সমুদ্রজয়-যুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি by মাহবুবুর রহমান
ছোটবেলায় পড়েছিলাম, বাংলার ছেলে বিজয় সিংহ সিংহল করিল জয়। সে কয়েক হাজার বছর আগের কথা। সমুদ্রের দেশ বাংলাদেশের রাজপুত্র রণতরী সাজিয়ে সিংহলের উদ্দেশে সমুদ্র যাত্রা করেন। সিংহলের রূপ, ঐশ্বর্য ও ভালোবাসায় অভিভূত হয়ে রাজকুমারীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। আর সেখানেই রয়ে যান। রাজবংশ বিস্তার করেন।
সাম্প্রতিক বাংলার আরেক সমুদ্রজয় আমরা প্রত্যক্ষ করলাম। ১৪ মার্চ ২০১২ সমুদ্র আইনসংক্রান্ত আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল (ইটলস) জার্মানির হামবুর্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে এক ঐতিহাসিক রায় দেন। এই যুগান্তকারী রায়ের আওতায় বঙ্গোপসাগরের সুবিস্তীর্ণ এলাকায় বাংলাদেশের সমুদ্র অধিকার প্রতিষ্ঠিত হলো। ২০০ নটিক্যাল মাইল (২০০০ গজে এক নটিক্যাল মাইল) একান্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল (Exclusive Economic Zone-EEZ) আমরা অর্জন করলাম। মহীসোপানের বর্ধিত অবস্থান (Extended Continental Shelf) ৪৬০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হলো। এটি নিশ্চিতভাবে এক মহান অর্জন, এক বিশাল বিজয়। এই বিজয় বাংলাদেশের জনগণের বিজয়। শান্তিকামী মানুষের বিজয়। সত্যের, ন্যায়ের, যুক্তির বিজয়। আমরা এ বিজয়ে আনন্দিত, মহা আনন্দিত। অভিনন্দন জানাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও তাঁর মন্ত্রণালয়কে। অভিনন্দন জানাই অতিরিক্ত সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল খুরশেদ আলম ও তাঁর টিমকে।
সমুদ্রে বাংলাদেশের এ বিজয় বিশাল সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে দিল। সংযোজন করে দিল বাংলাদেশের মানচিত্রে সাগরের আর এক বৃহত্তর বাংলাদেশ। বাংলাদেশ তার গৌরবোজ্জ্বল সমুদ্র-ঐতিহ্য ভুলতে বসেছিল। ভুলতে বসেছিল বাংলার বার ভুঁইয়া, বাংলার ঈশা খাঁ, সুবা বাংলার সুলতানি আমলের ইতিহাস, বাংলার শক্তিশালী নৌশক্তির ইতিহাস। বাংলার সমুদ্র-ঐতিহ্যের কথা লিখতে গিয়ে মনে পড়ছে, পঞ্চদশ শতাব্দীর প্রথম দশকে বাংলার সুলতান গিয়াস উদ্দিন আজম শাহ তাঁর দরবারে চীনের মহাপরাক্রান্ত মিং সম্রাট ইয়ং ল-এর প্রেরিত শান্তির শুভেচ্ছাদূত অ্যাডমিরাল চাং হ-কে অভ্যর্থনা জানান। অ্যাডমিরাল চাং ১৪২১ খ্রিষ্টাব্দে তাঁর শতাধিক সমুদ্রগামী জাহাজের বিশাল বহর নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘ অবস্থানে নোঙর করেন। অ্যাডমিরাল চাং তাঁর ডায়েরিতে বাংলাদেশ (মংচিয়ালা) এবং তার গৌরবোজ্জ্বল সমুদ্রের (মংচিয়ালা ওয়ান) ঐতিহ্যের কথা লিপিবদ্ধ করেন। উল্লেখ্য, চিটাগাং শব্দটিও চীনা ভাষা থেকে আগত। শি তা কাং অর্থ পশ্চিমের বড় নৌবন্দর। বাংলাদেশ ভুলতে বসেছিল তার সমুদ্রের বিশাল ঐশ্বর্যভান্ডারের কথা। কবি নজরুলের ‘সিন্ধু’ কবিতায় বঙ্গোপসাগরের তলদেশে ‘অমৃত, উচ্চৈশ্রবা, লক্ষ্মী ও শশী’র অবস্থানের কথা উল্লেখ করেছেন। কিন্তু অসুর মন্থিত সিন্ধুতে সব সম্পদ লুণ্ঠিত হতে চলেছিল। সমুদ্রের সীমাহীন সম্ভাবনা ও সমুদ্রসম্পদের অভাবনীয় ব্যবহারের কথা ছোটবেলায় জুল ভার্নের Twenty Thousand Leagues Under the Sea বইটিতে পড়ি। আমার কিশোর মনে তা গভীর রেখাপাত করেছিল।
ইটলসের এই রায়ে বাংলাদেশের কাঁধে অনেক দায়িত্ব এসে গেল। এ বিশাল সমুদ্রসম্পদকে রক্ষা করতে, এ সুবিস্তীর্ণ সমুদ্র অঞ্চলে সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করতে সমুদ্র নিরাপত্তা (maritime security) ইস্যুটি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে একেবারে সামনে চলে এল। আমাদের নৌবাহিনী দুঃখজনকভাবে এক ক্ষুদ্র উপকূলীয় নৌবাহিনী মাত্র। দূর-সমুদ্রের নীলজলের উত্তাল তরঙ্গমালায় ঝড়ঝঞ্ঝার ভেতর দিয়ে দাপিয়ে বেড়াতে তাকে অনেক শক্তিশালী, অনেক প্রত্যয়ী, অনেক আধুনিক হতে হবে। আজ প্রয়োজন একটি ত্রৈমাত্রিক নৌবাহিনীর। এটা সময়ের দাবি। একদিকে তার থাকবে ভাসমান যুদ্ধজাহাজের বড় নৌবহর, অন্যদিকে থাকবে গভীর সমুদ্রের তলদেশে সাবমেরিনের ক্লাস্টার। আরও থাকবে নৌ-অভিযানকে অন্তরঙ্গভাবে (close support) দিতে নিজস্ব দূর পর্যবেক্ষণ শক্তিসম্পন্ন বহুমাত্রিক দক্ষতার হালকা বিমানের সারি। এমন একটি যুগোপযোগী শক্তিশালী আধুনিক নৌবাহিনীর অপরিহার্যতা এর আগে এমন করে হয়তো অনুভূত হয়নি।
এখানে উল্লেখ করতে চাই, লেখক অষ্টম (২০০১-২০০৬) জাতীয় সংসদের সদস্য থাকাকালীন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। সমুদ্রসীমা নির্ধারণ ও UNCLOS বাস্তবায়ন বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে ২৬ জানুয়ারি ২০০৬ অনুষ্ঠিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভায় এজেন্ডাভুক্ত হয়ে আলোচিত হয়। সভায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ শীর্ষ কর্মকর্তা ও তিন বাহিনীর প্রধানেরা উপস্থিত ছিলেন। কমিটি ঐকমত্যে দৃঢ় সিদ্ধান্তে উপনীত হয় এবং সুপারিশ করে, অতীতের দীর্ঘসূত্রতা পরিহার করে অনতিবিলম্বে সমুদ্রসীমা নির্ধারণকল্পে UNCLOS বাস্তবায়নে সর্বাত্মক উদ্যোগ নিতে হবে। প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে বিষয়টি উপস্থাপন করতে হবে। আরও জোর সুপারিশ করা হয় যে বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে যুগোপযোগী, আধুনিক, শক্তিশালী ও নীল জলের (Blue Water Navy) করার লক্ষ্যে ত্রৈমাত্রিক নৌবাহিনীতে রূপান্তর করতে হবে।
আগেও বলেছি, ইটলসের জয় নিশ্চয়ই একটি মহান বিজয়। কিন্তু সমুদ্রের যুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি। চূড়ান্ত বিজয় আসবে তখনই, যখন আমরা ২০১৪ সালের জুলাইয়ে ভারতের সঙ্গে দ্য হেগে আন্তর্জাতিক আরবিট্রেশন কাউন্সিলে বিষয়টির ইতিবাচক সিদ্ধান্ত পাব। ভারত ইতিমধ্যে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তির ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। ভারতীয় নবনিযুক্ত হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণের এটি এখন প্রথম ও প্রধান কূটনৈতিক দায়িত্ব। বিশেষজ্ঞেরা মনে করেন, বাংলাদেশের অবস্থান পরিবর্তন করা ভুল হবে। হামবুর্গের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে আমরা দ্য হেগে আরবিট্রেশনের যৌক্তিক যুদ্ধে তথ্য-উপাত্তে সমৃদ্ধ হয়ে এগিয়ে যাব এবং পূর্বসূত্র ধরে তারই ধারাবাহিকতায় একই পদ্ধতিতে একই আঙ্গিকে আমাদের জোরালো দাবি অকাট্য প্রমাণসহ তুলে ধরব। এখন আমাদের বর্তমান অবস্থান থেকে পিছিয়ে আসার কোনো অবকাশ নেই। মনে রাখতে হবে ছোট ইংরেজি প্রবাদটি, nothing succeeds like success। বিজয়ই তার পরবর্তী বিজয়কে সামনে এগিয়ে নিয়ে যায়।
লে. জেনারেল মাহবুবুর রহমান: সাবেক সেনাপ্রধান।
সমুদ্রে বাংলাদেশের এ বিজয় বিশাল সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে দিল। সংযোজন করে দিল বাংলাদেশের মানচিত্রে সাগরের আর এক বৃহত্তর বাংলাদেশ। বাংলাদেশ তার গৌরবোজ্জ্বল সমুদ্র-ঐতিহ্য ভুলতে বসেছিল। ভুলতে বসেছিল বাংলার বার ভুঁইয়া, বাংলার ঈশা খাঁ, সুবা বাংলার সুলতানি আমলের ইতিহাস, বাংলার শক্তিশালী নৌশক্তির ইতিহাস। বাংলার সমুদ্র-ঐতিহ্যের কথা লিখতে গিয়ে মনে পড়ছে, পঞ্চদশ শতাব্দীর প্রথম দশকে বাংলার সুলতান গিয়াস উদ্দিন আজম শাহ তাঁর দরবারে চীনের মহাপরাক্রান্ত মিং সম্রাট ইয়ং ল-এর প্রেরিত শান্তির শুভেচ্ছাদূত অ্যাডমিরাল চাং হ-কে অভ্যর্থনা জানান। অ্যাডমিরাল চাং ১৪২১ খ্রিষ্টাব্দে তাঁর শতাধিক সমুদ্রগামী জাহাজের বিশাল বহর নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘ অবস্থানে নোঙর করেন। অ্যাডমিরাল চাং তাঁর ডায়েরিতে বাংলাদেশ (মংচিয়ালা) এবং তার গৌরবোজ্জ্বল সমুদ্রের (মংচিয়ালা ওয়ান) ঐতিহ্যের কথা লিপিবদ্ধ করেন। উল্লেখ্য, চিটাগাং শব্দটিও চীনা ভাষা থেকে আগত। শি তা কাং অর্থ পশ্চিমের বড় নৌবন্দর। বাংলাদেশ ভুলতে বসেছিল তার সমুদ্রের বিশাল ঐশ্বর্যভান্ডারের কথা। কবি নজরুলের ‘সিন্ধু’ কবিতায় বঙ্গোপসাগরের তলদেশে ‘অমৃত, উচ্চৈশ্রবা, লক্ষ্মী ও শশী’র অবস্থানের কথা উল্লেখ করেছেন। কিন্তু অসুর মন্থিত সিন্ধুতে সব সম্পদ লুণ্ঠিত হতে চলেছিল। সমুদ্রের সীমাহীন সম্ভাবনা ও সমুদ্রসম্পদের অভাবনীয় ব্যবহারের কথা ছোটবেলায় জুল ভার্নের Twenty Thousand Leagues Under the Sea বইটিতে পড়ি। আমার কিশোর মনে তা গভীর রেখাপাত করেছিল।
ইটলসের এই রায়ে বাংলাদেশের কাঁধে অনেক দায়িত্ব এসে গেল। এ বিশাল সমুদ্রসম্পদকে রক্ষা করতে, এ সুবিস্তীর্ণ সমুদ্র অঞ্চলে সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করতে সমুদ্র নিরাপত্তা (maritime security) ইস্যুটি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে একেবারে সামনে চলে এল। আমাদের নৌবাহিনী দুঃখজনকভাবে এক ক্ষুদ্র উপকূলীয় নৌবাহিনী মাত্র। দূর-সমুদ্রের নীলজলের উত্তাল তরঙ্গমালায় ঝড়ঝঞ্ঝার ভেতর দিয়ে দাপিয়ে বেড়াতে তাকে অনেক শক্তিশালী, অনেক প্রত্যয়ী, অনেক আধুনিক হতে হবে। আজ প্রয়োজন একটি ত্রৈমাত্রিক নৌবাহিনীর। এটা সময়ের দাবি। একদিকে তার থাকবে ভাসমান যুদ্ধজাহাজের বড় নৌবহর, অন্যদিকে থাকবে গভীর সমুদ্রের তলদেশে সাবমেরিনের ক্লাস্টার। আরও থাকবে নৌ-অভিযানকে অন্তরঙ্গভাবে (close support) দিতে নিজস্ব দূর পর্যবেক্ষণ শক্তিসম্পন্ন বহুমাত্রিক দক্ষতার হালকা বিমানের সারি। এমন একটি যুগোপযোগী শক্তিশালী আধুনিক নৌবাহিনীর অপরিহার্যতা এর আগে এমন করে হয়তো অনুভূত হয়নি।
এখানে উল্লেখ করতে চাই, লেখক অষ্টম (২০০১-২০০৬) জাতীয় সংসদের সদস্য থাকাকালীন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। সমুদ্রসীমা নির্ধারণ ও UNCLOS বাস্তবায়ন বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে ২৬ জানুয়ারি ২০০৬ অনুষ্ঠিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভায় এজেন্ডাভুক্ত হয়ে আলোচিত হয়। সভায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ শীর্ষ কর্মকর্তা ও তিন বাহিনীর প্রধানেরা উপস্থিত ছিলেন। কমিটি ঐকমত্যে দৃঢ় সিদ্ধান্তে উপনীত হয় এবং সুপারিশ করে, অতীতের দীর্ঘসূত্রতা পরিহার করে অনতিবিলম্বে সমুদ্রসীমা নির্ধারণকল্পে UNCLOS বাস্তবায়নে সর্বাত্মক উদ্যোগ নিতে হবে। প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে বিষয়টি উপস্থাপন করতে হবে। আরও জোর সুপারিশ করা হয় যে বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে যুগোপযোগী, আধুনিক, শক্তিশালী ও নীল জলের (Blue Water Navy) করার লক্ষ্যে ত্রৈমাত্রিক নৌবাহিনীতে রূপান্তর করতে হবে।
আগেও বলেছি, ইটলসের জয় নিশ্চয়ই একটি মহান বিজয়। কিন্তু সমুদ্রের যুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি। চূড়ান্ত বিজয় আসবে তখনই, যখন আমরা ২০১৪ সালের জুলাইয়ে ভারতের সঙ্গে দ্য হেগে আন্তর্জাতিক আরবিট্রেশন কাউন্সিলে বিষয়টির ইতিবাচক সিদ্ধান্ত পাব। ভারত ইতিমধ্যে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তির ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। ভারতীয় নবনিযুক্ত হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণের এটি এখন প্রথম ও প্রধান কূটনৈতিক দায়িত্ব। বিশেষজ্ঞেরা মনে করেন, বাংলাদেশের অবস্থান পরিবর্তন করা ভুল হবে। হামবুর্গের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে আমরা দ্য হেগে আরবিট্রেশনের যৌক্তিক যুদ্ধে তথ্য-উপাত্তে সমৃদ্ধ হয়ে এগিয়ে যাব এবং পূর্বসূত্র ধরে তারই ধারাবাহিকতায় একই পদ্ধতিতে একই আঙ্গিকে আমাদের জোরালো দাবি অকাট্য প্রমাণসহ তুলে ধরব। এখন আমাদের বর্তমান অবস্থান থেকে পিছিয়ে আসার কোনো অবকাশ নেই। মনে রাখতে হবে ছোট ইংরেজি প্রবাদটি, nothing succeeds like success। বিজয়ই তার পরবর্তী বিজয়কে সামনে এগিয়ে নিয়ে যায়।
লে. জেনারেল মাহবুবুর রহমান: সাবেক সেনাপ্রধান।
No comments