শহীদ জিয়ার লাশ নিয়ে শেখ সেলিমের অভব্যতাঃ আমরা নিন্দা ও ধিক্কার জানাই
নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে সংসদ সদস্যদের বাচনভঙ্গি আর লাশকাটা ঘরের (মর্গ) চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীর মুখের ভাষা যদি একাকার হয়ে যায়, তবে গণতন্ত্রের শত্রুরা অট্টহাসিতে ফেটে পড়লেও চিন্তাশীল লোকজনের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়তে বাধ্য।
গত মঙ্গলবার তেমন একটা কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেছেন আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি শেখ ফজলুল করিম সেলিম, জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের পক্ষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে। একেবারে অপ্রাসঙ্গিকভাবে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের লাশ নিয়ে তিনি অত্যন্ত আপত্তিকর ভাষা ও ভঙ্গিতে যেসব কথা বলেছেন, সেগুলোর সঙ্গে বস্তির কলতলার কোমর বেঁধে চেঁচামেচির তুলনা করা চলে; যদিও আলোচ্য ক্ষেত্রে প্রতিপক্ষ ছিল অনুপস্থিত। তিনি বলেছেন, ‘রাষ্ট্রপতি মারা গেলে তার লাশের ছবি সরকারের কাছে থাকার কথা। জিয়াউর রহমান মারা যাওয়ার পর তার ছবি দেখানো হয়নি। আমি চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি, ওই মাজারে জিয়াউর রহমানের লাশ থাকলে তিন দিনের মধ্যে তার ছবি প্রকাশ করুন। আর লাশ না থাকলে ওই বাক্স তুলে পানিতে ফেলে দিতে হবে।’ শেখ সেলিম জিয়াউর রহমানের লাশের সত্যতা প্রমাণে ডিএনএ টেস্টের দাবি করেছেন। শহীদ জিয়ার মাজারে বিভিন্ন উপলক্ষে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য যে মানুষের ঢল নামে, তাতে নিজের উষ্মার কথাও তিনি প্রকাশ করেছেন কুরুচিকরভাবে। একই বক্তৃতায় শেখ সেলিম সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও সংসদে বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে ‘কুটনি বুড়ি’ বলে গালি দিয়েছেন। শেখ সেলিম মইনউদ্দিন সরকারের সময় গ্রেফতার এবং রিমান্ডে চরমভাবে নির্যাতনের শিকার হলেও আশ্চর্যজনকভাবে তার যত বিদ্বেষ জিয়াউর রহমান এবং বিএনপির ওপর। জরুরি সরকারের কয়েদখানায় দলীয় সভানেত্রীর বিরুদ্ধে তিনি যেসব স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন তার অডিও ক্যাসেট সেই সময় মানুষের হাতে হাতে ফিরেছে।
অবশ্য শিষ্টাচার-বহির্ভূত কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেয়া তার আগে শুরু করেছেন তারই দলনেত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী শেখ সেলিম এমপি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আপন ফুফাতো ভাই হলেও এবার মহাজোট মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পাননি। তাই অন্ধ আক্রোশে মণিহারা ফণির মতো এদিক-সেদিকে ছোবল মারতে গিয়ে নিজের ভাবমূর্তিকেই তিনি ক্ষতবিক্ষত করে তুলছেন। তিনি খুব ভালো করেই জানেন, নিজের অস্তাচলগামী রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নিয়ে শহীদ জিয়ার মহীরুহতুল্য ভাবমূর্তির ধারেকাছে যাওয়ার সাধ্যও তার নেই। সময়ের ডাকে সাড়া দিয়ে সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি সম্পন্ন করে জিয়াউর রহমান সৈনিক থেকে স্বাধীনতার ঘোষক, স্বাধীনতার ঘোষক থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা থেকে আধুনিক বাংলাদেশের ভিত্তি রচয়িতায় রূপান্তরিত হয়েছিলেন। আপন যোগ্যতায় তিনি হয়েছেন ইতিহাসের মহানায়ক।
শেখ সেলিম রাষ্ট্রপতি মারা গেলে তার লাশের ছবি থাকার প্রসঙ্গ টেনেছেন। স্বাভাবিক মৃত্যুর ক্ষেত্রে কথাটা খাটে। কিন্তু অস্বাভাবিক মৃত্যুর ক্ষেত্রে বিষয়টা বাধ্যতামূলক নয়। বিমান দুর্ঘটনায় নিহত পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জিয়াউল হক, আত্মঘাতী তামিল গেরিলাদের বোমা হামলায় নিহত ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী এবং বিমান দুর্ঘটনায় নিহত জাতিসংঘের দ্বিতীয় মহাসচিব দাগ হ্যামার শেল্ডের লাশের কোনো ছবি নেই। তাই বলে তাদের মৃত্যু এবং লাশ নিয়ে শেখ সেলিমের মতো অশালীন কথাবার্তা কেউ বলেনি। প্রশ্ন উঠতে পারে, একাধিকবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য শেখ সেলিম কেন সংসদীয় ভব্যতা বিসর্জন দিয়ে এভাবে লাগামহীন কথাবার্তা বলতে গেলেন। কেন প্রধানমন্ত্রী এবং শেখ সেলিম রাজনৈতিক শিষ্টাচার এভাবে বিসর্জন দিচ্ছেন, সেই প্রশ্ন দেশের প্রত্যেক নাগরিকের। কারণ এই হতে পারে যে, আওয়ামী লীগ চাইছে না বিরোধী দল সংসদে এসে অন্যান্য বার্নিং ইস্যুগুলো নিয়ে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখুক। তাই বিএনপিকে ক্ষেপিয়ে তোলার জন্য তাদের এই অসংসদীয় আচরণ। নইলে স্পিকার শেখ সেলিমের বক্তব্যের অসংসদীয় অংশ এক্সপাঞ্জ করতেন। যে বুদ্ধিতেই শেখ সেলিম এই আচরণ করুন না কেন, সেটা সুবুদ্ধি নয়, দুর্বুদ্ধি। ধর্মীয় বিবেচনাতেও মৃত ব্যক্তি সম্পর্কে এ ধরনের মন্তব্য কেবল অনভিপ্রেতই নয়, ধর্মীয় বিধানেরও সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। সংকীর্ণতার ঔরসে অমঙ্গলের গর্ভে জন্ম নেয়া এই দুর্বুদ্ধিকে আমরা ঘৃণা করি এবং ধিক্কার জানাই।
অবশ্য শিষ্টাচার-বহির্ভূত কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেয়া তার আগে শুরু করেছেন তারই দলনেত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী শেখ সেলিম এমপি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আপন ফুফাতো ভাই হলেও এবার মহাজোট মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পাননি। তাই অন্ধ আক্রোশে মণিহারা ফণির মতো এদিক-সেদিকে ছোবল মারতে গিয়ে নিজের ভাবমূর্তিকেই তিনি ক্ষতবিক্ষত করে তুলছেন। তিনি খুব ভালো করেই জানেন, নিজের অস্তাচলগামী রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নিয়ে শহীদ জিয়ার মহীরুহতুল্য ভাবমূর্তির ধারেকাছে যাওয়ার সাধ্যও তার নেই। সময়ের ডাকে সাড়া দিয়ে সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি সম্পন্ন করে জিয়াউর রহমান সৈনিক থেকে স্বাধীনতার ঘোষক, স্বাধীনতার ঘোষক থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা থেকে আধুনিক বাংলাদেশের ভিত্তি রচয়িতায় রূপান্তরিত হয়েছিলেন। আপন যোগ্যতায় তিনি হয়েছেন ইতিহাসের মহানায়ক।
শেখ সেলিম রাষ্ট্রপতি মারা গেলে তার লাশের ছবি থাকার প্রসঙ্গ টেনেছেন। স্বাভাবিক মৃত্যুর ক্ষেত্রে কথাটা খাটে। কিন্তু অস্বাভাবিক মৃত্যুর ক্ষেত্রে বিষয়টা বাধ্যতামূলক নয়। বিমান দুর্ঘটনায় নিহত পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জিয়াউল হক, আত্মঘাতী তামিল গেরিলাদের বোমা হামলায় নিহত ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী এবং বিমান দুর্ঘটনায় নিহত জাতিসংঘের দ্বিতীয় মহাসচিব দাগ হ্যামার শেল্ডের লাশের কোনো ছবি নেই। তাই বলে তাদের মৃত্যু এবং লাশ নিয়ে শেখ সেলিমের মতো অশালীন কথাবার্তা কেউ বলেনি। প্রশ্ন উঠতে পারে, একাধিকবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য শেখ সেলিম কেন সংসদীয় ভব্যতা বিসর্জন দিয়ে এভাবে লাগামহীন কথাবার্তা বলতে গেলেন। কেন প্রধানমন্ত্রী এবং শেখ সেলিম রাজনৈতিক শিষ্টাচার এভাবে বিসর্জন দিচ্ছেন, সেই প্রশ্ন দেশের প্রত্যেক নাগরিকের। কারণ এই হতে পারে যে, আওয়ামী লীগ চাইছে না বিরোধী দল সংসদে এসে অন্যান্য বার্নিং ইস্যুগুলো নিয়ে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখুক। তাই বিএনপিকে ক্ষেপিয়ে তোলার জন্য তাদের এই অসংসদীয় আচরণ। নইলে স্পিকার শেখ সেলিমের বক্তব্যের অসংসদীয় অংশ এক্সপাঞ্জ করতেন। যে বুদ্ধিতেই শেখ সেলিম এই আচরণ করুন না কেন, সেটা সুবুদ্ধি নয়, দুর্বুদ্ধি। ধর্মীয় বিবেচনাতেও মৃত ব্যক্তি সম্পর্কে এ ধরনের মন্তব্য কেবল অনভিপ্রেতই নয়, ধর্মীয় বিধানেরও সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। সংকীর্ণতার ঔরসে অমঙ্গলের গর্ভে জন্ম নেয়া এই দুর্বুদ্ধিকে আমরা ঘৃণা করি এবং ধিক্কার জানাই।
No comments