ভেজাল পণ্যে বাজার সয়লাবঃ ঢিলেঢালা তদারকিতে কাজ হবে না
বিষেও ভেজাল—কথাটি আমাদের দেশে এখন প্রবাদে পরিণত হয়েছে। কীটনাশকে কীটপতঙ্গ মরছে না। কিন্তু ভেজাল খাদ্যদ্রব্য খেয়ে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে মানুষের। এমনকি মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে। বাজারে হেন কোনো খাবারের জিনিস নেই যাতে ভেজাল মেশানো হচ্ছে না।
জীবনরক্ষাকারী ওষুধ-বিষুধেও ভেজাল ধরা পড়ছে। শিশুদের ওষুধে এবং বাজারের খাবারও ভেজালমুক্ত নেই। নির্মাণ সামগ্রীতে ভেজাল, প্রাত্যহিক ব্যবহার্য জিনিসপত্রে ভেজাল, সনদপত্র, দলিলদস্তাবেজে ভেজালে এখন আর রাখঢাক নেই বললেও চলে। অর্থাত্ আটায় বালি, দুধে পানি, চালে কাঁকর, মধুতে চিনি— এমন এক ভেজাল আবহের মধ্যেই যেন আমরা বেঁচে আছি। অথচ দেশে ভেজাল প্রতিরোধে আইন রয়েছে কিন্তু তার যথাযথ প্রয়োগ হচ্ছে না। সরকার থেকে ভেজালবিরোধী অভিযান মাঝেমধ্যে জোরদার হলেও তা মোটেই পর্যাপ্ত নয়। ফলে বেড়েই চলছে ভেজাল পণ্যদ্রব্যের উত্পাদন, মজুত ও বিপণন।
সন্দেহ নেই, ভেজাল খাদ্যপণ্যে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের বাজার এখন সয়লাব। জানা গেছে, দেশের প্রায় সবগুলো ভেজালের কারখানাই অবস্থিত ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরে। এক তথ্যমতে, রাজধানীর বাসিন্দারা প্রতিদিন বাজার থেকে যা কিনছেন তার একটা বড় অংশই ভেজাল এবং খাবারের অনুপযোগী। এ থেকে আন্দাজ করতে অসুবিধা হয় না যে, দেশে নিরাপদ ও মানসম্পন্ন খাদ্য দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি সরকারের জনস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা বলেছেন, নমুনা পরীক্ষা করে দেখা গেছে, গ্রামে বিভিন্ন খাবারের ৫২ শতাংশ, শহরে ৬২ শতাংশ এবং রাজধানী ঢাকায় ৫৯ শতাংশই ভেজালযুক্ত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসিউটিক্যাল টেকনোলজি বিভাগের এক গবেষণা অনুসারে, প্রতি দশটি মাছের মধ্যে আটটিতেই দেয়া হচ্ছে ক্ষতিকর ফরমালিন। সম্প্রতি শিশু বিশেষজ্ঞদের অনেকে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ভেজাল খাদ্য খেয়ে শিশুরা কিডনি, লিভার ও স্নায়ুর রোগ, এলার্জি, ডায়রিয়াসহ নানারকম সংক্রামক রোগের শিকার হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বাজারে বেশ কিছুদিন ধরে ভেজালবিরোধী অভিযান চলছে। তাতে ভেজালের ভয়াবহতা সম্পর্কে গণসচেতনতা কমবেশি বেড়েছে বৈকি। কিন্তু সারাদেশে কার্যত ভেজালবিরোধী অভিযান ব্যর্থ হয়েছে। পুলিশ, র্যাব ও বিএসটিআই’র যৌথ অভিযানেও ভেজালকারীরা দমে যায়নি। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নানা কৌশলের পাশাপাশি ভেজালকারীরাও কৌশল পাল্টে খাদ্যপণ্যে ভেজাল দেয়া অব্যাহত রেখেছে।
অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, দেশে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন থাকলেও তা কাজে আসছে না। কাজে আসছে না বিদ্যমান পিওর ফুড অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী খাদ্য নিরাপত্তা তথা খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধের আইন। গত বছর জানুয়ারি মাসে খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধে প্রতি জেলায় স্বতন্ত্র আদালত (ফুড কোর্ট) স্থাপন করতে সরকারকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভেজাল প্রতিরোধেও যেন ভেজাল রয়েই গেল। এর আগে বাংলাদেশ মান নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিউশনের (বিএসটিআই) মহাপরিচালক বলেছিলেন, নকল ও ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে বিএসটিআই’র অভিযান মরুভূমিতে একবিন্দু পানির মতো। প্রয়োজনীয় লোকবলের অভাবে লাইসেন্স দেয়ার পর সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে তদারকি করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। এতে বোঝা যায়, প্রতিষ্ঠানটি আক্ষরিক অর্থেই ঢাল-তলোয়ারহীন নিধিরাম সর্দার। কিন্তু যেভাবে ভেজাল বাড়ছে তাতে সংস্থাটিকে ঢাল-তলোয়ার দিয়ে সাজানো দরকার। যাতে তদারকির ব্যাপারটি ছুতা দিয়ে এড়াতে না পারে। তাছাড়া ভেজালবিরোধী সব আয়োজনকে ধারাবাহিক প্রক্রিয়া হিসেবে নেয়া আবশ্যক। এজন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, সিটি করপোরেশন, স্থানীয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সবার সমন্বিত অভিযান ক্রমাগত চালিয়ে যেতে হবে। না হলে ঢিলেঢালা তদারকির সুযোগে ভেজালকারীরা অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠবে এবং এতে অনিবার্যভাবেই ভোক্তাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখেই ঠেলে দেয়া হবে।
সন্দেহ নেই, ভেজাল খাদ্যপণ্যে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের বাজার এখন সয়লাব। জানা গেছে, দেশের প্রায় সবগুলো ভেজালের কারখানাই অবস্থিত ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরে। এক তথ্যমতে, রাজধানীর বাসিন্দারা প্রতিদিন বাজার থেকে যা কিনছেন তার একটা বড় অংশই ভেজাল এবং খাবারের অনুপযোগী। এ থেকে আন্দাজ করতে অসুবিধা হয় না যে, দেশে নিরাপদ ও মানসম্পন্ন খাদ্য দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি সরকারের জনস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা বলেছেন, নমুনা পরীক্ষা করে দেখা গেছে, গ্রামে বিভিন্ন খাবারের ৫২ শতাংশ, শহরে ৬২ শতাংশ এবং রাজধানী ঢাকায় ৫৯ শতাংশই ভেজালযুক্ত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসিউটিক্যাল টেকনোলজি বিভাগের এক গবেষণা অনুসারে, প্রতি দশটি মাছের মধ্যে আটটিতেই দেয়া হচ্ছে ক্ষতিকর ফরমালিন। সম্প্রতি শিশু বিশেষজ্ঞদের অনেকে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ভেজাল খাদ্য খেয়ে শিশুরা কিডনি, লিভার ও স্নায়ুর রোগ, এলার্জি, ডায়রিয়াসহ নানারকম সংক্রামক রোগের শিকার হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বাজারে বেশ কিছুদিন ধরে ভেজালবিরোধী অভিযান চলছে। তাতে ভেজালের ভয়াবহতা সম্পর্কে গণসচেতনতা কমবেশি বেড়েছে বৈকি। কিন্তু সারাদেশে কার্যত ভেজালবিরোধী অভিযান ব্যর্থ হয়েছে। পুলিশ, র্যাব ও বিএসটিআই’র যৌথ অভিযানেও ভেজালকারীরা দমে যায়নি। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নানা কৌশলের পাশাপাশি ভেজালকারীরাও কৌশল পাল্টে খাদ্যপণ্যে ভেজাল দেয়া অব্যাহত রেখেছে।
অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, দেশে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন থাকলেও তা কাজে আসছে না। কাজে আসছে না বিদ্যমান পিওর ফুড অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী খাদ্য নিরাপত্তা তথা খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধের আইন। গত বছর জানুয়ারি মাসে খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধে প্রতি জেলায় স্বতন্ত্র আদালত (ফুড কোর্ট) স্থাপন করতে সরকারকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভেজাল প্রতিরোধেও যেন ভেজাল রয়েই গেল। এর আগে বাংলাদেশ মান নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিউশনের (বিএসটিআই) মহাপরিচালক বলেছিলেন, নকল ও ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে বিএসটিআই’র অভিযান মরুভূমিতে একবিন্দু পানির মতো। প্রয়োজনীয় লোকবলের অভাবে লাইসেন্স দেয়ার পর সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে তদারকি করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। এতে বোঝা যায়, প্রতিষ্ঠানটি আক্ষরিক অর্থেই ঢাল-তলোয়ারহীন নিধিরাম সর্দার। কিন্তু যেভাবে ভেজাল বাড়ছে তাতে সংস্থাটিকে ঢাল-তলোয়ার দিয়ে সাজানো দরকার। যাতে তদারকির ব্যাপারটি ছুতা দিয়ে এড়াতে না পারে। তাছাড়া ভেজালবিরোধী সব আয়োজনকে ধারাবাহিক প্রক্রিয়া হিসেবে নেয়া আবশ্যক। এজন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, সিটি করপোরেশন, স্থানীয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সবার সমন্বিত অভিযান ক্রমাগত চালিয়ে যেতে হবে। না হলে ঢিলেঢালা তদারকির সুযোগে ভেজালকারীরা অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠবে এবং এতে অনিবার্যভাবেই ভোক্তাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখেই ঠেলে দেয়া হবে।
No comments