পাপের অভিশাপ ও তওবার কল্যাণ by মুহাম্মদ যাইনুল আবিদীন
'এবং তোমরা তোমাদের প্রভুর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর। অতঃপর তাঁর প্রতি নিবিষ্ট থেকো। তিনি তোমাদের এক সুনির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সুপ্রসন্ন জীবন দান করবেন। আর যে যত বেশি নেক আমল করবে তাকে তত বেশি বাড়িয়ে দিবেন।' সূরা হূদ : ৩ 'অতঃপর আমি বললাম : তোমরা তোমাদের প্রভুর কাছে ক্ষমা চাও।
নিশ্চয় তিনি মহান ক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের প্রতি প্রবল বৃষ্টি বর্ষণ করবেন এবং তোমাদের জ্ঞান ও সম্পদ দিয়ে সাহায্য করবেন। তোমাদের বাগবাগিচা দান করবেন। তোমাদের জন্য প্রবাহিত করবেন নহরগুলো। ' নূহ : ১০-১২
পাপে-পুণ্যেই আমাদের জীবন। পাপকে শতভাগ এড়িয়ে চলার সাধ্য আমাদের নেই। অথচ এই পাপ কেবলই যে আমাদের পরকালীন মুক্তির পথে বাধা তা নয়। পাপ ও পাপের অভিশাপ আমাদের পার্থিব জীবনকেও বিষিয়ে তোলে। আমরা কল্পনাতীতভাবে বাধা পড়ে যাই অসীম সংকটের আবর্তে। পাপ যেমন অদৃশ্য তার দহনও অদৃশ্য, তবে সর্বগ্রাসী। সর্বগ্রাসী এই দহন-পীড়ন ও অভিশাপ থেকে মুক্তির একমাত্র পথ তওবা_ আল্লাহর দরবারে সানুনয় ক্ষমা প্রার্থনা। উলি্লখিত আয়াত দুটিতে মহান করুণাময় আল্লাহ সে পথেই ডেকেছেন আমাদের। এটা বান্দার প্রতি দয়ালু প্রভুর অশেষ অনুকম্পার উপমা। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন_ 'পাপী বান্দা তাঁর সকাশে ক্ষমা প্রার্থনা করলে শুধু পাপই ক্ষমা করবেন না_ পুরস্কৃতও করবেন।' উলি্লখিত আয়াত কয়টিতে সে পুরস্কারের কথাও বলে দিয়েছেন। তওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা করলে_ ১. সুনির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সুন্দর-সুপ্রসন্ন স্বাচ্ছদ্যপূর্ণ জীবন দান করবেন; ২. যে যত বেশি নেক আমল করবেন তাকে তত বেশি দান করবেন। মনে রাখার বিষয় হলো, তওবাও একটি উত্তম নেক আমল! আল্লাহতায়ালা পরের আয়াতে বলেছেন_ তোমরা তোমাদের প্রভুর দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা কর, তাহলে তিনি_ ৩. রহমতের বৃষ্টি বর্ষণ করবেন। ফলে আকাল ও দুর্ভিক্ষের অভিশাপ মুছে যাবে; ৪. সন্তান দান করবেন ; ৫. সম্পদ দিয়ে সাহায্য করবেন; ৬. বাগবাগিচা দান করবেন এবং ৭. নহরগুলো প্রবাহিত করবেন তওবা ও ক্ষমাপ্রার্থীদের জন্য। আমাদের মধ্যে একটা প্রচলিত ধারণা আছে, তওবা এসতেগফার কেবলই পরকালের জন্য। পার্থিব জীবনের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। এর চেয়েও ক্ষতির কথা হলো_ পাপের অভিশাপ যে এই পার্থিব জীবন সংসারকেও পুড়িয়ে ছাই করে দিতে পারে, সে কথাও ভাবি না আমরা। ফলে পাপে পাপে অঙ্গার হচ্ছে আমাদের জীবন। আমরা দহিত জীবনের জ্বালা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য জন্ম দিচ্ছি নতুন পাপের। মহান মালিকের অসীম করুণা_ তিনি পাক কোরআনে জানিয়ে দিয়েছেন, আমাদের এই ধারণা ভুল। পাপ কোনোদিনই সুখ বয়ে আনে না। আর ক্ষমা প্রার্থনা, তওবা এসতেগফার কেবল পরকালীন মুক্তিই নয়_ পার্থিব কল্যাণেরও বিশ্বস্ত পথ। এই যে রজনীর শেষভাগ, বৃহস্পতিবার রাত, শবেবরাত আর রমজানের দীঘল প্রহর_ এ তো সেই মুক্তি ও কল্যাণ জয়েরই সুবর্ণ ক্ষণ। সুবর্ণ ক্ষণকে যারা সযত্নে মূল্য দেয় তারাই বুদ্ধিমান_ 'ভাগ্যবান' কথাটা তাদেরই জন্য।
পাপে-পুণ্যেই আমাদের জীবন। পাপকে শতভাগ এড়িয়ে চলার সাধ্য আমাদের নেই। অথচ এই পাপ কেবলই যে আমাদের পরকালীন মুক্তির পথে বাধা তা নয়। পাপ ও পাপের অভিশাপ আমাদের পার্থিব জীবনকেও বিষিয়ে তোলে। আমরা কল্পনাতীতভাবে বাধা পড়ে যাই অসীম সংকটের আবর্তে। পাপ যেমন অদৃশ্য তার দহনও অদৃশ্য, তবে সর্বগ্রাসী। সর্বগ্রাসী এই দহন-পীড়ন ও অভিশাপ থেকে মুক্তির একমাত্র পথ তওবা_ আল্লাহর দরবারে সানুনয় ক্ষমা প্রার্থনা। উলি্লখিত আয়াত দুটিতে মহান করুণাময় আল্লাহ সে পথেই ডেকেছেন আমাদের। এটা বান্দার প্রতি দয়ালু প্রভুর অশেষ অনুকম্পার উপমা। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন_ 'পাপী বান্দা তাঁর সকাশে ক্ষমা প্রার্থনা করলে শুধু পাপই ক্ষমা করবেন না_ পুরস্কৃতও করবেন।' উলি্লখিত আয়াত কয়টিতে সে পুরস্কারের কথাও বলে দিয়েছেন। তওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা করলে_ ১. সুনির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সুন্দর-সুপ্রসন্ন স্বাচ্ছদ্যপূর্ণ জীবন দান করবেন; ২. যে যত বেশি নেক আমল করবেন তাকে তত বেশি দান করবেন। মনে রাখার বিষয় হলো, তওবাও একটি উত্তম নেক আমল! আল্লাহতায়ালা পরের আয়াতে বলেছেন_ তোমরা তোমাদের প্রভুর দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা কর, তাহলে তিনি_ ৩. রহমতের বৃষ্টি বর্ষণ করবেন। ফলে আকাল ও দুর্ভিক্ষের অভিশাপ মুছে যাবে; ৪. সন্তান দান করবেন ; ৫. সম্পদ দিয়ে সাহায্য করবেন; ৬. বাগবাগিচা দান করবেন এবং ৭. নহরগুলো প্রবাহিত করবেন তওবা ও ক্ষমাপ্রার্থীদের জন্য। আমাদের মধ্যে একটা প্রচলিত ধারণা আছে, তওবা এসতেগফার কেবলই পরকালের জন্য। পার্থিব জীবনের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। এর চেয়েও ক্ষতির কথা হলো_ পাপের অভিশাপ যে এই পার্থিব জীবন সংসারকেও পুড়িয়ে ছাই করে দিতে পারে, সে কথাও ভাবি না আমরা। ফলে পাপে পাপে অঙ্গার হচ্ছে আমাদের জীবন। আমরা দহিত জীবনের জ্বালা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য জন্ম দিচ্ছি নতুন পাপের। মহান মালিকের অসীম করুণা_ তিনি পাক কোরআনে জানিয়ে দিয়েছেন, আমাদের এই ধারণা ভুল। পাপ কোনোদিনই সুখ বয়ে আনে না। আর ক্ষমা প্রার্থনা, তওবা এসতেগফার কেবল পরকালীন মুক্তিই নয়_ পার্থিব কল্যাণেরও বিশ্বস্ত পথ। এই যে রজনীর শেষভাগ, বৃহস্পতিবার রাত, শবেবরাত আর রমজানের দীঘল প্রহর_ এ তো সেই মুক্তি ও কল্যাণ জয়েরই সুবর্ণ ক্ষণ। সুবর্ণ ক্ষণকে যারা সযত্নে মূল্য দেয় তারাই বুদ্ধিমান_ 'ভাগ্যবান' কথাটা তাদেরই জন্য।
No comments