সিরিয়ায় আরব দেশগুলোর সেনা পাঠাতে চায় কাতার
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ সরকারবিরোধী আন্দোলনের সময় অপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছেন। সেনাবাহিনীর যেসব সদস্য পালিয়ে গেছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেও এই সাধারণ ক্ষমা প্রযোজ্য হবে। এদিকে রক্তপাত বন্ধ করতে সিরিয়ায় আরব দেশগুলোর সেনা পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছেন কাতারের আমির শেখ হামাদ বিন খলিফা আল-থানি। জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন লেবাননে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট বাশারকে অবশ্যই ‘হত্যাকাণ্ড বন্ধ’ করতে হবে।
গতকাল রোববার সিরিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘প্রেসিডেন্ট আসাদ অধ্যাদেশ জারি করে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছেন। ১৫ মার্চ ২০১১ থেকে ১৫ জানুয়ারি ২০১২ পর্যন্ত সংঘটিত সহিংসতার সঙ্গে জড়িত সবাই এই সাধারণ ক্ষমার আওতায় আসবেন।’
এতে জানুয়ারির মধ্যে সবাইকে অবৈধ অস্ত্র সরকারি বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করতে বলা হয়। প্রতিবেদনে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
কাতারের আমির যুক্তরাষ্ট্রের সিবিএস টিভি নেটওয়ার্ককে দেওয়া ‘৬০ মিনিট’ শীর্ষক এক সাক্ষাৎকারে সিরিয়ায় আরব দেশগুলোর সেনা পাঠানোর প্রস্তাব তুলে ধরেন। গতকাল রোববার সিবিএস টিভি নেটওয়ার্কের ওয়েবসাইটে এই সাক্ষাৎকার তুলে ধরা হয়েছে। গতকালই সাক্ষাৎকারটি সম্প্রচার করা হয়।
গত বছর লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামরিক জোট ন্যাটোর সঙ্গে কাতারও বিদ্রোহীদের সহায়তা দেয়। আরব দেশগুলোর মধ্যে হামাদ বিন খলিফাই প্রথম নেতা, যিনি সিরিয়ায় সামরিক হস্তক্ষেপের প্রস্তাব দিলেন।
সিবিএসের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে কাতারের আমির বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে করণীয় হলো হত্যাকাণ্ড বন্ধ করা। হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতেই সিরিয়ায় কিছু সেনা পাঠানো উচিত।’ তবে আরব দেশগুলোর সেনাবাহিনী কীভাবে গঠিত হবে বা তারা কীভাবে সিরিয়ায় কাজ করবে, সে ব্যাপারে কিছু উল্লেখ করেননি।
পশ্চিমা দেশগুলো লিবিয়া স্টাইলে সিরিয়া অভিযানে ততটা আগ্রহী নয়। যদিও ফ্রান্স বলছে, বেসামরিক জনগণকে রক্ষায় সিরিয়ায় ‘কয়েকটি জোন’ গড়ে তোলা প্রয়োজন।
জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন গতকাল বলেন, ‘সহিংসতা বন্ধে আমি আবারও প্রেসিডেন্ট আসাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। নিজের জনগণকে হত্যা বন্ধ করুন। দমন-পীড়নের পথ ধ্বংস ডেকে আনে।’
সিরিয়ায় সহিংসতায় গত শনিবারও রক্তপাতের ঘটনা ঘটেছে। সিরিয়ার জাবাদানি এলাকায় সেনারা ট্যাংক নিয়ে বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা চালায়। এতে ৪০ জন হতাহত হয়। রয়টার্স।
এতে জানুয়ারির মধ্যে সবাইকে অবৈধ অস্ত্র সরকারি বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করতে বলা হয়। প্রতিবেদনে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
কাতারের আমির যুক্তরাষ্ট্রের সিবিএস টিভি নেটওয়ার্ককে দেওয়া ‘৬০ মিনিট’ শীর্ষক এক সাক্ষাৎকারে সিরিয়ায় আরব দেশগুলোর সেনা পাঠানোর প্রস্তাব তুলে ধরেন। গতকাল রোববার সিবিএস টিভি নেটওয়ার্কের ওয়েবসাইটে এই সাক্ষাৎকার তুলে ধরা হয়েছে। গতকালই সাক্ষাৎকারটি সম্প্রচার করা হয়।
গত বছর লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামরিক জোট ন্যাটোর সঙ্গে কাতারও বিদ্রোহীদের সহায়তা দেয়। আরব দেশগুলোর মধ্যে হামাদ বিন খলিফাই প্রথম নেতা, যিনি সিরিয়ায় সামরিক হস্তক্ষেপের প্রস্তাব দিলেন।
সিবিএসের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে কাতারের আমির বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে করণীয় হলো হত্যাকাণ্ড বন্ধ করা। হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতেই সিরিয়ায় কিছু সেনা পাঠানো উচিত।’ তবে আরব দেশগুলোর সেনাবাহিনী কীভাবে গঠিত হবে বা তারা কীভাবে সিরিয়ায় কাজ করবে, সে ব্যাপারে কিছু উল্লেখ করেননি।
পশ্চিমা দেশগুলো লিবিয়া স্টাইলে সিরিয়া অভিযানে ততটা আগ্রহী নয়। যদিও ফ্রান্স বলছে, বেসামরিক জনগণকে রক্ষায় সিরিয়ায় ‘কয়েকটি জোন’ গড়ে তোলা প্রয়োজন।
জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন গতকাল বলেন, ‘সহিংসতা বন্ধে আমি আবারও প্রেসিডেন্ট আসাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। নিজের জনগণকে হত্যা বন্ধ করুন। দমন-পীড়নের পথ ধ্বংস ডেকে আনে।’
সিরিয়ায় সহিংসতায় গত শনিবারও রক্তপাতের ঘটনা ঘটেছে। সিরিয়ার জাবাদানি এলাকায় সেনারা ট্যাংক নিয়ে বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা চালায়। এতে ৪০ জন হতাহত হয়। রয়টার্স।
No comments