চাঁদপুরের নয়নের মণি আলহাজ দেওয়ান আবুল খায়ের by ড.এম এ মান্নান
চাঁদপুর জেলার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে আলহাজ দেওয়ান আবুল খায়েরের জন্ম হয় ১৯৩০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর। তার পিতা হাজী মৌলভী আবদুস সালাম ছিলেন ঐ অঞ্চলের জমিদার এবং অতি উঁচুস্তরের আলেম।
চাঁদপুরের গনি মডেল হাইস্কুল থেকে মেট্রিকুলেশন পাস করে আলহাজ দেওয়ান আবুল খায়ের তত্কালীন ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ জগন্নাথ কলেজ, ঢাকায় ভর্তি হন। তিনি নেতৃত্ব, খেলাধুলা এবং বিতর্কে যথেষ্ট পারদর্শী ছিলেন এবং কলেজ ছাত্র সংসদে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
পিতার মৃত্যুতে তাকে জমিদারি এবং বিশাল ব্যবসা পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করতে হয়। জমিদারিতে অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি হয়ে ওঠেন প্রজাসাধারণের নয়নের মণি। তার সহপাঠীদের অন্যতম ছিলেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মিজানুর রহমান চৌধুরী, সাবেক প্রধান বিচারপতি মোস্তফা কামাল প্রমুখ। তার একমাত্র ছেলে চাঁদপুরের বিশিষ্টজনদের একজন। তার জামাতারাও প্রত্যেকে স্ব স্ব কর্মস্থলে অত্যন্ত সুপরিচিত ও সুপ্রতিষ্ঠিত। একজন বাংলাদেশ সরকা-রের বর্তমান সচিব।
জমিদারি প্রথা বিলোপ হওয়ার পর তিনি সাধারণ মানুষের কল্যাণে স্থানীয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেন এবং একাধারে ২৮ বছর চাঁদপুর পৌরসভার দায়িত্ব পালন করেন। সুদীর্ঘকাল পৌরসভার মিউটেশন কমিটির সভাপতি ছিলেন। আলহাজ দেওয়ান আবুল খায়ের ছিলেন চাঁদপুর রোটারী ক্লাব, চাঁদপুর শিল্প ও বণিক সমিতি, চাঁদপুর ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং চাঁদপুর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ডোনার। তিনি ছিলেন ক্রীড়াবিদ ও সংগঠক, জেলা ক্রীড়া সংসদের সদস্য, চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিসের আমৃত্যু ওয়াডেন, চাঁদপুর বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির আজীবন সভাপতি। ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষে তিনি চাঁদপুরে লঙ্গরখানা চালু করেন। পরে এই লঙ্গরখানা ব্যবস্থা জাতীয় কর্মসূচিতে রূপান্ত-রিত হয়।
তিনি জীবনের শুরু থেকেই শরীয়তের পূর্ণ অনুসারী ছিলেন। নিজ বাড়িতে তিনি বায়তুল আকসা জামে মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি আমৃত্যু চাঁদপুর পুরানবাজার জামে মসজিদ, জাফরাবাদ কাসেমূল উলুম টাইটেল মাদ্রাসাসহ আরও মসজিদ-মাদ্রাসার পরিচালনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি বিভিন্ন মসজিদ ও মাদ্রাসার আর্থিক সমস্যা সমাধানে সর্বদাই ভূমিকা রাখতেন। ব্যবসার ক্ষেত্রে ইসলামী নীতিমালা মেনে চলতেন। অধিক লাভের আশায় মালামাল কখনও মজুদ করতেন না।
তার অমর কীর্তি হচ্ছে তিন দিনব্যাপী চাঁদপুর ইসলামী মহাসম্মেলন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর প্রথম তিন দিনব্যাপী ইসলামী মহাসম্মেলন তারই উদ্যোগে ও পৃষ্ঠপোষকতায় চাঁদপুরের পুরান বাজারে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। দেশের সীমানা পেরিয়ে তা বিবিসি, ভয়েস অব আমেরিকার মতো সংবাদ মাধ্যমগুলোতে প্রচারিত হয়েছিল।
১৯৯৮ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এবং ২৬তম সেই ইসলামী মহাসম্মেলনের ২য় দিনে হাজার হাজার ভক্তবৃন্দের অংশগ্রহণে এই প্যান্ডেলেই তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। আমরা তার জান্নাত প্রত্যাশী।
পিতার মৃত্যুতে তাকে জমিদারি এবং বিশাল ব্যবসা পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করতে হয়। জমিদারিতে অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি হয়ে ওঠেন প্রজাসাধারণের নয়নের মণি। তার সহপাঠীদের অন্যতম ছিলেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মিজানুর রহমান চৌধুরী, সাবেক প্রধান বিচারপতি মোস্তফা কামাল প্রমুখ। তার একমাত্র ছেলে চাঁদপুরের বিশিষ্টজনদের একজন। তার জামাতারাও প্রত্যেকে স্ব স্ব কর্মস্থলে অত্যন্ত সুপরিচিত ও সুপ্রতিষ্ঠিত। একজন বাংলাদেশ সরকা-রের বর্তমান সচিব।
জমিদারি প্রথা বিলোপ হওয়ার পর তিনি সাধারণ মানুষের কল্যাণে স্থানীয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেন এবং একাধারে ২৮ বছর চাঁদপুর পৌরসভার দায়িত্ব পালন করেন। সুদীর্ঘকাল পৌরসভার মিউটেশন কমিটির সভাপতি ছিলেন। আলহাজ দেওয়ান আবুল খায়ের ছিলেন চাঁদপুর রোটারী ক্লাব, চাঁদপুর শিল্প ও বণিক সমিতি, চাঁদপুর ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং চাঁদপুর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ডোনার। তিনি ছিলেন ক্রীড়াবিদ ও সংগঠক, জেলা ক্রীড়া সংসদের সদস্য, চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিসের আমৃত্যু ওয়াডেন, চাঁদপুর বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির আজীবন সভাপতি। ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষে তিনি চাঁদপুরে লঙ্গরখানা চালু করেন। পরে এই লঙ্গরখানা ব্যবস্থা জাতীয় কর্মসূচিতে রূপান্ত-রিত হয়।
তিনি জীবনের শুরু থেকেই শরীয়তের পূর্ণ অনুসারী ছিলেন। নিজ বাড়িতে তিনি বায়তুল আকসা জামে মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি আমৃত্যু চাঁদপুর পুরানবাজার জামে মসজিদ, জাফরাবাদ কাসেমূল উলুম টাইটেল মাদ্রাসাসহ আরও মসজিদ-মাদ্রাসার পরিচালনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি বিভিন্ন মসজিদ ও মাদ্রাসার আর্থিক সমস্যা সমাধানে সর্বদাই ভূমিকা রাখতেন। ব্যবসার ক্ষেত্রে ইসলামী নীতিমালা মেনে চলতেন। অধিক লাভের আশায় মালামাল কখনও মজুদ করতেন না।
তার অমর কীর্তি হচ্ছে তিন দিনব্যাপী চাঁদপুর ইসলামী মহাসম্মেলন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর প্রথম তিন দিনব্যাপী ইসলামী মহাসম্মেলন তারই উদ্যোগে ও পৃষ্ঠপোষকতায় চাঁদপুরের পুরান বাজারে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। দেশের সীমানা পেরিয়ে তা বিবিসি, ভয়েস অব আমেরিকার মতো সংবাদ মাধ্যমগুলোতে প্রচারিত হয়েছিল।
১৯৯৮ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এবং ২৬তম সেই ইসলামী মহাসম্মেলনের ২য় দিনে হাজার হাজার ভক্তবৃন্দের অংশগ্রহণে এই প্যান্ডেলেই তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। আমরা তার জান্নাত প্রত্যাশী।
No comments