পবিত্র কোরআনের আলো-অহংকার ও দম্ভ পরিহার করে মানুষের সঙ্গে ভালো আচরণ করার নির্দেশ
৩৫. ওয়া ইন খিফ্তুম শিক্বা-ক্বা বাইনিহিমা ফাবআ'ছূ হাকামাম্ মিন আহলিহি ওয়া হাকামাম্ মিন্ আহ্লিহা; ইন ইয়ুরীদা ইসলাহা ইন ওয়াফ্ফিকি্বল্লাহু বাইনাহুমা; ইন্নাল্লাহা কানা আ'লীমান খাবীরা। ৩৬. ওয়া'বুদুল্লাহা ওয়ালা তুশরিকূবিহি শাইআন ওয়া বিলওয়া-লিদাইনি ইহ্ছানান ওয়া বিযিল ক্বুরবা ওয়ালইয়াতামা ওয়ালমাছাকীনি ওয়ালজারিযিল ক্বুরবা
ওয়ালজারিল জুনুবি ওয়াচ্ছাহিবি বিলজাম্বি ওয়াবনিচ্ছাবীলি ওয়ামা মালাকাত আইমা-নুকুম; ইন্নাল্লাহা লা-ইউহিব্বু মান কানা মুখতালান ফাখূরা। [সুরা : আন্ নিসা, আয়াত : ৩৫-৩৬]
অনুবাদ : ৩৫. আর যদি স্বামী-স্ত্রী দুইজনের মধ্যে বিচ্ছেদের আশঙ্কা দেখা দেয়, তাহলে স্বামীর পক্ষ থেকে একজন সালিস এবং স্ত্রীর পক্ষ থেকে অপর একজন সালিস নিযুক্ত করো। তারা উভয়ে যদি নিজেদের মধ্যে নিষ্পত্তি চায়, তবে আল্লাহ তায়ালা তাদের মীমাংসায় পেঁৗছার তৌফিক দেবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা সর্বজ্ঞ ও ওয়াকিফহাল।
৩৬. তোমরা এক আল্লাহ তায়ালার এবাদত করো, তাঁর সঙ্গে কাউকেই অংশীদার করো না এবং পিতামাতার সঙ্গে ভালো আচরণ করো। আর যারা ঘনিষ্ঠ আত্মীয়, এতিম, মিসকিন, আত্মীয়, প্রতিবেশী, কাছের প্রতিবেশী, পাশের লোক, মুসাফির ও তোমাদের অধিকারভুক্ত দাস-দাসী সবার সঙ্গে ভালো আচরণ করো। অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা সেসব লোককে পছন্দ করেন না, যারা অহংকারী ও দাম্ভিক।
ব্যাখ্যা : ৩৫ নম্বর আয়াতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ বা ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হলে কী করা উচিত এর দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদের আশঙ্কা দেখা দিলে দুইজনের পক্ষ থেকে দুইজন সালিসকে একত্রে বসে আপস মীমাংসায় আসার জন্য চেষ্টা করতে বলা হয়েছে। দুইজন সালিস তাঁরা নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী নিয়োজিত করবেন। তবে এ ক্ষেত্রে সমাজের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী স্থানীয় কোনো নির্বাচিত প্রতিষ্ঠান বা বিচারালয়ের ভূমিকা থাকা জরুরি। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার বা শহরের ওয়ার্ড কমিশনার বা মেয়রের মাধ্যমে এসব বিষয়ে মীমাংসার উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। ভুক্তভোগীদের কর্তব্য হবে সমস্যা তাদের কাছে উত্থাপন করা এবং তাদের কর্তব্য হবে_এটার ন্যায়সংগত মীমাংসায় পেঁৗছাতে সাহায্য করা। নিয়োজিত কর্তৃপক্ষের জন্য এটা ওয়াজিব এবং সমাজের যেকোনো প্রভাবশালী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের জন্য মুস্তাহাব।
৩৬ নম্বর আয়াতে মানুষকে সত্য, ন্যায় ও একত্ববাদের পথে এসে সমাজে সুন্দর পরিবেশ তৈরির দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আল্লাহর সঙ্গে শরিক করা হচ্ছে সবচেয়ে বড় গুনাহ। এরপর বলা হয়েছে, পিতামাতার সঙ্গে উত্তম আচরণ করার কথা। এরপর ধারাবাহিকভাবে সমাজের অন্যান্য স্তরের মানুষদের সঙ্গে ভালো আচরণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মানুষের সঙ্গে ভালো আচরণ না করার যে কতগুলো কারণ রয়েছে, সেগুলোর প্রতিও এখানে ইঙ্গিত করা হয়েছে। বলা হয়েছে, অহংকারী ও দাম্ভিক লোকদের আল্লাহ তায়ালা পছন্দ করেন না। মানুষের সঙ্গে ভালো আচরণ না করার অন্যতম কারণ ওই অহংকার ও দাম্ভিকতা। এরপর কৃপণতা, আত্মকেন্দ্রিকতা, স্বার্থপরতা এবং ধর্মের প্রতি অনীহা এ সবগুলোও কারণ।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
অনুবাদ : ৩৫. আর যদি স্বামী-স্ত্রী দুইজনের মধ্যে বিচ্ছেদের আশঙ্কা দেখা দেয়, তাহলে স্বামীর পক্ষ থেকে একজন সালিস এবং স্ত্রীর পক্ষ থেকে অপর একজন সালিস নিযুক্ত করো। তারা উভয়ে যদি নিজেদের মধ্যে নিষ্পত্তি চায়, তবে আল্লাহ তায়ালা তাদের মীমাংসায় পেঁৗছার তৌফিক দেবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা সর্বজ্ঞ ও ওয়াকিফহাল।
৩৬. তোমরা এক আল্লাহ তায়ালার এবাদত করো, তাঁর সঙ্গে কাউকেই অংশীদার করো না এবং পিতামাতার সঙ্গে ভালো আচরণ করো। আর যারা ঘনিষ্ঠ আত্মীয়, এতিম, মিসকিন, আত্মীয়, প্রতিবেশী, কাছের প্রতিবেশী, পাশের লোক, মুসাফির ও তোমাদের অধিকারভুক্ত দাস-দাসী সবার সঙ্গে ভালো আচরণ করো। অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা সেসব লোককে পছন্দ করেন না, যারা অহংকারী ও দাম্ভিক।
ব্যাখ্যা : ৩৫ নম্বর আয়াতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ বা ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হলে কী করা উচিত এর দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদের আশঙ্কা দেখা দিলে দুইজনের পক্ষ থেকে দুইজন সালিসকে একত্রে বসে আপস মীমাংসায় আসার জন্য চেষ্টা করতে বলা হয়েছে। দুইজন সালিস তাঁরা নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী নিয়োজিত করবেন। তবে এ ক্ষেত্রে সমাজের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী স্থানীয় কোনো নির্বাচিত প্রতিষ্ঠান বা বিচারালয়ের ভূমিকা থাকা জরুরি। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার বা শহরের ওয়ার্ড কমিশনার বা মেয়রের মাধ্যমে এসব বিষয়ে মীমাংসার উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। ভুক্তভোগীদের কর্তব্য হবে সমস্যা তাদের কাছে উত্থাপন করা এবং তাদের কর্তব্য হবে_এটার ন্যায়সংগত মীমাংসায় পেঁৗছাতে সাহায্য করা। নিয়োজিত কর্তৃপক্ষের জন্য এটা ওয়াজিব এবং সমাজের যেকোনো প্রভাবশালী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের জন্য মুস্তাহাব।
৩৬ নম্বর আয়াতে মানুষকে সত্য, ন্যায় ও একত্ববাদের পথে এসে সমাজে সুন্দর পরিবেশ তৈরির দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আল্লাহর সঙ্গে শরিক করা হচ্ছে সবচেয়ে বড় গুনাহ। এরপর বলা হয়েছে, পিতামাতার সঙ্গে উত্তম আচরণ করার কথা। এরপর ধারাবাহিকভাবে সমাজের অন্যান্য স্তরের মানুষদের সঙ্গে ভালো আচরণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মানুষের সঙ্গে ভালো আচরণ না করার যে কতগুলো কারণ রয়েছে, সেগুলোর প্রতিও এখানে ইঙ্গিত করা হয়েছে। বলা হয়েছে, অহংকারী ও দাম্ভিক লোকদের আল্লাহ তায়ালা পছন্দ করেন না। মানুষের সঙ্গে ভালো আচরণ না করার অন্যতম কারণ ওই অহংকার ও দাম্ভিকতা। এরপর কৃপণতা, আত্মকেন্দ্রিকতা, স্বার্থপরতা এবং ধর্মের প্রতি অনীহা এ সবগুলোও কারণ।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
No comments