পবিত্র কোরআনের আলো-যারা ইমান গ্রহণের পর কাফির হয় তারা মারাত্মক অপরাধী
৬৫. ওয়া লায়িন ছাআল্তাহুম লাইয়াক্বূলুন্না ইন্নামা কুন্না নাখূদ্বু ওয়া নালআ'ব্; ক্বুল আবিল্লাহি ওয়া আয়াতিহি ওয়া রাছূূলিহি কুনতুম তাছ্তাহ্যিঊন। ৬৬. লা তা'তাযিরূ ক্বাদ কাফারতুম বা'দা ঈমানিকুম; ইন্না'ফু আ'ন ত্বায়িফাতিম্ মিনকুম নুআ'য্যিব ত্বায়িফাতাম্ বিআন্নাহুম কানূ মুজরিমীন।
৬৭. আলমুনাফিক্বূনা ওয়ালমুনাফিক্বাতু বা'দ্বুহুম্ মিম্ বা'দ্ব; ইয়া'মুরূনা বিলমুনকারি ওয়া ইয়ানহাওনা আ'নিল মা'রূফি ওয়া ইয়াক্ববিদ্বূনা আইদিইয়াহুম; নাছুল্লাহা ফানাছিইয়াহুম; ইন্নাল মুনাফিক্বীনা হুমুল ফাছিক্বূন।
৬৮. ওয়াআ'দাল্লাহুল মুনাফিক্বীনা ওয়ালমুনাফিক্বাতি ওয়ালকুফ্ফারা না-রা জাহান্নামা খালিদীনা ফীহা; হিয়া হাছবুহুম ওয়ালাআ'নাহুমুল্লাহু ওয়া লাহুম আ'যাবুম্ মুক্বীম।
[সুরা : আত্ তাওবা, আয়াত : ৬৫-৬৮]
অনুবাদ
৬৫. আপনি যদি তাদের জিজ্ঞেস করেন, তবে তারা অবশ্যই বলবে, আমরা তো হাসি-তামাশা ও মশকরা করছিলাম। তাদের বলুন, তোমরা কি আল্লাহ, আল্লাহর আয়াত ও তাঁর রাসুলকে নিয়ে বিদ্রূপ করছ?
৬৬. তোমরা গা বাঁচানোর জন্য অজুহাত দাঁড় করিও না। ইমান গ্রহণের পর তোমরা আবার অবাধ্যতায় লিপ্ত হয়েছিলে। আমি যদি তোমাদের এক দলকে (ইমানের কারণে) ক্ষমা করে দিতে পারি, তবে অপর দলকে ভয়ংকর শাস্তিও দিতে পারব (তাদের অবাধ্যতার কারণে)। কারণ তারা তো মারাত্মক অপরাধ করছে।
৬৭. মুনাফিক পুরুষ এবং মুনাফিক নারী_এরা সব এক রকমই। তারা মন্দ কাজে প্ররোচনা দেয় এবং ভালো কাজে বাধা সৃষ্টি করে। আর তারা নিজেদের হাত বন্ধ করে রাখে। তারা আল্লাহকে ভুলে গেছে। সুতরাং আল্লাহও তাদের ভুলে গেছেন। নিঃসন্দেহে মুনাফিকরা ভীষণ পাপিষ্ঠ।
৬৮. আল্লাহ মুনাফিক পুরুষ, মুনাফিক নারী ও ঘোরতর অবাধ্যদের অনন্তকাল জাহান্নামের আগুনে ফেলে রাখার প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করছেন। এটাই তাদের যথার্থ পরিণতি। আল্লাহ তাদের অভিশম্পাত দিচ্ছেন, আর তাদের জন্য ব্যবস্থা করেছেন স্থায়ী শাস্তির।
ব্যাখ্যা
৬৫ নম্বর আয়াতে ইসলামের নানা প্রসঙ্গ নিয়ে মুনাফিকদের ভেতরে ভেতরে বিদ্রূপ করার বিষয়টির কড়া সমালোচনা করা হয়েছে। ইসলামের সমালোচনা করার প্রসঙ্গটি নিয়ে তাদের যখন প্রশ্ন করা হয় তখন তারা বলে, এটা আমাদের মনের কথা নয়, এটা আমরা হাসি-তামাশা করছিলাম। এই আয়াতে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, আল্লাহ, আল্লাহর আয়াত ও তাঁর রাসুলকে নিয়ে তারা যে হাসি-তামাশা করে, এগুলো কি হাসি-তামাশার বিষয়? এগুলো তো মোটেও বিদ্রূপের বিষয় নয়, বরং গুরুতর বিষয়।
৬৬ নম্বর আয়াতে মুনাফিকদের মধ্যে সম্ভাব্য দুটি ধারার কথা উল্লেখ করা হয়েছে এবং এভাবেই চরম সতর্কতা উচ্চারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ প্রত্যেক মুনাফিকই দুই ধারার যেকোনো এক ধারায় পড়বে। সম্ভাব্য এ ধারা দুটির একটি হলো, যারা তাদের ভুল ও বিভ্রান্তি বুঝতে পেরে দৃঢ়চিত্ত হয়ে ইসলামের পথে ফিরে আসবে আর অপরটি হলো, যারা মুখে মুখে হলেও একবার মুসলমান হয়ে আবার ইসলাম থেকে ফিরে যাবে। প্রথমোক্ত ধারা অর্থাৎ যারা তাওবা করে ইমানে ফিরে আসবে, তাদের আল্লাহ ক্ষমা করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন এবং অপর দল যারা ইসলাম থেকে কুফরে ফিরে যাওয়ার পথ অবলম্বন করবে অর্থাৎ যারা মুরতাদ হয়ে যাবে, তাদের জন্য ভয়ংকর শাস্তির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
৬৭ ও ৬৮ নম্বর আয়াতে মুনাফিকদের মধ্যে পুরুষ এবং নারীরাও যে রয়েছে এবং তারা যে সমানভাবেই মুনাফিক, সে কথা স্পষ্ট করে বলা হয়েছে। মুনাফিকদের মধ্যে যারা তাওবা করে ইসলামের পথে ফিরে আসবে না, তাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের নিকৃষ্টতা ও করুণ পরিণতির কথা বলা হয়েছে। তারা আসলে কাফিরদেরই অন্তর্ভুক্ত। এ আয়াতে তাদের কুুফফার বা ঘোরতর কাফিরদের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করে কঠিনতম শাস্তির কথা ঘোষণা করা হয়েছে। আসলে মুরতাদরা যে কাফিরদের চেয়েও জঘন্য, এ বিষয়টাও এখানে স্পষ্ট হয়ে গেছে।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী.
৬৮. ওয়াআ'দাল্লাহুল মুনাফিক্বীনা ওয়ালমুনাফিক্বাতি ওয়ালকুফ্ফারা না-রা জাহান্নামা খালিদীনা ফীহা; হিয়া হাছবুহুম ওয়ালাআ'নাহুমুল্লাহু ওয়া লাহুম আ'যাবুম্ মুক্বীম।
[সুরা : আত্ তাওবা, আয়াত : ৬৫-৬৮]
অনুবাদ
৬৫. আপনি যদি তাদের জিজ্ঞেস করেন, তবে তারা অবশ্যই বলবে, আমরা তো হাসি-তামাশা ও মশকরা করছিলাম। তাদের বলুন, তোমরা কি আল্লাহ, আল্লাহর আয়াত ও তাঁর রাসুলকে নিয়ে বিদ্রূপ করছ?
৬৬. তোমরা গা বাঁচানোর জন্য অজুহাত দাঁড় করিও না। ইমান গ্রহণের পর তোমরা আবার অবাধ্যতায় লিপ্ত হয়েছিলে। আমি যদি তোমাদের এক দলকে (ইমানের কারণে) ক্ষমা করে দিতে পারি, তবে অপর দলকে ভয়ংকর শাস্তিও দিতে পারব (তাদের অবাধ্যতার কারণে)। কারণ তারা তো মারাত্মক অপরাধ করছে।
৬৭. মুনাফিক পুরুষ এবং মুনাফিক নারী_এরা সব এক রকমই। তারা মন্দ কাজে প্ররোচনা দেয় এবং ভালো কাজে বাধা সৃষ্টি করে। আর তারা নিজেদের হাত বন্ধ করে রাখে। তারা আল্লাহকে ভুলে গেছে। সুতরাং আল্লাহও তাদের ভুলে গেছেন। নিঃসন্দেহে মুনাফিকরা ভীষণ পাপিষ্ঠ।
৬৮. আল্লাহ মুনাফিক পুরুষ, মুনাফিক নারী ও ঘোরতর অবাধ্যদের অনন্তকাল জাহান্নামের আগুনে ফেলে রাখার প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করছেন। এটাই তাদের যথার্থ পরিণতি। আল্লাহ তাদের অভিশম্পাত দিচ্ছেন, আর তাদের জন্য ব্যবস্থা করেছেন স্থায়ী শাস্তির।
ব্যাখ্যা
৬৫ নম্বর আয়াতে ইসলামের নানা প্রসঙ্গ নিয়ে মুনাফিকদের ভেতরে ভেতরে বিদ্রূপ করার বিষয়টির কড়া সমালোচনা করা হয়েছে। ইসলামের সমালোচনা করার প্রসঙ্গটি নিয়ে তাদের যখন প্রশ্ন করা হয় তখন তারা বলে, এটা আমাদের মনের কথা নয়, এটা আমরা হাসি-তামাশা করছিলাম। এই আয়াতে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, আল্লাহ, আল্লাহর আয়াত ও তাঁর রাসুলকে নিয়ে তারা যে হাসি-তামাশা করে, এগুলো কি হাসি-তামাশার বিষয়? এগুলো তো মোটেও বিদ্রূপের বিষয় নয়, বরং গুরুতর বিষয়।
৬৬ নম্বর আয়াতে মুনাফিকদের মধ্যে সম্ভাব্য দুটি ধারার কথা উল্লেখ করা হয়েছে এবং এভাবেই চরম সতর্কতা উচ্চারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ প্রত্যেক মুনাফিকই দুই ধারার যেকোনো এক ধারায় পড়বে। সম্ভাব্য এ ধারা দুটির একটি হলো, যারা তাদের ভুল ও বিভ্রান্তি বুঝতে পেরে দৃঢ়চিত্ত হয়ে ইসলামের পথে ফিরে আসবে আর অপরটি হলো, যারা মুখে মুখে হলেও একবার মুসলমান হয়ে আবার ইসলাম থেকে ফিরে যাবে। প্রথমোক্ত ধারা অর্থাৎ যারা তাওবা করে ইমানে ফিরে আসবে, তাদের আল্লাহ ক্ষমা করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন এবং অপর দল যারা ইসলাম থেকে কুফরে ফিরে যাওয়ার পথ অবলম্বন করবে অর্থাৎ যারা মুরতাদ হয়ে যাবে, তাদের জন্য ভয়ংকর শাস্তির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
৬৭ ও ৬৮ নম্বর আয়াতে মুনাফিকদের মধ্যে পুরুষ এবং নারীরাও যে রয়েছে এবং তারা যে সমানভাবেই মুনাফিক, সে কথা স্পষ্ট করে বলা হয়েছে। মুনাফিকদের মধ্যে যারা তাওবা করে ইসলামের পথে ফিরে আসবে না, তাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের নিকৃষ্টতা ও করুণ পরিণতির কথা বলা হয়েছে। তারা আসলে কাফিরদেরই অন্তর্ভুক্ত। এ আয়াতে তাদের কুুফফার বা ঘোরতর কাফিরদের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করে কঠিনতম শাস্তির কথা ঘোষণা করা হয়েছে। আসলে মুরতাদরা যে কাফিরদের চেয়েও জঘন্য, এ বিষয়টাও এখানে স্পষ্ট হয়ে গেছে।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী.
No comments