স্থানীয় নেতা ও প্রশাসনের যোগসাজশ!-গৌরনদীতে সরকারি বৃক্ষনিধন
গাছে কেউ দেখে প্রাণ, কেউ দেখে কাষ্ঠ ব্যবসার মুনাফা। যাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে সরকারি কর্মকর্তারা চাকরি হারানোর ভয় পান, তাঁরাই কেটে নিয়ে গেছেন সড়কের পাশের আড়াই হাজার গাছ। সরকারি গাছ কাটার এই দক্ষযজ্ঞের স্থান বরিশালের গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া ইউনিয়ন।
যজ্ঞের নায়কেরা সবাই আওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সমর্থক। সড়কটি এলজিইডির আওতাধীন হলেও গৌরনদীর এলজিইডির প্রকৌশলী বলেন, ‘গাছ কে নিল না নিল, এটা আমাদের দেখার বিষয় নয়। তা ছাড়া এঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে চাকরি করা যাবে না।’ দলীয় ক্ষমতার প্রতাপে তাই অবাধে চলছে বৃক্ষনিধন। দায় নেবার কেউ নেই!
গত আড়াই মাসে আনুমানিক ৩০ লাখ টাকা দামের আড়াই হাজারের বেশি গাছ কাটা হলো; কিন্তু কেউ কোনো ব্যবস্থা নিল না। গত শনিবারের প্রথম আলোর সংবাদ জানাচ্ছে, গাছগুলো মাহিলাড়া ইউনিয়নের হলেও কর্তনের নির্দেশদাতা রত্নপুর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান। অপকর্মের আরেক হোতা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা।
কথায় বলে চোরের সাক্ষী গাঁটকাটা। গাছ কাটায় জড়িতদের মধ্যে একজন আওয়ামী লীগ-সমর্থকের দাবি, তিনি রত্নপুর ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে গাছ কাটছেন। রত্নপুর ইউপি চেয়ারম্যানের দাবি, তিনি গাছগুলো মাহিলাড়া ইউপি চেয়ারম্যানের কাছ থেকে কিনেছেন। মাহিলাড়া ইউপি চেয়ারম্যানের বক্তব্য, তিনি সড়ক ও জনপথ বিভাগের কাছ থেকে সামাজিক বনায়নের ইজারা নিয়ে বৈধভাবেই গাছ কাটছেন। সড়ক ও জনপথ বিভাগের ভাষ্য হলো, বৃক্ষশোভিত সড়কটি তাঁরা ২০০৫ সালেই এলজিইডির কাছে হস্তান্তর করেছেন। এলজিইডি কর্মকর্তার খোলাখুলি স্বীকারোক্তি, চাকরি হারাবার ভয়ে তাঁরা বাধা দিতে অপারগ। বন বিভাগের মতে, ‘সম্পূর্ণ অবৈধভাবে সরকারি গাছ কেটে নেওয়া হচ্ছে।’ অথচ স্থানীয় প্রশাসন তথা পুলিশ প্রশাসনও নীরব দর্শক হয়ে থেকেছে।
ক্ষতিটা কেবল প্রকৃতির বা সরকারি সম্পত্তির নয়; ক্ষতিটা আইনের শাসনেরও। আমরা দেখতে চাই, অবশিষ্ট গাছগুলো বাঁচবে, বৃক্ষের ঘাতক এবং এ অপকর্মে সহায়তাকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। নতুবা, সরকারের পরিবেশপ্রীতি এবং আইনের শাসনের দাবি— দুটোই অসার প্রমাণিত হবে।
গত আড়াই মাসে আনুমানিক ৩০ লাখ টাকা দামের আড়াই হাজারের বেশি গাছ কাটা হলো; কিন্তু কেউ কোনো ব্যবস্থা নিল না। গত শনিবারের প্রথম আলোর সংবাদ জানাচ্ছে, গাছগুলো মাহিলাড়া ইউনিয়নের হলেও কর্তনের নির্দেশদাতা রত্নপুর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান। অপকর্মের আরেক হোতা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা।
কথায় বলে চোরের সাক্ষী গাঁটকাটা। গাছ কাটায় জড়িতদের মধ্যে একজন আওয়ামী লীগ-সমর্থকের দাবি, তিনি রত্নপুর ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে গাছ কাটছেন। রত্নপুর ইউপি চেয়ারম্যানের দাবি, তিনি গাছগুলো মাহিলাড়া ইউপি চেয়ারম্যানের কাছ থেকে কিনেছেন। মাহিলাড়া ইউপি চেয়ারম্যানের বক্তব্য, তিনি সড়ক ও জনপথ বিভাগের কাছ থেকে সামাজিক বনায়নের ইজারা নিয়ে বৈধভাবেই গাছ কাটছেন। সড়ক ও জনপথ বিভাগের ভাষ্য হলো, বৃক্ষশোভিত সড়কটি তাঁরা ২০০৫ সালেই এলজিইডির কাছে হস্তান্তর করেছেন। এলজিইডি কর্মকর্তার খোলাখুলি স্বীকারোক্তি, চাকরি হারাবার ভয়ে তাঁরা বাধা দিতে অপারগ। বন বিভাগের মতে, ‘সম্পূর্ণ অবৈধভাবে সরকারি গাছ কেটে নেওয়া হচ্ছে।’ অথচ স্থানীয় প্রশাসন তথা পুলিশ প্রশাসনও নীরব দর্শক হয়ে থেকেছে।
ক্ষতিটা কেবল প্রকৃতির বা সরকারি সম্পত্তির নয়; ক্ষতিটা আইনের শাসনেরও। আমরা দেখতে চাই, অবশিষ্ট গাছগুলো বাঁচবে, বৃক্ষের ঘাতক এবং এ অপকর্মে সহায়তাকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। নতুবা, সরকারের পরিবেশপ্রীতি এবং আইনের শাসনের দাবি— দুটোই অসার প্রমাণিত হবে।
No comments