মন্ত্রী-এমপির গাড়িবিলাস-এ লজ্জা রাখি কোথায়!
দেশের অর্থনীতির যে বেহাল অবস্থা- তা কারো অজানা নয়। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরাও আকার-ইঙ্গিতে তা স্বীকার করছেন। এক বছরের মধ্যে ডলারের দাম ৭০ থেকে ৮৬ টাকায় উঠেছে। মূল্যস্ফীতি দুই অঙ্কের ঘর থেকে নামানো যাচ্ছে না। রপ্তানির চেয়ে আমদানি ব্যয় অনেক বেড়ে গেছে। এ অবস্থায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ক্রমেই নিম্নমুখী হচ্ছে।
সে কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বিলাসী পণ্য, দামি গাড়ি ইত্যাদি না কেনার এবং বেশি করে দেশীয় পণ্য কেনার পরামর্শ দিয়েছেন। কোনো কোনো মন্ত্রীর কণ্ঠেও তার প্রতিধ্বনি। কিন্তু বড় বিচিত্র এ দেশ। আমরা উপদেশ দিতে, আর নৈতিকতার কথা বলতে যতটা উৎসাহী, সেগুলো অনুসরণ করতে ততটাই অনাগ্রহী। খবরে প্রকাশ, মন্ত্রী-এমপিরা ১৫ মাসে বিনাশুল্কে বিলাসবহুল গাড়ি আমদানির সর্বকালের রেকর্ড ভেঙেছেন। এতে যেমন প্রবাসীদের কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রার অপচয় হচ্ছে, অন্যদিকে সরকারও রাজস্ব হারাচ্ছে।
কথায় বলে- 'চোরায় না শোনে ধর্মের কথা'। তাহলে কি আমরা ধরে নেব যে আমাদের মন্ত্রী-এমপিদের বেলায়ও কথাটা সত্য? এমপিরা জনপ্রতিনিধি, এলাকার মানুষ তাদের সুখ-দুঃখ দেখার জন্য এবং তাদের ভাগ্যোন্নয়নের আশায় ভোট দিয়ে জনপ্রতিনিধিদের নির্বাচিত করে। তাঁরা কি সেই কাজটি করছেন? চলতি শীতেও সামান্য শৈত্যপ্রবাহেই দেশে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। নিজেদের জীবন বাঁচানোর জন্য সামান্য গরম কাপড়ও তারা সংগ্রহ করতে পারে না। তাদের কথা কি ভাবেন এই জনপ্রতিনিধিরা। দেশের অর্থনীতির কথা তাঁরা ভাববেন- সেটা আশা করাও তো বাতুলতা। মাত্র গত সপ্তাহে একজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান উদ্বোধন করেছেন, যেটি শতকরা ১০০ ভাগ বিদেশি কসমেটিক জাতীয় পণ্য আমদানি করে দেশে বিক্রি করবে। সরকারের নিয়ম, সরকারের আবেদন যদি সরকারি লোক তথা মন্ত্রী-এমপিরাই না শোনেন, তাহলে অন্যদের দোষ দেওয়ার সুযোগ কোথায়। আমাদের দেশে তৈরি সাবান আমরা ব্যবহার করি না, থাইল্যান্ড বা অন্যান্য দেশে তৈরি একই ব্র্যান্ডের সাবান ব্যবহার করি। এটা তো সেই একই মানসিকতা, যার পথপ্রদর্শক বর্তমান সরকারেরই মন্ত্রী-এমপিরা।
গত ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের এতটাই কষ্ট ভোগ করতে হয়েছিল যে বাংলাদেশের ইতিহাসে আগে কখনো তা হয়নি। সড়কগুলোর সেই চরম বেহাল অবস্থার কতটা প্রতিকার হয়েছে? আগামী বর্ষায় আমরা তা ভালো করেই দেখতে পাব। ট্রেনের একটি টিকিটের জন্য মানুষ স্টেশনে রাত কাটিয়েও অনেকে টিকিট পায়নি। ট্রেনের ছাদে চড়েও মানুষকে বাড়ি যেতে হয়েছে, অনেকে যেতেও পারেনি। সেই ট্রেন সার্ভিসের কতটা উন্নতি হয়েছে। কিন্তু এমপি সাহেবদের অনেক উন্নতি হয়েছে। তাই তাঁরা মর্যাদা রক্ষায় বিলাসবহুল গাড়ির প্রয়োজনটা খুব বেশি উপলব্ধি করছেন। অথচ গত ২০ আগস্ট কালের কণ্ঠে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, সরকারি ও বিরোধী দলের ১৮০ জন এমপির শুল্কমুক্ত সুবিধায় বিলাসবহুল গাড়ি আমদানিতে বৈদেশিক মুদ্রা অপচয়ের পাশাপাশি রাষ্ট্রের ক্ষতি হয়েছে ৫৫৫ কোটি টাকা। আর সংশ্লিষ্ট পরিপত্র জারির পরবর্তী ১৫ মাসের হিসাবে দেখা যায়, মন্ত্রী-এমপিদের জন্য গাড়ি এসেছে ২৫৫টি।
দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত ঊর্ধ্বগতি, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির অব্যাহত সংকট, রাস্তার বেহালদশায় যখন জনজীবন প্রবল সংকটে, তখন এমপিদের গাড়িবিলাসের খবরটি খুবই দুঃখজনক। কোনো কোনো এমপি দুটি বা তিনটি গাড়িও আমদানি করেছেন। যেন হরিলুট! বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার এমপিদের বিনাশুল্কে গাড়ি আনার বিধানটি বাতিল করেছিল। কিন্তু বর্তমান সরকার আবার তা কায়েম করে। আর সে জন্য সব বিরোধ-বিভেদ ভুলে সরকারি ও বিরোধী দলের এমপিরা কোমর বেঁধে নেমে গিয়েছিলেন। প্রথমে বলা হয়েছিল, ২০০০ সিসি পর্যন্ত সাধারণ গাড়ি বিনাশুল্কে আমদানি করতে দেওয়া হবে। কিন্তু এমপি সাহেবরা তাতে সন্তুষ্ট হলেন না। ফলে সুযোগ অবারিত করা হলো। অনেক এমপিই ৪,৪৬১ সিসির অত্যন্ত বিলাসবহুল গাড়ি আমদানি করেছেন, যার একেকটির বাজারমূল্য কয়েক কোটি টাকা। আমাদের বিশ্বাস, দেশের বিবেক-বুদ্ধিসম্পন্ন বহু মানুষই খবরটি পড়ে লজ্জায় কুঁকড়ে যাবেন। কিন্তু এমপি সাহেবরা লজ্জিত হবেন কি?
কথায় বলে- 'চোরায় না শোনে ধর্মের কথা'। তাহলে কি আমরা ধরে নেব যে আমাদের মন্ত্রী-এমপিদের বেলায়ও কথাটা সত্য? এমপিরা জনপ্রতিনিধি, এলাকার মানুষ তাদের সুখ-দুঃখ দেখার জন্য এবং তাদের ভাগ্যোন্নয়নের আশায় ভোট দিয়ে জনপ্রতিনিধিদের নির্বাচিত করে। তাঁরা কি সেই কাজটি করছেন? চলতি শীতেও সামান্য শৈত্যপ্রবাহেই দেশে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। নিজেদের জীবন বাঁচানোর জন্য সামান্য গরম কাপড়ও তারা সংগ্রহ করতে পারে না। তাদের কথা কি ভাবেন এই জনপ্রতিনিধিরা। দেশের অর্থনীতির কথা তাঁরা ভাববেন- সেটা আশা করাও তো বাতুলতা। মাত্র গত সপ্তাহে একজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান উদ্বোধন করেছেন, যেটি শতকরা ১০০ ভাগ বিদেশি কসমেটিক জাতীয় পণ্য আমদানি করে দেশে বিক্রি করবে। সরকারের নিয়ম, সরকারের আবেদন যদি সরকারি লোক তথা মন্ত্রী-এমপিরাই না শোনেন, তাহলে অন্যদের দোষ দেওয়ার সুযোগ কোথায়। আমাদের দেশে তৈরি সাবান আমরা ব্যবহার করি না, থাইল্যান্ড বা অন্যান্য দেশে তৈরি একই ব্র্যান্ডের সাবান ব্যবহার করি। এটা তো সেই একই মানসিকতা, যার পথপ্রদর্শক বর্তমান সরকারেরই মন্ত্রী-এমপিরা।
গত ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের এতটাই কষ্ট ভোগ করতে হয়েছিল যে বাংলাদেশের ইতিহাসে আগে কখনো তা হয়নি। সড়কগুলোর সেই চরম বেহাল অবস্থার কতটা প্রতিকার হয়েছে? আগামী বর্ষায় আমরা তা ভালো করেই দেখতে পাব। ট্রেনের একটি টিকিটের জন্য মানুষ স্টেশনে রাত কাটিয়েও অনেকে টিকিট পায়নি। ট্রেনের ছাদে চড়েও মানুষকে বাড়ি যেতে হয়েছে, অনেকে যেতেও পারেনি। সেই ট্রেন সার্ভিসের কতটা উন্নতি হয়েছে। কিন্তু এমপি সাহেবদের অনেক উন্নতি হয়েছে। তাই তাঁরা মর্যাদা রক্ষায় বিলাসবহুল গাড়ির প্রয়োজনটা খুব বেশি উপলব্ধি করছেন। অথচ গত ২০ আগস্ট কালের কণ্ঠে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, সরকারি ও বিরোধী দলের ১৮০ জন এমপির শুল্কমুক্ত সুবিধায় বিলাসবহুল গাড়ি আমদানিতে বৈদেশিক মুদ্রা অপচয়ের পাশাপাশি রাষ্ট্রের ক্ষতি হয়েছে ৫৫৫ কোটি টাকা। আর সংশ্লিষ্ট পরিপত্র জারির পরবর্তী ১৫ মাসের হিসাবে দেখা যায়, মন্ত্রী-এমপিদের জন্য গাড়ি এসেছে ২৫৫টি।
দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত ঊর্ধ্বগতি, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির অব্যাহত সংকট, রাস্তার বেহালদশায় যখন জনজীবন প্রবল সংকটে, তখন এমপিদের গাড়িবিলাসের খবরটি খুবই দুঃখজনক। কোনো কোনো এমপি দুটি বা তিনটি গাড়িও আমদানি করেছেন। যেন হরিলুট! বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার এমপিদের বিনাশুল্কে গাড়ি আনার বিধানটি বাতিল করেছিল। কিন্তু বর্তমান সরকার আবার তা কায়েম করে। আর সে জন্য সব বিরোধ-বিভেদ ভুলে সরকারি ও বিরোধী দলের এমপিরা কোমর বেঁধে নেমে গিয়েছিলেন। প্রথমে বলা হয়েছিল, ২০০০ সিসি পর্যন্ত সাধারণ গাড়ি বিনাশুল্কে আমদানি করতে দেওয়া হবে। কিন্তু এমপি সাহেবরা তাতে সন্তুষ্ট হলেন না। ফলে সুযোগ অবারিত করা হলো। অনেক এমপিই ৪,৪৬১ সিসির অত্যন্ত বিলাসবহুল গাড়ি আমদানি করেছেন, যার একেকটির বাজারমূল্য কয়েক কোটি টাকা। আমাদের বিশ্বাস, দেশের বিবেক-বুদ্ধিসম্পন্ন বহু মানুষই খবরটি পড়ে লজ্জায় কুঁকড়ে যাবেন। কিন্তু এমপি সাহেবরা লজ্জিত হবেন কি?
No comments