বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর স্টলে ভিড় বাড়ছে
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর স্টলে ভিড় বাড়ছে। তবে পণ্যমূল্য বেশি হওয়ায় স্টলগুলোতে ভিড়ের তুলনায় বিক্রি কম। বিক্রেতারা বলছেন, টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় পণ্যমূল্য বাড়াতে তারা বাধ্য হয়েছেন। অন্যদিকে বিদেশি এসব প্যাভিলিয়নে অনেক দেশি প্রতিষ্ঠান স্টল সাজিয়ে বসেছে। ফলে ক্রেতারা বুঝে উঠতে পারছেন না কোনটা প্রকৃত বিদেশিদের স্টল।
ইপিবি সূত্রে জানা গেছে, এবারের বাণিজ্যমেলায় ভারত, পাকিস্তান, চীন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরান, তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, মরক্কো ও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ৩৯টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। প্রতিষ্ঠানগুলো পোশাক-পরিচ্ছদ, জুয়েলারি, বিভিন্ন ধরনের কার্পেট, গৃহস্থালি পণ্য, ইলেকট্রনিক্স পণ্য, ফার্নিচার, পাদুকা, ওষুধ, গাড়ি ইত্যাদি পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি করছে। এবার মেলায় ১২টি দেশ অংশ নিলেও গত বছর ১৪টি দেশ অংশ নিয়েছিল। অন্যান্য দেশের তুলনায় পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, ইরান ও চীনের প্যাভিলিয়নে ভিড় বেশি। এসব দেশের প্রতিষ্ঠানগুলো গৃহস্থালি পণ্য, প্রসাধনী, পোশাক-পরিচ্ছদ প্রদর্শন ও বিক্রি করছে।
১ জানুয়ারি শুরু হওয়া ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় শুধু ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে বেশিরভাগ পণ্যের দাম বেড়েছে। যারা বিদেশ থেকে পণ্য নিয়ে এসে বিক্রি করেন তারা দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছেন। আবার দেশি কোম্পানির মধ্যে যাদের কাঁচামাল আমদানিনির্ভর তাদেরও দাম বাড়াতে হয়েছে। পাশাপাশি মেলার খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণেও তারা পণ্যের দাম বাড়িয়েছেন বলে জানান। কোম্পানিগুলোর কর্মকর্তারা জানান, শুধু ডলারের দাম বাড়ায় শুল্ক ও কর বেড়েছে। পণ্য আমদানিতে টাকা বেশি লাগছে। এর ওপর শতকরা হারে শুল্ক আরোপিত হওয়ায় মোট শুল্ক বেড়ে যাচ্ছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে গত বছর জানুয়ারিতে প্রতি ডলারের দাম ছিল ৭০ থেকে ৭১ টাকার মধ্যে। এ বছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮২ থেকে ৮৩ টাকা। ফলে এক বছরের ব্যবধানে ডলারের দাম বেড়েছে ১১ টাকার বেশি, যা শতকরা হিসাবে প্রায় সাড়ে ১৫ শতাংশ।
দিলি্ল অ্যালুমিনিয়ামের বিক্রেতা জানান, ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় তাদের সব পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। যেসব পণ্য বেশি প্রয়োজন হয় সেগুলোর দাম কিছুটা কম রাখছেন তারা। আর যেগুলো কম প্রয়োজন হয় সেগুলোর দাম বেশি বেড়েছে। গড়ে ১০ শতাংশ দাম বেড়েছে তাদের পণ্যের। একই ধরনের মত দেন তুরস্কের কার্পেট বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার আবদুল আজিজ। ইন্ট্রাকো গ্রুপ বাণিজ্যমেলায় গাড়ি, মোটরসাইকেল, এনার্জি বাল্ব, সৌরবিদ্যুতের উপকরণ ইত্যাদি প্রদর্শন করছে। তারা এসব পণ্য বিদেশ থেকে আমদানি করে। ডলারের দামের কারণে তাদেরও দাম বাড়াতে হয়েছে বলে জানান ওই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক লুৎফর রহমান। তিনি বলেন, গত এক বছরে ডলারের দাম প্রায় ১৫ শতাংশ বেড়েছে। এতে আমাদের কয়েকটি পণ্যের দামও প্রায় একই হারে বেড়েছে। ভারত থেকে অ্যামবাসাডর ব্র্যান্ডের গাড়ি আমরা সম্প্রতি এদেশে বিক্রি শুরু করেছি। এ গাড়িটির আমদানি খরচ ১৫ শতাংশ বেশি হচ্ছে; কিন্তু সোলার পণ্যে আমাদের দাম বাড়াতে হয়নি। কারণ এগুলো আগে থেকে আমদানি করা হয়েছে।
দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতারাও অসন্তুষ্ট। কারণ দামের চাপটা গিয়ে তাদের ওপর পড়ছে। কোম্পানিগুলোর প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। কারণ একই ব্যবসা খাতের সব কোম্পানি দাম বাড়াতে বাধ্য হচ্ছে। আর এতে বিকল্প খুঁজে পাচ্ছেন না ক্রেতারা। ফলে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা নিয়ে যে পরিমাণ পণ্য কিনতে চেয়েছিলেন তারা তা কিনতে পারছেন না।
১ জানুয়ারি শুরু হওয়া ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় শুধু ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে বেশিরভাগ পণ্যের দাম বেড়েছে। যারা বিদেশ থেকে পণ্য নিয়ে এসে বিক্রি করেন তারা দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছেন। আবার দেশি কোম্পানির মধ্যে যাদের কাঁচামাল আমদানিনির্ভর তাদেরও দাম বাড়াতে হয়েছে। পাশাপাশি মেলার খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণেও তারা পণ্যের দাম বাড়িয়েছেন বলে জানান। কোম্পানিগুলোর কর্মকর্তারা জানান, শুধু ডলারের দাম বাড়ায় শুল্ক ও কর বেড়েছে। পণ্য আমদানিতে টাকা বেশি লাগছে। এর ওপর শতকরা হারে শুল্ক আরোপিত হওয়ায় মোট শুল্ক বেড়ে যাচ্ছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে গত বছর জানুয়ারিতে প্রতি ডলারের দাম ছিল ৭০ থেকে ৭১ টাকার মধ্যে। এ বছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮২ থেকে ৮৩ টাকা। ফলে এক বছরের ব্যবধানে ডলারের দাম বেড়েছে ১১ টাকার বেশি, যা শতকরা হিসাবে প্রায় সাড়ে ১৫ শতাংশ।
দিলি্ল অ্যালুমিনিয়ামের বিক্রেতা জানান, ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় তাদের সব পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। যেসব পণ্য বেশি প্রয়োজন হয় সেগুলোর দাম কিছুটা কম রাখছেন তারা। আর যেগুলো কম প্রয়োজন হয় সেগুলোর দাম বেশি বেড়েছে। গড়ে ১০ শতাংশ দাম বেড়েছে তাদের পণ্যের। একই ধরনের মত দেন তুরস্কের কার্পেট বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার আবদুল আজিজ। ইন্ট্রাকো গ্রুপ বাণিজ্যমেলায় গাড়ি, মোটরসাইকেল, এনার্জি বাল্ব, সৌরবিদ্যুতের উপকরণ ইত্যাদি প্রদর্শন করছে। তারা এসব পণ্য বিদেশ থেকে আমদানি করে। ডলারের দামের কারণে তাদেরও দাম বাড়াতে হয়েছে বলে জানান ওই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক লুৎফর রহমান। তিনি বলেন, গত এক বছরে ডলারের দাম প্রায় ১৫ শতাংশ বেড়েছে। এতে আমাদের কয়েকটি পণ্যের দামও প্রায় একই হারে বেড়েছে। ভারত থেকে অ্যামবাসাডর ব্র্যান্ডের গাড়ি আমরা সম্প্রতি এদেশে বিক্রি শুরু করেছি। এ গাড়িটির আমদানি খরচ ১৫ শতাংশ বেশি হচ্ছে; কিন্তু সোলার পণ্যে আমাদের দাম বাড়াতে হয়নি। কারণ এগুলো আগে থেকে আমদানি করা হয়েছে।
দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতারাও অসন্তুষ্ট। কারণ দামের চাপটা গিয়ে তাদের ওপর পড়ছে। কোম্পানিগুলোর প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। কারণ একই ব্যবসা খাতের সব কোম্পানি দাম বাড়াতে বাধ্য হচ্ছে। আর এতে বিকল্প খুঁজে পাচ্ছেন না ক্রেতারা। ফলে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা নিয়ে যে পরিমাণ পণ্য কিনতে চেয়েছিলেন তারা তা কিনতে পারছেন না।
No comments