ফেসবুক দেখে যায় চেনা by ইকবাল খন্দকার
আর কোনো কিছুর দরকার নেই, ফেসবুকের স্ট্যাটাস, কমেন্টস এবং লাইক দেওয়া দেখেই আপনি বুঝে ফেলতে পারবেন কে কী ধরনের মানুষ। আমরা মোটামুটি একটা নমুনা উপস্থাপন করছি_ হ তারাই আবুল ক্যাটাগরির পাবলিক, যারা এই টাইপের স্ট্যাটাসে 'লাইক' দেয়_ ষ আজ উষ্ঠা খেয়ে পড়ে তিন-তিনটা দাঁত ভেঙে ফেললাম। তাও আবার একদম সম্মুখভাগেরগুলো।
আরও ভেঙেছে কি-না আয়নার অভাবে দেখতে পারছি না। ভেঙে থাকলে পরবর্তী স্ট্যাটাসে অবশ্যই জানাব। ষ বউয়ের সঙ্গে কখনোই আমি উঁচু গলায় কথা বলি না। কারণ তার একটা বদ অভ্যাস আছে_ হাতটা বেশি চলে। কিন্তু আজ কেন যে বলতে গেলাম! বলার সঙ্গে সঙ্গে আর কোনো কথা নেই, তার বদ অভ্যাসটা প্রকট হয়ে উঠল।
ষ আমি নিজেকে বেশ সম্মানিত লোক বলেই জ্ঞান করি। সে জন্য সবাইকে বলি আমাকে সম্মান দিয়ে কথা বলতে। বেশ ক'মাসের বাড়ি ভাড়া বাকি পড়ার পর বাড়িওয়ালা যখন আমাকে যা-তা বলছিল, তখন তাকে বলেছিলাম_ সম্মান দিয়ে কথা বলুন। সঙ্গে সঙ্গে বের করে দিল।
ষ এক জায়গায় গিয়েছিলাম। সেখানে লেখা ছিল_ জুতা খুলে প্রবেশ করুন। জুতা খুলে প্রবেশ করেছিলাম ঠিক, কিন্তু বের হয়ে আর পাইনি। তাই খালি পায়ে বাসায় ফিরলাম। একদম খালি পায়ে নয়, পায়ে হাফ ছেঁড়া মোজা ছিল।
ষ জরুরি প্রয়োজনে বুয়া গ্রামের বাড়িতে চলে গেছে। তাই আমাকেই আজ চা বানাতে হলো। জীবনের প্রথম চা বানাতে গিয়ে চায়ে চিনি দিয়ে ফেলেছি। আসলে চায়ে যে চিনি দিতে হয় না, ব্যাপারটা আমি জানতাম না। রান্নার বই দেখে নেওয়া দরকার ছিল।
হ তারাই বাচাল টাইপের পাবলিক, যারা বসে বসে এসব স্ট্যাটাসে এই জাতীয় 'কমেন্টস' করে_
ষ আপনি বলেছেন আপনার যে তিনটা দাঁত ভেঙেছে, সেগুলো নাকি মুখের সম্মুখভাগের। এ অবস্থায় হাসি দিলে আপনাকে কেমন লাগে সেটা সবাইকে দেখানোর জন্য আপনি কিন্তু একটা ছবি তুলে আপলোড করতে পারতেন।
ষ আপনি বলেছেন, উঁচু গলায় কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে নাকি আপনার বউয়ের হাত তোলার বদ অভ্যাসটা প্রকট হয়ে উঠেছে। তবে আপনার এই স্ট্যাটাসে কিন্তু স্পষ্ট হলো না, বউ আপনাকে ঘুষি দিয়েছে নাকি ঠাটিয়ে চটকানা দিয়েছে।
ষ আপনার বাড়িওয়ালা আপনাকে বের করে দিয়েছে বলেই আপনি খালি হাতে বের হয়ে যাবেন না যেন। অবশ্যই কাঁথা-বালিশ নিয়ে বের হবেন। নইলে দেখা যাবে বাড়িওয়ালা নিজে এসে আপনার কাঁথা-বালিশে ঘুমাবে।
ষ আপনি হাফ ছেঁড়া জুতা নিয়ে বাসায় ফিরেছেন, এতে কিন্তু কোনো লজ্জা নেই। হ্যাঁ, বিষয়টা লজ্জার ইস্যু হয়ে দাঁড়াতে পারত তখনই, যদি দেখা যেত আপনার মোজায় গন্ধ আছে। ভাইরে, মোজার গন্ধ কিন্তু অতিশয় মন্দ। আমার মোজায় প্রায়ই হয়।
ষ চা বানাতে গিয়ে এত ভুল করলে তো চলবে না। প্রথম ভুল করেছেন রান্নার বই না দেখে, দ্বিতীয় ভুল করেছেন চা বানানোর আগে ফ্রেন্ডসদের কাছে রেসিপি চেয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস না দিয়ে। যদি আগেই একটা স্ট্যাটাস দিতেন, তাহলে এত বড় ভুল হওয়ার সুযোগ পেত না।
হ তারাই অকর্মা টাইপের পাবলিক, যারা বসে বসে এই জাতীয় বেহুদা 'স্ট্যাটাস' দেয়_
ষ এই মাত্র একটা হাই তুললাম। তবে একটা হাই-ই শেষ নয়, আরেকটা আসবে আসবে করছে। যদি এসেই পড়ে তাহলে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আমি দ্বিতীয় হাইটাও তুলে ফেলতে পারব বলে আশা করছি।
ষ কিছুক্ষণ আগে একটা কৌতুক শুনলাম। শোনার সঙ্গে সঙ্গে হাসিনি। ভাবলাম, ফ্রেন্ডসদের না জানিয়ে হাসি কী করে। যাক, এখন তো জানানো হলো! আপনারা যদি অনুমতি দেন তাহলে এবার আমি মিনিটখানেক হাসতে চাই। নইলে কৌতুকটা যে শুনিয়েছে, সে মাইন্ড করবে।
ষ প্লেট ধোয়া শেষ। এখন শুধু ভাত নেব। ভাত নেওয়ার পরই যে খেতে শুরু করব তা কিন্তু নয়। খাওয়ার আগে জরুরি একটা কাজ করতে হবে আমাকে। সেটা হচ্ছে তরকারি এবং লবণ দিয়ে ভাতটা মোক্ষমভাবে মাখা।
ষ খুব গভীর একটা চিন্তায় ডুবে আছি। চিন্তাটা একটা মশাকে কেন্দ্র করে। আসলে হয়েছে কি, মশারির ভেতর একটা মশা ঢুকেছে। মশাটা কীভাবে মারব, এটা নিয়ে চিন্তা করছি আর কি। কারও মাথায় মশা মারার ভালো কোনো আইডিয়া থাকলে প্লিজ জানান।
ষ আজ আবার বেশ শীত পড়েছে। কিন্তু ব্যাগের ভেতর থেকে কম্বল বের করতে আলসেমি লাগছে। আচ্ছা, ব্যাগের ভেতর থেকে বের না করেও কম্বলটা গায়ে দেওয়ার কোনো সিস্টেম কারও জানা আছে কি?
ষ আমি নিজেকে বেশ সম্মানিত লোক বলেই জ্ঞান করি। সে জন্য সবাইকে বলি আমাকে সম্মান দিয়ে কথা বলতে। বেশ ক'মাসের বাড়ি ভাড়া বাকি পড়ার পর বাড়িওয়ালা যখন আমাকে যা-তা বলছিল, তখন তাকে বলেছিলাম_ সম্মান দিয়ে কথা বলুন। সঙ্গে সঙ্গে বের করে দিল।
ষ এক জায়গায় গিয়েছিলাম। সেখানে লেখা ছিল_ জুতা খুলে প্রবেশ করুন। জুতা খুলে প্রবেশ করেছিলাম ঠিক, কিন্তু বের হয়ে আর পাইনি। তাই খালি পায়ে বাসায় ফিরলাম। একদম খালি পায়ে নয়, পায়ে হাফ ছেঁড়া মোজা ছিল।
ষ জরুরি প্রয়োজনে বুয়া গ্রামের বাড়িতে চলে গেছে। তাই আমাকেই আজ চা বানাতে হলো। জীবনের প্রথম চা বানাতে গিয়ে চায়ে চিনি দিয়ে ফেলেছি। আসলে চায়ে যে চিনি দিতে হয় না, ব্যাপারটা আমি জানতাম না। রান্নার বই দেখে নেওয়া দরকার ছিল।
হ তারাই বাচাল টাইপের পাবলিক, যারা বসে বসে এসব স্ট্যাটাসে এই জাতীয় 'কমেন্টস' করে_
ষ আপনি বলেছেন আপনার যে তিনটা দাঁত ভেঙেছে, সেগুলো নাকি মুখের সম্মুখভাগের। এ অবস্থায় হাসি দিলে আপনাকে কেমন লাগে সেটা সবাইকে দেখানোর জন্য আপনি কিন্তু একটা ছবি তুলে আপলোড করতে পারতেন।
ষ আপনি বলেছেন, উঁচু গলায় কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে নাকি আপনার বউয়ের হাত তোলার বদ অভ্যাসটা প্রকট হয়ে উঠেছে। তবে আপনার এই স্ট্যাটাসে কিন্তু স্পষ্ট হলো না, বউ আপনাকে ঘুষি দিয়েছে নাকি ঠাটিয়ে চটকানা দিয়েছে।
ষ আপনার বাড়িওয়ালা আপনাকে বের করে দিয়েছে বলেই আপনি খালি হাতে বের হয়ে যাবেন না যেন। অবশ্যই কাঁথা-বালিশ নিয়ে বের হবেন। নইলে দেখা যাবে বাড়িওয়ালা নিজে এসে আপনার কাঁথা-বালিশে ঘুমাবে।
ষ আপনি হাফ ছেঁড়া জুতা নিয়ে বাসায় ফিরেছেন, এতে কিন্তু কোনো লজ্জা নেই। হ্যাঁ, বিষয়টা লজ্জার ইস্যু হয়ে দাঁড়াতে পারত তখনই, যদি দেখা যেত আপনার মোজায় গন্ধ আছে। ভাইরে, মোজার গন্ধ কিন্তু অতিশয় মন্দ। আমার মোজায় প্রায়ই হয়।
ষ চা বানাতে গিয়ে এত ভুল করলে তো চলবে না। প্রথম ভুল করেছেন রান্নার বই না দেখে, দ্বিতীয় ভুল করেছেন চা বানানোর আগে ফ্রেন্ডসদের কাছে রেসিপি চেয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস না দিয়ে। যদি আগেই একটা স্ট্যাটাস দিতেন, তাহলে এত বড় ভুল হওয়ার সুযোগ পেত না।
হ তারাই অকর্মা টাইপের পাবলিক, যারা বসে বসে এই জাতীয় বেহুদা 'স্ট্যাটাস' দেয়_
ষ এই মাত্র একটা হাই তুললাম। তবে একটা হাই-ই শেষ নয়, আরেকটা আসবে আসবে করছে। যদি এসেই পড়ে তাহলে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আমি দ্বিতীয় হাইটাও তুলে ফেলতে পারব বলে আশা করছি।
ষ কিছুক্ষণ আগে একটা কৌতুক শুনলাম। শোনার সঙ্গে সঙ্গে হাসিনি। ভাবলাম, ফ্রেন্ডসদের না জানিয়ে হাসি কী করে। যাক, এখন তো জানানো হলো! আপনারা যদি অনুমতি দেন তাহলে এবার আমি মিনিটখানেক হাসতে চাই। নইলে কৌতুকটা যে শুনিয়েছে, সে মাইন্ড করবে।
ষ প্লেট ধোয়া শেষ। এখন শুধু ভাত নেব। ভাত নেওয়ার পরই যে খেতে শুরু করব তা কিন্তু নয়। খাওয়ার আগে জরুরি একটা কাজ করতে হবে আমাকে। সেটা হচ্ছে তরকারি এবং লবণ দিয়ে ভাতটা মোক্ষমভাবে মাখা।
ষ খুব গভীর একটা চিন্তায় ডুবে আছি। চিন্তাটা একটা মশাকে কেন্দ্র করে। আসলে হয়েছে কি, মশারির ভেতর একটা মশা ঢুকেছে। মশাটা কীভাবে মারব, এটা নিয়ে চিন্তা করছি আর কি। কারও মাথায় মশা মারার ভালো কোনো আইডিয়া থাকলে প্লিজ জানান।
ষ আজ আবার বেশ শীত পড়েছে। কিন্তু ব্যাগের ভেতর থেকে কম্বল বের করতে আলসেমি লাগছে। আচ্ছা, ব্যাগের ভেতর থেকে বের না করেও কম্বলটা গায়ে দেওয়ার কোনো সিস্টেম কারও জানা আছে কি?
No comments