সীমান্তে বিডিআরের প্রতি বিএসএফের গুলিঃ এ কেমন বন্ধুত্ব!
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দাবি করেছেন, এবারকার তার ভারত সফর শতভাগ সফল হয়েছে। কিন্তু এই ‘সাফল্যে’র নমুনা যদি হয় সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বিডিআর সদস্যকে রক্তাক্ত অবস্থায় অপহরণ করা, তাহলে দেশবাসী সেই ‘সাফল্য’ নিয়ে নিশ্চিন্ত হয় কি করে? তবে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত দু’দেশের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক ও সমঝোতা স্মারক ঘোষণার পর দেশবাসী আশা করেছিল, এখন থেকে সীমান্তে রক্ত ঝরবে না।
কিন্তু না, সেই আশা শেষপর্যন্ত মরীচিকার ধু-ধু বালিতে মুখ থুবড়ে পড়েছে। গত বৃহস্পতিবার সিলেটের জৈন্তাপুর সীমান্ত এলাকায় টহলরত বিডিআর টিম কমান্ডারকে বিএসএফ সদস্যরা গুলি করে আহত অবস্থায় অপহরণ করে। এ নিয়ে দিনভর সেখানে বিরাজ করে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি। পরে অবশ্য গভীর রাতে দু’পক্ষের সমঝোতায় অপহৃত বিডিআর সদস্য ফেরত আসেন। গতকালের আমার দেশসহ বিভিন্ন পত্রিকায় খবরটি গুরুত্বসহকারে ছাপা হয়েছে।
প্রকাশিত খবরে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে জৈন্তাপুর সীমান্তে বিডিআরের টহলরত চার সদস্যের দলকে বাংলাদেশ সীমান্তের প্রায় ৫০ মিটার ভেতরে ঢুকে চ্যালেঞ্জ করে ১০-১৫ জন বিএসএফ। তারা বিডিআর সদস্যদের হাত তুলে অস্ত্রসমর্পণ করতে বলে। এতে সাড়া না দেয়ায় বিডিআর সুবেদার নায়েক মুজিবুর রহমানকে গুলি করে ফেলে দেয়। অন্যরা আত্মরক্ষা করলেও আহত মুজিবুরকে মারধর করে তার অস্ত্র কেড়ে নিয়ে চোখ বেঁধে সীমান্তের ওপারে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর পেয়ে স্থানীয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডারসহ বিডিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানালেও প্রথমে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি বিএসএফের কাছ থেকে। শেষ পর্যন্ত দুপুরের পর বৈঠকে বসতে সম্মত হলেও এর মধ্যে বিএসএফ সীমান্তে ভারি অস্ত্র ও অধিক সৈন্য এনে জৈন্তাপুর ও পার্শ্ববর্তী তামাবিল, শ্রীপুর সীমান্ত এলাকায় গোলাগুলি শুরু করে। সন্ধ্যা পর্যন্ত দু’পক্ষের গুলিবর্ষণে আতঙ্কিত হাজার হাজার শিশু-নারী-পুরুষ নিরাপত্তাহীন অবস্থায় বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র সরে যায়।
সিলেটের জৈন্তাপুর-গোয়াইনঘাট সীমান্ত এলাকায় এ ধরনের ঘটনা নতুন নয়। এখানকার বিরোধপূর্ণ জমির মালিকানা এবং দখল নিয়ে দুই দেশের মধ্যে সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনা আগেও ঘটেছে। প্রায়ই বিএসএফ ভারতীয় খাসিয়াদের সহযোগিতায় স্থানীয় কৃষকদের ফসল, জমি জবরদখল করতে আসে। গত বছর বেশ কয়েকবার এ ধরনের আগ্রাসনের শিকার হয়েছেন পদুয়া, সিলাটিলা, শ্রীপুর, তামাবিল সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা। বিষয়টি নিয়ে দুই দেশের উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে আসাই সবার কাম্য হওয়া উচিত।
এ প্রসঙ্গে আরেকটি বিষয় মানুষের দৃষ্টি কেড়েছে। সেটা বিবিসিকে দেয়া বিডিআর মহাপরিচালকের বিস্ময়কর বক্তব্য। তিনি বিএসএফের গুলিতে বিডিআর সদস্যের আহত হওয়ার ঘটনাটি বেমালুম অস্বীকার করেছেন। তাহলে সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন উঠবে, ব্যাটালিয়ন কমান্ডারসহ অন্যরা যে বক্তব্য দিয়েছেন তা সঠিক নয়? মহাপরিচালকের কথা শুনে মনের ভেতরে জিজ্ঞাসা জেগে ওঠে, তিনি আসলে কোন পক্ষের? পুরো ঘটনাকে নিছক ভুল বোঝাবুঝির প্রলেপ দিয়ে হালকা করে তিনি বিডিআর সদস্যকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন বিদেশি সংবাদ মাধ্যমে। আর তার কথার প্রতিধ্বনি শোনা গেছে কলকাতায় বিবিসিকে দেয়া বিএসএফ কর্মকর্তার মুখে। যে সেনানায়ক নিজ দলের সদস্যদের পক্ষে দাঁড়াতে সাহসী নন, তিনি কিভাবে দেশের সীমান্তরক্ষায় নেতৃত্ব দেবেন? প্রশ্নটিকে গুরুত্ব না দিয়ে পারা যায় না। কারণ, এর সঙ্গে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার বিষয়টির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। ভুলে গেলে চলবে না, বিনা কারণে আমাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যকে গুলি করে অপহরণের ঘটনা ভারতীয় কর্তৃপক্ষের আগ্রাসী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ ছাড়া আর কিছু হতে পারে না।
দিল্লিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের শীর্ষ বৈঠক ও ৫০ দফা সমঝোতা স্মারক ঘোষণার পর প্রধানমন্ত্রী ও তার সরকারের পক্ষ থেকে ভারত সফরকে শতভাগ সফল বলা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা এর প্রমাণ দেয় না। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর আচরণ প্রমাণ করে ক্ষুদ্র প্রতিবেশী বাংলাদেশ ও তার জনগণের প্রতি ভারতের আধিপত্যবাদী মনোভাবের বিন্দুমাত্র পরিবর্তন ঘটেনি।
প্রকাশিত খবরে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে জৈন্তাপুর সীমান্তে বিডিআরের টহলরত চার সদস্যের দলকে বাংলাদেশ সীমান্তের প্রায় ৫০ মিটার ভেতরে ঢুকে চ্যালেঞ্জ করে ১০-১৫ জন বিএসএফ। তারা বিডিআর সদস্যদের হাত তুলে অস্ত্রসমর্পণ করতে বলে। এতে সাড়া না দেয়ায় বিডিআর সুবেদার নায়েক মুজিবুর রহমানকে গুলি করে ফেলে দেয়। অন্যরা আত্মরক্ষা করলেও আহত মুজিবুরকে মারধর করে তার অস্ত্র কেড়ে নিয়ে চোখ বেঁধে সীমান্তের ওপারে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর পেয়ে স্থানীয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডারসহ বিডিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানালেও প্রথমে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি বিএসএফের কাছ থেকে। শেষ পর্যন্ত দুপুরের পর বৈঠকে বসতে সম্মত হলেও এর মধ্যে বিএসএফ সীমান্তে ভারি অস্ত্র ও অধিক সৈন্য এনে জৈন্তাপুর ও পার্শ্ববর্তী তামাবিল, শ্রীপুর সীমান্ত এলাকায় গোলাগুলি শুরু করে। সন্ধ্যা পর্যন্ত দু’পক্ষের গুলিবর্ষণে আতঙ্কিত হাজার হাজার শিশু-নারী-পুরুষ নিরাপত্তাহীন অবস্থায় বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র সরে যায়।
সিলেটের জৈন্তাপুর-গোয়াইনঘাট সীমান্ত এলাকায় এ ধরনের ঘটনা নতুন নয়। এখানকার বিরোধপূর্ণ জমির মালিকানা এবং দখল নিয়ে দুই দেশের মধ্যে সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনা আগেও ঘটেছে। প্রায়ই বিএসএফ ভারতীয় খাসিয়াদের সহযোগিতায় স্থানীয় কৃষকদের ফসল, জমি জবরদখল করতে আসে। গত বছর বেশ কয়েকবার এ ধরনের আগ্রাসনের শিকার হয়েছেন পদুয়া, সিলাটিলা, শ্রীপুর, তামাবিল সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা। বিষয়টি নিয়ে দুই দেশের উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে আসাই সবার কাম্য হওয়া উচিত।
এ প্রসঙ্গে আরেকটি বিষয় মানুষের দৃষ্টি কেড়েছে। সেটা বিবিসিকে দেয়া বিডিআর মহাপরিচালকের বিস্ময়কর বক্তব্য। তিনি বিএসএফের গুলিতে বিডিআর সদস্যের আহত হওয়ার ঘটনাটি বেমালুম অস্বীকার করেছেন। তাহলে সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন উঠবে, ব্যাটালিয়ন কমান্ডারসহ অন্যরা যে বক্তব্য দিয়েছেন তা সঠিক নয়? মহাপরিচালকের কথা শুনে মনের ভেতরে জিজ্ঞাসা জেগে ওঠে, তিনি আসলে কোন পক্ষের? পুরো ঘটনাকে নিছক ভুল বোঝাবুঝির প্রলেপ দিয়ে হালকা করে তিনি বিডিআর সদস্যকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন বিদেশি সংবাদ মাধ্যমে। আর তার কথার প্রতিধ্বনি শোনা গেছে কলকাতায় বিবিসিকে দেয়া বিএসএফ কর্মকর্তার মুখে। যে সেনানায়ক নিজ দলের সদস্যদের পক্ষে দাঁড়াতে সাহসী নন, তিনি কিভাবে দেশের সীমান্তরক্ষায় নেতৃত্ব দেবেন? প্রশ্নটিকে গুরুত্ব না দিয়ে পারা যায় না। কারণ, এর সঙ্গে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার বিষয়টির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। ভুলে গেলে চলবে না, বিনা কারণে আমাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যকে গুলি করে অপহরণের ঘটনা ভারতীয় কর্তৃপক্ষের আগ্রাসী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ ছাড়া আর কিছু হতে পারে না।
দিল্লিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের শীর্ষ বৈঠক ও ৫০ দফা সমঝোতা স্মারক ঘোষণার পর প্রধানমন্ত্রী ও তার সরকারের পক্ষ থেকে ভারত সফরকে শতভাগ সফল বলা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা এর প্রমাণ দেয় না। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর আচরণ প্রমাণ করে ক্ষুদ্র প্রতিবেশী বাংলাদেশ ও তার জনগণের প্রতি ভারতের আধিপত্যবাদী মনোভাবের বিন্দুমাত্র পরিবর্তন ঘটেনি।
No comments