হিন্দু দর্শন, শ্রীকৃষ্ণ ও জন্মাষ্টমী by ড. শরদিন্দু ভট্টাচার্য
বেদ হিন্দু দর্শনের মূল ভিত্তি, উপনিষদ বেদের দার্শনিক রূপ, আর পুরাণ গল্পাকারে উপস্থাপিত কিছু ব্যাখ্যা-বিবৃতি। বেদ, উপনিষদ ও পুরাণের সমন্বয়ে হিন্দু দর্শনের বর্তমান যে রূপ; তারই আলোকে রচিত হলো 'হিন্দু দর্শন, শ্রীকৃষ্ণ ও জন্মাষ্টমী' শীর্ষক প্রবন্ধ। হিন্দুশাস্ত্র মতে, ঈশ্বর এক এবং অদ্বিতীয় (একমেবাদ্বিতীয়ম)। অর্থাৎ ঈশ্বর নিজে তো এক বটেই, তিনি ছাড়া এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে দ্বিতীয় কোনো বস্তুর অস্তিত্ব নেই।
গাছপালা থেকে শুরু করে পশু-পাখি, পাহাড়-পর্বত থেকে নদ-নদী, ঘরবাড়ি থেকে ধুলোবালি, এমনকি মহাশূন্য থেকে গ্রহ-গ্যালাঙ্_িসবই তাঁর একেকটি রূপ বা একেকটি অংশ। এই রূপগুলো এককভাবে যেমন তিনি, তেমনি সবগুলোর সমষ্টিও তিনি। প্রতিটি বস্তু প্রতিমুহূর্তে এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় রূপান্তরিত হয়ে অনন্ত রূপের বৈচিত্র্য প্রকাশ করে। আর এ কারণেই গূঢ় অর্থে হিন্দুশাস্ত্রে স্রষ্টা বলতে কেউ নেই, এ কারণে হিন্দুশাস্ত্রে সৃষ্টি বলতেও কিছু নেই। সব কিছু ঈশ্বর, সব কিছুতেও ঈশ্বর, ঈশ্বরই জগৎরূপে সর্বাবস্থায় সর্বস্থানে পরিব্যাপ্ত।
ঈশ্বর সর্বশক্তিমান; আর তাই তাঁর নির্দিষ্ট কেনো রূপ নেই। ইচ্ছা করলেই তিনি সাকার-নিরাকার উভয় রূপ ধারণের ক্ষমতা রাখেন। ঈশ্বরের নিরাকার রূপের নাম ব্রহ্ম, আর সাকার রূপের নাম দেবতা। তবে সাকারের আকারটিও নির্দিষ্ট নয় বলে দেবতার সংখ্যা অগণ্য। মানুষের জ্ঞাত-অজ্ঞাত যেকোনো রূপ ধারণ করার ক্ষমতা তাঁর আছে, আবার মানুষ যে রূপে তাঁকে দেখতে ইচ্ছা করে, তাঁর কৃপা হলে সে রূপেও তিনি আহ্বানকারীকে দর্শন দিতে পারেন। একই দেবতা (ঈশ্বর) ভিন্ন ভিন্ন আকৃতিতে, ভিন্ন ভিন্ন নাম ও পরিচয়ে তাই বিভিন্ন ভক্তের কাছে হন পূজিত। সাকার উপাসকরা অবশ্য ঈশ্বরকে প্রধানত তিনটি রূপে কল্পনা করেন। শুধু তা-ই নয়, অন্যান্য ধর্মের মতো তাঁকে স্রষ্টা বলে সম্বোধনও করেন। যদিও একই ঈশ্বর মানুষকে যথাক্রমে সৃষ্টি, পালন ও সংহার করেন, তবু এই তিনটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে সাকার উপাসকরা তাঁকে যথাক্রমে ব্রহ্মা (স্রষ্টা), বিষ্ণু (পালক) ও মহেশ্বররূপে (সংহারক) আরাধনা করতে ভালোবাসেন। এই দেবতারা মনুষ্যাকৃতির, তবে মানুষ অপেক্ষা অধিকতর জ্ঞানী ও ক্ষমতাবান হওয়ায় হাত ও মাথার সংখ্যা বেশি। দেবতারা পুরুষ, তবে মানুষের মতো তাদেরও আছে স্ত্রী সঙ্গী। ব্রহ্মা মানুষ সৃষ্টির পর তাঁর স্ত্রী (মতভেদ আছে) সরস্বতী তাঁকে জ্ঞান ও সংস্কৃতিতে পরিপূর্ণ করে তোলেন। বিষ্ণুর প্রেমের সঙ্গে লক্ষ্মীর ধন মানুষকে পরিপূর্ণরূপে করে সুখী। আর নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হওয়ার পর মহেশ্বর জীব এবং তাঁর স্ত্রী দুর্গা অত্যাচারী অসুরদের নিয়ে যান পরলোকে। তবে মানুষ যখন পৃথিবীতে ভয়ানক বিপদের সম্মুখীন হয়, নানা ধরনের বিপর্যয়ে তাঁর অস্তিত্ব হয়ে পড়ে বিপন্ন, তখন স্বয়ং ঈশ্বর মানুষের রূপ ধারণপূর্বক মর্ত্যে আগমন করেন। বিষ্ণু যেহেতু পালনকর্তা, তাই তিনিই মানুষের রূপ ধারণ করে ধরণীতে হন আবির্ভূত। মানুষের আকৃতিতে পৃথিবীতে অবতরণের কারণে পরবর্তী সময়ে তাঁকে বলা হয় অবতার। অবতার দেবতাদের মতো অমর নন, মানুষের মতো তিনি মাতৃগর্ভে জন্মগ্রহণ করেন, মানুষের মতো তাঁর শারীরিক বৃদ্ধি ঘটে এবং মানুষের মতোই একসময় তিনি মৃত্যুবরণপূর্বক পৃথিবী থেকে করেন প্রস্থান। দেবতার মতো ক্ষমতাবান হলেও তাঁর হাত, পা, চোখ, মাথা অর্থাৎ সব কিছু অবিকল হয় মানুষের মতো।
হিন্দুশাস্ত্র মতে, ত্রেতা যুগে ভগবান বিষ্ণু রামচন্দ্ররূপে এবং দ্বাপর যুগে শ্রীকৃষ্ণরূপে মর্ত্যে অবতরণের মাধ্যমে জীবের দুর্গতি লাঘব করেন। পবিত্র গীতায় কৃষ্ণ বলেছেন, যখনই ধর্মের গ্লানি ও অধর্মের অভ্যুত্থান ঘটে, তখনই তিনি (ঈশ্বর) নবরূপ ধারণপূর্বক পৃথিবীতে ফিরে আসেন। পৃথিবীতে অবতরণের মাধ্যমে তিনি অধর্মের বিনাশ ও ধর্মকে পুনঃ স্থাপন করেন। আজ থেকে পাঁচ হাজার বছর আগে (মতান্তর আছে) ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ভাদ্র মাসের অষ্টমী তিথিতে পৃথিবীতে অবতীর্ণ হয়ে জীবকে মুক্তি দিয়েছিলেন। আর তাই বিশ্বের সব হিন্দু পুণ্য এই তিথিতে আড়ম্বরের সঙ্গে শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উৎসব পালন করেন।
মধ্যযুগের শুরুতে স্বয়ং বিষ্ণু এবং পরবর্তী সময়ে অবতার কৃষ্ণ বাংলায় ব্যাপকভাবে পূজিত হন। এঁদের কেন্দ্র করে এ সময় গড়ে ওঠে অসংখ্য কাহিনী এবং রচিত হয় বহুবিধ কাব্য ও সংগীত। এমনই বৈষ্ণববিরোধী শাক্ত এবং শৈবরাও ওই সময় বেশ কিছু কাব্য ও সংগীত রচনা করেন। বড়ু চণ্ডীদাস এবং বিদ্যাপতি তাঁদের মধ্যে অন্যতম। তাঁদের হাতে অবশ্য কৃষ্ণ গ্রাম্য যুবকে রূপান্তরিত হয়ে ভিন্ন একটি বৈশিষ্ট্যে পরিচিতি পান এবং সঙ্গী হিসেবে আবির্ভূত হন তখন শ্রীরাধিকা। পঞ্চদশ-ষোড়শ শতকে শ্রীচৈতন্য এই শ্রীকৃষ্ণ এবং রাধাকেই পুনরায় নতুনভাবে নির্মাণ করেন এবং তখন থেকে তাঁরা পরমাত্মা রূপকে বাংলায় শ্রদ্ধার সঙ্গে যুগলভাবে হতে থাকেন পূজিত। বিষ্ণু যেহেতু পালনকর্তা, তাই কেবল বা মূলত তাঁকে আরাধনা করলেই সব বিপদ থেকে উদ্ধার পাওয়া যাবে মনে করে একসময় হিন্দুদের একটা বড় অংশ কেবল বিষ্ণু বা কৃষ্ণের ভজনা করত। আবার মহেশ্বর বা শিব যেহেতু সংহারকর্তা, তাই তাঁকে তুষ্ট করতে পারলেই জীবন রক্ষা পাবে মনে করে একদল কেবল বা প্রধানত শিবের আরাধনা করতেন। আবার অসুরই যেহেতু দুর্গতির মূল, আর এই অসুরকেই যেহেতু বিনাশ করেন দুর্গা, তাই একদল কেবল বা মুখ্যত শক্তি দেবীকে করতেন অর্চনা। বর্তমানে অবশ্য খুব অল্পসংখ্যকের মধ্যে এ অবস্থা প্রত্যক্ষ করা যায়। আধুনিক সমাজ-চেতনা, পরমতসহিষ্ণুতা এবং যুগ-বাস্তবতা বর্তমান হিন্দু জনগোষ্ঠীকে অনেকটাই ঐক্যবদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছে। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু এখন কৃষ্ণ-শিব-দুর্গা নির্বিশেষে সব দেবতাকে সমান গুরুত্বের সঙ্গে পূজা করেন। শাক্ত, বৈষ্ণব, শৈব-নির্বিশেষে সব হিন্দু বা সনাতন জনগোষ্ঠী জন্মাষ্টমীকে সমান গুরুত্ব ও শ্রদ্ধার সঙ্গে করেন উদ্যাপন। জন্মাষ্টমী এখন আর তাই কেবল বৈষ্ণবদের উৎসব নয়, শিবরাত্রি ও দুর্গাপূজার মতো এটিও একটি সর্বজনীন মহা উৎসব।
লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট।
ঈশ্বর সর্বশক্তিমান; আর তাই তাঁর নির্দিষ্ট কেনো রূপ নেই। ইচ্ছা করলেই তিনি সাকার-নিরাকার উভয় রূপ ধারণের ক্ষমতা রাখেন। ঈশ্বরের নিরাকার রূপের নাম ব্রহ্ম, আর সাকার রূপের নাম দেবতা। তবে সাকারের আকারটিও নির্দিষ্ট নয় বলে দেবতার সংখ্যা অগণ্য। মানুষের জ্ঞাত-অজ্ঞাত যেকোনো রূপ ধারণ করার ক্ষমতা তাঁর আছে, আবার মানুষ যে রূপে তাঁকে দেখতে ইচ্ছা করে, তাঁর কৃপা হলে সে রূপেও তিনি আহ্বানকারীকে দর্শন দিতে পারেন। একই দেবতা (ঈশ্বর) ভিন্ন ভিন্ন আকৃতিতে, ভিন্ন ভিন্ন নাম ও পরিচয়ে তাই বিভিন্ন ভক্তের কাছে হন পূজিত। সাকার উপাসকরা অবশ্য ঈশ্বরকে প্রধানত তিনটি রূপে কল্পনা করেন। শুধু তা-ই নয়, অন্যান্য ধর্মের মতো তাঁকে স্রষ্টা বলে সম্বোধনও করেন। যদিও একই ঈশ্বর মানুষকে যথাক্রমে সৃষ্টি, পালন ও সংহার করেন, তবু এই তিনটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে সাকার উপাসকরা তাঁকে যথাক্রমে ব্রহ্মা (স্রষ্টা), বিষ্ণু (পালক) ও মহেশ্বররূপে (সংহারক) আরাধনা করতে ভালোবাসেন। এই দেবতারা মনুষ্যাকৃতির, তবে মানুষ অপেক্ষা অধিকতর জ্ঞানী ও ক্ষমতাবান হওয়ায় হাত ও মাথার সংখ্যা বেশি। দেবতারা পুরুষ, তবে মানুষের মতো তাদেরও আছে স্ত্রী সঙ্গী। ব্রহ্মা মানুষ সৃষ্টির পর তাঁর স্ত্রী (মতভেদ আছে) সরস্বতী তাঁকে জ্ঞান ও সংস্কৃতিতে পরিপূর্ণ করে তোলেন। বিষ্ণুর প্রেমের সঙ্গে লক্ষ্মীর ধন মানুষকে পরিপূর্ণরূপে করে সুখী। আর নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হওয়ার পর মহেশ্বর জীব এবং তাঁর স্ত্রী দুর্গা অত্যাচারী অসুরদের নিয়ে যান পরলোকে। তবে মানুষ যখন পৃথিবীতে ভয়ানক বিপদের সম্মুখীন হয়, নানা ধরনের বিপর্যয়ে তাঁর অস্তিত্ব হয়ে পড়ে বিপন্ন, তখন স্বয়ং ঈশ্বর মানুষের রূপ ধারণপূর্বক মর্ত্যে আগমন করেন। বিষ্ণু যেহেতু পালনকর্তা, তাই তিনিই মানুষের রূপ ধারণ করে ধরণীতে হন আবির্ভূত। মানুষের আকৃতিতে পৃথিবীতে অবতরণের কারণে পরবর্তী সময়ে তাঁকে বলা হয় অবতার। অবতার দেবতাদের মতো অমর নন, মানুষের মতো তিনি মাতৃগর্ভে জন্মগ্রহণ করেন, মানুষের মতো তাঁর শারীরিক বৃদ্ধি ঘটে এবং মানুষের মতোই একসময় তিনি মৃত্যুবরণপূর্বক পৃথিবী থেকে করেন প্রস্থান। দেবতার মতো ক্ষমতাবান হলেও তাঁর হাত, পা, চোখ, মাথা অর্থাৎ সব কিছু অবিকল হয় মানুষের মতো।
হিন্দুশাস্ত্র মতে, ত্রেতা যুগে ভগবান বিষ্ণু রামচন্দ্ররূপে এবং দ্বাপর যুগে শ্রীকৃষ্ণরূপে মর্ত্যে অবতরণের মাধ্যমে জীবের দুর্গতি লাঘব করেন। পবিত্র গীতায় কৃষ্ণ বলেছেন, যখনই ধর্মের গ্লানি ও অধর্মের অভ্যুত্থান ঘটে, তখনই তিনি (ঈশ্বর) নবরূপ ধারণপূর্বক পৃথিবীতে ফিরে আসেন। পৃথিবীতে অবতরণের মাধ্যমে তিনি অধর্মের বিনাশ ও ধর্মকে পুনঃ স্থাপন করেন। আজ থেকে পাঁচ হাজার বছর আগে (মতান্তর আছে) ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ভাদ্র মাসের অষ্টমী তিথিতে পৃথিবীতে অবতীর্ণ হয়ে জীবকে মুক্তি দিয়েছিলেন। আর তাই বিশ্বের সব হিন্দু পুণ্য এই তিথিতে আড়ম্বরের সঙ্গে শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উৎসব পালন করেন।
মধ্যযুগের শুরুতে স্বয়ং বিষ্ণু এবং পরবর্তী সময়ে অবতার কৃষ্ণ বাংলায় ব্যাপকভাবে পূজিত হন। এঁদের কেন্দ্র করে এ সময় গড়ে ওঠে অসংখ্য কাহিনী এবং রচিত হয় বহুবিধ কাব্য ও সংগীত। এমনই বৈষ্ণববিরোধী শাক্ত এবং শৈবরাও ওই সময় বেশ কিছু কাব্য ও সংগীত রচনা করেন। বড়ু চণ্ডীদাস এবং বিদ্যাপতি তাঁদের মধ্যে অন্যতম। তাঁদের হাতে অবশ্য কৃষ্ণ গ্রাম্য যুবকে রূপান্তরিত হয়ে ভিন্ন একটি বৈশিষ্ট্যে পরিচিতি পান এবং সঙ্গী হিসেবে আবির্ভূত হন তখন শ্রীরাধিকা। পঞ্চদশ-ষোড়শ শতকে শ্রীচৈতন্য এই শ্রীকৃষ্ণ এবং রাধাকেই পুনরায় নতুনভাবে নির্মাণ করেন এবং তখন থেকে তাঁরা পরমাত্মা রূপকে বাংলায় শ্রদ্ধার সঙ্গে যুগলভাবে হতে থাকেন পূজিত। বিষ্ণু যেহেতু পালনকর্তা, তাই কেবল বা মূলত তাঁকে আরাধনা করলেই সব বিপদ থেকে উদ্ধার পাওয়া যাবে মনে করে একসময় হিন্দুদের একটা বড় অংশ কেবল বিষ্ণু বা কৃষ্ণের ভজনা করত। আবার মহেশ্বর বা শিব যেহেতু সংহারকর্তা, তাই তাঁকে তুষ্ট করতে পারলেই জীবন রক্ষা পাবে মনে করে একদল কেবল বা প্রধানত শিবের আরাধনা করতেন। আবার অসুরই যেহেতু দুর্গতির মূল, আর এই অসুরকেই যেহেতু বিনাশ করেন দুর্গা, তাই একদল কেবল বা মুখ্যত শক্তি দেবীকে করতেন অর্চনা। বর্তমানে অবশ্য খুব অল্পসংখ্যকের মধ্যে এ অবস্থা প্রত্যক্ষ করা যায়। আধুনিক সমাজ-চেতনা, পরমতসহিষ্ণুতা এবং যুগ-বাস্তবতা বর্তমান হিন্দু জনগোষ্ঠীকে অনেকটাই ঐক্যবদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছে। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু এখন কৃষ্ণ-শিব-দুর্গা নির্বিশেষে সব দেবতাকে সমান গুরুত্বের সঙ্গে পূজা করেন। শাক্ত, বৈষ্ণব, শৈব-নির্বিশেষে সব হিন্দু বা সনাতন জনগোষ্ঠী জন্মাষ্টমীকে সমান গুরুত্ব ও শ্রদ্ধার সঙ্গে করেন উদ্যাপন। জন্মাষ্টমী এখন আর তাই কেবল বৈষ্ণবদের উৎসব নয়, শিবরাত্রি ও দুর্গাপূজার মতো এটিও একটি সর্বজনীন মহা উৎসব।
লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট।
No comments