গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকট-সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে
সংকট তীব্রতর হচ্ছে। সংকটের আবর্তে যেন পড়তে যাচ্ছে দেশ। এমনিতেই সংকটের অভাব নেই। চারদিকে কেবলই হতাশা। কোথাও একটু আশার আলো দেখার জো নেই যেন। কোথাও যেন কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। এসব সংকটের সঙ্গে নতুন সংকট যুক্ত হলে তার পরিণতি যে ভয়াবহ হবে, সেটা নতুন করে বুঝিয়ে বলার অপেক্ষা রাখে না।
নাগরিক জীবনে শুধু নয়, সারা দেশেই পানি-বিদ্যুৎ-গ্যাস এখন আমাদের মৌলিক চাহিদার সঙ্গে সম্পৃক্ত। এই তিনটি উপাদান ছাড়া আমাদের আর চলছে না। আবার একটির সঙ্গে অন্যটি অঙ্গাঙ্গীভাবে সম্পৃক্ত। গ্যাস সরবরাহ করা না গেলে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হবে না। বিদ্যুৎ সরবরাহ করা না গেলে পানি উত্তোলন বিঘি্নত হবে। শুধু গার্হস্থ্য কাজই নয়, কৃষিকাজও ব্যাহত হবে গ্যাস-পানি-বিদ্যুতের অভাবে। আবার উন্নয়নের অন্যতম শর্ত উৎপাদন। উৎপাদনের জন্য প্রয়োজন বিদ্যুৎ। বিদ্যুৎ ছাড়া উৎপাদন বিঘি্নত হবে। প্রতিদিনের এই প্রয়োজন মেটাতে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহের বিকল্প নেই।
দেখা যাক উৎপাদন ও সরবরাহের মধ্যে কতটা ফারাক। দেশে বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা রয়েছে সাত হাজার ৪৪৮ মেগাওয়াট। কিন্তু তা কেবল কাগজে-কলমে। চলতি মাসে সিলেটের ১৫০ ও কেরানীগঞ্জের ১০০ মেগাওয়াট নতুন বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হলেও বিদ্যুতের উৎপাদন পাঁচ হাজার মেগাওয়াট ছাড়াবে না। ফলে সরবরাহে বড় ধরনের ঘাটতি থেকেই যাবে। নতুন বিদ্যুৎ উৎপাদনের ঘাটতির কারণে বেড়েছে লোডশেডিং। বিশেষ করে শুকনো মৌসুমে বিদ্যুতের লোডশেডিং চরমে পৌঁছে যায়। প্রতিদিন বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদা। বোরো মৌসুম শুরু হয়ে গেছে। কিছুদিনের মধ্যেই চালু হয়ে যাবে তিন লাখেরও বেশি সেচ পাম্প। বাড়তি সেই চাহিদা মোকাবিলায় উৎপাদনের বিকল্প নেই।
যেখানে উৎপাদন হবে, আমাদের দেশের সেই বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো পুরনো হয়ে গেছে। অনেক কেন্দ্র দীর্ঘদিনে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে প্রায় এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাচ্ছে না গ্যাস সংকটের কারণে। গ্যাস নেই, তাই বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে না। বিদ্যুৎ নেই, তাই পাম্পে পানি উত্তোলন করা যাচ্ছে না। গ্যাসস্বল্পতার কারণে ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে না। গ্যাসের অভাবে বন্ধ থাকছে আটটি বিদ্যুৎকেন্দ্র, যার উৎপাদনক্ষমতা প্রায় এক হাজার মেগাওয়াট। দেশে বর্তমানে গড়ে প্রায় ২৫০ কোটি ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা আছে। কিন্তু সরবরাহ করা যাচ্ছে গড়ে ২০০ কোটি ঘনফুট। ফলে গড়ে ৫০ কোটি ঘনফুট গ্যাস ঘাটতি থাকছে। গত কয়েক বছরে গড়ে ৩০ কোটি ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যোগ হয়েছে। কিন্তু একই সময় প্রায় ২০ কোটি ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন কমে গেছে। ফলে আগের মতোই সংকট আছে।
সংকট থেকে মুক্তির পথ ঘাটতি পূরণ। পাশাপাশি চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ নিশ্চিত করা। তা করতে হলে উৎপাদনের বিকল্প নেই। যেকোনো মূল্যে উৎপাদন করতে হবে। চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।
দেখা যাক উৎপাদন ও সরবরাহের মধ্যে কতটা ফারাক। দেশে বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা রয়েছে সাত হাজার ৪৪৮ মেগাওয়াট। কিন্তু তা কেবল কাগজে-কলমে। চলতি মাসে সিলেটের ১৫০ ও কেরানীগঞ্জের ১০০ মেগাওয়াট নতুন বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হলেও বিদ্যুতের উৎপাদন পাঁচ হাজার মেগাওয়াট ছাড়াবে না। ফলে সরবরাহে বড় ধরনের ঘাটতি থেকেই যাবে। নতুন বিদ্যুৎ উৎপাদনের ঘাটতির কারণে বেড়েছে লোডশেডিং। বিশেষ করে শুকনো মৌসুমে বিদ্যুতের লোডশেডিং চরমে পৌঁছে যায়। প্রতিদিন বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদা। বোরো মৌসুম শুরু হয়ে গেছে। কিছুদিনের মধ্যেই চালু হয়ে যাবে তিন লাখেরও বেশি সেচ পাম্প। বাড়তি সেই চাহিদা মোকাবিলায় উৎপাদনের বিকল্প নেই।
যেখানে উৎপাদন হবে, আমাদের দেশের সেই বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো পুরনো হয়ে গেছে। অনেক কেন্দ্র দীর্ঘদিনে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে প্রায় এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাচ্ছে না গ্যাস সংকটের কারণে। গ্যাস নেই, তাই বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে না। বিদ্যুৎ নেই, তাই পাম্পে পানি উত্তোলন করা যাচ্ছে না। গ্যাসস্বল্পতার কারণে ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে না। গ্যাসের অভাবে বন্ধ থাকছে আটটি বিদ্যুৎকেন্দ্র, যার উৎপাদনক্ষমতা প্রায় এক হাজার মেগাওয়াট। দেশে বর্তমানে গড়ে প্রায় ২৫০ কোটি ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা আছে। কিন্তু সরবরাহ করা যাচ্ছে গড়ে ২০০ কোটি ঘনফুট। ফলে গড়ে ৫০ কোটি ঘনফুট গ্যাস ঘাটতি থাকছে। গত কয়েক বছরে গড়ে ৩০ কোটি ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যোগ হয়েছে। কিন্তু একই সময় প্রায় ২০ কোটি ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন কমে গেছে। ফলে আগের মতোই সংকট আছে।
সংকট থেকে মুক্তির পথ ঘাটতি পূরণ। পাশাপাশি চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ নিশ্চিত করা। তা করতে হলে উৎপাদনের বিকল্প নেই। যেকোনো মূল্যে উৎপাদন করতে হবে। চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।
No comments