অতিদ্রুত রহস্য উদ্ঘাটন করুন-ইলিয়াস আলী কোথায়?
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক সাংসদ ইলিয়াস আলী এবং তাঁর গাড়িচালক মো. আনসার মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে নিখোঁজ রয়েছেন—এ খবর উদ্বেগজনক। তাঁর স্ত্রী অভিযোগ করেছেন, সরকারের কোনো বাহিনী তাঁকে ধরে নিয়ে গেছে। কিন্তু পুলিশ ও র্যাব বলছে, তারা ইলিয়াস আলীকে আটক করেনি।
একজন মানুষ রাজধানীর একটি সড়ক থেকে গাড়িচালকসহ নিখোঁজ হয়ে যাবেন, রাস্তার মাঝে তাঁর শূন্য গাড়িটি পড়ে থাকবে—এটা গুরুতর পরিস্থিতি। ইলিয়াস আলী একজন রাজনৈতিক নেতা ও সাবেক সাংসদ। তাঁর দল বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অভিযোগ করেছেন, তাঁকে র্যাবের লোকেরা তুলে নিয়ে গেছে।
এখন সরকারের দায়িত্ব এটা প্রমাণ করা যে র্যাবের লোকেরা ইলিয়াস আলীকে তুলে নিয়ে যায়নি। সে জন্য এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো ইলিয়াস আলী ও তাঁর গাড়িচালক কোথায় আছেন, কী অবস্থায় আছেন তা জানা এবং তাঁদের পরিবারসহ দেশবাসীকে জানানো। হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন তাঁকে আদালতে হাজির করতে। এটা করলেও নিশ্চিত হবে যে তাঁকে অবৈধভাবে আটক রাখা হয়নি। ইলিয়াস আলী পেশাদার অপরাধীচক্রের শিকার হয়েছেন কি না, অথবা তাঁর নিজের দলের প্রতিপক্ষ গ্রুপের দ্বারা অপহূত হয়েছেন কি না—এসবও খতিয়ে দেখা এবং সে রকম কিছু ঘটে থাকলে তাঁকে উদ্ধার করার দায়িত্বও সরকারের।
রাজনৈতিক দিক থেকেও সরকারের দায় নিজের অবস্থান স্বচ্ছ রাখা। এর আগে বিএনপির আরেক নেতা চৌধুরী আলম নিখোঁজ হয়েছেন। এখনো তাঁর কোনো হদিস মেলেনি। চৌধুরী আলমের হদিস বের করতে পারলে সরকারের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করার সুযোগ ঘটত না। ইলিয়াস আলীর ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। বিরোধী দলের অভিযোগ খণ্ডানোর জন্য সরকারের দায়িত্ব অতিদ্রুত ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেওয়া। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন বলেছেন, ‘ইলিয়াস আলীকে উদ্ধারের জন্য আমরা আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছি।’ জনগণ এই চেষ্টার ত্বরিত ফল দেখতে চায়।
সেই সঙ্গে এ কথাও বলা দরকার, বিক্ষোভ-প্রতিবাদ শান্তিপূর্ণ হওয়াই বাঞ্ছনীয়। ইলিয়াস আলী নিখোঁজ হওয়ার খবরে সিলেট বিভাগের চার জেলায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, পুলিশের আগ্নেয়াস্ত্র ও ঢাল কেড়ে নেওয়াসহ যে সহিংস আচরণ করেছেন, তা গ্রহণযোগ্য নয়। বিএনপি বৃহস্পতিবার সিলেট বিভাগের চার জেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল করেছে, আগামী রোববার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে। ঘটনা যতই গুরুতর হোক, প্রতিবাদ-বিক্ষোভের কারণও যতই যুক্তিসংগত হোক, হরতালের মতো জনভোগান্তিমূলক ও অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর কর্মসূচি পরিহার করাই ভালো। আগামী রোববার উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষা আছে। অন্তত এটা বিবেচনা করেও আশা করি বিএনপি রোববারের হরতাল প্রত্যাহারের কথা ভেবে দেখবে।
এখন সরকারের দায়িত্ব এটা প্রমাণ করা যে র্যাবের লোকেরা ইলিয়াস আলীকে তুলে নিয়ে যায়নি। সে জন্য এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো ইলিয়াস আলী ও তাঁর গাড়িচালক কোথায় আছেন, কী অবস্থায় আছেন তা জানা এবং তাঁদের পরিবারসহ দেশবাসীকে জানানো। হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন তাঁকে আদালতে হাজির করতে। এটা করলেও নিশ্চিত হবে যে তাঁকে অবৈধভাবে আটক রাখা হয়নি। ইলিয়াস আলী পেশাদার অপরাধীচক্রের শিকার হয়েছেন কি না, অথবা তাঁর নিজের দলের প্রতিপক্ষ গ্রুপের দ্বারা অপহূত হয়েছেন কি না—এসবও খতিয়ে দেখা এবং সে রকম কিছু ঘটে থাকলে তাঁকে উদ্ধার করার দায়িত্বও সরকারের।
রাজনৈতিক দিক থেকেও সরকারের দায় নিজের অবস্থান স্বচ্ছ রাখা। এর আগে বিএনপির আরেক নেতা চৌধুরী আলম নিখোঁজ হয়েছেন। এখনো তাঁর কোনো হদিস মেলেনি। চৌধুরী আলমের হদিস বের করতে পারলে সরকারের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করার সুযোগ ঘটত না। ইলিয়াস আলীর ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। বিরোধী দলের অভিযোগ খণ্ডানোর জন্য সরকারের দায়িত্ব অতিদ্রুত ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেওয়া। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন বলেছেন, ‘ইলিয়াস আলীকে উদ্ধারের জন্য আমরা আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছি।’ জনগণ এই চেষ্টার ত্বরিত ফল দেখতে চায়।
সেই সঙ্গে এ কথাও বলা দরকার, বিক্ষোভ-প্রতিবাদ শান্তিপূর্ণ হওয়াই বাঞ্ছনীয়। ইলিয়াস আলী নিখোঁজ হওয়ার খবরে সিলেট বিভাগের চার জেলায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, পুলিশের আগ্নেয়াস্ত্র ও ঢাল কেড়ে নেওয়াসহ যে সহিংস আচরণ করেছেন, তা গ্রহণযোগ্য নয়। বিএনপি বৃহস্পতিবার সিলেট বিভাগের চার জেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল করেছে, আগামী রোববার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে। ঘটনা যতই গুরুতর হোক, প্রতিবাদ-বিক্ষোভের কারণও যতই যুক্তিসংগত হোক, হরতালের মতো জনভোগান্তিমূলক ও অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর কর্মসূচি পরিহার করাই ভালো। আগামী রোববার উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষা আছে। অন্তত এটা বিবেচনা করেও আশা করি বিএনপি রোববারের হরতাল প্রত্যাহারের কথা ভেবে দেখবে।
No comments