এমপিদের শুল্কমুক্ত সুবিধায় গাড়ি-রাষ্ট্রের ক্ষতির দায় বহন করবে কে?
যে দেশের বেশির ভাগ মানুষ দরিদ্র এবং জাতীয় অর্থনৈতিক চিত্র বিবর্ণ, সে দেশের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা যদি বিলাসী হয়ে ওঠেন, রাষ্ট্র পরিচালকরা নিজেদের সুবিধা-আরাম-আয়েশ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে নিমগ্ন থাকেন, তাহলে দুর্ভোগের দাগ আরো মোটা হবে_এটাই স্বাভাবিক। ২০ আগস্ট '৫৫৫ কোটি টাকা ক্ষতি ১৮০ এমপির গাড়িতে' শিরোনামে কালের কণ্ঠে প্রকাশিত প্রতিবেদনে যে তথ্যচিত্র তুলে ধরা হয়েছে, তাতে প্রতীয়মান হয়,
সরকার ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের মধ্যে রাজনৈতিক বিরোধ যতই থাকুক না কেন, সুযোগ-সুবিধা ভোগবিলাসী ভাবনার ক্ষেত্রে তাঁদের মধ্যে দূরত্ব নেই। এ পর্যন্ত ১৮০ জন সংসদ সদস্য শুল্কমুক্ত সুবিধায় গাড়ি কিনতে নিজেদের পকেট থেকে খরচ করেছেন মাত্র ৮১ কোটি টাকা, আর তাতে দেশের রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে এর প্রায় সাত গুণ। অতীতে দেখা গেছে, শুল্কমুক্ত সুবিধায় গাড়ি এনে বাজারে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। বর্তমান সংসদ সদস্যরাও শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা গাড়ি বিক্রি বা হাতবদল করেছেন কি না, তা খতিয়ে দেখার উদ্যোগ নিয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। বিষয়টি অবশ্যই লজ্জার। যাঁরা দেশের আইন প্রণেতা, তাঁরাই যদি এমন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিজেদের জড়ান, তাহলে দেশ-জাতির ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।
জনপ্রতিনিধিদের গাড়ি আমদানির সুযোগ এবং এ সুযোগে দুর্নীতির দীর্ঘকালের তিক্ততা জনগণ আর দেখতে চায় না। বরং অনেকে বিগত দিনের গাড়ি আমদানির কলঙ্কজনক ঘটনাবলির কথা মাথায় রেখে এমপিদের শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির ব্যবস্থাটিই বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলে আসছেন। এমপিদের শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির রেওয়াজ প্রথম চালু করেছিলেন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তাঁর শাসনামলের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার এ ব্যবস্থা বাতিল করে দিয়েছিল। পরে বিএনপি সরকার গঠনের পর আবার এর অনুমতি দেয়। মূলত তখন আমদানি নিয়ে ভয়াবহ দুর্নীতি হয়_এ অভিযোগ স্পষ্ট। এসব বিষয় জনগণেরও চোখ এড়ায়নি। সরকার এ ব্যবস্থার কারণে যে বিপুল অঙ্কের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, তা সামগ্রিকভাবে দেশের অর্থনীতির জন্য বিরাট ক্ষতি। আমরা মনে করি, এ ব্যবস্থা বাতিল করে সংসদের পুলে শুল্কমুক্ত ৩০০ বা সাড়ে ৩০০ গাড়ি রেখে দিলেই সব সরকারের আমলে তা নির্বাচিত এমপিরা ব্যবহার করতে পারেন। এর ফলে একদিকে যেমন বিপুল অঙ্কের ক্ষতি থেকে রাষ্ট্র রেহাই পাবে, অন্যদিকে গাড়িগুলোও জাতীয় সম্পদ হিসেবে গণ্য ও ব্যবহৃত হবে।
বিশ্বের কোনো গণতান্ত্রিক দেশে এমন দৃষ্টিকটু সুবিধা গ্রহণের নজির নেই। ব্রিটেনের মতো দেশেও এমপিরা সরকারি গাড়ির পুল থেকে প্রয়োজনমাফিক গাড়ি ব্যবহারের সুযোগ পান। আর বাংলাদেশের মতো দারিদ্র্যপীড়িত দেশে পরিলক্ষিত হয় অনাকাঙ্ক্ষিত, অনভিপ্রেত দৃশ্য। মনে রাখা দরকার, এমপিদের এমন অভিলাষ সাধারণ মানুষের মধ্যে তাঁদের মর্যাদা ও নৈতিক অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। এর ফলে অন্যরাও স্বার্থপরতা, ভোগবিলাস ও দুর্নীতিতে উৎসাহিত হয়। তাঁদের মনে রাখা প্রয়োজন, জনগণ তাঁদের সংসদে পাঠিয়েছে জনস্বার্থ দেখার জন্য; আপন স্বার্থে সুবিধাবাদী আইন প্রণয়নের জন্য নয়।
জনপ্রতিনিধিদের গাড়ি আমদানির সুযোগ এবং এ সুযোগে দুর্নীতির দীর্ঘকালের তিক্ততা জনগণ আর দেখতে চায় না। বরং অনেকে বিগত দিনের গাড়ি আমদানির কলঙ্কজনক ঘটনাবলির কথা মাথায় রেখে এমপিদের শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির ব্যবস্থাটিই বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলে আসছেন। এমপিদের শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির রেওয়াজ প্রথম চালু করেছিলেন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তাঁর শাসনামলের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার এ ব্যবস্থা বাতিল করে দিয়েছিল। পরে বিএনপি সরকার গঠনের পর আবার এর অনুমতি দেয়। মূলত তখন আমদানি নিয়ে ভয়াবহ দুর্নীতি হয়_এ অভিযোগ স্পষ্ট। এসব বিষয় জনগণেরও চোখ এড়ায়নি। সরকার এ ব্যবস্থার কারণে যে বিপুল অঙ্কের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, তা সামগ্রিকভাবে দেশের অর্থনীতির জন্য বিরাট ক্ষতি। আমরা মনে করি, এ ব্যবস্থা বাতিল করে সংসদের পুলে শুল্কমুক্ত ৩০০ বা সাড়ে ৩০০ গাড়ি রেখে দিলেই সব সরকারের আমলে তা নির্বাচিত এমপিরা ব্যবহার করতে পারেন। এর ফলে একদিকে যেমন বিপুল অঙ্কের ক্ষতি থেকে রাষ্ট্র রেহাই পাবে, অন্যদিকে গাড়িগুলোও জাতীয় সম্পদ হিসেবে গণ্য ও ব্যবহৃত হবে।
বিশ্বের কোনো গণতান্ত্রিক দেশে এমন দৃষ্টিকটু সুবিধা গ্রহণের নজির নেই। ব্রিটেনের মতো দেশেও এমপিরা সরকারি গাড়ির পুল থেকে প্রয়োজনমাফিক গাড়ি ব্যবহারের সুযোগ পান। আর বাংলাদেশের মতো দারিদ্র্যপীড়িত দেশে পরিলক্ষিত হয় অনাকাঙ্ক্ষিত, অনভিপ্রেত দৃশ্য। মনে রাখা দরকার, এমপিদের এমন অভিলাষ সাধারণ মানুষের মধ্যে তাঁদের মর্যাদা ও নৈতিক অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। এর ফলে অন্যরাও স্বার্থপরতা, ভোগবিলাস ও দুর্নীতিতে উৎসাহিত হয়। তাঁদের মনে রাখা প্রয়োজন, জনগণ তাঁদের সংসদে পাঠিয়েছে জনস্বার্থ দেখার জন্য; আপন স্বার্থে সুবিধাবাদী আইন প্রণয়নের জন্য নয়।
No comments