কল্পকথার গল্প-মাথা নিয়েই মাথাব্যথা by আলী হাবিব
'হেড অফিসের বড় বাবু লোকটি বড়ই শান্ত।' কিন্তু সেই লোকটিরই অমন 'মাথার ব্যামো', কেউ কখনো জানতে পারেনি। ফলে সেই বড় বাবু যখন 'আমায় ধরে তোলো' বলে চিৎকার জুড়ে দিলেন, তখন সবাইকে ছুটতে হলো তাঁর পেছনে। মাথা থাকলে মাথাব্যথা হবে।
খবর বলছে, মাথাব্যথার চিকিৎসা করতেই নাকি বিশ্ব অর্থনীতিতে বছরে খরচ হয়ে যাচ্ছে ১৪০ বিলিয়ন পাউন্ড। পৃথিবীর ৪৭ শতাংশ মানুষ নাকি এই রোগে আক্রান্ত। এই মাথাব্যথার কারণে বছরে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ১৯০ মিলিয়ন কর্মদিবস। কিন্তু মাথাব্যথার মহৌষধ কী? মাথা কেটে ফেলা? তা কেন হবে? তাহলে ওই মাথাব্যথা নিয়েই একটু মাথা ঘামানো যাক।
একালের এক গায়ক ভারি মজার একটি গান গেয়েছেন_'আমার বউ বলেছে মরতে আমায়/জীবন রাখতে পারব না/রেললাইনে বডি দেবো, মাথা দেবো না।' কেন? কারণ, গায়ক গাইছেন, 'মাথা থাকে সবার ওপরে'। তাই যত্রতত্র মাথা দেওয়া যাবে না। ঠিকই তো। আমাদের ঘাড়ের ওপর তো ওই একটাই মাথা। এই একটা মাথা নিয়ে আমাদের মাথাব্যথার অন্ত নেই। অকারণে আমরা মাথাব্যথার অনেক কারণ খুঁজে বের করে ফেলতে পারি। নানা কারণে আমাদের মাথাব্যথা হয়। আমরা এখানে-সেখানে যখন-তখন মাথা ঘামিয়ে ফেলি। যা-তা বিষয়ে মাথা খাটাই। যত্রতত্র মাথা গলিয়ে দিতেও আমাদের জুড়ি মেলাভার। কোথায় কী হচ্ছে, তা নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা। আইপিএলের খেলা হচ্ছে, হঠাৎ বৃষ্টিতে খেলায় বিঘ্ন ঘটল কেন, তা নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা। সৌরভ খেলবে কি খেলবে না, তা নিয়ে আমাদের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ছে। কথায় কথায় আমাদের মাথা গরম হয়ে যায়। আমরা কথায় কথায় একে-তাকে মাথায় তুলছি। আবার মাথা থেকে নামিয়ে দিতেও আমাদের সময় লাগে না। হঠাৎ কোনো দুঃসংবাদ পেলে আমাদের মাথায় বজ্রাঘাত হয়। কখনো আবার মাথা কাটা যাচ্ছে। বাজারে গেলে জিনিসপত্রের দাম শুনে এমনিতেই আমাদের মাথা গুলিয়ে যায়। নাহ, তেলের দাম কমছে না, চিনির দাম কমছে না, মসলার দাম কমছে না। অথচ নিজেদের দাম কমছে। বাজারে নতুন ফল আসতে শুরু করেছে। বেশ কাঁচা আম পাওয়া যাচ্ছে। অকালপক্ব কিংবা পাকানো আমও দেখা যাচ্ছে আজকাল। দাম শুনলে মাথায় আগুন ধরে যাওয়ার দশা। কথায় বলে, মাথার ঘায়ে কুকুর পাগল_ঠিক সেরকমই অবস্থা আমাদের। ওদিকে নতুন চাল উঠতে শুরু করেছে। বাজারে চালের দাম একটু একটু করে কমতে শুরু করেছে। আমাদের মাথা একটু একটু করে ঠাণ্ডা হতে শুরু করেছে। অমনি সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে গেল। মহা দুর্ভাবনায় পড়ে গেলাম আমরা। বাজারে সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়বে। এখান থেকে ওখানে যাব_বাসের ভাড়া বেড়ে যাবে। সিএনজির দাম বাড়ছে। এমনিতেই বোঝার ওপর শাকের আঁটির মতো অটোরিকশা কিংবা ট্যাঙ্কি্যাব ভাড়া করতে গেলে মিটারের ওপর গোটা তিরিশেক টাকা বেশি দিতেই হয়। এবার সেই বাড়তি ভাড়ার রেটটা কী হবে, তা ভাবতে গিয়ে নতুন করে আমাদের মাথা গরম হওয়ার জোগাড়। কোথায় গিয়ে এবার মাথা খুঁড়ব, সেই জায়গা খুঁজছি। কিন্তু মাথা ঠোকার উপযুক্ত জায়গাও তো পাওয়া যাচ্ছে না। হঠাৎ কারো সঙ্গে মাথা ঠোকাঠুকি হয়ে গেলে একটু হাই-হ্যালো। কাউকে কাউকে আবার মাথা নিচু করে চলে আসতে হচ্ছে।
মাথা নিয়ে আমাদের আরো অনেক রকম মাথাব্যথা আছে। কে কখন কোথায় মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে, তা ভেবে আমাদের মাথাব্যথা হয়। মাথা গোঁজার একটুখানি ঠাঁই কেমন করে করা যায়, সেই ভাবনা আমাদের মাথায় সব সময় ঘোরাঘুরি করে। চিন্তায় আমাদের মাথা গুলিয়ে যাওয়ার দশা হয়। আমাদের অনেকেরই মাথার ওপর কেউ নেই। কিন্তু তার পরও আমরা আমাদের মাথা বিক্রি করতে চাই না। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে আমাদের অনেকের দিন যায়। দেনার দায়ে অনেকেরই মাথার চুল বিকিয়ে যাওয়ার দশা। এমন অবস্থায় অনেকেরই মাথা ঠিক না থাকারই কথা। এর পরও সবাই চাই মাথা উঁচু করে চলতে। বেকায়দায় পড়লে অনেককেই মাথা বাঁধা দিতে হয়। তখন মাথা হেঁট করে চলা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না। আমাদের মাথাব্যথার এটাও তো একটা কারণ। আজ যাঁদের আমরা মাথা ভাবছি, তাঁরাই হয়তো আমাদের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খাচ্ছেন। সুযোগ পেলে আমাদের মাথায় ঘোল ঢেলে দিচ্ছেন। আমরা বুঝতেই পারছি না। আমাদের গোবর পোরা কাঁচা মাথায় কিছুতেই ঢুকছে না, কেমন করে এটা সম্ভব হতে পারে!
এত কিছুর পরও অনেককে মাথায় চড়ে বসতে দেখা যায়। এই মাথায় চড়ে বসাদের মাথায় করে রাখার মতো লোকেরও অভাব নেই সমাজে। এদের বাড়াবাড়ি অনেক সময় মাথা পেতে নেওয়া ছাড়া গত্যন্তর থাকে না। ক্ষেত্রবিশেষে মাথা বিকিয়ে দিতে হয় অনেককে। তবে একবার মাথা হেঁট হয়ে গেলে মাথা উঁচু করে চলা খুব মুশকিল। এর পরও দেখা যায়, অনেকেরই মাথা পরিষ্কার। তাঁরাই আমাদের মাথা। 'আমার মাথা নত করে দাও হে' বলে আমরা যাঁদের সামনে ভক্তিতে গদগদ হই, তাঁরা কি আসলেই ততটুকু প্রাপ্য আমাদের কাছে? যাঁদের আমরা মাথায় করে রেখেছি, তাঁরা কি আমাদের মাথাব্যথার কারণ খুঁজতে গিয়েছেন কখনো? নাকি নিজেদের নিয়েই তাঁদের মাথাব্যথা?
আমাদের সমাজে অনেক মাথা। তাঁদের তো আমরা মাথার ঠাকুর ভাবি। মাথায় করে রাখি। আমরা যাঁদের মাথায় করে রাখি, তাঁরা আমাদের মাথায় হাত বুলিয়ে কত কী যে আদায় করে নেন, তার হিসাব কে কবে রেখেছে? আমরা মাথা মাটি করে তাঁদের সামনে গিয়ে মাথা চুলকাই। সমাজের এই মাথারা মাথা উঁচু করে চলেন। সুযোগ পেলে অন্যের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খান। রাগের মাথায় কোনো কিছু করেন না তাঁরা। রীতিমতো মাথা ঘামান। মাথা খাটিয়ে চলেন। মাথা বটে তাঁদের। পাকা মাথা। মাথার ভেতর সব সময় সব ধরনের হিসাব করা থাকে। কখন কোথায় কী বলতে হবে, কেমন করে চলতে হবে_সবকিছু তাঁদের জানা। অনেক সময় অনেকের মাথা কাটা যায়, কিন্তু মাথা খেলানো থেকে তাঁদের নিবৃত্ত করা যায় না। ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর মতো যেখানে-সেখানে মাথা গলানো যাদের অভ্যাস, তারা মাথাচাড়া দিয়ে উঠলে ঠেকাবে কে?
আমরা আমাদের মাথার ওপর একটা নিরাপত্তার ছাদ চাই। চাই নির্মল বায়ু, মুক্ত পরিবেশ। গণতন্ত্রে এর চেয়ে বড় কিছু তো আর চাওয়া হতে পারে না। কিন্তু যদি আমাদের সেই গণতন্ত্রের মাথার ওপর শকুন উড়তে দেখা যায়, তাহলে? তাহলে আবার নতুন করে মাথা ঘামাতে হবে।
একটি খবরে বলা হয়েছে, মোটাদের এড়িয়ে চলাটাই নাকি ভালো। মোটা মাথা যাদের, তাদের এড়িয়ে চলাটাও উত্তম। মাথামোটাদের কাছ থেকে কল্যাণকর কিছু আশা
করা যায় না।
লেখক : সাংবাদিক
habib.alihabib@yahoo.com
একালের এক গায়ক ভারি মজার একটি গান গেয়েছেন_'আমার বউ বলেছে মরতে আমায়/জীবন রাখতে পারব না/রেললাইনে বডি দেবো, মাথা দেবো না।' কেন? কারণ, গায়ক গাইছেন, 'মাথা থাকে সবার ওপরে'। তাই যত্রতত্র মাথা দেওয়া যাবে না। ঠিকই তো। আমাদের ঘাড়ের ওপর তো ওই একটাই মাথা। এই একটা মাথা নিয়ে আমাদের মাথাব্যথার অন্ত নেই। অকারণে আমরা মাথাব্যথার অনেক কারণ খুঁজে বের করে ফেলতে পারি। নানা কারণে আমাদের মাথাব্যথা হয়। আমরা এখানে-সেখানে যখন-তখন মাথা ঘামিয়ে ফেলি। যা-তা বিষয়ে মাথা খাটাই। যত্রতত্র মাথা গলিয়ে দিতেও আমাদের জুড়ি মেলাভার। কোথায় কী হচ্ছে, তা নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা। আইপিএলের খেলা হচ্ছে, হঠাৎ বৃষ্টিতে খেলায় বিঘ্ন ঘটল কেন, তা নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা। সৌরভ খেলবে কি খেলবে না, তা নিয়ে আমাদের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ছে। কথায় কথায় আমাদের মাথা গরম হয়ে যায়। আমরা কথায় কথায় একে-তাকে মাথায় তুলছি। আবার মাথা থেকে নামিয়ে দিতেও আমাদের সময় লাগে না। হঠাৎ কোনো দুঃসংবাদ পেলে আমাদের মাথায় বজ্রাঘাত হয়। কখনো আবার মাথা কাটা যাচ্ছে। বাজারে গেলে জিনিসপত্রের দাম শুনে এমনিতেই আমাদের মাথা গুলিয়ে যায়। নাহ, তেলের দাম কমছে না, চিনির দাম কমছে না, মসলার দাম কমছে না। অথচ নিজেদের দাম কমছে। বাজারে নতুন ফল আসতে শুরু করেছে। বেশ কাঁচা আম পাওয়া যাচ্ছে। অকালপক্ব কিংবা পাকানো আমও দেখা যাচ্ছে আজকাল। দাম শুনলে মাথায় আগুন ধরে যাওয়ার দশা। কথায় বলে, মাথার ঘায়ে কুকুর পাগল_ঠিক সেরকমই অবস্থা আমাদের। ওদিকে নতুন চাল উঠতে শুরু করেছে। বাজারে চালের দাম একটু একটু করে কমতে শুরু করেছে। আমাদের মাথা একটু একটু করে ঠাণ্ডা হতে শুরু করেছে। অমনি সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে গেল। মহা দুর্ভাবনায় পড়ে গেলাম আমরা। বাজারে সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়বে। এখান থেকে ওখানে যাব_বাসের ভাড়া বেড়ে যাবে। সিএনজির দাম বাড়ছে। এমনিতেই বোঝার ওপর শাকের আঁটির মতো অটোরিকশা কিংবা ট্যাঙ্কি্যাব ভাড়া করতে গেলে মিটারের ওপর গোটা তিরিশেক টাকা বেশি দিতেই হয়। এবার সেই বাড়তি ভাড়ার রেটটা কী হবে, তা ভাবতে গিয়ে নতুন করে আমাদের মাথা গরম হওয়ার জোগাড়। কোথায় গিয়ে এবার মাথা খুঁড়ব, সেই জায়গা খুঁজছি। কিন্তু মাথা ঠোকার উপযুক্ত জায়গাও তো পাওয়া যাচ্ছে না। হঠাৎ কারো সঙ্গে মাথা ঠোকাঠুকি হয়ে গেলে একটু হাই-হ্যালো। কাউকে কাউকে আবার মাথা নিচু করে চলে আসতে হচ্ছে।
মাথা নিয়ে আমাদের আরো অনেক রকম মাথাব্যথা আছে। কে কখন কোথায় মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে, তা ভেবে আমাদের মাথাব্যথা হয়। মাথা গোঁজার একটুখানি ঠাঁই কেমন করে করা যায়, সেই ভাবনা আমাদের মাথায় সব সময় ঘোরাঘুরি করে। চিন্তায় আমাদের মাথা গুলিয়ে যাওয়ার দশা হয়। আমাদের অনেকেরই মাথার ওপর কেউ নেই। কিন্তু তার পরও আমরা আমাদের মাথা বিক্রি করতে চাই না। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে আমাদের অনেকের দিন যায়। দেনার দায়ে অনেকেরই মাথার চুল বিকিয়ে যাওয়ার দশা। এমন অবস্থায় অনেকেরই মাথা ঠিক না থাকারই কথা। এর পরও সবাই চাই মাথা উঁচু করে চলতে। বেকায়দায় পড়লে অনেককেই মাথা বাঁধা দিতে হয়। তখন মাথা হেঁট করে চলা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না। আমাদের মাথাব্যথার এটাও তো একটা কারণ। আজ যাঁদের আমরা মাথা ভাবছি, তাঁরাই হয়তো আমাদের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খাচ্ছেন। সুযোগ পেলে আমাদের মাথায় ঘোল ঢেলে দিচ্ছেন। আমরা বুঝতেই পারছি না। আমাদের গোবর পোরা কাঁচা মাথায় কিছুতেই ঢুকছে না, কেমন করে এটা সম্ভব হতে পারে!
এত কিছুর পরও অনেককে মাথায় চড়ে বসতে দেখা যায়। এই মাথায় চড়ে বসাদের মাথায় করে রাখার মতো লোকেরও অভাব নেই সমাজে। এদের বাড়াবাড়ি অনেক সময় মাথা পেতে নেওয়া ছাড়া গত্যন্তর থাকে না। ক্ষেত্রবিশেষে মাথা বিকিয়ে দিতে হয় অনেককে। তবে একবার মাথা হেঁট হয়ে গেলে মাথা উঁচু করে চলা খুব মুশকিল। এর পরও দেখা যায়, অনেকেরই মাথা পরিষ্কার। তাঁরাই আমাদের মাথা। 'আমার মাথা নত করে দাও হে' বলে আমরা যাঁদের সামনে ভক্তিতে গদগদ হই, তাঁরা কি আসলেই ততটুকু প্রাপ্য আমাদের কাছে? যাঁদের আমরা মাথায় করে রেখেছি, তাঁরা কি আমাদের মাথাব্যথার কারণ খুঁজতে গিয়েছেন কখনো? নাকি নিজেদের নিয়েই তাঁদের মাথাব্যথা?
আমাদের সমাজে অনেক মাথা। তাঁদের তো আমরা মাথার ঠাকুর ভাবি। মাথায় করে রাখি। আমরা যাঁদের মাথায় করে রাখি, তাঁরা আমাদের মাথায় হাত বুলিয়ে কত কী যে আদায় করে নেন, তার হিসাব কে কবে রেখেছে? আমরা মাথা মাটি করে তাঁদের সামনে গিয়ে মাথা চুলকাই। সমাজের এই মাথারা মাথা উঁচু করে চলেন। সুযোগ পেলে অন্যের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খান। রাগের মাথায় কোনো কিছু করেন না তাঁরা। রীতিমতো মাথা ঘামান। মাথা খাটিয়ে চলেন। মাথা বটে তাঁদের। পাকা মাথা। মাথার ভেতর সব সময় সব ধরনের হিসাব করা থাকে। কখন কোথায় কী বলতে হবে, কেমন করে চলতে হবে_সবকিছু তাঁদের জানা। অনেক সময় অনেকের মাথা কাটা যায়, কিন্তু মাথা খেলানো থেকে তাঁদের নিবৃত্ত করা যায় না। ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর মতো যেখানে-সেখানে মাথা গলানো যাদের অভ্যাস, তারা মাথাচাড়া দিয়ে উঠলে ঠেকাবে কে?
আমরা আমাদের মাথার ওপর একটা নিরাপত্তার ছাদ চাই। চাই নির্মল বায়ু, মুক্ত পরিবেশ। গণতন্ত্রে এর চেয়ে বড় কিছু তো আর চাওয়া হতে পারে না। কিন্তু যদি আমাদের সেই গণতন্ত্রের মাথার ওপর শকুন উড়তে দেখা যায়, তাহলে? তাহলে আবার নতুন করে মাথা ঘামাতে হবে।
একটি খবরে বলা হয়েছে, মোটাদের এড়িয়ে চলাটাই নাকি ভালো। মোটা মাথা যাদের, তাদের এড়িয়ে চলাটাও উত্তম। মাথামোটাদের কাছ থেকে কল্যাণকর কিছু আশা
করা যায় না।
লেখক : সাংবাদিক
habib.alihabib@yahoo.com
No comments