'পৃথিবীর ওপর চাপ' শীর্ষক সম্মেলন থেকে নতুন ভাবনা by কানন পুরকায়স্থ
সম্প্রতি লন্ডনে অনুষ্ঠিত 'পৃথিবীর ওপর চাপ' (Planet under pressure) শীর্ষক সম্মেলনে প্রায় দুই হাজার বিজ্ঞানী অংশগ্রহণ করেন। এ সম্মেলনে আলোচনার মূল বিষয় ছিল মানুষের নানা কর্মকাণ্ডের ফলে পৃথিবীর প্রাণ সহায়তাকারী পদ্ধতি (Life Support System) কতটা ঝুঁকির সম্মুখীন, তার উপাত্ত উপস্থাপন ও বিশ্লেষণ করা।
এই ঝুঁকির বিচার-বিশ্লেষণ করতে গিয়ে গ্রিন হাউস গ্যাস আলোচনার মূল বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। গ্রিন হাউস গ্যাস বলতে কার্বন ডাই-অক্সাইড ছাড়াও রয়েছে আরো অন্যান্য পদার্থ, যেমন নাইট্রোজেন অক্সাইড, ওজোন, মিথেন, ক্লোরোফ্লোরো কার্বনসহ আরো বেশ কয়েকটি যৌগ। এই গ্যাসগুলোর একটি সাধারণ ধর্ম হচ্ছে এই যে এরা সূর্য থেকে আগত অবলোহিত রশ্মিকে শোষণ করতে পারে। গ্রিন হাউস গ্যাসের মধ্যে কার্বন ডাই-অক্সাইড এবং মিথেন বৈশ্বিক উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণের জন্য বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। মিথেন বৈশ্বিক উষ্ণতার হ্রাস বা বৃদ্ধিতে নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা পালন করতে পারে। তাই সবার দৃষ্টি এখন এই গ্যাসের দিকে।
আমরা বসবাস করি ক্রান্তিমণ্ডলে। এখানে মিথেন নানাভাবে বায়ুমণ্ডলে নির্গত হয়। যেমন গ্যাস ক্ষেত্র, গ্যাস পাইপ, কয়লার খনি, ল্যান্ডফিল (Landfill) অথবা লাইভস্টক থেকে মিথেন নির্গত হয়। এই গ্যাস রাসায়নিকভাবে যে ভূমিকা পালন করে, তা হলো এই ধরনের- মিথেন অক্সিজেনের সঙ্গে বিক্রিয়া করে কার্বন ডাই-অক্সাইড ও জলীয় বাষ্প তৈরি করে। তা ছাড়া মিথেন ক্রান্তিমণ্ডলে ওজোন তৈরিতে সহায়তা করে। মিথেনের জারণ শিরা (Oxidation) সম্পন্ন হয় হাইড্রোক্সিন যৌগের মাধ্যমে এবং তা থেকে আমরা পাই ওজোন গ্যাস। সুতরাং দেখা যায়, মিথেন থেকে আমরা কার্বন ডাই-অক্সাইড পেতে পারি, আবার মিথেন থেকে ওজোনও পেতে পারি। প্রশ্ন হলো, মিথেন এবং কার্বন ডাই-অক্সাইডের মধ্যে একটির পরিমাণ অপরটি থেকে বেশি হলে কী হয়? যুক্তরাজ্যের এক্সিটার বিশ্ববিদ্যালয়ের (Exeter) গবেষক দল এ বিষয়ে সম্মেলনে তাদের গবেষণালব্ধ ফলাফল উপস্থাপন করে। এ থেকে জানা যায়, বায়ুমণ্ডলে কম মিথেন এবং বেশি পরিমাণে কার্বন ডাই-অক্সাইড থাকলে গাছপালা বেশি পরিমাণে কার্বণ শোষণ করতে পারে এবং বৃদ্ধি পায়। এটি দুভাবে হতে পারে। প্রথমত, ক্রান্তিমণ্ডলে অতিরিক্ত কার্বন ডাই-অক্সাইড গাছপালার জন্য সার হিসেবে কাজ করে। দ্বিতীয়ত, আমরা জানি যে ওজোন গাছপালার বৃদ্ধিকে রোধ করে। তাই ক্রান্তিমণ্ডলে মিথেন কম থাকলে ওজোন তৈরির পরিমাণ কমে যায়। এই অবস্থা গাছপালা বৃদ্ধির জন্য সহায়ক। এ বিষয়গুলো আমরা মোটামুটিভাবে জানি। তবে এক্সিটার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দল গণনা করে দেখায় যে বৈশ্বিক উষ্ণতার বৃদ্ধিকে দুই ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের মধ্যে সীমিত রেখে আমরা কী পরিমাণ কার্বন ডাই-অক্সাইড বায়ুমণ্ডলে নির্গমন করতে পারি? আমরা যদি শতকরা ৪০ ভাগ মিথেন নির্গমন কমিয়ে আনি, তাহলে অতিরিক্ত ৫০০ গাইগাটন (Gigaton) কার্বনডাই অক্সাইড বায়ুমণ্ডলে নির্গমন করতে পারি তাপমাত্রাকে দুই ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের মধ্যে সীমিত রেখেও। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি দুই ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের বেশি নয়- এই মানদণ্ড ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে জারি করা হয় ২০০৪ সালের দিকে। সাময়িকভাবে কার্বন ডাই-অক্সাইডকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলেও মিথেন নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে আমরা অতিরিক্ত ১৫ বছর সময় পেতে পারি কার্বন ডাই-অক্সাইডকে নিয়ন্ত্রণ করার। তবে সম্মেলনে এটি অনুভূত হয় যে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমনের পরিমাণকে অনেক বেশি মাত্রায় নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। মিথেন এ বিষয়ে নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা পালন করতে পারে। কারণ ক্রান্তিমণ্ডলে ওজোনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে খাদ্যশস্য উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব, তা ছাড়া মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর ওজোনের যে ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে, তা কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।
সম্মেলনে আরেকটি বিষয়, যা সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে, তা হলো সাগরের তলদেশে ভূমিধস এবং তা থেকে সৃষ্ট সুনামির প্রভাব। এই ভূমিধসের কারণ সুমেরু সাগরে বরফের পরিমাণ কমে যাওয়া। উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০০৭ সাল পর্যন্ত সুমেরু সাগরে বরফের আচ্ছাদন শীতকালে বেশি এবং গ্রীষ্মকালে কম দেখা যায়। কিন্তু ২০০৭ সালের পরের উপাত্ত থেকে দেখা যায়, শীতকাল এবং গ্রীষ্মকালের মধ্যে বরফের আচ্ছাদনের পার্থক্য ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এখন তা মিলিয়ন বর্গকিলোমিটার বেশি। অর্থাৎ বর্তমানে গ্রীষ্মকালে বরফ গলে যাওয়ার পরিমাণ ২০০৭ সালের পূর্ববর্তী সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। এই পরিবর্তনকে একটি 'স্থায়ী পরিবর্তন' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। যার ফলে অচিরেই সুমেরু সাগরে গ্রীষ্মকালে কোনো বরফ দেখা যাবে না। এই পরিবর্তন কেন হলো, তা এখনো সুস্পষ্ট নয়। সুমেরু অঞ্চলে তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রভাব আরো ভয়াবহ হতে পারে। যেমন তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে ওই অঞ্চলের সাগরের উষ্ণ প্রবাহ সাগরের তলদেশের বরফ গলতে সহায়তা করবে। ওই বরফ গলে গেলে আন্তঃসাগরীয় ঢালে (Submarine slope) ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে। এই ভূমিধস থেকে সৃষ্ট সুনামির প্রভাব পৃথিবীর নানা উপকূলীয় অঞ্চলে পড়বে। প্রায় আট হাজার বছর আগে এ ধরনের ঘটনা নরওয়ের উপকূলে ঘটেছিল। ব্রিটিশ জিওলজিক্যাল সার্ভের তথ্য অনুযায়ী এই ভূমিধসকে বলা হয় স্টোরেগা ধস (Storegga slide)। এই ভূমিধসের পরিমাণ ছিল তিন হাজার ৩০০ কিলোমিটার। সাগরে বিধ্বস্ত একেকটি ব্লকের আকার প্রায় এক কিলোমিটার। সে সময় যুক্তরাজ্যের উত্তর-পূর্ব উপকূলীয় অঞ্চল ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঐতিহাসিক ম্যাপ এবং রেকর্ড পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ওই সুনামির ফলে উত্তর সাগর ১৭ মিটার উপরে উঠে যায় এবং ওই অঞ্চলে বসবাসরত মেসোলিথিক সভ্যতা নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। এভাবেই যুক্তরাজ্য একটি দ্বীপাঞ্চলে পরিণত হয়। তাই বিজ্ঞানীরা মনে করেন, এ ধরনের একটি ঘটনা আসন্ন। উপকূলীয় অঞ্চলের দেশগুলোকে এ ধরনের পরিবেশ বিপর্যয় মোকাবিলায় সদাপ্রস্তুত থাকতে হবে। বাংলাদেশ তার মধ্যে অন্যতম।
লেখক : যুক্তরাজ্যের দি ইনস্টিটিউট অব এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সের একজন ফেলো
আমরা বসবাস করি ক্রান্তিমণ্ডলে। এখানে মিথেন নানাভাবে বায়ুমণ্ডলে নির্গত হয়। যেমন গ্যাস ক্ষেত্র, গ্যাস পাইপ, কয়লার খনি, ল্যান্ডফিল (Landfill) অথবা লাইভস্টক থেকে মিথেন নির্গত হয়। এই গ্যাস রাসায়নিকভাবে যে ভূমিকা পালন করে, তা হলো এই ধরনের- মিথেন অক্সিজেনের সঙ্গে বিক্রিয়া করে কার্বন ডাই-অক্সাইড ও জলীয় বাষ্প তৈরি করে। তা ছাড়া মিথেন ক্রান্তিমণ্ডলে ওজোন তৈরিতে সহায়তা করে। মিথেনের জারণ শিরা (Oxidation) সম্পন্ন হয় হাইড্রোক্সিন যৌগের মাধ্যমে এবং তা থেকে আমরা পাই ওজোন গ্যাস। সুতরাং দেখা যায়, মিথেন থেকে আমরা কার্বন ডাই-অক্সাইড পেতে পারি, আবার মিথেন থেকে ওজোনও পেতে পারি। প্রশ্ন হলো, মিথেন এবং কার্বন ডাই-অক্সাইডের মধ্যে একটির পরিমাণ অপরটি থেকে বেশি হলে কী হয়? যুক্তরাজ্যের এক্সিটার বিশ্ববিদ্যালয়ের (Exeter) গবেষক দল এ বিষয়ে সম্মেলনে তাদের গবেষণালব্ধ ফলাফল উপস্থাপন করে। এ থেকে জানা যায়, বায়ুমণ্ডলে কম মিথেন এবং বেশি পরিমাণে কার্বন ডাই-অক্সাইড থাকলে গাছপালা বেশি পরিমাণে কার্বণ শোষণ করতে পারে এবং বৃদ্ধি পায়। এটি দুভাবে হতে পারে। প্রথমত, ক্রান্তিমণ্ডলে অতিরিক্ত কার্বন ডাই-অক্সাইড গাছপালার জন্য সার হিসেবে কাজ করে। দ্বিতীয়ত, আমরা জানি যে ওজোন গাছপালার বৃদ্ধিকে রোধ করে। তাই ক্রান্তিমণ্ডলে মিথেন কম থাকলে ওজোন তৈরির পরিমাণ কমে যায়। এই অবস্থা গাছপালা বৃদ্ধির জন্য সহায়ক। এ বিষয়গুলো আমরা মোটামুটিভাবে জানি। তবে এক্সিটার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দল গণনা করে দেখায় যে বৈশ্বিক উষ্ণতার বৃদ্ধিকে দুই ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের মধ্যে সীমিত রেখে আমরা কী পরিমাণ কার্বন ডাই-অক্সাইড বায়ুমণ্ডলে নির্গমন করতে পারি? আমরা যদি শতকরা ৪০ ভাগ মিথেন নির্গমন কমিয়ে আনি, তাহলে অতিরিক্ত ৫০০ গাইগাটন (Gigaton) কার্বনডাই অক্সাইড বায়ুমণ্ডলে নির্গমন করতে পারি তাপমাত্রাকে দুই ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের মধ্যে সীমিত রেখেও। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি দুই ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের বেশি নয়- এই মানদণ্ড ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে জারি করা হয় ২০০৪ সালের দিকে। সাময়িকভাবে কার্বন ডাই-অক্সাইডকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলেও মিথেন নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে আমরা অতিরিক্ত ১৫ বছর সময় পেতে পারি কার্বন ডাই-অক্সাইডকে নিয়ন্ত্রণ করার। তবে সম্মেলনে এটি অনুভূত হয় যে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমনের পরিমাণকে অনেক বেশি মাত্রায় নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। মিথেন এ বিষয়ে নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা পালন করতে পারে। কারণ ক্রান্তিমণ্ডলে ওজোনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে খাদ্যশস্য উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব, তা ছাড়া মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর ওজোনের যে ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে, তা কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।
সম্মেলনে আরেকটি বিষয়, যা সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে, তা হলো সাগরের তলদেশে ভূমিধস এবং তা থেকে সৃষ্ট সুনামির প্রভাব। এই ভূমিধসের কারণ সুমেরু সাগরে বরফের পরিমাণ কমে যাওয়া। উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০০৭ সাল পর্যন্ত সুমেরু সাগরে বরফের আচ্ছাদন শীতকালে বেশি এবং গ্রীষ্মকালে কম দেখা যায়। কিন্তু ২০০৭ সালের পরের উপাত্ত থেকে দেখা যায়, শীতকাল এবং গ্রীষ্মকালের মধ্যে বরফের আচ্ছাদনের পার্থক্য ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এখন তা মিলিয়ন বর্গকিলোমিটার বেশি। অর্থাৎ বর্তমানে গ্রীষ্মকালে বরফ গলে যাওয়ার পরিমাণ ২০০৭ সালের পূর্ববর্তী সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। এই পরিবর্তনকে একটি 'স্থায়ী পরিবর্তন' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। যার ফলে অচিরেই সুমেরু সাগরে গ্রীষ্মকালে কোনো বরফ দেখা যাবে না। এই পরিবর্তন কেন হলো, তা এখনো সুস্পষ্ট নয়। সুমেরু অঞ্চলে তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রভাব আরো ভয়াবহ হতে পারে। যেমন তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে ওই অঞ্চলের সাগরের উষ্ণ প্রবাহ সাগরের তলদেশের বরফ গলতে সহায়তা করবে। ওই বরফ গলে গেলে আন্তঃসাগরীয় ঢালে (Submarine slope) ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে। এই ভূমিধস থেকে সৃষ্ট সুনামির প্রভাব পৃথিবীর নানা উপকূলীয় অঞ্চলে পড়বে। প্রায় আট হাজার বছর আগে এ ধরনের ঘটনা নরওয়ের উপকূলে ঘটেছিল। ব্রিটিশ জিওলজিক্যাল সার্ভের তথ্য অনুযায়ী এই ভূমিধসকে বলা হয় স্টোরেগা ধস (Storegga slide)। এই ভূমিধসের পরিমাণ ছিল তিন হাজার ৩০০ কিলোমিটার। সাগরে বিধ্বস্ত একেকটি ব্লকের আকার প্রায় এক কিলোমিটার। সে সময় যুক্তরাজ্যের উত্তর-পূর্ব উপকূলীয় অঞ্চল ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঐতিহাসিক ম্যাপ এবং রেকর্ড পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ওই সুনামির ফলে উত্তর সাগর ১৭ মিটার উপরে উঠে যায় এবং ওই অঞ্চলে বসবাসরত মেসোলিথিক সভ্যতা নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। এভাবেই যুক্তরাজ্য একটি দ্বীপাঞ্চলে পরিণত হয়। তাই বিজ্ঞানীরা মনে করেন, এ ধরনের একটি ঘটনা আসন্ন। উপকূলীয় অঞ্চলের দেশগুলোকে এ ধরনের পরিবেশ বিপর্যয় মোকাবিলায় সদাপ্রস্তুত থাকতে হবে। বাংলাদেশ তার মধ্যে অন্যতম।
লেখক : যুক্তরাজ্যের দি ইনস্টিটিউট অব এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সের একজন ফেলো
No comments