উন্নয়ন কর্মসূচির অর্থ ফেরত
নতুন বাজেট আসার আগেই এবার উন্নয়ন কর্মসূচির টাকা ফেরত যাচ্ছে। শুধু ফেরত যাওয়া নয়, নতুন করে অর্থ বরাদ্দও চাওয়া হয়েছে কয়েকটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বা এডিপি বাস্তবায়ন করতে না পারা মন্ত্রণালয়গুলো অর্থ ফেরত পাঠাতে শুরু করেছে বলে জানা গেছে।
বাজেটের শুরুতে বড় অঙ্কের বরাদ্দ নিলেও বছরের শেষে তারা কাঙ্ক্ষিত ব্যয় করতে না পারায় এ অর্থ ফেরত দিচ্ছে। কয়েক মাস আগে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় থেকে সংশোধিত এডিপি শতভাগ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে তাদের অবস্থান জানানোর জন্য বলা হয়। এ ক্ষেত্রে যেসব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ অর্থ ব্যয় করতে পারবে না, তারা কী পরিমাণ অর্থ ফেরত দেবে এবং যাদের বেশি অর্থের প্রয়োজন তাদের কী পরিমাণ অর্থ লাগবে তার হিসাব জমা দিতে বলা হয়। অর্থ ফেরত দেওয়ার পাশাপাশি আরো অর্থ বরাদ্দ চেয়েছে কয়েকটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ ৪৬৭ কোটি, যোগাযোগ মন্ত্রণালয় ৬০০ কোটি, সেতু বিভাগ ২০০ কোটি, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ৩৪০ কোটি এবং সর্বোচ্চ এক হাজার ৬৯০ কোটি টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ চেয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
অন্যান্য অর্থবছরে মূল এডিপি সংশোধন করতে এপ্রিল-মে মাস লেগে গেলেও এ বছর লক্ষ্য অনুযায়ী পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ফেব্রুয়ারি মাসেই এডিপি সংশোধনের কাজ শেষ করেছে। চলতি অর্থবছরে মোট ৩৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকার মূল এডিপি অনুমোদন দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে গত ফেব্রুয়ারি মাসে ৩৫ হাজার ১৩০ কোটি টাকার সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বা আরএডিপি করা হয়েছে। এর মধ্যে স্থানীয় মুদ্রা ২৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা, অর্থাৎ সংশোধিত এডিপির ৬৬ শতাংশ এবং প্রকল্প সাহায্য ১১ হাজার ৯৩০ কোটি টাকা, যা সংশোধিত এডিপির ৩৪ শতাংশ। অন্যদিকে আরএডিপিতে বেড়েছে প্রকল্পের সংখ্যা। আরএডিপিতে মোট প্রকল্পের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ১৮৫। এর মধ্যে চলতি অর্থবছরের এডিপি থেকে সংশোধিত এডিপিতে স্থানান্তরিত প্রকল্প ৯১৫টি এবং নতুনভাবে বরাদ্দসহ অন্তর্ভুক্ত প্রকল্প ২৭০টি।
প্রতিবছরই দেখা যায়, এডিপির জন্য বরাদ্দ করা অর্থ অনেক মন্ত্রণালয় ও বিভাগে খরচ হয় না। আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, বরাদ্দ করা অর্থের পরিমাণ প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। গত বাজেটের আগে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে সামর্থ্য অনুযায়ী এডিপি নির্ধারণের জন্য বলা হয়েছিল। সে হিসাবেই বরাদ্দ চাওয়া হলেও অনেক মন্ত্রণালয় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বরাদ্দ অর্থ খরচ করতে পারেনি। সেই অর্থ ফেরত দেওয়াটা অনেকের কাছে ব্যর্থতা বলে মনে হতে পারে। তবে এ ধরনের কাজে বরাদ্দ দেওয়া অর্থ ফেরত দেওয়াকে ব্যর্থতা হিসেবে ধরে নেওয়া বোধ হয় ঠিক হবে না। এ ক্ষেত্রে ফেরত যাওয়া অর্থ অন্য মন্ত্রণালয় বা বিভাগে কাজে লাগানোর সুযোগ থাকে। বাংলাদেশের বিগত অর্থবছরগুলোর এডিপির দিকে তাকালে দেখা যাবে, কোনো বছরই এডিপি বাস্তবায়নে শতভাগ সাফল্য আসেনি। অনেক ক্ষেত্রেই বরাদ্দ অর্থ অলস পড়ে থাকে। এবার সেই অর্থ ফেরত দেওয়ার যে নজির স্থাপিত হলো, সেটাকে ভালো উদাহরণ হিসেবে ধরতে হবে। বরাদ্দ করা অর্থ ফেলে না রেখে উন্নয়ন পরিকল্পনার অন্য কোনো খাতে ব্যয় করা হলে টাকাটা অন্তত উন্নয়নেই ব্যয় হবে।
অন্যান্য অর্থবছরে মূল এডিপি সংশোধন করতে এপ্রিল-মে মাস লেগে গেলেও এ বছর লক্ষ্য অনুযায়ী পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ফেব্রুয়ারি মাসেই এডিপি সংশোধনের কাজ শেষ করেছে। চলতি অর্থবছরে মোট ৩৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকার মূল এডিপি অনুমোদন দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে গত ফেব্রুয়ারি মাসে ৩৫ হাজার ১৩০ কোটি টাকার সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বা আরএডিপি করা হয়েছে। এর মধ্যে স্থানীয় মুদ্রা ২৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা, অর্থাৎ সংশোধিত এডিপির ৬৬ শতাংশ এবং প্রকল্প সাহায্য ১১ হাজার ৯৩০ কোটি টাকা, যা সংশোধিত এডিপির ৩৪ শতাংশ। অন্যদিকে আরএডিপিতে বেড়েছে প্রকল্পের সংখ্যা। আরএডিপিতে মোট প্রকল্পের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ১৮৫। এর মধ্যে চলতি অর্থবছরের এডিপি থেকে সংশোধিত এডিপিতে স্থানান্তরিত প্রকল্প ৯১৫টি এবং নতুনভাবে বরাদ্দসহ অন্তর্ভুক্ত প্রকল্প ২৭০টি।
প্রতিবছরই দেখা যায়, এডিপির জন্য বরাদ্দ করা অর্থ অনেক মন্ত্রণালয় ও বিভাগে খরচ হয় না। আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, বরাদ্দ করা অর্থের পরিমাণ প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। গত বাজেটের আগে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে সামর্থ্য অনুযায়ী এডিপি নির্ধারণের জন্য বলা হয়েছিল। সে হিসাবেই বরাদ্দ চাওয়া হলেও অনেক মন্ত্রণালয় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বরাদ্দ অর্থ খরচ করতে পারেনি। সেই অর্থ ফেরত দেওয়াটা অনেকের কাছে ব্যর্থতা বলে মনে হতে পারে। তবে এ ধরনের কাজে বরাদ্দ দেওয়া অর্থ ফেরত দেওয়াকে ব্যর্থতা হিসেবে ধরে নেওয়া বোধ হয় ঠিক হবে না। এ ক্ষেত্রে ফেরত যাওয়া অর্থ অন্য মন্ত্রণালয় বা বিভাগে কাজে লাগানোর সুযোগ থাকে। বাংলাদেশের বিগত অর্থবছরগুলোর এডিপির দিকে তাকালে দেখা যাবে, কোনো বছরই এডিপি বাস্তবায়নে শতভাগ সাফল্য আসেনি। অনেক ক্ষেত্রেই বরাদ্দ অর্থ অলস পড়ে থাকে। এবার সেই অর্থ ফেরত দেওয়ার যে নজির স্থাপিত হলো, সেটাকে ভালো উদাহরণ হিসেবে ধরতে হবে। বরাদ্দ করা অর্থ ফেলে না রেখে উন্নয়ন পরিকল্পনার অন্য কোনো খাতে ব্যয় করা হলে টাকাটা অন্তত উন্নয়নেই ব্যয় হবে।
No comments