পিলখানা হত্যা মামলা নিয়ে অস্বস্তিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীঃ আলগা কথা না বলাই ভালো
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন মন্ত্রিত্বের এক বছরের মাথায় এসে বুঝতে পেরেছেন, অগ্র-পশ্চাত্ বিবেচনা না করে দুম করে যা মুখে আসে তাই বলে ফেললে আখেরে ঠকতে হয়। তার এই বিলম্বিত বোধোদয় ঘটেছে পিলখানা হত্যা মামলার চার্জশিট প্রদানকে কেন্দ্র করে। শনিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গিয়েছিলেন বিডিআর সদর দফতরে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ রাইফেলস পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইংরেজি শাখার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করতে।
অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, ‘পিলখানা হত্যা মামলার তদন্ত কবে শেষ হবে, তা আমার জানা নেই।’ তিনি বলেছেন, ‘পিলখানা হত্যা মামলার চার্জশিট ডিসেম্বরে দেয়া হবে, একথা বলে ঠকেছি। তদন্ত সময়ের ব্যাপার; শেষ মুহূর্তে তদন্তে অনেক সময় লেগে যায়। সুনির্দিষ্ট তারিখ এখন আগেভাগে বলা যাবে না।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আজ যা বলছেন সে কথাই আমরা একাধিকবার আমার দেশ-এর সম্পাদকীয় মন্তব্যে সুনির্দিষ্ট কারণ বিশ্লেষণসহ উল্লেখ করেছি। কিন্তু আমাদের কথায় কর্ণপাত না করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শুধু নন, আইনমন্ত্রীসহ একাধিক মন্ত্রী বারবার বলেছিলেন, ২০০৯ সালের মধ্যে পিলখানা হত্যা মামলার বিচার শুরু হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল, বিচার শুরু হওয়া দূরে থাকুক, মামলার চার্জশিটও এখনও চূড়ান্ত হয়নি। আমরা আগেও বলেছি, এখনও বলছি যে, আদালতে চার্জশিট দাখিল করার পর মূল মামলা শুরু হতে ২/৩ মাস সময় লাগে। কারণ চার্জশিট দাখিল এবং মূল মামলা শুরুর মধ্যবর্তী সময়ে এমন কিছু আইনি প্রক্রিয়া আছে যেগুলো সম্পন্ন করা বাধ্যতামূলক। এসব কাজ কিছুটা হলেও সময়সাপেক্ষ। তাই এখন যে গতিতে তদন্ত চলছে তা শেষ করে আদালতে চার্জশিট দাখিলের পর পিলখানা হত্যা মামলার বিচার শুরু হতে আরও অন্তত মাস ছয়েক সময় লাগার কথা।
আমাদের মনে রাখতে হবে, সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পিলখানা ট্রাজেডি নিয়ে মামলা হচ্ছে দুটি। একটি মামলা বিডিআর বিদ্রোহ সংক্রান্ত। বিডিআর বিদ্রোহ শুধু সদর দফতর পিলখানায় সীমাবদ্ধ ছিল না। পিলখানার মতো রক্তাক্ত ও নৃশংস না হলেও এ বিদ্রোহ দেশের আরও কয়েকটি স্থানে অবস্থিত বিডিআরের ঘাঁটিতে ছড়িয়ে পড়েছিল। এখন বিভিন্ন জেলায় যে আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে সেটা বিডিআর বিদ্রোহ সংক্রান্ত। এ মামলা হচ্ছে বিডিআর আইনে। দ্বিতীয় মামলাটি চলবে ফৌজদারি দণ্ডবিধি অনুসারে। বিডিআর বিদ্রোহকালে যারা হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট ইত্যাদি অপরাধমূলক কাজ করেছে, যথাযথ তদন্তপূর্বক তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এনে চার্জশিট প্রদান করতে হবে। এটি একটি ওপেন ট্রায়াল। তাই সময় নিয়ে আঁটঘাঁট বেঁধে সবকিছু করা না হলে শেষ পর্যন্ত লেজেগোবরে দশা হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না। বিশেষ করে নির্মোহভাবে সত্য উদঘাটনের চেষ্টার পরিবর্তে মামলা তদন্তে যদি রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রাধান্য দেয়া হয়, তবে জটিলতা সৃষ্টি হতে বাধ্য। আলোচ্য ক্ষেত্রেও বিভিন্ন সময়ে কয়েকজন মন্ত্রী ও সরকারি দলের প্রথম সারির নেতানেত্রীর বক্তব্যে ও আচরণে তেমন আশঙ্কা জাগার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। জটিল ফৌজদারি মামলার সুযোগ নিয়ে কাউকে বেহুদা ঘায়েল করার চেষ্টা চালানো হলে শেষ পর্যন্ত মূল অপরাধী ছাড়া আর কেউ লাভবান হয় না, তেমন বহু নজির আমাদের দেশে আছে। এক্ষেত্রে সেই তিক্ত অভিজ্ঞতার পুনরাবৃত্তি না ঘটলে সাধারণ মানুষ খুশি হবে।
আমরা বলব, আলগা মন্তব্য সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিলম্বিত বোধোদয় একটা ইতিবাচক লক্ষণ। তবে তিনি যে বললেন, তদন্ত কখন শেষ হবে তা তার জানা নেই—এটাও কিন্তু একটা আলগা কথা। যে কোনো ফৌজদারি মামলার তদন্ত কাজ কবে নাগাদ শেষ হতে পারে সে সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর যদি ধারণা না থাকে তবে তো মহাবিপদের কথা! তাকে জানতে হবে এবং জাতিকে জানাতে হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আজ যা বলছেন সে কথাই আমরা একাধিকবার আমার দেশ-এর সম্পাদকীয় মন্তব্যে সুনির্দিষ্ট কারণ বিশ্লেষণসহ উল্লেখ করেছি। কিন্তু আমাদের কথায় কর্ণপাত না করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শুধু নন, আইনমন্ত্রীসহ একাধিক মন্ত্রী বারবার বলেছিলেন, ২০০৯ সালের মধ্যে পিলখানা হত্যা মামলার বিচার শুরু হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল, বিচার শুরু হওয়া দূরে থাকুক, মামলার চার্জশিটও এখনও চূড়ান্ত হয়নি। আমরা আগেও বলেছি, এখনও বলছি যে, আদালতে চার্জশিট দাখিল করার পর মূল মামলা শুরু হতে ২/৩ মাস সময় লাগে। কারণ চার্জশিট দাখিল এবং মূল মামলা শুরুর মধ্যবর্তী সময়ে এমন কিছু আইনি প্রক্রিয়া আছে যেগুলো সম্পন্ন করা বাধ্যতামূলক। এসব কাজ কিছুটা হলেও সময়সাপেক্ষ। তাই এখন যে গতিতে তদন্ত চলছে তা শেষ করে আদালতে চার্জশিট দাখিলের পর পিলখানা হত্যা মামলার বিচার শুরু হতে আরও অন্তত মাস ছয়েক সময় লাগার কথা।
আমাদের মনে রাখতে হবে, সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পিলখানা ট্রাজেডি নিয়ে মামলা হচ্ছে দুটি। একটি মামলা বিডিআর বিদ্রোহ সংক্রান্ত। বিডিআর বিদ্রোহ শুধু সদর দফতর পিলখানায় সীমাবদ্ধ ছিল না। পিলখানার মতো রক্তাক্ত ও নৃশংস না হলেও এ বিদ্রোহ দেশের আরও কয়েকটি স্থানে অবস্থিত বিডিআরের ঘাঁটিতে ছড়িয়ে পড়েছিল। এখন বিভিন্ন জেলায় যে আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে সেটা বিডিআর বিদ্রোহ সংক্রান্ত। এ মামলা হচ্ছে বিডিআর আইনে। দ্বিতীয় মামলাটি চলবে ফৌজদারি দণ্ডবিধি অনুসারে। বিডিআর বিদ্রোহকালে যারা হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট ইত্যাদি অপরাধমূলক কাজ করেছে, যথাযথ তদন্তপূর্বক তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এনে চার্জশিট প্রদান করতে হবে। এটি একটি ওপেন ট্রায়াল। তাই সময় নিয়ে আঁটঘাঁট বেঁধে সবকিছু করা না হলে শেষ পর্যন্ত লেজেগোবরে দশা হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না। বিশেষ করে নির্মোহভাবে সত্য উদঘাটনের চেষ্টার পরিবর্তে মামলা তদন্তে যদি রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রাধান্য দেয়া হয়, তবে জটিলতা সৃষ্টি হতে বাধ্য। আলোচ্য ক্ষেত্রেও বিভিন্ন সময়ে কয়েকজন মন্ত্রী ও সরকারি দলের প্রথম সারির নেতানেত্রীর বক্তব্যে ও আচরণে তেমন আশঙ্কা জাগার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। জটিল ফৌজদারি মামলার সুযোগ নিয়ে কাউকে বেহুদা ঘায়েল করার চেষ্টা চালানো হলে শেষ পর্যন্ত মূল অপরাধী ছাড়া আর কেউ লাভবান হয় না, তেমন বহু নজির আমাদের দেশে আছে। এক্ষেত্রে সেই তিক্ত অভিজ্ঞতার পুনরাবৃত্তি না ঘটলে সাধারণ মানুষ খুশি হবে।
আমরা বলব, আলগা মন্তব্য সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিলম্বিত বোধোদয় একটা ইতিবাচক লক্ষণ। তবে তিনি যে বললেন, তদন্ত কখন শেষ হবে তা তার জানা নেই—এটাও কিন্তু একটা আলগা কথা। যে কোনো ফৌজদারি মামলার তদন্ত কাজ কবে নাগাদ শেষ হতে পারে সে সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর যদি ধারণা না থাকে তবে তো মহাবিপদের কথা! তাকে জানতে হবে এবং জাতিকে জানাতে হবে।
No comments