যে খবর নাড়া দেয়-মানু আর ‘ইভ টিজিং’

ধন্যি ছেলে একেই বলে। মাত্র ১৬ বছরের পুঁচকে ছেলে মানু যেটা করে দেখিয়েছে, সেটা সত্যিই তুলনারহিত। ভারতের নয়াদিল্লির ছেলে মানু যে যন্ত্রটি বানিয়েছে, সেটি হবে নারীদের বন্ধু। রাতের বেলা মেয়েরা রাস্তায় বেরোলে আর ভয় থাকবে না। সঙ্গে থাকবে মানুর অভিনব যন্ত্র। উটকো কেউ গায়ে হাত ছোঁয়ালেই আর রক্ষে নেই।


সঙ্গে সঙ্গে উত্ত্যক্তকারীকে বিদ্যুর‌্যা শক দিয়ে শায়েস্তা করে ছাড়বে এই যন্ত্র। যন্ত্রটার দামও থাকছে একদম হাতের নাগালেই। মাত্র ১২২ রুপি! পত্রিকার খবর বলছে, হাতঘড়ির মতো সহজেই ব্যবহার করা যাবে এই যন্ত্র।
(সূত্র: পৃষ্ঠা: ১১, প্রথম আলো, ২৯ জানুয়ারি, ২০১২)।

বিজ্ঞানের এই শনৈঃশনৈঃ অগ্রগতির যুগে মানুর উদ্ভাবনটা হয়তো খুব আহামরি কিছু নয়। এই যন্ত্র বাস্তবে রাস্তায় নারীদের কতটা নিরাপত্তা দেবে, সে কথাও বলা যাচ্ছে না এখনই। কিন্তু মানু চোপড়ার ভাবনাটা সত্যিই অসাধারণ। সন্ধ্যা হলেই তার শহরের মেয়েরা কেন ঘরের বাইরে যেতে ভয় পায়—এ বিষয়টা মানুকে ভাবিত করেছে ছোট্ট বয়সেই। আর মানু শুধু ভেবে ভেবে গালে হাত দিয়ে বসে থাকেনি। নিজের ভাবনা-চিন্তা কাজে লাগিয়ে তৈরি করেছে এই উত্ত্যক্ততা-প্রতিরোধী খুদে যন্ত্র।
মানুর যন্ত্র কাজে লাগুক আর না-ই লাগুক, সব ছেলে যদি কেবল মানুর মতো করে একবার ভাবে, তবেই তো অনেক কিছু। তখন আর রোজ রোজ ইভ টিজিংয়ের ঘটনা ঘটত না।
সিমি, তিশা আর পিঙ্কিদের হারাতে হতো না আমাদের। আর সত্যি বলতে কি, মানুর মতো করে সবাই ভাবলে এই উত্ত্যক্ততা-প্রতিরোধী যন্ত্রটাও দরকার হতো না আর। যন্ত্র কাজে লাগুক আর না-ই লাগুক, মানুকে তাই বলতেই হচ্ছে—বাহবা, শাবাশ!
—ইকবাল হোসাইন চৌধুরী

No comments

Powered by Blogger.