বিব্রত হবেন না। কারণ, আগে এরা অনেক রাসুলকেই মিথ্যা সাব্যস্ত করেছে, যদিও তাঁরা সুস্পষ্ট নিদর্শন যাবূর এবং জ্ঞানের আলোতে উজ্জ্বল কিতাব নিয়ে এসেছিলেন।
ব্যাখ্যা : ১৮২ নম্বর আয়াতটি এসেছে আগের আয়াতের ধারাবাহিকতায়। সেখানে যে শাস্তির কথা বলা হয়েছে, সেই শাস্তির দায়-দায়িত্ব আল্লাহ তায়ালার নয়। এই শাস্তি তারাই তাদের কৃতকর্ম দ্বারা অর্জন করেছে। আল্লাহ তায়ালা কারো ওপর জুলুম করেন না; মানুষই নিজেদের ওপর জুলুম করে।
১৮৩-৮৪ নম্বর আয়াতে একটি নতুন প্রসঙ্গ নিয়ে আসা হয়েছে। ইহুদিদের মধ্যে কিছু লোক বলত, আল্লাহ তায়ালাই তো আমাদের অঙ্গীকার করিয়েছেন, আমরা যেন কোনো নবীর ওপর ততক্ষণ পর্যন্ত ইমান না আনি, যতক্ষণ পর্যন্ত তিনি এমন এক কোরবানির নিদর্শন নিয়ে আসবেন, যা আকাশ থেকে আগুন এসে খেয়ে ফেলবে। অর্থাৎ, বনি ইসরাইলের কোনো এক নবীকে অনুরূপ মু'জিজা দান করা হয়েছিল বলে কথিত আছে। কোরবানির কোনো প্রাণী বা বস্তুকে ময়দানে বা পাহাড়ে রাখা হতো; তখন আকাশ থেকে আগুন এসে তা পুড়িয়ে ফেলত। এটা ছিল সেই নবীর মু'জিজা। এখন তারা বলছে, ওই ধরনের মু'জিজা না নিয়ে এলে তো আমরা ইমান আনতে পারি না_এ নির্দেশ তো আল্লাহ্ই আমাদের দিয়েছেন। এ কথার পরিপ্রেক্ষিতে আল্লাহ তাঁর রাসুলকে (স.) বলছেন, আপনি বলে দিন, আমার আগে রাসুলগণ এসেছিলেন এ ধরনের স্পষ্ট মু'জিজা নিয়ে, যা তোমরা বলছ। এর পরও কেন তোমরা তাদের হত্যা করেছিলে, যদি তোমরা ঠিকই আজ সত্য কথা বলে থাকো। এখানে আমরা দেখতে পাচ্ছি, আল্লাহ তায়ালা ইহুদিদের উসকানিমূলক বক্তব্যের জবাবে তাঁর রাসুলকে অলৌকিক মু'জিজা দান করার চ্যালেঞ্জ নেননি; বরং যৌক্তিক কথার মাধ্যমে জবাব দিয়েছেন। এরপর আল্লাহ তায়ালা তাঁর রাসুলকে সান্ত্বনা দিয়েছেন এ কথা মনে করিয়ে দিয়ে যে, এর আগে অনেক নবীকেই তারা মিথ্যা সাব্যস্ত করেছে। এতে রাসুলগণ মিথ্যা হয়ে যাননি, বরং বিরোধিতাকারীরাই ধ্বংস হয়ে গেছে। সেসব রাসুলও স্পষ্ট মু'জিজা, সহিফা এবং জ্ঞানের আলোতে উজ্জ্বল কিতাব নিয়ে এসেছিলেন। আল্লাহ তাঁর রাসুল (সা.)-কে ইতিহাসের সেসব কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন, যাতে তিনি এদের কথায় হতাশ না হন।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
অনুবাদ : ১৮২। এই শাস্তি এ কারণে যে, এটা তোমরা নিজ হাতে অর্জন করেছ। আল্লাহ তায়ালা বান্দাদের প্রতি জুলুম করেন না।
১৮৩। যারা বলে, আল্লাহ তায়ালাই তো আমাদের অঙ্গীকার করিয়েছেন, আমরা যেন কোনো রাসুলের প্রতি ইমান না আনি, যতক্ষণ না তিনি এমন কোরবানির নিদর্শন নিয়ে আসেন, যা ওপর থেকে আগুন এসে খেয়ে ফেলে। (হে নবী) আপনি বলে দিন, আমার আগে রাসুলগণ এসেছিলেন এ ধরনের স্পষ্ট নিদর্শন নিয়ে, যা তোমরা বলছ। এর পরও কেন তোমরা তাঁদের হত্যা করেছিলে, যদি তোমরা আজ সত্য কথা বলে থাকো।
১৮৪। অতঃপর (হে রাসুল) যদি তারা আপনাকে মিথ্যা সাব্যস্ত করে, তাহলে আপনি বিব্রত হবেন না। কারণ, আগে এরা অনেক রাসুলকেই মিথ্যা সাব্যস্ত করেছে, যদিও তাঁরা সুস্পষ্ট নিদর্শন যাবূর এবং জ্ঞানের আলোতে উজ্জ্বল কিতাব নিয়ে এসেছিলেন।
ব্যাখ্যা : ১৮২ নম্বর আয়াতটি এসেছে আগের আয়াতের ধারাবাহিকতায়। সেখানে যে শাস্তির কথা বলা হয়েছে, সেই শাস্তির দায়-দায়িত্ব আল্লাহ তায়ালার নয়। এই শাস্তি তারাই তাদের কৃতকর্ম দ্বারা অর্জন করেছে। আল্লাহ তায়ালা কারো ওপর জুলুম করেন না; মানুষই নিজেদের ওপর জুলুম করে।
১৮৩-৮৪ নম্বর আয়াতে একটি নতুন প্রসঙ্গ নিয়ে আসা হয়েছে। ইহুদিদের মধ্যে কিছু লোক বলত, আল্লাহ তায়ালাই তো আমাদের অঙ্গীকার করিয়েছেন, আমরা যেন কোনো নবীর ওপর ততক্ষণ পর্যন্ত ইমান না আনি, যতক্ষণ পর্যন্ত তিনি এমন এক কোরবানির নিদর্শন নিয়ে আসবেন, যা আকাশ থেকে আগুন এসে খেয়ে ফেলবে। অর্থাৎ, বনি ইসরাইলের কোনো এক নবীকে অনুরূপ মু'জিজা দান করা হয়েছিল বলে কথিত আছে। কোরবানির কোনো প্রাণী বা বস্তুকে ময়দানে বা পাহাড়ে রাখা হতো; তখন আকাশ থেকে আগুন এসে তা পুড়িয়ে ফেলত। এটা ছিল সেই নবীর মু'জিজা। এখন তারা বলছে, ওই ধরনের মু'জিজা না নিয়ে এলে তো আমরা ইমান আনতে পারি না_এ নির্দেশ তো আল্লাহ্ই আমাদের দিয়েছেন। এ কথার পরিপ্রেক্ষিতে আল্লাহ তাঁর রাসুলকে (স.) বলছেন, আপনি বলে দিন, আমার আগে রাসুলগণ এসেছিলেন এ ধরনের স্পষ্ট মু'জিজা নিয়ে, যা তোমরা বলছ। এর পরও কেন তোমরা তাদের হত্যা করেছিলে, যদি তোমরা ঠিকই আজ সত্য কথা বলে থাকো। এখানে আমরা দেখতে পাচ্ছি, আল্লাহ তায়ালা ইহুদিদের উসকানিমূলক বক্তব্যের জবাবে তাঁর রাসুলকে অলৌকিক মু'জিজা দান করার চ্যালেঞ্জ নেননি; বরং যৌক্তিক কথার মাধ্যমে জবাব দিয়েছেন। এরপর আল্লাহ তায়ালা তাঁর রাসুলকে সান্ত্বনা দিয়েছেন এ কথা মনে করিয়ে দিয়ে যে, এর আগে অনেক নবীকেই তারা মিথ্যা সাব্যস্ত করেছে। এতে রাসুলগণ মিথ্যা হয়ে যাননি, বরং বিরোধিতাকারীরাই ধ্বংস হয়ে গেছে। সেসব রাসুলও স্পষ্ট মু'জিজা, সহিফা এবং জ্ঞানের আলোতে উজ্জ্বল কিতাব নিয়ে এসেছিলেন। আল্লাহ তাঁর রাসুল (সা.)-কে ইতিহাসের সেসব কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন, যাতে তিনি এদের কথায় হতাশ না হন।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
No comments