দক্ষিণ সুদানে পুলিশের দু’পক্ষের বন্দুকযুদ্ধে নিহত ৩৭
সাম্প্রতিক সহিংসতা বন্ধে দক্ষিণ সুদানে একটি শান্তি আলোচনার সময় পুলিশের দু’পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে ৩৭ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। দেশটিতে নিযুক্ত জাতিসংঘ কর্মকর্তাদের বরাতে অনলাইন বিবিসি জানিয়েছে, হতাহতদের মধ্যে বেশীরভাগই পুলিশ সদস্য। তবে বেশ কয়েকজন সাধারণ নাগরিকও প্রাণ হারিয়েছে। দেশটির ডেপুটি প্রতিরক্ষামন্ত্রী মাজাক ডি’আগুত বলেন, ইউনিটি ও ওয়ারাব প্রদেশের পুলিশের মধ্যে কোন ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘাতের সূত্রপাত হয়। বন্দুকধারী নিরাপত্তা বাহিনীর চারটি ট্রাক পৌঁছে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করতে থাকে। তাদের মধ্যে পুলিশ, সেনা সদস্য ও নিরাপত্তারক্ষীরাও ছিল। এ ঘটনায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা অভিযানের এক কর্মকর্তাও আহত হয়েছেন। এক কর্মকর্তা জানান, দুই প্রদেশে পুলিশই ধরে নেয় তারা হামলার শিকার হয়েছে। আর তাতেই এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় সেখানে দক্ষিণ সুদানের ৩টি প্রদেশ ও জাতিসংঘের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা আলোচনায় বসেছিলেন। দেশটিতে ভয়াবহ গোষ্ঠীগত দাঙ্গা-সহিংসতা নিরসনে এ শান্তি আলোচনা হচ্ছে। এ সপ্তাহের শুরুতে গোষ্ঠীগত এক দাঙ্গায় ৭৪ জন নিহত হওয়ার পরপরই এ শান্তি আলোচনার আহবান জানানো হয়। হাজার হাজার মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে অন্যত্র চলে গেছেন।
অন্য এক সূত্রে জানা গেছে, সুদানের প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশির বলছেন, খনি থেকে দক্ষিণ সুদানের তেল উত্তোলন বন্ধের বিষয়টি শেষ পর্যন্ত দেশ দুটির মধ্যে যুদ্ধ পর্যন্ত গড়াতে পারে। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, দক্ষিণ সুদান তেল উত্তোলন বন্ধ করে সুদানে সরকার পতনের চেষ্টা চালাচ্ছে। সদ্য স্বাধীন হওয়া দক্ষিণ সুদান তাদের তেলক্ষেত্রগুলোতে উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে। আর সেখান থেকেই সহিংস ঘটনার জন্ম নিচ্ছে।
অন্য এক সূত্রে জানা গেছে, সুদানের প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশির বলছেন, খনি থেকে দক্ষিণ সুদানের তেল উত্তোলন বন্ধের বিষয়টি শেষ পর্যন্ত দেশ দুটির মধ্যে যুদ্ধ পর্যন্ত গড়াতে পারে। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, দক্ষিণ সুদান তেল উত্তোলন বন্ধ করে সুদানে সরকার পতনের চেষ্টা চালাচ্ছে। সদ্য স্বাধীন হওয়া দক্ষিণ সুদান তাদের তেলক্ষেত্রগুলোতে উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে। আর সেখান থেকেই সহিংস ঘটনার জন্ম নিচ্ছে।
No comments